ব্যাংক
তথ্য গোপনে এনআরবিসি ব্যাংককে অর্থদন্ড, শাস্তির মুখে কর্মকর্তারা

এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের পরিচালক আবু বকর চৌধুরীর মিথ্যা ঘোষণায় উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার হওয়ার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ তথ্য উদ্ঘাটন এবং বিভিন্ন সময়ে অনিয়মের কারণে এখন সব পরিচালকের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১০৯ ধারায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে গঠিত ব্যাংকটির সব উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডারের আইনানুগ আবাসিক মর্যাদার দলিল চাওয়া হয়েছে। এছাড়া অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য গোপন করায় ব্যাংকটিকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গত রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকটিতে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নানা অনিয়ম ও জালিয়াতিতে জড়িত ব্যাংকটি। একের পর এক অনিয়ম করেও তা গোপন রাখা হতো। আর এসব অনিয়ম আড়াল করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেও দেওয়া হতো মিথ্যা তথ্য। এতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বিভ্রান্ত করে আসছিল ব্যাংকের দুর্নীতিবাজ চক্রটি। বিগত সরকারের প্রভাবশালী বলয়ের সহযোগিতায় এবং এনআরবিসি ব্যাংকের আলোচিত চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের নেতৃত্বে এসব অপকর্ম চলে আসছিল।
সূত্র জানায়, এনআরবিসি ব্যাংকের ওপর গত ফেব্রুয়ারিতে পরিচালিত বিশদ পরিদর্শন প্রতিবেদনের আলোকে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাখ্যা তলব করে সন্তোষজনক জবাব পাওয়া যায়নি। এমন এক সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নিচ্ছে যখন ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম পলাতক। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তাদের আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা শেয়ার কেনার সময় ২০১২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণাপত্রে আবু বকর চৌধুরীর জাতীয় পরিচয়পত্র ‘নেই’ উল্লেখ করা হয়। অথচ পরিদর্শনে দেখা গেছে– ব্যাংকটির ওআর নিজাম রোড শাখায় আবু বকর চৌধুরীর মালিকানার বায়েজিদ স্টিল ইন্ডাস্ট্রির অ্যাকাউন্ট খোলার নথিতে ২০০৮ সালের ১৪ মে ইস্যু করা তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংরক্ষিত আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় আবু বকর চৌধুরীসহ সকল পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১০৯ ধারায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ১৪ দিনের মধ্যে পৃথক কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ধারার আওতায় পরিচালক অপসারণ করার ক্ষমতা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৬৮ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং সাধারণ শেয়ারধারীদের ৩১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়। অথচ পরিদর্শন দল পেয়েছে ভিন্ন তথ্য। শেয়ার ধারণসংক্রান্ত অসামঞ্জস্য তথ্যের কারণে কেন ১০৯ ধারার আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ১৪ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে হবে। আর সকল অনিবাসী পরিচালকের আবাসিক মর্যাদা পুনরায় যাচাই করে ৩০ দিনের মধ্যে দলিলসহ প্রতিবেদন দিতে হবে। এছাড়া আগামী ৬ মাসের মধ্যে অনিবাসীদের শেয়ার ধারণ ৫০ শতাংশে নামিয়ে না আনলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে হুশিয়ারি করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোড শাখার হিসাবধারী মো. রেজাউল বশির চৌধুরীর হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন চিহ্নিত হওয়ার পরও তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হয়নি। এ কারণে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে এই জরিমানা পরিশোধ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত হিসাব থেকে কেটে নেওয়া হবে। এছাড়া ২০২১ সালের ১৮ মে থেকে ২০২২ সালের ৭ এপ্রিলের এ ঘটনায় ব্যাংকটির তৎকালীন ক্যামেলকো ও বর্তমান ডিএমডি কবির আহমেদ, শাখাপ্রধান ও শাখার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ জড়িত সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ সময় ধরেই এনআরবিসি ব্যাংক অনিয়ম করেও তথ্য লুকিয়ে রেখেছিল। আমাদের পরিদর্শনে সেটি বেরিয়ে এসেছে। এসব অপরাধের জন্য ব্যাংকটিকে জরিমানা এবং জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল এবং ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এসএম

ব্যাংক
গ্রুপভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নামে-বেনামে নেওয়া ঋণের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

বেক্সিমকো গ্রুপসহ দেশের বিভিন্ন গ্রুপভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নামে ও বেনামে নেওয়া ঋণ এবং ঋণখেলাপির তথ্য চেয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব তথ্য গত ১৯ জুনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৮ জুন জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-১ এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বেক্সিমকো গ্রুপ, এম আর গ্রুপ, রতনপুর গ্রুপ, কেয়া গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ, থার্মেক্স গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ, বিবিএস গ্রুপ, আব্দুল মোমেন গ্রুপ, এননটেক্স গ্রুপসহ আরও কিছু গ্রুপভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে ২০০৯ সাল থেকে চলতি সময় পর্যন্ত তাদের এবং তাদের সহযোগী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কী পরিমাণ ঋণ রয়েছে, কী পরিমাণ খেলাপি রয়েছে এবং কোনো তথ্য গোপন রেখে অন্য নামে বা বেনামে ঋণ নেওয়া হয়ে থাকলে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য ১৯ জুনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, তালিকাভুক্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শাখার নাম, হিসাব নম্বর, ঋণগ্রহীতার নাম, প্রতিষ্ঠানের নাম, মালিকানা কাঠামো, মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত চাওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাংক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়ানোর পাশাপাশি বৃহৎ ঋণগ্রহীতা গোষ্ঠীর প্রকৃত দায়-দায়িত্ব চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থসংবাদ/কাফি
ব্যাংক
পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে রূপালী ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম

ডাটা সেন্টার স্থানান্তরের লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সার্কুলারে জানানো হয়, ডাটা সেন্টার নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠুভাবে স্থানান্তরের লক্ষ্যে আগামী ৪ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত রূপালী ব্যাংকের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বিরত থাকবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক
চলমান ঋণের সীমাতিরিক্ত অংশ পরিশোধ ছাড়া নবায়ন নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক

এখন থেকে চলমান ঋণের অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত অংশ পরিশোধ না করে অন্য কোনো উপায়ে ওই ঋণ নবায়ন না করতে সব তফসিলি ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার (২৫ জুন) এক সার্কুলারের মাধ্যমে এই নির্দেশনা জারি করেছে।
এ নির্দেশনার মূল লক্ষ্য প্রকৃত পরিশোধ ছাড়াই ঋণ নবায়নের চর্চা বন্ধ করা। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং দেশের সব ব্যাংকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের অনুমোদিত সীমা অতিক্রম করার পরেও তাদের চলমান ঋণ নিয়মিত নবায়ন করে আসছে।
অনেক সময় ব্যাংকগুলো এই বাড়তি অংশ পরিশোধ না করে আলাদা ঋণ সৃষ্টি করছে। এতে চলমান ঋণের এক টাকাও পরিশোধ না করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ পাচ্ছে গ্রাহক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন’, চলমান ঋণ পরিশোধ না করে নিয়মিত থাকার সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। মূলত ব্যবসায়ী প্রয়োজনে নির্ধারিত সীমার মধ্যে পরিশোধ করবেন, ঋণ নেবেন–-এটা নিয়ম। বছর শেষে পুরো ঋণ সমন্বয় করবেন কিংবা নির্ধারিত সীমার আলোকে পরিশোধ করবেন। তবে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী তা না করে বছর শেষে ঋণসীমার অতিরিক্ত অংশটি আলাদা একটি ঋণে রূপান্তর করে পুরোটা নবায়ন করে নিচ্ছেন, কিংবা সীমা বাড়িয়ে নতুন করে অনুমোদন করিয়ে নিচ্ছেন। ফলে কোনো টাকা পরিশোধ করা ছাড়াই ঋণটি নিয়মিত থাকছে।’
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলমান ঋণ বিদ্যমান মেয়াদের মধ্যে নবায়ন করতে হবে। তবে ঋণের সীমাতিরিক্ত অংশ সমন্বয় ছাড়া নবায়ন করা যাবে না। চলমান ঋণের সীমাতিরিক্ত অংশ মূল ঋণ থেকে আলাদা করে নতুন ঋণ সৃষ্টি বা অন্য কোনো ঋণ হিসাবে স্থানান্তর করা যাবে না। সীমাতিরিক্ত অংশ পরিশোধ করতে হবে।
ব্যাংক
এমটিবির পরিচালনা পর্ষদে তপন চৌধুরী, নাসিম মঞ্জুর ও জারিন মাহমুদ

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি তপন চৌধুরী ও সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) পিএলসির পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া, স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে বোর্ডে যোগ দিয়েছেন জারিন মাহমুদ হোসেন।
সোমবার (২৩ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে এমটিবি।
তপন চৌধুরী আস্ট্রাজ লিমিটেডের প্রতিনিধি হিসেবে বোর্ডে আসছেন। তিনি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসে কর্মজীবন শুরু করে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি স্কয়ার টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এমসিসিআই, বিটিএমএ, বিএপিএলসি ও ওয়াইএমসিএ’র সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ল্যান্ডমার্ক ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান। তিনি এপেক্স ট্যানারি, এপেক্স ফার্মা ও ব্লু ওশান ফুটওয়্যারের পরিচালক এবং এলএফএমইএবির বর্তমান সভাপতি। পেনসিলভানিয়ার ওয়ারটন স্কুল থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
জারিন মাহমুদ হোসেন স্নেহাশীষ মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার এবং হারস্টোরি ফাউন্ডেশন ও চল পড়ির প্রতিষ্ঠাতা। নিউইয়র্কে কেপিএমজি এলএলপিতে কর্মরত অবস্থায় সিপিএ সার্টিফিকেশন অর্জন করেন তিনি। স্মিথ কলেজ থেকে বিএ এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে এমপিএ ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি তিনি আইসিএবি’র একজন ফেলো সদস্য।
ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলা গ্রেফতার

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মনিরুল মাওলাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রবিবার (২২ জুন) দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাতে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মুহাম্মদ মনিরুল মাওলার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রয়েছে। সেই মামলায় রাত সোয়া ১২টার দিকে বসুন্ধরায় তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর তাকে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন৷
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অফিস ছেড়ে পদত্যাগপত্র ই-মেইল যোগে পাঠান মুহাম্মদ মনিরুল মওলা।
জানা গেছে, জালিয়াতির মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও ও এমডি মনিরুল মাওলাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।