জাতীয়
সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ গ্রেপ্তার
সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও সাবেক চিফ হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিজ বাসা থেকে আব্দুস শহীদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উত্তরায় ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনায় আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে। বুধবার আদালতে সোপর্দ করার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার রিমান্ড চাওয়া হবে।
১৯৭৩ সালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয়ে যোগদান করে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন আব্দুস শহীদ। তিনি বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য।
আব্দুস শহীদ পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচন কমিশন গঠনে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি
আইনের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নতুন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে ছয় সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটির আহ্বায়ক আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক সদস্য হলেন- বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার।
এছাড়া আইন অনুযায়ী পদাধিকারবলে সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম এবং পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম।
এই সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দেবে।
নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনে বলা হয়েছে, অনুসন্ধান কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির কাছে দুজন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে। তিনজন সদস্যের উপস্থিতিতে অনুসন্ধান কমিটির সভার কোরাম গঠিত হবে।
অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। পরে ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তবর্তীকালীন সরকার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাফ চ্যাম্পিয়নদের রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করায় বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় তিনি অভিনন্দন জানান।।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়, কোচ ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং এই অর্জন বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এরআগে সাফ জয়ী মেয়েদের অভিননন্দন জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের নারী ফুটবল দলের বিরাট অর্জন। আমি তোমাদেরকে নিয়ে গর্বিত। পুরো জাতি তোমাদের নিয়ে গর্বিত। অভিনন্দন সেসব খেলোয়াড়দের যারা আমাদের এই গৌরব এনে দিয়েছেন।
২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েই বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছিল। আবারও সেই একই প্রতিপক্ষ এবং একই ভেন্যুতে সাবিনা খাতুনের দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতলো। দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয়ে সাফের ফাইনালে তারা নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দোষী সাব্যস্ত হলেই হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে
আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা আছে। আদালতের রায়ের পর তার দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। তাই চুক্তির আওতায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
এ ছাড়া শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, সায়মা ওয়াজেদ আমাদের জন্য ডিসফাংশনাল। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও আর্থিক অপরাধের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাই তার মাধ্যমে যেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না হয় সেজন্য ডব্লিউএইচওকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক নির্বাচিত হন।
সংবাদ সম্মেলনে নতুন ইসি গঠনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ইতোমধ্যে একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে এর গেজেট প্রকাশ করা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সব নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং উন্নয়ন ও মানবাধিকার যেন একসঙ্গে চলতে পারে তা নিশ্চিত করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যলয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বাংলাদেশ সফর করার জন্য এবং বিপ্লবের সময় সমর্থনের জন্য ফলকার টুর্ককে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আপনার সফরে খুশি। তারা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও জানান, তার সরকার আগের সরকারের ভুল ও অপরাধের ‘পুনরাবৃত্তি’ করবেন না।
বৈঠকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার প্রধান উপদেষ্টাকে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের কাজ এবং ঢাকায় সফরকালীন সরকারের উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, সংস্কার কমিশনের প্রধান, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠক সম্পর্কে অবহিত করেন।
এ সময় ফলকার টুর্ক গত জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত নৃশংসতার ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাজ চলমান আছে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন চূড়ান্ত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ফলকার টুর্ক বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, যা বিপ্লবের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করছে, তার কাজ নিয়েও আলোচনা করেন। পাশাপাশি দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকর্তৃক গঠিত সংস্কার কমিশন নিয়েও আলোচনা করেন।
স্বৈরচারী সরকারের সময় ঘটে যাওয়া বলপূর্বক গুমের বহু ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান ফলকার টুর্ক। তিনি বলেন, এমন অনেক কিছু আছে যা ঠিক করা দরকার। গুমের ঘটনা তদন্তে তার অফিস তদন্ত কমিশনকে সহায়তা করছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ‘স্বাধীন’ এবং ‘সম্পূর্ণ কার্যকরী’ করে শক্তিশালী করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান ফলকার টুর্ক। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ঢাকায় তাদের উপস্থিতি জোরদার করতে চায়।
এ সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার এবং প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট, বিশেষ করে মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া কয়েক হাজার নতুন রোহিঙ্গার আগমন নিয়েও আলোচনা করেছেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং সংকট সমাধানে অব্যাহত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন ফলকার টুর্ক।
প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করতে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছেন যাতে এই অঞ্চলের অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকেরা তাদের নিজ অঞ্চলের কাছাকাছি থাকতে পারে।
তারা দুজনই এই আঞ্চলিক সমস্যাটির দ্রুততম টেকসই সমাধানের জন্য ‘কিছু গতিশীল উদ্যোগ’ নেওয়ার প্রচেষ্টার কথা জানান এবং এক্ষেত্রে আসিয়ানের জোরালো ভূমিকার আহ্বান জানান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সৈয়দা রিজওয়ানা
বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কনভেনশন সাইটিস অনুযায়ী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাইটিসের অনুশাসন মেনে প্রজাতি সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী বাণিজ্য রোধে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে বাংলাদেশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক পরামর্শ সভায় এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, সাইটিস তালিকাভুক্ত প্রজাতিগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিশেষত প্রজাতি চিহ্নিতকরণ ও সঠিক প্রক্রিয়ায় পরিচালনার ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, সাইটিস তালিকাভুক্ত প্রজাতির সুষ্ঠু সংরক্ষণ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈশ্বিক বন্যপ্রাণী অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চায়।
সভায় বাংলাদেশে সাইটিস বাস্তবায়ন জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষভাবে আইন সংশোধন, চলমান উদ্যোগগুলিকে সমর্থন এবং বাস্তবায়ন ব্যবস্থাগুলিকে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দেওয়া হয়।
প্রধান বন সংরক্ষক, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সার্কেলের বন সংরক্ষক, বন বিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের পরিচালক, মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
কাফি