আবহাওয়া
ঢাকার বাতাসে সুখবর নেই

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বড় বড় শহরের বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মেগাসিটি ঢাকার বাতাসের দূষণও সমান তালে বাড়ছে। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে শহরটির বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি হয়। তবে বৃষ্টিপাত কমতেই ঢাকার বাতাস হয়ে উঠেছে ‘অস্বাস্থ্যকর’।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২৩ মিনিটের দিকে বায়দূষণে বিশ্বের ১২১টি শহরের মধ্যে পাকিস্তানের লাহোর রয়েছে শীর্ষে। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ৫৪৫ স্কোর। বাতাসের এ মান খুবই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচনা করা হয়। আর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ১৬১ স্কোর নিয়ে রয়েছে পঞ্চম স্থানে। ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থান রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর, যার স্কোর ২৬৬; আর ১৮৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনের উহান; এছাড়া ১৬৭ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই শহর এবং ১৬১ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে থাকে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন -বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আবহাওয়া
তীব্র কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

বঙ্গোপসাগরে চলতি এপ্রিল মাসে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এ ছাড়া তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে।
বিভিন্ন মডেল পূর্বাভাস, আবহাওয়া উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়ার মানচিত্র ও জলবায়ু মডেল বিশ্লেষণ করে এপ্রিল মাসের জন্য এ পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিসের বিশেষজ্ঞ কমিটি। আবহাওয়াবিদ মো. মমিনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ সময় দেশে ৫ থেকে ৭ দিন বজ্র এবং শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ১ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এতে জানানো হয়, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়া এপ্রিলে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসময় দেশে ২ থেকে ৪টি মৃদু অথবা মাঝারি এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস

দেশের তাপদহনের মধ্যেই কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সিলেটে গতকাল সোমবার বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে গতকালই দেশের কমপক্ষে আট জেলায় বয়ে গেছে মৃদু তাপপ্রবাহ। রাজধানীতেও তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী তিন থেকে চার দিন তাপপ্রবাহ থাকতে পারে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে এখনো তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কা কম।
আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আকাশ মেঘলা ছিল। তবে গরম কমেনি। গত প্রায় তিন থেকে চার দিন তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে রোববার থেকে তাপপ্রবাহের পরিধি কমে আসে। এরপরও গতকাল দেশের সাত স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এসব এলাকা হলো ঢাকা, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, নীলফামারী, রাঙামাটি ও যশোর। এর মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে, ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তবে এই তাপপ্রবাহের মধ্যে গতকাল সিলেটে বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সিলেটে ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, এখন যে তাপপ্রবাহ চলে, এর পরিধি হয়তো বিস্তৃত হবে না। এটি আগামী বৃহস্পতিবার একটু বাড়তে পারে। তবে ৫ বা ৬ এপ্রিল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
দুপুরের মধ্যে ৬০ কি.মি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

দেশের দুই অঞ্চলের উপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী কয়েক দিন সিলেট বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়া আগামী সপ্তাহে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
ঈদে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আজ রবিবার আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা স্বাক্ষরিত ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় রোববার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।
সোমবার (৩১ মার্চ) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে।
মঙ্গলবার (০১ এপ্রিল) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী ৫ দিনে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
ঢাকাসহ দেশের ৭ জেলায় বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ

ঢাকাসহ দেশের ৭ জেলায় খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত ও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শনিবার (২৯ মার্চ) আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য দেওয়া হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় শনিবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ঢাকা, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত ও বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রোববার (৩০ মার্চ) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং তা অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার (৩১ মার্চ) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী ৫ দিনে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
কাফি