অর্থনীতি
আয়করের ই-রিটার্ন জমায় লাগবে না নথিপত্র

ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন বা ই-রিটার্ন জমার সময় সহায়ক কোনো নথি বা কাগজপত্র আপলোড করতে হবে না। শুধু সংশ্লিষ্ট নথির তথ্যগুলো দিলেই হবে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং সিস্টেম আছে– এমন যে কোনো ব্যাংক থেকে কর পরিশোধ করা যাবে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে রাজস্ব ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান।
তিনি বলেন, শুরুতে করদাতাদের একটি অংশের জন্য ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সব শ্রেণির করদাতাকেই অনলাইনের মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। সে জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে করদাতারা কর অফিসে না গিয়ে বিনা খরচে রিটার্ন দিতে পারেন। সশরীরে অফিসে গিয়ে কর পরিশোধ ধীরে ধীরে শূন্যতে নামিয়ে আনা হবে।
গত মঙ্গলবার এনবিআরের এক বিশেষ আদেশে করদাতাদের একটি অংশের ই-রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিভিন্ন আয়কর সার্কেলের অধিভুক্ত সব সরকারি কর্মচারীকে বাধ্যতামূলকভাবে ই-রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এ ছাড়া অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সব তফশিলি ব্যাংক, মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীর। বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি, ম্যারিকো বাংলাদেশ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ, বাটা স্যু কোম্পানি (বাংলাদেশ) এবং নেসলে বাংলাদেশের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক না হলেও, যারা অনলাইনে শতভাগ রিটার্ন দাখিল করেছেন, তাদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত ব্যক্তিদের সম্মাননা দেওয়া হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানেগুলোর রিটার্ন যাতে অনলাইনে আসে, সে বিষয়েও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এ সময় তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এনবিআরে যত উদ্যোগ নেওয়া হবে, অর্থাৎ যা কিছু করা হবে– সব কিছুতেই অটোমেশন থাকবে। এ জন্য একটা মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আদায়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে এনবিআর। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই পরিস্থিতিতে অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কিনা– জানতে চাইলে আব্দুর রহমান খান বলেন, এনবিআর চেষ্টা করছে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের। গত জুলাই-আগস্টে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় বন্ধ ছিল। ফলে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় কম হয়েছে। এটা কাভার করতে হবে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের প্রতি সম্মান জানিয়ে করদাতারা এগিয়ে এলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হতে পারে। কর ফাঁকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এবার করমেলা না হলেও প্রয়োজনীয় সব করসেবাই থাকবে। কর অঞ্চল থেকে সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে। কল সেন্টারকে আরও প্রসারিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিজনেস ফ্যাকাল্টির কিছু শিক্ষার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তৈরি করে তাদের মাধ্যমে করসেবা দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
আইএমএফের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে আজ

ঋণ কর্মসূচির আওতায় ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পর্যালোচনা করতে আজ ঢাকায় আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল।
সফরের দ্বিতীয় দিন রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধিদলটি।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আইএমএফের একটি দল আজ ঢাকায় আসছে। দলটি ৬ এপ্রিল থেকে টানা দুই সপ্তাহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে।
এ সফরে আইএমএফের দলটির সঙ্গে অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বৈঠক শেষে ১৭ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করবে সফররত আইএমএফের দল। তবে সংবাদ সম্মেলনের আগে দলটি ১৭ এপ্রিল অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে আরও একটি বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি ঋণ কর্মসূচি চালু হওয়ার পর আইএমএফ থেকে তিন কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার। বিপত্তি দেখা দেয় চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের আগে। যদিও সরকার আশা করছে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়া যাবে আগামী জুনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভারত থেকে এলো ১০ হাজার ৮৫০ মেট্রিক টন চাল

আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-৮) ভারত থেকে ১০ হাজার ৮৫০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি এইচটি ইউনাইট জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
আজ বৃহস্পতিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে মোট ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। ইতোমধ্যে চুক্তি অনুসারে ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৬৯ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে।
জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রোববার থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে টানা ৯ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী রবিবার (৬ এপ্রিল) আবার শুরু হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের সাশ্রয়ী পণ্য বিক্রি কার্যক্রম ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
সংস্থাটি স্মার্ট পরিবার কার্ডের মাধ্যমে পরিবেশক বা সরবরাহকারীর দোকানের মাধ্যমে এসব পণ্য বিক্রি করে। আবার স্মার্ট কার্ড ছাড়া সর্বসাধারণের জন্য ট্রাকে করেও তেল, ডাল, চিনি বিক্রি করে সংস্থাটি।
অন্যদিকে খোলাবাজারে বিক্রি বা ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ট্রাকে করে সাশ্রয়ী দামে চাল ও আটা বিক্রি করে খাদ্য অধিদপ্তর। ট্রাকের পাশাপাশি নির্ধারিত পরিবেশকের দোকানের মাধ্যমেও চাল-আটা বিক্রি করে সংস্থাটি।
সরকারি এই দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগে সর্বশেষ গত ২৭ মার্চ পর্যন্ত সাশ্রয়ী দামে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালিয়েছিলেন তারা। সরকারি ছুটি শেষে ৬ এপ্রিল আবার এ কার্যক্রম শুরু হবে।
বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৬০ লাখ পরিবারের মধ্যে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে পণ্য বিক্রি করে টিসিবি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোট এক কোটি পরিবার কার্ডের বিপরীতে এ পণ্য বিক্রি করা হতো। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর যাচাই-বাছাই শেষে এসব কার্ডের মধ্যে একটি বড় অংশ অযোগ্য বা ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করে। পাশাপাশি নতুন করে উপকারভোগী চিহ্নিত করে নতুন স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রমও চলছে।
অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ট্রাকে করেও পণ্য বিক্রি করে টিসিবি। প্রতিদিন রাজধানীর ৫০টি স্থানে, চট্টগ্রাম নগরীর ২০টি স্থানে এবং বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি কিছু শ্রমঘন জেলায় ট্রাকে পণ্য বিক্রির এ কার্যক্রম পরিচালনা করে সংস্থাটি। টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে ২০০ জনের পণ্য থাকে। যদিও টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ ভিড় করেন প্রতিদিন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আট মাসে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৪.৪১ শতাংশ

চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বৈদেশিক বাণিজ্যে নেতিবাচক অবস্থা কমেছে। সেই সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৪.৪১ শতাংশ৷ এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ৩ হাজার ৩৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে এবং ৪ হাজার ৩৭৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। এর ফলে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার।
গত অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১ হাজার ৪৩৩ কোটি ডলার, যা এ সময়ের তুলনায় ৪.৪১ শতাংশ কমেছে। এটি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ভালো খবর, যা মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিবেদনটি আরও বলা হয়েছে , চলতি হিসাবের লেনদেনে ঋণাত্বক অবস্থান ছিল ১২৭ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ৪০৭ কোটি ডলার ছিল।
সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে (ওভারঅল ব্যালান্স) ঘাটতিও কিছুটা কমেছে। জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে এ সূচকে ঘাটতি ছিল ১১০ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যেখানে গত মাসে এটি ছিল ১১৭ কোটি ডলার। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি ছিল ৪৪৪ কোটি ডলার।
তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ১৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২.৬ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৫.০৭ বিলিয়ন ডলার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রবাসী আয়ের বা রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে এবং রপ্তানি আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে রপ্তানি পণ্যের দাম সঠিকভাবে নির্ধারিত হওয়ায় আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসঙ্গে শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ব্যয় খুব একটা বাড়েনি, যার কারণে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ কমে এসেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কুয়েতে স্বর্ণের দামে রেকর্ড

বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কুয়েতে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে স্বর্ণের মূল্য। গত এক মাসের ব্যবধানে গ্রাম প্রতি তিন থেকে চার দিনার বৃদ্ধি পেয়েছে স্বর্ণের দাম। অল্প সময়ের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় হতাশ সাধারণ ক্রেতারা। গত এক মাসের ব্যবধানেই গ্রাম প্রতি বেড়েছে তিন দিনার। আর ভরিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা বেশি।
কুয়েতে স্বর্ণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতি মিনিটে পরিবর্তন হতে থাকে। দেশটির প্রত্যেকটি স্বর্ণের দোকানে কুয়েত সরকার নির্ধারিত অনলাইন মূল্য তালিকা রয়েছে। দিন দিন মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক ক্রেতাই এখন স্বর্ণ কিনতে দ্বিধায় ভুগছেন।
তবে দাম আরও বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় ভবিষ্যত প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে কেউ কেউ স্বর্ণ কিনে রাখছেন। ক্রেতারা বলেন, সপ্তাহ ব্যবধানে স্বর্ণের দাম অনেক বেড়েছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। তাই ভবিষ্যতে বিয়ে, অনুষ্ঠান ও প্রিয়জনকে উপহার দেয়ার জন্য কিনে রাখতে হচ্ছে।
তবে স্বর্ণের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, উৎসবের মৌসুম থাকায় স্বর্ণের দাম বাড়ার পরও বেড়েছে বেচাকেনা। তাছাড়া সামনে আরও দাম বাড়ার আশঙ্কায় মজুতও করছেন অনেকে।
কুয়েতে স্বর্ণ বিক্রি হয় গ্রাম হিসেবে। তারা ২১ ক্যারেট অথবা ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের অলংকার ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আর প্রবাসী বাংলাদেশিদের পছন্দের শীর্ষে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণে।