পুঁজিবাজার
ক্যাপিটাল গেইনের কর অব্যাহতি নিয়ে পদক্ষেপ নিবে ডিএসই
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল গেইনের ওপর আরোপিত কর অব্যাহতি সুবিধা পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ডিএসই। একইসঙ্গে লভ্যাংশের উপর উৎসে কর কর্তনকে চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচনা এবং ক্যাপিটাল লসের সমন্বয় বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
সোমবার (২১ অক্টোবর) চলমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে শীর্ষ ৩০ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধির সাথে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, অতীতের অনেক ভুল সিদ্ধান্ত, অনিয়ম ও অদক্ষতার ফলাফল স্বরূপ পুঁজিবাজার আজ একটি দুর্বল ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বাজার সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। পুঁজিবাজারকে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর লক্ষ্যে গড়ে তোলার জন্য এটি আমাদের জন্য একটি দুর্লভ সুযোগ। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত পরিবর্তন, অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত ও বিচারের সাথে সাথে বিনিয়োগকারী এবং মধ্যস্থতাকারীদের আস্থা অর্জনে কাজ করতে হবে।
মমিনুল ইসলাম জানান, ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সের উপর কর অব্যাহতি সুবিধা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, লভ্যাংশের উপর উৎসে কর কর্তনকে চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচনা করা এবং ক্যাপিটাল লসের সমন্বয় বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে ডিএসই আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এছাড়া সিসি হিসাবের ইন্টারেস্ট এবং নগদ প্রদানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে ডিএসই ইতিমধ্যে আলোচনা করেছে এবং বিষয় দুইটি দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।
ডিএসইকে পূর্ণ সক্ষমতার সাথে কাজ করার উপযোগী করে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলমান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিএসই মার্কেট সংশ্লিষ্ট সবার একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে নেতৃত্বে প্রদান করবে, যাতে বিদ্যমান আইন অথবা প্রবিধান মোতাবেক মার্কেট সংশ্লিষ্টরা নিজেদের সমস্যাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেরাই সমাধান করতে পারে অথবা সমন্বিতভাবে রেগুলেটর কিংবা সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে অতিদ্রুত বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। এজন্য তিনি বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য্য ধারণের অনুরোধ করেন।
সভায় শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিবৃন্দ বর্তমান বাজার পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং ভবিষ্যতে বাজারকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা, তারল্য সংকট, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স, মার্কেট মেকার, ক্যাটাগরি, পলিসি সাপোর্ট, নগদ উত্তোলনের সুবিধা দেওয়া, ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং সিস্টেম, ফ্লোর প্রাইস প্রয়োগ না করা, বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ, আইপিও পদ্ধতির সংস্কার, মার্জিন লোন সংস্কার, সিসি একাউন্টের ইন্টারেস্ট, সিসিবিএল, মন্দ আইপিও না আনা, লোন রেশিও, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম পর্যালোচনা এবং ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ড সম্পর্কে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। বর্তমান বাজারে আস্থার অভাব রয়েছে। পুঁজিবাজার উন্নয়নে আস্থা বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়াও তিনি অগ্রীম আয়কর গ্রহণযোগ্য পর্যায় নিয়ে আসা এবং ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ব্যক্তিপর্যায়ে রোহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সিসিবিএল ২০১৮ সালে গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। এ বিষয়ে আপনাদের (ডিএসইর) পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর সিএমএসএফ প্রতিষ্ঠানটি বিএসইসি গঠন করেছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে কমিশনকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট ও স্কিম রিভিউ করতে হবে। এখানে সময়োপযোগী সংশোধন করতে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদকে ভূমিকা রাখতে হবে। পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ হাউজ থেকে যে অগ্রিম আয়কর আদায় করা হয়। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, সে বিষয়েও কাজ করতে হবে।
এ সময় ডিএসই পরিচালক অধ্যাপক মেজর জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সৈয়দ হাম্মদুল করীম, মোহাম্মদ ইশহাক মিয়া, শাহনাজ সুলতানা, মোঃ শাকিল রিজভী, রিচার্ড ডি রোজারিও এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাত্বিক আহমেদ শাহ উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বাজার মূলধন কমলো ১২ হাজার কোটি টাকা, বেড়েছে লেনদেন
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। সেই সঙ্গে টাকার অংকে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এছাড়া সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৯ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ বা ১২ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইর সব সূচকও কমেছে। চলতি সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৩ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৫১ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩০ দশমিক ১২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
ডিএসইতে সব সূচকের পতন হলেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৯৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৭২ কোটি ২ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৪২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩টি কোম্পানির, কমেছে ৩০৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ই-জেনারেশনের নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ শাহজালাল
ই-জেনারেশন পিএলসির চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ শাহজালাল। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হন তিনি।
মোহাম্মদ শাহজালাল কাট্রি ব্রান্ডিং স্পেশালিষ্ট এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্রাটেজিষ্ট হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
শাহজালাল বলেন, “ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহার করে ই-জেনারেশনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যমে শুধু কোম্পানির অগ্রগতিই হবে না বরং বাংলাদেশও প্রযুক্তি খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
ই-জেনারেশনের নেতৃত্বের পাশাপাশি শাহজালাল জিজিবি, এম/এস জয়নাল আবেদিন এবং এন.এম. এয়ার ইন্টারন্যাশনালের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও সফলভাবে পরিচালনা করছেন। যার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে তুলে ধরার পাশাপাশি ভ্রমণ, বাণিজ্য ও সরকারি খাতের কার্যক্রমকে ডিজিটাল সলিউশনের মাধ্যমে সহজতর করেছেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের সাথে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে অনুষ্ঠিত সিএইচওজিএম’র সময় বাংলাদেশ ট্রেড সেন্টার গঠন ও উদ্বোধনের আয়োজন করেন।
তিনি সাংহাই ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের আয়োজন করেন এবং পরবর্তীতে কিরগিজস্তানে ট্রেড সেন্টারের উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈশ্বিক উপস্থিতি বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। এর পাশাপাশি তিনি শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে অবস্থিত ডালাডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ জাদুঘরে “বাংলাদেশ গ্যালারি” গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারকে পদ্ধতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এগিয়ে নিব: বিএসইসি চেয়ারম্যান
দেশের পুঁজিবাজারের পদ্ধতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে বাজারকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি বলেন, বিএসইসি পুঁজিবাজারের সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাগুলোর সাময়িক সমাধান নয়, বিশ্বমানের যুগোপযোগি সংস্কারের মাধ্যমে টেকসই ও নিশ্চিত সমাধানে কাজ করছে। পুঁজিবাজারের সংস্কারে টাস্কফোর্স করেছে এবং ফোকাস গ্রুপের মাধ্যমে বাজারের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামত ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেই সংস্কারের রূপরেখা তৈরি হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিএসইসি ভবনে পুঁজিবাজারের শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজ হাউজসমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিএসইসি তিন কমিশনার- মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ; বিএসইসি’র কর্মকার্তাবৃন্দ এবং ব্রোকারেজ হাউজসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারের বাজার মধ্যস্ততাকারীদের সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতপূর্বক সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে। এর মাধ্যমে আগামীতে বাজারে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া সিকিউরিটিজ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করার মাধ্যমে সকল অনিয়ম দূর করে দেশের পুঁজিবাজারকে বিশ্বমানের ও মেধাভিত্তিক করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সভায় ব্রোকারেজ হাউজসমূহের শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দ দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও সংস্কারসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তাদের মতামত ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সুশাসন নিশ্চিতের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির বিষয়টি অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ গুরুত্ব পায়।
সভায় পুঁজিবাজারের বিদ্যমান বিভিন্ন নিয়ম-নীতির প্রয়োজনীয় সংস্কার, বহুজাতিক কোম্পানিসহ ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানির পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ, তালিকাভুক্তিতে উৎসাহ বাড়াতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারের পার্থক্যে সংস্কার, মার্জিন রুলের পুনর্বিবেচনা ও সংস্কার, ইনডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি ও তাদের দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারকে বিনিয়োগবান্ধব করতে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, ক্যাপিটাল গেইন ও ডিভিডেন্ডের উপর আরোপিত করের ক্ষেত্রে সংস্কার আনয়ন, বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা ও আস্থা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়।
এছাড়া বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসারে উদ্যোগ গ্রহণ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আকৃষ্টকরণ, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে সুশাসন নিশ্চিতসহ জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, বাজার মধ্যস্ততাকারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারকে আরো ডিসক্লোজারভিত্তিক করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের সম্ভবনাকে কাজ লাগাতে ও এই খাতের উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ, পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের উৎস পরিণত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, পুঁজিবাজারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নীতিসহায়তা প্রদান এবং নীতি সম্পৃক্ত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সাথে মিলে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং সরকারে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পুঁজিবাজারের গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিতকরণে উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি প্রস্তাবনা সভায় উঠে এসেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
রানার অটোমোবাইলসের লভ্যাংশ ঘোষণা
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে খাতে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। তবে উদ্যোক্তা এবং পরিচালকদের ১ শতাংশ করে লভ্যাংশ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৭ টাকা ৭৫ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৬৬ টাকা ৪৯ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৩ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৭ নভেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
তিতাস গ্যাসের লভ্যাংশ ঘোষণা
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে খাতে তালিকাভুক্ত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৬৭ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৯৮ টাকা ১৫ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৭ নভেম্বর।
এমআই