রাজনীতি
ফ্যাসিস্টরা এখনো সক্রিয়, সতর্ক থাকতে হবে: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা একটা জটিল সময় পার করছি। যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। চক্রান্ত শেষ হয়নি। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিস্টরা এখনো সক্রিয়। শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন করে পুরো কাঠামোর পরিবর্তন করা যায় না। সেটার জন্য সময়ের প্রয়োজন হয়।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকার সময়ের সদ্ব্যবহার করবে বলে আশা করি। অন্যান্য বিষয়ের দিকে না গিয়ে নজরটা ওই দিকে দেবেন, ইলেকশন (নির্বাচন)— এটার কোনো বিকল্প নেই। রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে হলে, জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে, সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হলে এখানে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, সবার অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন করতে হবে। সেই কারণেই কিন্তু এতগুলো প্রাণ গেছে, এত মানুষ দীর্ঘকাল ধরে লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, কারাগারে গেছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করার লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটি দ্রুতই কমিশন গঠন করবে এবং সেই কমিশন দ্রুততার সঙ্গেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপির মহাসচিব।
সদ্য পদত্যাগী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিন মাসে যদি হাবিবুল আউয়াল সাহেবরা নির্বাচন করে ফেলতে পারেন, তাহলে কেন পারা যাবে না। চাইলেই পারা যাবে, সে চেষ্টা করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এই সরকারের অন্য কোনো রকম রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি (ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস) এমন একজন ব্যক্তি, যিনি সারা পৃথিবীতে সমাদৃত এবং তিনি কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার) করেছেন যে তার কোনো রকমের রাজনৈতিক ইচ্ছা নেই। দেশের মানুষ আপনাকে খুবই ভালোবাসে। আপনাকে সম্মান দিয়েছে, দেবে এবং দিতে চায়। একটাই অনুরোধ থাকবে, আপনার এই জায়গা যাতে নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের বিগত ১৫ বছরে ১ লাখ ২৫ হাজার মামলায় সারা দেশের ৬০ লাখ মানুষকে আসামি করার হয়েছে। এখানে এমন লোক খুব আছে, যারা কারাগারে যায়নি, এমন লোক কম আছে, যারা মামলা খায়নি। ফাঁসি থেকে শুরু করে হত্যা, গুম, খুন সবকিছু এই দেশে আওয়ামী লীগ করেছে। সেখানে রাতারাতি আমরা সব পরিবর্তন করে ফেলতে পারব না, একটা সময় দিতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা আশা করব, অতি দ্রুত এবং তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) অবশ্যই চেষ্টা করছে। আমরা যারা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, ছাত্রনেতারা সবাই মিলেই এই সরকার গঠন করেছি। আমরা আশা করছি, সরকার একটা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেননি অতীতে। সেই ভোট দিয়ে তারা নতুন সংসদ তৈরি করবেন। এটা আমাদের প্রত্যাশা এবং এটাই জনগণ চান।
কাফি

রাজনীতি
নির্বাচন কোনোভাবেই ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কারণ নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার মতো একটিও কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, প্রায় সব দলেরই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাবনা আছে। অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব এবং এর মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারও করা সম্ভব।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সালাহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই আলোচনায় বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিস্তারিত মতামত আমরা দিয়েছি। অনেকগুলো বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। কিছু কিছু বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোথাও নীতিগত, কোথাও আংশিক এবং কোথাও পূর্ণাঙ্গ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি। ’
‘সব রাজনৈতিক দল সব বিষয়ে একমত হবে- এমনটি প্রত্যাশা করি না। তবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমরা ঐকমত্যের কাছাকাছি গিয়েছি। সব বিষয়ে হয়তোবা ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব। এটি হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমরা সেটাই গ্রহণ করবো যেটি সিদ্ধান্ত নিলে একটি সুন্দর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। যেসব প্রস্তাব জাতির বৃহত্তর স্বার্থে উপকারী হবে, শুধু সেগুলোই গ্রহণ করবো। আমরা সেই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হয়েছি। আমরা আমাদের শহীদদের রক্তের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য সেসব সিদ্ধান্ত নেব যেটিতে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র কাঠামো গঠন করা সম্ভব। ’
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব এবং এর মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারও করা সম্ভব। বিশেষ করে নির্বাচনমুখী যে সংস্কার সেটিকে চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সেটি দ্রুত করা সম্ভব। এমন কোনো সংস্কার নেই যা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়। অর্ডিন্যান্স, নির্বাহী আদেশ ও অফিস আদেশের মধ্যে এক মাসের মধ্যে সংস্কার করা সম্ভব। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার মতো একটিও কারণ নেই। এই বিষয়টি আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং আবারও বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমরা যেটা প্রস্তাবনা করেছি, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সেটিকে সমর্থন করেছে। প্রায় সব দলেরই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাবনা আছে। ’
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা আশা করি, তিনি জাতীয় অভিভাবক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি ব্যক্তিগত রাগ বা অনুরাগ-অনিচ্ছা প্রকাশ করবেন না। ’
সালাহউদ্দিন আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘আলাপ-আলোচনার এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম হবে। ’
কাফি
রাজনীতি
দ্রুত নিবন্ধন-প্রতীক ফিরে পাবে জামায়াত: হামিদুর রহমান

নির্বাচন কমিশন (ইসি) দ্রুত জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ।
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়া নিয়ে আজ সোমবার (২ জুন) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী আদালতের রায়ের মাধ্যমে তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে। বিগতদিনের মতই এখন নিবন্ধিত দল। প্রতীকও দাড়িপাল্লা থাকবে। ইসি বলেছে, যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর হবে, আস্বস্ত করা হয়েছে।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ। দলে আরো ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসেন ও অ্যাডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির।
এর আগে গতকাল রোববার সকালে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে দলটির নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পথ সুগম হয়।
কাফি
রাজনীতি
দ্রুত নিবন্ধন-প্রতীক ফিরে পাবে জামায়াত: হামিদুর রহমান

দ্রুত জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পজিটিভ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ।
সোমবার (২ জুন) দুটি ইস্যু নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল। আজ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে দলটি।
এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, গতকাল আদালত ইসিকে নিবন্ধন পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে আদেশ দিয়েছেন। সেই বিষয়ে আমরা ছয়জন ইসির সঙ্গে বৈঠক করেছি। ইসি পজিটিভ। আমরা চাই বিলম্ব না করে দ্রুত যেন কার্যকর হয়। এজন্য দেশবাসী অধীর আগ্রহে আছে।
আদালতের রায়ের পরদিন দলটি আইনজীবীসহ রায়ের কপি নিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক বিষয়ে আদালতের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে রোববারই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল।
এ বৈঠকে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও সচিব উপস্থিত ছিলেন।
এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে ইসির সঙ্গে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি দলের বৈঠক হয়। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার এবং আইনজীবী শিশির মনির।
রাজনীতি
সিইসির সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক সোমবার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দল। আগামীকাল সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক হবে। এতে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আলোচনা করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার (১ জুন) সিইসির একান্ত সচিব মো. আশ্রাফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম ফোন দিয়েছিলেন। তাদের একটি প্রতিনিধি দল কাল সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন। সিইসি সোমবার দুপুর ১২টায় সময় দিয়েছেন। তারা চার পাঁচজন আসতে পারেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়া সংক্রান্ত আপিল শুনানি শুরু হয়। পরে ১৪ মে শুনানি শেষ হয়। রায় ঘোষণার জন্য ১ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দলটি। তবে আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরে অবশ্য গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কাফি
রাজনীতি
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে জনগণ হতাশ: মেজর হাফিজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য জনগণকে হতাশ করেছে।
রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেজর হাফিজ বলেন, যেসব উপদেষ্টাদের এই দেশের প্রতি কোনো বাস্তব অবদান নেই, তারা এখন বড় বড় কথা বলছেন। অথচ যারা অতীতে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তারাই এখন আলোচনার বাইরে।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ব্যাহত না করতে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা।
সংস্কার ও বিচার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, এসব কাজ নির্বাচিত সরকারের অধীনেই হওয়া উচিত। একটা নির্বাচনের জন্য পাঁচ বছর অপেক্ষা করা যায় না।
তিনি বলেন, বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ ছাত্রদের ভুল পথে পরিচালিত করছে।
এসময় তিনি যুদ্ধের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, জিয়াউর রহমানের পরিচালনায় যুদ্ধে পাকবাহিনী বুঝেছিলো বাঙালী বীরের জাতি।