পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সকে পরামর্শ দেওয়া যাবে ই-মেইলে

দেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যের ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টেকসই পুঁজিবাজার গঠনে কাজ করছে এ টাস্কফোর্স। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীসহ সব স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ নেওয়ার জন্য একটি ই-মেইল আইডি খুলেছে টাস্কফোর্স। পুঁজিবাজার সংস্কারের লক্ষ্যে যে কোনো পরামর্শ ওই ই-মেইলে পাঠাতে পারবেন বিনিয়োগকারীসহ সকল স্টেকহোল্ডার। এসব পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে টাস্কফোর্স।
সোমবার (২৮ অক্টেোবর) টাস্কফোর্সের সচিব ও বিএসইসির পরিচালক এ এস এম মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জাননো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়নে পলিসি বা নীতি প্রণয়নের জন্য। স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বাজারের গতি ও প্রকৃতির একটি বাস্তবসম্মত মূল্যায়ন প্রদানের জন্য টাস্কফোর্স পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীসহ সব স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ এবং পরামর্শ গ্রহণের জন্য একটি ইমেইল আইডি খুলেছে। ই-মেইল আইডি হলো: taskforce@sec.gov.bd।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং-এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আকবর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।
এ টাস্কফোর্স পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত বিবেচনা করে যথাসময়ে প্রতিবেদন (বিদ্যমান কাঠামো পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় সংশোধনী প্রস্তাব, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার নিমিত্তে সুপারিশ প্রদানসহ অন্যান্য বিষয়) বিএসইসির কাছে হস্তান্তর করবে। বিশেষ করে, পুঁজিবাজারে সুশাসন ও আস্থা ফেরাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রধান প্রধান দিকগুলো বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় সংস্কার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রণয়ন করবে টাস্কফোর্স।
বিএসইসিসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান, যেমন: ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, সিসিবিএলসহ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এবং অন্যান্য পক্ষসমূহ টাস্কফোর্সের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে। পরবর্তী সময়ে কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এ টাস্কফোর্সকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
টাস্কফোর্সের অধীনে বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক ফোকাস গ্রুপ থাকবে। প্রতিটি ফোকাস গ্রুপ নির্দিষ্ট বিষয়ে কাজ করবে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে টাস্কফোর্সকে সুপারিশ করবে। কমিশনকে অবহিত করে টাস্কফোর্স উপযুক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ফোকাস গ্রুপ গঠন করবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
যমুনা ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যমুনা ব্যাংক পিএলসি ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ এবং সাড়ে ৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির ২ টাকা ৬৮ পয়সা ইপিএস হয়েছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৪ টাকা ৬১ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ জুন ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ মে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইন্দো-বাংলা ফার্মার আর্থিক কার্যক্রম তদন্তে বিএসইসির কমিটি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের আইপিও থেকে আয়, আর্থিক বিবরণী এবং সামগ্রিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সম্প্রতি এই তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। সেই সঙ্গে কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন। এছাড়া, কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রুমান হোসেন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সিনিয়র ম্যানেজার স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।
এবিষয়ে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম সাংবাদিকদের বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর কোম্পানিটির বিরুদ্ধে যদি কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়, তাহলে কমিশন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কমিশনের কর্মকর্তাদের মতে, কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর থেকে তার কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের কাংখিত রিটার্ন প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তদন্তে কোম্পানিটি কীভাবে আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল ব্যবহার করেছে, তা যাচাই করা হবে। তদন্ত কমিটি কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন, বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত মূলধন, স্থায়ী সম্পদ এবং আর্থিক বিবরণীও বিশ্লেষণ করবে। এছাড়া, কোম্পানির সামগ্রিক ব্যবসায়িক অবস্থা ও চলমান কার্যক্রম মূল্যায়ন করা হবে এবং দাবি না করা ডিভিডেন্ডের বিষয়েও খতিয়ে দেখা হবে।
ইন্দো-বাংলা ফার্মার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোম্পানিটি ডলার সংকটের কারণে কাঁচামাল আমদানিতে সমস্যা মোকাবেলা করছে এবং গত বছরে এটি মাত্র দুবার ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পেরেছে। যার ফলে কোম্পানি স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে আংশিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানির রাজস্ব হ্রাস পেয়েছে সীমিত কার্যক্রম এবং আমদানিকৃত কাঁচামালের ঘাটতির কারণে। যদিও ব্যাংকগুলো আশা দিয়েছে ডলার সংকট শীঘ্রই সমাধান হবে। কোম্পানি এখন আরও সহজে এলসি খোলার জন্য এবং কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংক পরিবর্তনের বিষয়ও বিবেচনা করছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ইন্দো-বাংলা ফার্মা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ ক্যাশ ও ৯ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরপর ২০২০ সালে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস, ২০২১ সালে ৪ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ বোনাস, ২০২২ সালে ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
কোম্পানিটি ২০২৩ সালে শেয়ারহোল্ডারদের কোন ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি। সর্বশেষ ২০২৪ সালে ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে।
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০৮ পয়সা। আগের অর্থবছরে প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ০৫ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ৩৯ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ৩১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪২টি শেয়ার ৭৯ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রবিবার (২০ এপ্রিল) ব্লকে সবচেয়ে বেশি এসিআই লিমিটেডের ২৫ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফাইন ফুডসের ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা বীচ হ্যাচারীর ১ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সিঙ্গার বাংলাদেশের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৪ এপ্রিল বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পর্ষদ সভার তারিখ জানালো ব্যাংক এশিয়া

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক এশিয়া পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৮ এপ্রিল বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
সভা শেষে হিসাববছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা আসতে পারে।
এসএম