পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে জরুরি সহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আর্থিক খাতে ফিরেছে আশার আলো। ব্যাংক খাতে তারল্য বৃদ্ধি, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করে দায় পরিশোধ, তৈরি পোশাক খাতে উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সার্বিক অর্থনীতিতে উন্নতির ছাপ দেখা গেছে। তবে এতসব পরিবর্তনের মাঝেও দেশের পুঁজিবাজারে এখনো অস্থিরতা বিরাজমান। দীর্ঘদিনের টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে বিপাকে বিনিয়োগকারীরা।
এ বিষয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করলেও শেয়ারবাজারের দরপতন কমেনি। এবার পুঁজিবাজারে তারল্য সহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের দ্বারস্ত হলেন হৃদয় আকবর রেমি নামের এক বিনিয়োগকারী। আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য ৬টি সমাধানের কথা উল্লেখ করে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, দেশে গত কয়েক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। চলতি মাসে বৈদেশিক রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড স্পর্শ করার সম্ভবনা রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে অর্থপাচার বন্ধ হয়েছে এবং বিদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। একইসময়ে পোশাক খাতের সুদিনসহ ভালো সময়ে ফিরেছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। অর্থনৈতিক সূচকের উন্নতির দিনে পুঁজিবাজার এবং অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ফলে পুঁজিবাজারে জরুরি তারল্য সহায়তা চেয়ে এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সমাধানে ৬ প্রস্তাবের একটি চিঠি পাঠিয়েছেন এ বিনিয়োগকারী।
চিঠিতে তিনি বলেন, আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন যে তাদের তহবিল নেই এবং চা পান ছাড়া তার কোন কাজ নেই। সুতরাং, আইসিবিকে বাজারকে সমর্থন করার জন্য সরকারের কাছ থেকে জরুরি ভিত্তিতে তহবিল পাওয়া উচিত। ঋণ প্রক্রিয়াকরণের জন্য কোনো সময়সীমা দেখানো উচিত নয়। এছাড়া তারল্য বেশি থাকা সোনালী ব্যাংকসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
চিঠিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারের প্রতিটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের সীমা যাচাই করে নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিনিয়োগ করতে বাধ্য করতে হবে। এছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩০ শতাংশ পরিচালকদের ধারণ করতে হবে। বিএসইসি এ আইন পালনে কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে পারলে বাজারে অর্থপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।
এতে আরও বলা হয়, বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএর আইন অনুযায়ী- কোম্পানির পরিচালকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে বিএসইসি এ আইন পালনে বাধ্য করতে পারলেও বাজারে অর্থপ্রবাহ বাড়বে।
এছাড়া বাই ব্যাক আইন প্রণয়নের দাবি তুলেন এ বিনিয়োগকারী। চিঠিতে বলা হয়, দেশের পুঁজিবাজারে শিগগিরই বাই ব্যাক আইন প্রণয়ন করা উচিত। যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্যের নিচে চলে যাবে, বাই ব্যাক আইন অনুযায়ী কোম্পানিগুলি তাদের সেসব শেয়ার কিনবে। বিশ্বের অন্যান্য পুঁজিবাজারে এই নিয়ম প্রচলিত থাকলেও বাংলাদেশে তা অনুপস্থিত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে দুই ঘণ্টায় দেড়শো কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রধান সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (২৮ অক্টোবর) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দুই ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ৭ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ১ দশমিক ৯০ পয়েন্ট কমে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১১০৫ ও ১৮৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ১৫২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৭টির, কমেছে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২ কোম্পানির শেয়ারদর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জিল বাংলার লোকসান আরও বেড়েছে
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪- সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেড।
রোববার (২৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৯ টাকা ৯৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ১৯ টাকা ৭২ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট দায় ছিল এক হাজার ৮৩ টাকা ৩৪ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
রিং শাইন টেক্সটাইলের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
গত ৩০ জুন, ২০২৪ এবং গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেড। কোম্পানিটি আলোচ্য বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৫৩ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫৪ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট দায় ছিল এক হাজার ৪ টাকা ৯৭ পয়সা।
অন্যদিকে গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ০৬ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৫৩ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট দায় ছিল এক হাজার ৮ টাকা ০৩ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ নভেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কের লভ্যাংশ ঘোষণা
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৪৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ২ টাকা ৯৬ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৩ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৭ নভেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানালো জিল বাংলা
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেড। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৭৪ টাকা ৩৯ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৮৯ টাকা ০৭ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট দায় ছিল এক হাজার ৬৩ টাকা ৩৯ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী ২৩ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।
এমআই