ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে ঢাবিতে আনন্দ মিছিল

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের ঘোষণায় আনন্দ মিছিল করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খবরটি প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। পরে তারা আনন্দ মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে জড়ো হন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এই মুহূর্তে খবর এলো, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলো; মুহূর্তে খবর এলো, সন্ত্রাসী লীগ নিষিদ্ধ হলো; হৈ হৈ রৈ রৈ, সন্ত্রাস লীগ গেলি কই; এই মুহূর্তে খবর এলো, ক্যাম্পাস সন্ত্রাসমুক্ত হলো- ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি আজ সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল সরকার। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে। গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।
সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত আছে।
এই অবস্থায় সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এমআই

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি আগামীকাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় আগামীকাল পর্যন্ত অকার্যকর থাকবে। বুধবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হবে।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ আদেশ দেন।
এসময় আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন।
এর আগে, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে আদেশ দেন।
আদেশে রিটকারী ও ডাকসু নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমকে জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ডাকসুর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে বলা হয়।
হাইকোর্টের আদেশের পর তাৎক্ষণিক হাতে লেখা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। যা নিয়েই আজ শুনানি হয়।
চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ডাকসু নির্বাচনে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে এক আদেশে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বাধা রইল না।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত এবং ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম।
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো পৃথক প্যানেল ঘোষণা করেছে। পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে এবার ১০টির মতো প্যানেল দেওয়া হয়েছে।
ডাকসু ভোটে এবার ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন। তাদের মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সদস্যপদে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন ২১৭ প্রার্থী।
এর বাইরে ঢাবির ১৮টি হলে ১৩টি পদে চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ৩৫ প্রার্থী।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে অবসরের ছয় মাসের মধ্যে অবসরকালীন সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৩ পৃষ্টার এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ রায় প্রকাশ করেছেন। রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে অবসরের ৬ মাসের মধ্যে অবসরকালীন সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ের সময় হাইকোর্ট বলেন, এটা চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকরা রিটায়ারমেন্ট (অবসরকালিন) বেনিফিট (সুবিধা) পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনোভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। এজন্য তাদের অবসরভাতা ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে। এই অবসরভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।
সেদিন রায়ের পর আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন,সারা দেশে এমপিও ভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় ৫ লাখের বেশি শিক্ষক কর্মচারী অবসরকালীন সুবিধা পেতে ২০১৯ সালে একটি রিট দায়ের করেছিলাম। রিটে আমরা ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে ৬ শতাংশ কেটে নেওয়া হতো। সেই কর্তনকৃত টাকাসহ সুবিধান অবসরের পর দেওয়া হতো। এই অবস্থায় ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে ১০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্তে নেয়। ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হলেও ৬ শতাংশের যে সুবিধা দেওয়া হতো সেটাই বহাল রাখা হয়। যে কারণে আমরা রিট দায়ের করে বলেছি, যাতে ১০ শতাংশের সুবিধা দেওয়া হয়। এরপর এই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে আদালত বলেছেন, ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হলেও তাদের যেন বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অবসরের ছয় মাসের মধ্যে যেন অবসরকালিন সুবিধা প্রদান করা হয়।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ এর প্রবিধান-৬ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর প্রবিধান-৮ অনুযায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার বিধান ছিল। যার বিপরীতে শিক্ষকদের ট্রাস্টের তহবিল হতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল উল্লিখিত প্রবিধানমালাগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার বিধানগুলো সংশোধনপূর্বক ৪ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ করে দুইটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার পরিবর্তে ৪ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ কাটার বিধান করা হলেও উক্ত অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কোনো বাড়তি আর্থিক সুবিধার বিধান করা হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারীদের এপ্রিল/২০১৯ মাসের বেতন হতে ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে জমা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
ফলে অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে কোনো আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি না করেই শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা কাটার আদেশের কারণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত অর্থ কাটার আদেশ বাতিল করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তারা বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষক ও কর্মচারীরা ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির গুম হওয়া শিক্ষার্থীর সন্ধানে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি পুনর্গঠন

১৩ বছর ধরে গুম হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ-আল মুকাদ্দাসের সন্ধানে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটির পুনর্গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভরপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অফিস আদেশ সূত্রে, ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাভার থেকে গুম হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী শিক্ষার্থী দা’ওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওয়ালি উল্লাহ এবং আল-ফিক্হ অ্যান্ড ল’ বিভাগের আল মুকাদ্দাস-কে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইট’স সাপোর্ট সোসাইটি’র মানববন্ধনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানের (Facts finding) জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ২০২৫ সালের ৩১ আগস্ট আবার পুনর্গঠন করেছেন।
পুনর্গঠিত ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটিতে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান শেখ-কে আহ্বায়ক এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন-কে সদস্য-সচিব করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ হুম তরীকুল ইসলাম, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া জেলা দায়রা জজকোর্টের এ্যাডভোকেট এস এম শাতিল মাহমুদ।
এবিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান শেখ বলেন, আমি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি ভাইবা বোর্ডের সদস্য হিসেবে। এবিষয়ে শুনেছি ডিপার্টমেন্টে একটা চিঠি এসেছে। ক্যাম্পাসে ফিরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
চাকসু নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। এতে মোট ২৫ হাজার ৮৬৬ জন শিক্ষার্থী তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন।
তিনি বলেন, আজই (সোমবার) খসড়া ভোটার তালিকা চাকসুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। আমরা চাকসুর মোট ২৫ হাজার ৮৬৬ জন ভোটারকে তালিকাভুক্ত করেছি। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ২৫ জন এবং নারী ভোটার ১০ হাজার ৮৪১ জন। আমাদের মোট ভোটার সংখ্যা ঠিক আছে তবে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার্থীদের সংখ্যাগত পরিবর্তন এলেও আসতে পারে। আমরা পুনরায় চেক করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবো।
চাকসুর নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী সোমবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর (রোববার) চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
উমামা ফাতেমার সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলো মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমার সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছে মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকরা।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় ডাকসু ভবনের সামনে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকরা তা বয়কট করে।
এর আগে সোসাল মিডিয়ায় মোজো সাংবাদিকদের নিয়ে উমামা ফাতেমা হেয়পতিপন্ন করে মন্তব্য করায় গত ২৯ আগস্ট প্রতিবাদ জানিয়েছিল মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এমআরএ)। সেই সাথে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিও জানায় সংগঠনটি।
এ বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ফকরুল ইসলাম বলেন, উমামা ফাতেমা নামক একজন গণঅভ্যুত্থানের নেত্রীর প্রতি গণমাধ্যমকর্মীদের ক্ষোভ ও বয়কটের কারণ হলো ডিজিটাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর করা নেতিবাচক মন্তব্যে। তাঁর করা মন্তব্যের ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টাররা, মর্মাহত হয়েছেন। আমরা উমামার কাছে থেকে ভুল স্বীকার ও ক্ষমা চাওয়ার দাবি করছি। তা না হলে আমরা তাঁর অনুষ্ঠানগুলো ধারাবাহিক বয়কট করে যাবো। সবার উচিত গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত সম্মান ও গণতান্ত্রিক অধিকারের গুরুত্ব দেওয়া।
এমআরএ-এর সাধারণ সম্পাদক জানান, জুলাই অভ্যুত্থানের নেত্রী উমামা ফাতেমাকে আমরা গণমাধ্যম কর্মীরা সম্মান করি, কিন্তু তিনি মোজো সাংবাদিকদের নিয়ে যে কটুক্তি করেছেন তার জন্য অবিলম্বে মোজো সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতের সাংবাদিকদের নিয়ে এমন মন্তব্য থেকে বিরত হতে থাকবে।