আবহাওয়া
বৃষ্টিপাত কমতেই ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বড় বড় শহরের বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মেগাসিটি ঢাকার বাতাসের দূষণও সমান তালে বাড়ছে। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে শহরটির বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি হয়। তবে বৃষ্টিপাত কমতেই ঢাকার বাতাস হয়ে ওঠে ‘অস্বাস্থ্যকর’।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১০টায় বায়দূষণে বিশ্বের ১২১টি শহরের মধ্যে চীনের বেইজিং রয়েছে শীর্ষে। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে বেইজিংয়ের স্কোর ২৪০। বাতাসের এ মান খুবই ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়। আর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ১১৯ স্কোর নিয়ে রয়েছে ১৩ তম স্থানে। ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থান রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর, যার স্কোর ২১১; আর ২০৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর; এছাড়া ১৬৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা শহর এবং ১৬১ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে থাকে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন -বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
এমআই

আবহাওয়া
তীব্র বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টির আভাস

দেশেল তিন বিভাগের সকল জেলা ও বাকি বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলায় তীব্র বজ্রপাতসহ মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ রবিবার (১ জুন) বিকেলে ফেসবুকে এক পোস্টে বেসরকারি আবহাওয়াবিষয়ক ওয়েবসাইট আবহাওয়া ডটকমের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগ, বরিশাল, ঢাকা বিভাগের সকল জেলা, খুলনা বিভাগের দক্ষিণ দিকের সকল জেলা, রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট; ময়মনিসংহ বিভাগের জামালপুর, রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট এবং সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলায় রোববার রাত ১০ টার মধ্যে তীব্র বজ্রপাতসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
এদিকে, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া এ সময়ে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া
ঈদের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে টানা বা থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আট বিভাগেই এই মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছে, যখন দেশজুড়ে ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদের প্রস্তুতি চলছে। যারা ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরবেন বা কোরবানির পশু কিনবেন, তাদের মনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আবহাওয়া কেমন থাকবে।
বৃষ্টির কারণ ও বর্তমান পরিস্থিতি: আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৭ মে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবেই সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে।
ঈদের আগের ও পরের কয়েক দিনের পূর্বাভাস: আজ শনিবার দুপুরে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আগামী কয়েকদিনে ঘূর্ণিঝড় বা লঘুচাপ সৃষ্টির কোনো আভাস নেই। তবে, এখন যেহেতু দেশব্যাপী মৌসুমি বায়ু বইছে, তাই আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- আজ (শনিবার, ৩১ মে): সকাল থেকে ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
- আগামীকাল (রবিবার, ১ জুন): ঢাকাসহ সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের কিছু কিছু জায়গায় এক-দুই পশলা বৃষ্টি হতে পারে।
- ২ জুন: বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে আসবে, তবে পুরোপুরি থামবে না।
- পুরো সপ্তাহ: সারা দেশেই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত হবে। তবে উত্তরাঞ্চলের বিভাগ রাজশাহী ও রংপুরে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা তুলনামূলক কম থাকবে।
ঈদের দিন : আবুল কালাম মল্লিক জানান, ঈদের দিন সারা দেশেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে, ঈদের তিন দিন আগে আরও নির্দিষ্ট করে পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে।
গরমের অনুভূতি: এই পুরো সময়টা জুড়েই ভ্যাপসা গরম থাকবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে বলে গরম অনুভূত হবে। মূলত, বাতাসে যখন জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি বেশি থাকে, তখন গরম অনুভূত হয়।
তিনি আরও জানান, ২ জুনের পর গরম কিছুটা বাড়বে এবং ৭ জুনের পর তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করবে।
আজ সকাল ৯টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস: আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, ঈদের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও এর তীব্রতা বা স্থায়িত্ব সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ঈদের কয়েক দিন আগে আবহাওয়ার সর্বশেষ পূর্বাভাস জেনে নেওয়া ভালো।
আবহাওয়া
নিম্নচাপটির অবস্থান এখন স্থলভাগে, ৫ বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি এখন স্থলভাগে উঠে এসেছে। পরিণত হয়েছে স্থল গভীর নিম্নচাপে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই এটি স্থলভাগে উঠে আসে। আর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। যদিও এর প্রভাব আজ শুক্রবার সারা দিন ধরেই থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা।
তাদের দেওয়া তথ্য মতে, এর প্রভাবে আজ দেশের পাঁচ বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামীকাল শনিবারও এর প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে বেশ কিছু এলাকায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি গতকাল রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে সাতক্ষীরা এবং এর কাছাকাছি অঞ্চলে ছিল। পরবর্তীতে এটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে আরও দুর্বল হয়ে উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে আজ ময়মনসিংহ ,খুলনা , বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ভারী বৃষ্টি বলতে বুঝায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিকে বোঝায় আর অতি ভারী বৃষ্টি হয় ৮৮ মিলিমিটারের ওপর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজ সকাল সাতটায় গণমাধ্যম কে বলেন, গভীর নিম্নচাপটি এখনো স্থল গভীর নিম্নচাপ রূপে আছে। এটি ধীরে ধীরে উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। এর প্রভাবে আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি হবে।
আজ সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ মেঘলা এবং বৃষ্টি হচ্ছে ঝিরঝির করে। রাজধানীতেও আজ সারা দিন এভাবে বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে।
এটিএম নাজমুল হক বলেন, আগামীকাল শনিবার রংপুর , রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের পরবর্তী সময়ে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই বৃষ্টি হতে পারে।
গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরদিন বুধবার এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে প্রথমে নিম্নচাপ পরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে ১৬৮ মিলিমিটার। রাজধানীতে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
নিম্নচাপের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যে গতকাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় অতি বর্ষণের কারণে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। উঁচু জোয়ারে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ভোলা-পটুয়াখালীসহ কয়েকটি এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা।
কাফি
আবহাওয়া
১৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের ১৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেল বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে এবং ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
আবহাওয়া
ঢাকার বাতাস আজ কানাডা-ফিনল্যান্ডের চেয়েও স্বাস্থ্যকর

গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির পর অবশেষে ঢাকার বাতাসের মান ‘ভালো’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোরের বৃষ্টিতে ঢাকার বায়ুমান এতটাই উন্নত হয়েছে যে, তা বিশ্বের অনেক উন্নত শহরের চেয়েও স্বাস্থ্যকর।
সকাল ১০টায় আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাতাসের একিউআই (Air Quality Index) স্কোর ছিল ৩৯। কণা দূষণের একিউআই মান ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর ফলে, একিউআই স্কোর ৩৯ নিয়ে ঢাকা আজ দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার ৮০ নম্বরে অবস্থান করছে।
আজ সকালে পর্তুগালের লিসবন (৫০), জাপানের টোকিও (৫০), কানাডার মন্ট্রিয়াল (৪৯), ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি (৪৭), ইতালির রোম (৪৭), যুক্তরাষ্ট্রের লেক সল্ট সিটি (৪৭) ও লস অ্যাঞ্জেলেস (৪৩) এবং নেদারল্যান্ডসের রটারডামের (৪৬) মতো শহরগুলোকে পেছনে ফেলেছে বিশ্বের একসময়ের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর অন্যতম ঢাকা। এই শহরগুলোর বেশিরভাগের সুনাম থাকলেও ঢাকাবাসী আজ তাদের বাসিন্দাদের চেয়ে স্বাস্থ্যকর বাতাস গ্রহণ করছে।
বর্তমানে মাত্র ৩ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর শহর হলো রাশিয়ার ক্রাসনোইয়ার্স্ক। দুদিন আগে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া অস্ট্রেলিয়ার সিডনি এখন ১৩ বায়ুমান নিয়ে এই তালিকার তিন নম্বরে আছে।
অপরদিকে, ২০২ একিউআই স্কোর নিয়ে কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর। এর পরেই রয়েছে যথাক্রমে মিসরের কায়রো (১৬৪), পাকিস্তানের লাহোর (১৫৯) ও ভারতের দিল্লি (১৫৪)।
একিউআই সূচকের মানদণ্ড:
- ০-৫০: ‘ভালো’
- ৫১-১০০: ‘মাঝারি’
- ১০১-১৫০: ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ (এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়)
- ১৫১-২০০: ‘অস্বাস্থ্যকর’
- ২০১-৩০০: ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
- ৩০১-এর বেশি: ‘বিপজ্জনক’ (জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি)
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। সাধারণত শীতকালে এখানকার বায়ুমান সবচেয়ে খারাপ থাকে এবং বর্ষাকালে তা তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়, যার প্রধান কারণ স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।