ব্যাংক
মিথ্যা-ষড়যন্ত্রের শিকার সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত রূপালী ব্যাংকের এমডি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কবিতা ও প্রবন্ধ লিখে বই প্রকাশ করার মিথ্যা অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসাবে নিয়োগ পেতে যাওয়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আব্দুর রহিমের নিয়োগ ঝুলে রয়েছে। তাঁর লেখা ও প্রকাশিত বইয়ে এডিট শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি বসিয়ে নকল কপি বাহির করে ষড়যন্ত্র করছে একশ্রেণীর কুচক্র মহল।
জানা গেছে, রাকাবের ডিএমডি মো. আব্দুর রহিমকে রূপালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি প্রস্তুত করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তবে তাঁর বিরুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে বই প্রকাশ করার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়। ফলে শেষ মুহূর্তে উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর ওই চিঠি আর পাঠানো হয়নি।
এবিষয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ডিএমডি মো. আব্দুর রহিম অর্থসংবাদকে বলেন, আমার লেখা বৃক্ষের শিক্ষা, নিঃশেষে সৃষ্টি’সহ বেশকিছু কবিতা প্রকাশিত রয়েছে। তবে সেগুলো কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে নয়। তবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মিথ্যা তথ্য ছাড়ানো হচ্ছে। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কবিতা ও প্রবন্ধ লিখে বই প্রকাশ করার যে তথ্য ছাড়ানো হয়েছে সেগুলো সঠিক নয়। আমার লেখা কবিতা ও বইয়ে এডিট করে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি বসানো হয়েছে।
এর আগে, সোমবার রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ৫ ব্যাংক- সোনালী, জনতা, অগ্রণী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (বিডিবিএল) এমডি ও সিইও নিয়োগ দিতে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। একই সঙ্গে রাকাবের ডিএমডি মো. আব্দুর রহিমকে রূপালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি প্রস্তুত করে। তবে শেষ মুহূর্তে উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর ওই চিঠি আর পাঠানো হয়নি।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে মো. আব্দুর রহিম অনেক কবিতা ও প্রবন্ধ লিখে প্রকাশ করার অভিযোগ উঠে। সে কারণেই শেষ মুহূর্তে উচ্চ পর্যায়ের মৌখিক নির্দেশনায় তাঁকে রূপালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা চিঠি পাঠানো হয়নি। নতুন কাউকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
শেখ হাসিনা সরকারের সময় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের এমডিদের চুক্তির বাকি মেয়াদ বাতিল করতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। তারপর ব্যাংকগুলোর এমডি ও সিইও পদ শূন্য হয়।
এরপর রাষ্ট্র মালিকানাধীন ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও চারটি বিশেষায়িত ব্যাংক মিলিয়ে ১০টি ব্যাংকে নতুন এমডি ও সিইও নিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে সুপারিশ পাঠায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এই সুপারিশ গত ১৬ অক্টোবর অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং ২০ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনুমোদন করেন। চূড়ান্ত তালিকায় মো. আব্দুর রহিমের নামও ছিল।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
পদ্মা ব্যাংকের ঋণ খেলাপি জুলহাস গ্রেপ্তার
পদ্মা ব্যাংকের বকশীগঞ্জ শাখার ঋণ খেলাপি এ কে এম শফিকুল ইসলাম জুলহাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২৭ অক্টোবর) জামালপুর জেলার সদর থানা পুলিশ সাজাপ্রাপ্ত ঋণ খেলাপিকে গ্রেপ্তার করে।
ব্যাংকের বকশীগঞ্জ শাখা এবং স্পেশাল ফোর্স আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সহযোগিতা করে। পদ্মা ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্যাংকটি জানায়, পদ্মা ব্যাংকের করা মামলায় জামালপুরের যুগ্ম দায়রা জজ ও জজ অর্থঋণ আদালত ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর জুলহাসকে গ্রেপ্তারের আদেশ জারি করেন। দীর্ঘ একবছর পলাতক থাকার পর গ্রেপ্তার হলেন তিনি।
স্কার্ফ অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলামের কাছে সুদে আসলে পদ্মা ব্যাংকের পাওনা ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
তথ্য গোপনে এনআরবিসি ব্যাংককে অর্থদন্ড, শাস্তির মুখে কর্মকর্তারা
এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের পরিচালক আবু বকর চৌধুরীর মিথ্যা ঘোষণায় উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার হওয়ার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ তথ্য উদ্ঘাটন এবং বিভিন্ন সময়ে অনিয়মের কারণে এখন সব পরিচালকের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১০৯ ধারায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে গঠিত ব্যাংকটির সব উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডারের আইনানুগ আবাসিক মর্যাদার দলিল চাওয়া হয়েছে। এছাড়া অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য গোপন করায় ব্যাংকটিকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গত রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকটিতে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নানা অনিয়ম ও জালিয়াতিতে জড়িত ব্যাংকটি। একের পর এক অনিয়ম করেও তা গোপন রাখা হতো। আর এসব অনিয়ম আড়াল করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেও দেওয়া হতো মিথ্যা তথ্য। এতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বিভ্রান্ত করে আসছিল ব্যাংকের দুর্নীতিবাজ চক্রটি। বিগত সরকারের প্রভাবশালী বলয়ের সহযোগিতায় এবং এনআরবিসি ব্যাংকের আলোচিত চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের নেতৃত্বে এসব অপকর্ম চলে আসছিল।
সূত্র জানায়, এনআরবিসি ব্যাংকের ওপর গত ফেব্রুয়ারিতে পরিচালিত বিশদ পরিদর্শন প্রতিবেদনের আলোকে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাখ্যা তলব করে সন্তোষজনক জবাব পাওয়া যায়নি। এমন এক সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নিচ্ছে যখন ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম পলাতক। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তাদের আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা শেয়ার কেনার সময় ২০১২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণাপত্রে আবু বকর চৌধুরীর জাতীয় পরিচয়পত্র ‘নেই’ উল্লেখ করা হয়। অথচ পরিদর্শনে দেখা গেছে– ব্যাংকটির ওআর নিজাম রোড শাখায় আবু বকর চৌধুরীর মালিকানার বায়েজিদ স্টিল ইন্ডাস্ট্রির অ্যাকাউন্ট খোলার নথিতে ২০০৮ সালের ১৪ মে ইস্যু করা তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংরক্ষিত আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় আবু বকর চৌধুরীসহ সকল পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১০৯ ধারায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ১৪ দিনের মধ্যে পৃথক কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ধারার আওতায় পরিচালক অপসারণ করার ক্ষমতা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৬৮ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং সাধারণ শেয়ারধারীদের ৩১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়। অথচ পরিদর্শন দল পেয়েছে ভিন্ন তথ্য। শেয়ার ধারণসংক্রান্ত অসামঞ্জস্য তথ্যের কারণে কেন ১০৯ ধারার আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ১৪ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে হবে। আর সকল অনিবাসী পরিচালকের আবাসিক মর্যাদা পুনরায় যাচাই করে ৩০ দিনের মধ্যে দলিলসহ প্রতিবেদন দিতে হবে। এছাড়া আগামী ৬ মাসের মধ্যে অনিবাসীদের শেয়ার ধারণ ৫০ শতাংশে নামিয়ে না আনলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে হুশিয়ারি করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোড শাখার হিসাবধারী মো. রেজাউল বশির চৌধুরীর হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন চিহ্নিত হওয়ার পরও তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হয়নি। এ কারণে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে এই জরিমানা পরিশোধ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত হিসাব থেকে কেটে নেওয়া হবে। এছাড়া ২০২১ সালের ১৮ মে থেকে ২০২২ সালের ৭ এপ্রিলের এ ঘটনায় ব্যাংকটির তৎকালীন ক্যামেলকো ও বর্তমান ডিএমডি কবির আহমেদ, শাখাপ্রধান ও শাখার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ জড়িত সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ সময় ধরেই এনআরবিসি ব্যাংক অনিয়ম করেও তথ্য লুকিয়ে রেখেছিল। আমাদের পরিদর্শনে সেটি বেরিয়ে এসেছে। এসব অপরাধের জন্য ব্যাংকটিকে জরিমানা এবং জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল এবং ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক মাসে রিজার্ভ বাড়ল ২৪ কোটি ডলার
গত এক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২৪ কোটি ২ লাখ ১০ হাজার ডলার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসারে, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৮০ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। এক মাস আগে অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৩০ কোটি ৩ লাখ ডলার। এক মাসে আগে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মোট রিজার্ভ বেড়েছে ৬২ কোটি ১৮ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, রিজার্ভের ক্ষয় রোধ করার কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। অবশ্য, নিট ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়ন নভেম্বরে শুরু হবে: গভর্নর
আগামী নভেম্বর মাস থেকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্রসহ দাতা সংস্থাগুলোর কাছে তুলে ধরা হয় নতুন এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রোডম্যাপ।
প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়, ব্যাংক ব্যবস্থাপনাসহ ভগ্ন দশায় থাকা দেশের আর্থিক খাতের শুদ্ধতায় আনা পরিবর্তনগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু করতে রোডম্যাপ তৈরি করা রয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে যাচাই-বাছাই করে কোন ব্যাংক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি নিরূপণ করা হবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের অংশীদারত্ব কোন পথে, কীভাবে হবে এ নিয়ে মার্কিন সরকারের নীতি সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গভর্নর জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশ্বব্যাংকের কাছে নীতি সহায়তা চাওয়া হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ সহায়তা দরকার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ই-রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক
দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, গত ২২ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর মাধ্যমে জারিকৃত বিশেষ আদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিপালন নিশ্চিতে নির্দেশনা প্রদান করা হলো। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চার সিটি করপোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলের অধিভুক্ত সরকারি কর্মচারী, ব্যাংকার, মোবাইল প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও ছয়টি বড় কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করে গত মঙ্গলবার এক বিশেষ আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে রিটার্ন দাখিলসংক্রান্ত এনবিআরের বিশেষ আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের আয়কর আইনের ক্ষমতাবলে এনবিআর চার ধরনের ব্যক্তি করদাতাদের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অনলাইনে আয়কর দাখিল বাধ্যতামূলক করলো।
তালিকার প্রথমে রয়েছেন ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলসমূহের অধিক্ষেত্রভুক্ত সব সরকারি কর্মচারী।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন সব তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তৃতীয়ত, সব মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদেরও অনলাইনে রিটার্ন দিতে হবে।
তাছাড়া ছয়টি বড় বিদেশি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি।
এমআই