কর্পোরেট সংবাদ
হজ এজেন্সি মালিকদের সঙ্গে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মতবিনিময়

হজ ও ওমরাহ গমনেচ্ছুদের সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা সহজতর করার লক্ষ্যে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে হজ এজেন্সি মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মাকসুদা বেগম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোরশেদ আলম খন্দকার এবং আনোয়ার হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হান্নান খান, হেড অব এমডিএস এন্ড ইনভেস্টমেন্ট উইং নাজমুস সায়াদাতসহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীবৃন্দ। মতবিনিময় সভায় হজ এজেন্সির মালিকগণ হজ সার্ভিস বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাকসুদা বেগম বলেন, হজ ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি সুশৃঙ্খল হয়েছে। হজ ও ওমরাহ গমনেচ্ছুদের সার্বিক সহযোগিতা করতে ব্যাংক ও হাব একসাথে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের হজযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ করে বলেন, হজ ও ওমরাহ পালন করা ধর্মপ্রাণ মানুষের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন পূরণে আমাদের ব্যাংক সবধরনের সেবা প্রদানে সচেষ্ট আছে।
এমআই

কর্পোরেট সংবাদ
ব্যাংকাস্যুরেন্সের মাধ্যমে গার্ডিয়ানের ৫ হাজার পলিসি বিক্রি করেছে সিটি ব্যাংক

গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ব্যাংকাস্যুরেন্স চ্যানেলে পাঁচ হাজার ইন্স্যুরেন্স পলিসির গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে সিটি ব্যাংক। অল্প সময়ের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক পলিসি বিক্রির মাধ্যমে এখন দেশের শীর্ষ ব্যাংকাস্যুরেন্স পার্টনার হিসেবে অবস্থান করছে প্রতিষ্ঠানটি।
দেশজুড়ে গার্ডিয়ানের বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স প্রোডাক্ট এর প্রতি ধারাবাহিকভাবে গ্রাহকদের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রাহকদের জন্য সিটি ব্যাংক গার্ডিয়ানের যেসব প্রোডাক্ট অফার করছে, তার মধ্যে রয়েছে: গার্ডিয়ান চাইল্ড প্রটেকশন প্ল্যান, গার্ডিয়ান ফোর স্টেজ প্ল্যান, গার্ডিয়ান সঞ্চয়, গার্ডিয়ান পেনশন প্ল্যান ও গার্ডিয়ান প্রবৃদ্ধি।
বাংলাদেশে গার্ডিয়ান প্রথম ব্যাংকাস্যুরেন্স পলিসি ইস্যু করার মধ্য দিয়ে সিটি ব্যাংক এই খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তাদের এ দ্রুত অর্জিত সাফল্য গার্ডিয়ানের উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক প্রোডাক্টের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার প্রতিফলন। তাছাড়া, পলিসি বিক্রির সাফল্য ব্যাংকটির বিস্তৃত ও সমন্বিত আর্থিক সেবা দেওয়ার সক্ষমতা প্রমাণ করে।
গার্ডিয়ানের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাকিবুল করিম বলেন, প্রথম দিন থেকেই সিটি ব্যাংক আমাদের নতুন কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আর এই মাইলফলক তাদের সেই প্রতিশ্রুতিরই বাস্তব রূপ। আমি বিশ্বাস করি সিটি ব্যাংক এর মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহক সেবা আরও বিস্তৃত করতে পারবো এবং এজন্য আমি আন্তরিকভাবে সিটি ব্যাংককে ধন্যবাদ জানাই।
২০২৪ সালের মার্চে ব্যাংকাস্যুরেন্সের যাত্রা শুরু করার পর বছর শেষেই দেশের মোট ব্যাংকাস্যুরেন্স বিক্রয়ের ৭৯ শতাংশ বাজার দখল করে নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থানে চলে যায় গার্ডিয়ান। সিটি ব্যাংকের সাথে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গার্ডিয়ান দেশের ব্যাংকাস্যুরেন্স, পাশাপাশি ইন্স্যুরটেক ও মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স খাতেও তাদের নেতৃত্ব ধরে রেখেছে। প্রযুক্তিনির্ভর এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিমা সেবার মাধ্যমে দেশের কোটি গ্রাহকের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু

বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় দেশের সম্ভাবনাময় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
‘স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি)’ আওতায় উদ্যোক্তাদের জন্য এই সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র, কুটির, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের নতুন উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি’ শীর্ষক এ বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রথম ব্যাচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও এসআইসিআইপি’র নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা, একই ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ও অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম এবং ব্র্যাক
ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের আয়োজনে এক মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন সিএমএসএমই উদ্যোক্তারা। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করবেন বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করা হবে, যা তাঁদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও টেকসইতা অর্জনে সহায়ক হবে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে পরিচালিত হবে। এটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এসআইসিআইপি প্রকল্প এবং বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট।
এই উদ্যোগের ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে। তাঁদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে থাকি আমরা। এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন দেশের তৃণমূল উদ্যোক্তা উন্নয়নে আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
তিনি আরও বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করবেন, যা তাঁদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগ দেশের অর্থনীতির গতি আরও বাড়িয়ে দেবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ইমপ্যাক্টফুল কর্মসূচি আয়োজনের সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।
কর্পোরেট সংবাদ
দুই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করলো ব্র্যাক ব্যাংক

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে টেকসই ব্যাংকিং-যাত্রায় আরও নিজের অবস্থান শক্তিশালী করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিং ২০২৪-এ বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছর শীর্ষ দশে থাকার গৌরব অর্জন করেছে ব্যাংকটি। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও পঞ্চমবারের মতো ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ব্লুমবার্গ ইএসজি স্বীকৃতি
ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিং ২০২৪-এ ব্র্যাক ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩.৮ সামগ্রিক স্কোর অর্জন করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবেশ (১.৭৬), সামাজিক (৫.৮৩) এবং সুশাসন (৩.০৭)-এর স্কোর। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স (৩.৫১) ও সিটি ব্যাংক (২.৬৪)-কে ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে পরিচালিত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে।
এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছরের মতো ব্লুমবার্গের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জায়গা করে নিতে সমর্থ্য হয়েছে।
ব্লুমবার্গের এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি এসেছে ব্র্যাক ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ কার্বন নিঃসরণ রিপোর্ট, সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট ২০২৪, আইএফআরএস এস-১ ও এস-২ রিপোর্ট এবং অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০২৪ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের মাধ্যমে ব্যাংকটি সুশাসনে নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করেছে। ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের টেকসই অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০,২১৫ কোটি টাকায়, যা ব্যাংকটির মোট অ্যাসেট পোর্টফোলিওর ৮২%। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বাজার মূলধন (১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারহোল্ডিং (৩২%) আর্থিক খাতে ব্র্যাক ব্যাংকের নেতৃত্বস্থানের প্রতিফলন। এছাড়াও, তিন ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ তথ্য (জিএইচজি স্কোপ ১, ২, ৩) প্রকাশের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই ব্যাংক রেটিং ২০২৪
বাংলাদেশ ব্যাংক পঞ্চম বছরের মতো ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ‘এক্সেলেন্ট’ রেটিং অর্জন করেছে, যা দেশে মাত্র আরও দুটি ব্যাংক অর্জন করতে পেরেছে।
সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ইনডেক্স, সিএসআর অ্যাক্টিভিটিস, গ্রিন রিফাইন্যান্স, কোর ব্যাংকিং সাসটেইনেবিলিটি ইনডেক্স এবং ব্যাংকিং সার্ভিসেস কাভারেজ— এই পাচটি পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে রেটিং করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্র্যাক ব্যাংকই বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক, যারা পার্টনারশিপ ফর কার্বন অ্যাকাউন্টিং ফাইন্যান্সিয়ালস (পিসিএএফ) ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে স্কোপ ১, ২, ৩ কার্বন নিঃসরণ তথ্য প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি ব্যাংকটি ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড (আইএসএসবি) মানদণ্ড অনুযায়ী স্বতন্ত্র আইএফআরএস এস-১ ও এস-২ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকটি ১,০০০ কোটি টাকার সোশ্যাল বন্ড ইস্যুরও প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা হবে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন (আইসিএমএ) প্রিন্সিপালস অনুযায়ী।
টেকসই অর্থায়নকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে ব্র্যাক ব্যাংক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০টি সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স হেল্পডেস্ক স্থাপন করেছে, যাতে গ্রাহকদের জন্য গ্রিন ফাইন্যান্স ও পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা আরও সহজলভ্য হয়। ব্যাংকিংয়ের বাইরেও ব্র্যাক ব্যাংকের সিএসআর উদ্যোগগুলো সমাজে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। শুধু ২০২৪ সালেই ব্যাংকটি স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির আওতায় ৫০,০০০ মানুষকে সেবা, জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রকল্পের আওতায় ৪৬,০০০ কৃষককে সহায়তা এবং শিক্ষা খাতের আওতায় ৭০০ সুবিধাবঞ্চিত নারীকে উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি দিয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন মর্যাদাপূর্ণ অর্জন সম্পর্কে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “সাসটেইনেবিলিটি এখন আর কোনো ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং এটি এখন দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি ও প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তি। ব্লুমবার্গ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের এই স্বীকৃতি আমাদের দায়িত্বশীল ব্যাংকিং, স্বচ্ছতা ও ইমপ্যাক্ট তৈরির প্রতিশ্রুতিকে আরও সুদৃঢ় করেছে। ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা বিশ্বাস করি, ইএসজি শুধু পরিবেশ রক্ষা বা সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ই নয়, বরং এটি একটি ভবিষ্যতমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রক্রিয়া, যেখানে বিনিয়োগকারী, রেগুলেটর, সহকর্মী ও গ্রাহকেরা আস্থা রাখতে পারেন। আমরা সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন আরও বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে জাতীয় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারি।”
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
দেশের রিয়েল এস্টেটের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন হাউজিং

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড একসময় বড় ধরনের সংকটে পড়লেও বর্তমানে আবার শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার ঋণের বোঝায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে সুপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা ও দক্ষ নেতৃত্বে তারা সেই সময়কে পেছনে ফেলে এসেছে। বর্তমানে কোম্পানিটির মুনাফা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের এফডিআর এখন দাঁড়িয়েছে ৪৫০ কোটি টাকায়—যা আর্থিক সক্ষমতার সুস্পষ্ট প্রমাণ।
যখন দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ব্যাংক ঋণের ভারে জর্জরিত, ঠিক তখন ঋণমুক্ত থেকে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড একটি সফল ব্যবসায়িক মডেল হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ইস্টার্ন হাউজিং বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট শিল্পে সুপরিচিত একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। রিহ্যাবের ২৯ প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের অন্যতম হওয়ায় খাতটির উন্নয়নে তাদের অবদান অনস্বীকার্য।
শুরুর লক্ষ্য ছিল ঢাকার নগরায়ণকে পরিকল্পিত আবাসনে রূপান্তর করা। সেই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্প শুরু করে। বনশ্রী, দক্ষিণ বনশ্রী, মহানগর, নিকেতন, ছায়াবিথি (বাসাবো), প্যারাডোগা (যাত্রাবাড়ী), ভেমর, পল্লবী ফেস-১ ও ফেস-২, মায়াকানন (আমিনবাজার), সাভার, আফতাবনগর ও রায়েরবাজারসহ বহু এলাকায় তারা সফলভাবে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে কিছু প্রকল্প এখনো চলমান।
প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ সাফল্যের মধ্যে আফতাবনগর প্রকল্পকে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ধরা হয়, যা ঢাকার অন্যতম আধুনিক আবাসিক এলাকায় পরিণত হচ্ছে। গত চার বছর ধরে প্রজেক্ট ইনচার্জ মেজর মো. আলতামাস করিম (অব.) আফতাবনগরকে পরিকল্পিত আবাসিক নগরীতে রূপ দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, তার নেতৃত্বে এলাকা অচিরেই রাজধানীর সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন আবাসনে রূপ নেবে।
ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬৫ সালের দিকে, প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা জহুরুল ইসলামের হাত ধরে। ঢাকার পল্লবী থানায় ৭০০ বাড়ির প্রথম প্রকল্প দিয়ে তারা কাজ শুরু করে। পাশাপাশি ৯১০ একর জমি অধিগ্রহণ করে বৃহৎ পরিসরে উন্নয়ন কার্যক্রম চালায়।
বর্তমানে চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম দেশের বাইরে থাকায় ব্যবস্থাপনার গুরুদায়িত্ব সামলাচ্ছেন ধীরাজ মালাকার। তিনি ২০১০ সালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়ে কোম্পানিকে ঘুরে দাঁড় করান এবং লাভজনক অবস্থানে নিয়ে আসেন।
আজ ইস্টার্ন হাউজিং কেবল একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান নয়, বরং বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট শিল্পের শক্তিশালী স্তম্ভে পরিণত হয়েছে।
কর্পোরেট সংবাদ
রবি’তে বিকাশ দিয়ে সর্বোচ্চ রিচার্জকারীরা জিতলেন বাইক, এসি ও স্মার্ট টিভি

রবি নাম্বারে বিকাশ দিয়ে সর্বোচ্চ অ্যামাউন্ট রিচার্জ করে গ্রাহকরা জিতে নিয়েছেন বাইক, এসি ও স্মার্ট টিভি কুপন। পাশাপাশি, ২১ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত চলা মেগা ক্যাশব্যাক ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ রিচার্জকারী ২০জন গ্রাহক পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন অংকের ক্যাশব্যাক। গ্রাহকদের নিত্য প্রয়োজনীয় মোবাইল রিচার্জ সেবাটিকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতেই এই ক্যাম্পেইনটির আয়োজন করে বিকাশ।
সম্প্রতি বিকাশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে মোটরবাইক, এসি, ও স্মার্ট টিভির কুপনগুলো তুলে দেয়া হয়।
ক্যাম্পেইনে সর্বোচ্চ রিচার্জকারী গ্রাহকের জন্য ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের মোটরবাইক কুপন। ২য় ও ৩য় সর্বোচ্চ রিচার্জকারী পান ৫০ হাজার টাকা মূল্যের এসি কুপন এবং ৪র্থ ও ৫ম সর্বোচ্চ রিচার্জকারী পান ৪০ হাজার টাকা মূল্যের স্মার্ট টিভি কুপন।
বিকাশে অন্যতম জনপ্রিয় সেবা-অ্যাপ অথবা ইউএসএসডি কোড *২৪৭# -এর মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি ব্যবহারকারীর মোবাইল রিচার্জকে সহজ করে দিয়ে তাদের প্রতিদিনকার জীবনধারাকে নিরবচ্ছিন্ন রেখেছে। আর এই সেবায় বিকাশের সঙ্গে শুরু থেকেই যুক্ত আছে দেশের অন্যতম শীর্ষ টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি। বিকাশ থেকেই সবচেয়ে সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ইন্টারনেট, মিনিট, বান্ডেল, স্পেশাল রেট, বিনোদন প্যাক সহ মোবাইল রিচার্জের বিভিন্ন অফার পছন্দানুযায়ী গ্রহণ করতে পারছেন গ্রাহকরা।
কাফি