অর্থনীতি
শীতের ৩ মাসে সীমান্তে বাড়ে স্বর্ণ চোরাচালান

স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা দেশ ভারত। প্রতিবেশী দেশটিতে স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদা অন্তত ১ হাজার টন। বিশেষ করে বিয়েসহ নানা উৎসবের মৌসুম হওয়ায় শীতকালে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের চাহিদা তৈরি হয়।
স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা দেশ ভারত। প্রতিবেশী দেশটিতে স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদা অন্তত ১ হাজার টন। বিশেষ করে বিয়েসহ নানা উৎসবের মৌসুম হওয়ায় শীতকালে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু উচ্চ মাত্রায় শুল্ক আরোপিত থাকায় এ চাহিদা পূরণের জন্য দেশটির ব্যবসায়ীদের বৈধপথে স্বর্ণ আমদানিতে খরচ পড়ে অনেক বেশি। এ কারণে বিশ্বব্যাপী পাচারকৃত স্বর্ণের বৃহত্তম গন্তব্য হয়ে উঠেছে ভারত, যার বেশির ভাগই প্রবেশ করে বছরের শেষ তিন মাস অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর তথা শীতকালে। দেশটিতে পাচারকৃত এ স্বর্ণ সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে।
ভারতীয় শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে পরিচালিত এক গবেষণায়ও উঠে এসেছে, দেশটিতে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ পাচার হয় শীতের তিন মাস অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে। মূল্যবান ধাতুটির আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতে স্বর্ণ পাচারের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বেঙ্গালুরুভিত্তিক সেন্ট জোসেফস ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এবং পন্ডিচেরি ইউনিভার্সিটির তিন গবেষক।
‘গোল্ড স্মাগলিং ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইটস ইফেক্ট অন দ্য বুলিয়ন ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক গত মার্চে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসা এ পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত পোষণ করছেন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও।
তাদের ভাষ্যমতে, শীতকালে কুয়াশা বেশি থাকার কারণেও চোরাকারবারিরা এর সুবিধা নিতে বেশি তৎপর হয়ে ওঠে। আবার এ কুয়াশার কারণেই শীতে পাচারের সময় স্বর্ণ জব্দের পরিমাণও কমে যায়। বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২৩ পর্যন্ত চার বছরে সীমান্ত এলাকায় পাচারের সময় মোট প্রায় ৫৯৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছেন বাহিনীটির সদস্যরা। এর প্রায় ৪৪ শতাংশই আটক হয়েছে গত বছর। ২০২৩ সালে দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে পাচারের সময় জব্দ করা হয়েছে ২৬০ কেজি ৫৬৭ গ্রাম স্বর্ণ। এর মধ্যে অক্টোবরে ১৪ কেজি ৭৯৪ গ্রাম, নভেম্বরে ২৭ কেজি ৪০০ ও ডিসেম্বরে ১১ কেজি ৬৪৩ গ্রাম স্বর্ণ আটক করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মুখপাত্র কর্নেল মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণত শীতের সময় সীমান্ত এলাকায় কুয়াশার প্রকোপ থাকে বেশি। এ সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করে স্বর্ণ পাচারে যুক্ত অপরাধীরা। স্বর্ণ পাচার বন্ধে শীতের আগেই সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। আগামীতেও সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ পাচার রোধে শক্ত অবস্থান ধরে রাখবে বিজিবি।’
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার ভারসাম্যে স্বর্ণ পাচারের ব্যাপক প্রভাব পড়ে বলে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, ব্যাংকার ও মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্যমতে, স্বর্ণ পাচার বাড়লে ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে ডলারের বিনিময় হারের মধ্যে ব্যবধানও বেড়ে যায়। দেশের কার্ব মার্কেটের একটি অংশ সবসময়ই ভারতনির্ভর। প্রতিবেশী দেশটি থেকে অবৈধ পথে আসা ডলার লেনদেন হয় মূলত কার্ব মার্কেটে। সাম্প্রতিক সময়ে কার্ব মার্কেটে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে ভারতে স্বর্ণ পাচার ও সেখান থেকে মুদ্রাটির সরবরাহের যোগসূত্র রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের কার্ব মার্কেটে ডলারের দর স্থিতিশীল হয়ে আসে। আগস্টের শেষের দিকে ব্যাংক খাতে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার ছিল ১২০ টাকা। একই সময়ে খুচরা বাজারে প্রতি ডলার ১২১-১২২ টাকায় ওঠানামা করছিল। আবার চলতি মাসের শুরুতে খুচরা বাজারে ডলারের বিনিময় হারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা যায়। গতকালও রাজধানীর মানি এক্সচেঞ্জগুলোয় প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে। এর আগে গত দুই সপ্তাহে এ দর ১২৬ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
এ বিষয়ে রাজধানীর মতিঝিলভিত্তিক এক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে এ ডলার বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে মুদ্রাটির বিনিময় হারের ভারসাম্যে বরাবরই স্বর্ণ পাচারের বড় প্রভাব পড়তে দেখা গেছে।’
দেশে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে রেমিট্যান্স হিসেবে ডলারের সরবরাহেও বড় প্রভাব ফেলছে স্বর্ণ পাচার। দেশে রেমিট্যান্স হিসেবে আসা ডলারের বড় উৎস মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। ভারতে পাচারকৃত স্বর্ণেরও অন্যতম প্রধান উৎস মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের অর্জিত আয়ের পরিবর্তে বড় একটি অংশ এখন ডলারের পরিবর্তে স্বর্ণের বার হিসেবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। দেশের বিমানবন্দরগুলোয় এগুলোর বৈধকরণও হচ্ছে। শুল্কহার দ্বিগুণ করেও মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিট্যান্সের পরিবর্তে স্বর্ণের বার আনা বন্ধ করা যায়নি। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও শুধু চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরেই প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার বৈধ করা হয়েছে। তবে বৈধ পথে যত স্বর্ণ বাংলাদেশে প্রবেশ করে, অবৈধ পথে তার কয়েক গুণ প্রবেশ করছে বলে মনে করছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী-সংশ্লিষ্টরা।
যশোরসহ খুলনা বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো এখন ভারতে বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণ পাচারের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শুধু যশোরেই গত চার বছরে পাচারের সময় স্বর্ণ জব্দ হয়েছে ২৫০ কেজি।
স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, বর্ষা মৌসুমে যশোরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় পানি জমে থাকে। এটিও এখানকার চোরাকারবারিদের স্বর্ণ পাচারের জন্য শুষ্ক মৌসুমকে বেছে নেয়ার বড় কারণ।
সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গরু ব্যবসার নামে খাটাল (গোয়াল) তৈরি করা হয়। মূলত এর আড়ালেই বাহকের মাধ্যমে ভারতে স্বর্ণ পাচার করা হয়। এর বিনিময়ে ভারত থেকে সমপরিমাণ ডলার বা অন্য মুদ্রা অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনা হয়। এখান দিয়ে যে পরিমাণ স্বর্ণ পাচার হয় বিজিবি বা কাস্টমসের হাতে তার ভগ্নাংশ ধরা পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৪৯ বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘চোরাচালান রোধে বিজিবি সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে আমাদের গোয়েন্দা দল কাজ করছে। যশোর সীমান্তে বর্ষা মৌসুমে পানি জমে থাকে। এ কারণে চোরাকারবারি স্বর্ণ পাচারের জন্য শুষ্ক মৌসুমকে বেছে নেয়।’
বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচার বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হিসেবে দেশটিতে পণ্যটি আমদানিতে উচ্চ মাত্রায় শুল্ক আরোপকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের ভাষ্যমতে, শুল্ক ফাঁকি দিতে গিয়ে দেশটিতে স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেকেই এখন চোরাচালানের মাধ্যমে আনা পণ্য সংগ্রহের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। বর্তমানে বৈশ্বিক স্বর্ণ আমদানি ও স্বর্ণ গহনা রফতানি—দুদিক থেকেই ভারতের অবস্থান শীর্ষে। দেশটিতে এখন প্রতিনিয়তই সম্প্রসারণ হচ্ছে স্বর্ণের কালোবাজার। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) জানিয়েছে, এ মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী গৃহস্থালি পর্যায়ে স্বর্ণের সবচেয়ে বড় মজুদ রয়েছে ভারতে। দেশটির পরিবারগুলোর কাছে জমা স্বর্ণের পরিমাণ কমপক্ষে ২৫ হাজার টন। বিয়ে, ধর্মীয় উৎসব ও পারিবারিক নানা অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য দেশটিতে স্বর্ণের চাহিদা প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে।
ক্রমবর্ধমান এ চাহিদার কারণে ভারত এখন বৈশ্বিক স্বর্ণ চোরাচালানের সবচেয়ে বড় গন্তব্য দেশ হয়ে উঠেছে। দেশটির ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের তথ্য অনুযায়ী, চাহিদা অনেক বেশি হলেও ভারতে বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি করতে হলে বড় অংকের শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। এ কারণে দেশটিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের অনেকেই এখন পণ্যটি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। আর দেশটিতে চোরাচালানকৃত স্বর্ণের সবচেয়ে বড় উৎস এখন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। ভারতে এখন পর্যন্ত আটক করা পাচারকৃত স্বর্ণের ৭৩ শতাংশই এসেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে। দেশটিতে চীন থেকে আসা স্বর্ণ চোরাচালান হচ্ছে মিয়ানমার হয়ে। আর মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকাসহ অন্যান্য উৎস থেকে পাচার হওয়া স্বর্ণের সবচেয়ে বড় করিডোর এখন বাংলাদেশ।
যশোরের পার্শ্ববর্তী জেলা ঝিনাইদহের সীমান্ত দিয়েও প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ চোরাচালান হয় ভারতে। এ স্বর্ণ চোরাচালানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এখানে খুনখারাবির ঘটনাও ঘটেছে অনেক। হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এখানকার জনপ্রতিনিধিও। সর্বশেষ গত মে মাসে কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের তৎকালীন এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ ও ভারতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। সে সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে স্বর্ণ চোরাচালানে আধিপত্য বিস্তারের যোগসূত্র রয়েছে।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর মধ্যে স্বর্ণ পাচারের আরেক বড় রুট এখন চুয়াডাঙ্গা দিয়েও প্রচুর স্বর্ণ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মেজর কাজী আসিফ ইকবাল বলেন, ‘সীমান্ত রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। চোরাচালান রোধে আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার হয়ে যাচ্ছে। সমিতির মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এ পরিসংখ্যান আমরা বিগত সরকারকে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এটি গ্রহণ করেনি। কেন করেনি সেটা এখন বুঝতে পারছি। বিগত সরকারের মধ্যে যারা এ পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল তারাই এর পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। বিগত সরকার স্বর্ণ আমদানির যে নীতিমালা দিয়েছে সেখানে জটিলতা রয়েছে। বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানির সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি লাগেজের মাধ্যমেও স্বর্ণ আনার সুযোগ করে দেয়া হলো। এ দ্বৈত নীতি নেয়া হয়েছিল মূলত স্বর্ণ পাচারকে উৎসাহিত করার জন্য। এ ব্যাগেজ নীতিমালার মধ্য দিয়ে গত বছর ৫৪ টন স্বর্ণ দেশে এসেছে। পরে এর ৮০ শতাংশই দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের যে দাম তার সঙ্গে আমাদের দেশের দামের সমন্বয় থাকছে না।’
এমআই

অর্থনীতি
প্রবাসীদের আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজ করলো এনবিআর

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতাদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ই-রিটার্ন সাইটে নিবন্ধনের জন্য করদাতার নিজ নামে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করা বাংলাদেশের মোবাইল সিমে ওটিপি পাঠানো হতো বিধায় বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতাদের ই-রিটার্ন দাখিল করতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে এখন থেকে এই ওটিপি ই-মেইলে পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫-২৬ কর বছরে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতারা বিপুল সাড়া দিয়ে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৫০ হাজারের বেশি আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করেছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ব্যতীত সকল ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। বিশেষ আদেশে যেসব করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এরূপ সকল করদাতা অনলাইনেও ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
অনলাইন রিটার্ন দাখিল সহজ ও ঝামেলাবিহীন হওয়ায় এবং করদাতা তাৎক্ষণিক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-রিটার্ন দাখিলের acknowledgement slip বা প্রাপ্তি স্বীকারপত্র এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখপূর্বক আয়কর সনদ প্রিন্ট নিতে পারেন বিধায় বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতার জন্য বাধ্যতামূলক না হলেও তাদের অনেকেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে চাচ্ছেন। তবে, ই-রিটার্ন সাইটে নিবন্ধনের জন্য করদাতার নিজ নামে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করা বাংলাদেশের মোবাইল সিমে ওটিপি প্রেরণ করা হয় বিধায় বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতার ই-রিটার্ন দাখিল করতে সমস্যা হচ্ছিল। এ সমস্যা সমাধানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতার জন্য মোবাইল ফোনের পরিবর্তে তাদের নিজস্ব ই-মেইলে ওটিপি পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এনবিআর জানায়, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতার পরিচিতি ও অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য তার পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ভিসা-সিলের কপি, ই-মেইল অ্যাড্রেস ইত্যাদি তথ্য এবং ছবি ereturn@etaxnbr.gov.bd ইমেইলে প্রেরণ-পূর্বক আবেদন করলে আবেদনকারীর ই-মেইলে ওটিপি এবং রেজিস্ট্রেশন লিংক পাঠানো হবে। ওই লিংকের মাধ্যমে ই-রিটার্ন পোর্টালে ওটিপি ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা ই-রিটার্ন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করত: সহজেই অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে কোনো প্রকারের কাগজপত্র বা দলিলাদি আপলোড করতে হয় না, তবে যেসব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে করদাতা ই-রিটার্নে তার আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য এন্ট্রি করছেন সেসকল কাগজপত্র ও দলিলাদি তিনি নিজ হেফাজতে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সম্মানিত ব্যক্তি করদাতাকে ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে ২০২৫-২০২৬ কর বর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য অনুরোধ করছে।
অর্থনীতি
ডলারের দাম আরও বাড়লো

টাকার বিপরীতে আবারও বেড়েছে মার্কিন ডলারের মান। বুধবার (২২ অক্টোবর) দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ডলারের বিক্রয়মূল্য সর্বোচ্চ ১২২ টাকা ৭৫ পয়সায় উঠেছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১২২ টাকা ৩০ পয়সা ছিল।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি এলসি খোলার প্রবণতা বাড়ায় বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দামও ঊর্ধ্বমুখী।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে বুধবার ডলার বিক্রি হয়েছে ১২২ টাকা ৭৫ পয়সায় এবং ক্রয় করা হয়েছে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সায়।
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে ১২২ টাকা ৬০ পয়সা, ক্রয়মূল্য ১২১ টাকা ৬০ পয়সা। অন্যদিকে, ঢাকা ব্যাংকে এক ডলার বিক্রি হয়েছে ১২২ টাকা ৫০ পয়সায়, ক্রয় করা হয়েছে ১২১ টাকা ১৫ পয়সায়— যা গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বুধবার আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের সর্বোচ্চ দর ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা, যা মঙ্গলবার ছিল ১২২ টাকা। গত ২০ অক্টোবর এই হার ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সার কাছাকাছি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, সেপ্টেম্বর মাসে ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের আমদানি এলসি খোলা হয়েছে, যা আগস্টের ৫ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমদানির চাপ কিছুটা বাড়ায় ডলারের দাম সামান্য বেড়েছে। তবে এটি অস্বাভাবিক নয়। বাজারে ডলারের সরবরাহ এখনও পর্যাপ্ত রয়েছে।
অর্থনীতি
সোনার দাম ভরিতে কমলো ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা

দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যহ্রাসের সঙ্গে স্থানীয় চাহিদা ও দাম কমার কারণে নতুন করে দাম কমানো ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা পর্যন্ত কমেছে সোনার দাম। নতুন দামের ফলে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেট এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। নতুন এ দাম বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে।
বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম কমায় সোনার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা বিক্রি হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১টাকা, ১৮ ক্যারেট এক লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি বিক্রি হবে এক লাখ ৪২ হাজার ২০৯ টাকায়।
সোনার দামের সঙ্গে কমানো হয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম থাকছে ৫ হাজার ৪৭০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৫ হাজার ২১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৪৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা বিক্রি হবে ৩ হাজার ৩৫৯ টাকায়।
কাফি
অর্থনীতি
রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলার

রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিলাম পদ্ধতিতে ডলার কেনার প্রেক্ষাপটে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও দেখা দিয়েছে উত্থান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সোমবার (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৯ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী যার পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কেনায় রিজার্ভ বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আর গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ২১২ কোটি ৬০ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ১৩ জুলাই থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু হয়।
এছাড়া সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়ছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৯১৫ কোটি ৯০ লাখ ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৮০৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। অর্থবছর অনুযায়ী রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ছিল যথাক্রমে—জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
অর্থনীতি
তিন দেশ থেকে ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার সার কিনবে সরকার

সৌদি আরব, মরক্কো ও রাশিয়া থেকে এক লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪০ টাকা। এরমধ্যে রয়েছে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন ডিএপি এবং ৩৫ হাজার টন এমওপি সার। এছাড়া বরগুনায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমকা সম্পন্ন একটি বাফার গোডাউন নির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) ভার্চ্যুয়ালি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জন্য সৌদি আরবের সাবিক কৃষি-পুষ্টি কোম্পানি থেকে ৫ম লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সৌদি আরব থেকে এ সার আনতে ব্যয় হবে ১৫১ কোটি ৭৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৪১৩.৩৩ মার্কিন ডলার।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৭ম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মরক্কো থেকে এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৩৬০ কোটি ০১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৭৩৫.৩৩ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৫ম লটের ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
রাশিয়া থেকে এ সার আমদানিতে খরচ হবে ১৫২ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৫৬.২৫ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-৪ এর লট-৫ (বরগুনা— ১০ হাজার মেট্রিক টন) এর অধীন ১টি সাইটে গোডাউন নির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান এম/এস এমবিএল – আরএফএল। এতে ব্যয় হবে ৫১ কোটি ৭৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৫ টাকা।