অর্থনীতি
বিজিএমইএর পর্ষদ বাতিল, প্রশাসক বসালো সরকার
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে সরকার। তার বদলে সংগঠনটিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসক হিসেবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০২২ এর ১৭ ধারা মোতাবেক এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক বাণিজ্য সংগঠন) মো. আবদুর রহিম খানের সই করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, নিয়োগকৃত প্রশাসক ১২০ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ বেশ কিছু বাণিজ্য সংগঠনের পর্ষদ ভেঙে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে বিজিএমইএর সভাপতি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগ মুহূর্তে দেশ ছেড়ে চলে যান তিনি। এরপর বিজিএমইএর সভাপতির দায়িত্ব নেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চাল আমদানিতে শুল্ক-কর কমালো সরকার
চালের সরবারহ বৃদ্ধি ও দাম কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ জন্য চালের আমদানি শুল্ক-কর কমানো হচ্ছে। রোববার (২০ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্ক কমাতে এমন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা এক প্রজ্ঞাপনে আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক হ্রাস এবং আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা ও রেগুলেটরি শুল্ক বা আরডি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার পাশাপাশি আগাম কর ৫ শতাংশ পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুল্ক ও কর প্রত্যাহারে ফলে আমদানি পর্যায়ে চালের দাম ১৪ টাকা ৪০ পয়সা কমবে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের পরিচালক সৈয়দ এ মু’মেন। তিনি বলেন, আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক হ্রাস এবং আগাম কর প্রত্যাহারের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদেশি ঋণ পাওয়ার চেয়ে পরিশোধের চাপ বেশি
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েই চলছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশে যত বিদেশি ঋণ এসেছে, পরিশোধ করতে হয়েছে তার চেয়ে বেশি। এই প্রান্তিকের প্রতি মাসেই ঋণ ছাড়ের চেয়ে পরিশোধিত অর্থের পরিমাণ ছিল বেশি।
আজ রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এতে দেখা গেছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে সুদ ও আসল মিলিয়ে ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে এই সময়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ঋণ ছাড় করানো সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ এই তিন মাসে ঋণ ছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধ প্রায় ২৮ কোটি ডলার ছিল।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ছাড় যেমন কমেছে, তেমনি ঋণ শোধও বেড়েছে। গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম প্রান্তিকে ১২৮ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ এসেছিল, যা এবারের চেয়ে ৪২ কোটি ডলার বেশি। অন্যদিকে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এবার ২৫ কোটি ডলার ঋণ বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে কয়েক শ কোটি ডলার বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অর্থ ছাড় যেমন কমেছে, আবার ঋণ পরিশোধও বেড়েছে। ফলে ঋণ প্রাপ্তি ও পরিশোধের ভারসাম্য নেতিবাচক। কম অর্থ আসছে, বেশি অর্থ শোধ করতে হয়েছে।
এদিকে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি প্রায় তলানিতে নেমেছে। ওই তিন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে ছাড় করা মোট অর্থের মধ্যে অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার। অন্যদিকে একই সময়ে ঋণের আসল হিসেবে ৬৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার এবং সুদ বাবদ ৪৪ কোটি ১০ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিয়ে সয়াবিন তেল কেনার কাজ পেয়েছে সিটি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সিটি এডিবল ওয়েল লিমিটেড।
রোববার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ–বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৫৭ টাকা ৯০ পয়সা।
সবশেষ সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ২৯ জুন। ওই দিন ক্রয় কমিটিতে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার যে সিদ্ধান্ত হয়, তাও সিটি এডিবল ওয়েল লিমিটেড থেকে কেনার সিদ্ধান্ত ছিল। তখন দাম প্রতি লিটারে আরও ৭ টাকা ৪২ পয়সা কম ছিল।
ক্রয় কমিটির রোববারের সভায় চীন, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে দেড় লাখ টন সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়। এর মধ্যে চীন ও মরক্কো থেকে ৪০ হাজার টন করে মোট ৮০ হাজার টন ডিএপি সার ও সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার ডিএপি ও ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২ কোটি টাকা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাড়ছে রিজার্ভ, স্থিতিশীলতার আশ্বাস গভর্নরের
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে টানা রিজার্ভ সংকটে পড়া বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আলোর মুখ দেখেছে। তাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে হাত দেওয়া ছাড়াই বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে পারছে সরকার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার পাশাপাশি আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
রোববার (২০ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
তিনি বলেন, আগের সরকারের সময় যে রিজার্ভ মাসে ১৩০ কোটি ডলার করে কমছিল, এখন সেটা ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। এর মধ্যেই সার ও বিদ্যুতের দেনা পরিশোধে প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আদানি-শেভরনেরও কিছু ঋণ পরিশোধ হয়েছে। সবার দেনাই কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে।
গভর্নর জানান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও অন্যান্য জরুরি সেবা বাবদ সরকারের কাছে ২৫০ কোটি ডলারের পাওনা জমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। গত দুই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৮০ কোটি ডলার পরিশোধ করে এই বকেয়া মাত্র ৭০ কোটি ডলারে নামিয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, এসব দেনা পরিশোধের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, আগামী দুই মাসের মধ্য দেনা শূন্যে নামিয়ে আনা। এতে আমরা সফল হলে বাজারে তারল্য আরও বাড়বে। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে, গত ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার নেট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৮২ কোটি ডলার, আর গ্রস বা মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ডলার।
এদিকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার থেকে আরও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে, বর্তমানে ১০৩ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি ঋণ ও পরিশোধের ধারাবাহিক বাড়তি চাপে কিছুটা চিন্তিত গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, অবস্থা সামাল দিতে ধৈর্য ধরতে হবে অন্তত এক বছর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অনিষ্পন্ন দায়ের বাকি অংশ দুই মাসের মধ্যে পরিশোধ হবে: গভর্নর
দুই মাসে অনিষ্পন্ন দায় ২.৫ বিলিয়ন থেকে কমিয়ে ৭০০ মিলিয়নে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকি অংশও আগামী দুই মাসের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লাসহ যাবতীয় পেট্রোলিয়াম পণ্যের প্রায় পুরোই আমদানি করতে হয় বিভিন্ন উৎস থেকে। যার পেছনে সবশেষ অর্থবছরে ব্যয় হয় প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, বিদ্যুৎ ও সারের ক্ষেত্রেও নির্ভরতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু, গেল বছর দুয়েক ধরে ডলার সঙ্কট শুরু হলে, সেই ব্যয় পরিশোধ করা যায়নি সময়মতো। এই বাস্তবতায়, আদানি, কাফকোসহ, শেভরন ও বিপিসিকে সরবরাহকারী বেশ কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া পড়ে যায় সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে। তবে, গেল দুই মাসে রিজার্ভে হাত না দিয়েই, সেই বকেয়ার দেড় বিলিয়ন পরিশোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তিনি বলেন, ২.৫ বিলিয়নের মতো অনাদায়ী, অনিষ্পন্ন দায় ছিল সরকারের। সেটা ছিল ডলারের। সেটা আমরা কমিয়ে ৭০০ মিলিয়নে নিয়ে এসেছি। সারের জন্য প্রচুর টাকা দেয়া হয়েছে, বিদ্যুতের জন্য দেয়া হয়েছে, আদানি-শেভরনকে দেয়া হয়েছে। সবার দেনাটা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে দেনা জিরোতে নামিয়ে আনব। তখন বাজারে লিকুইডিটা আরও বাড়বে।
এসব বকেয়া পরিশোধের পর, চাপ কমবে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়। যা গতি বাড়াবে সার্বিক কর্মকাণ্ডে। একই সঙ্গে, প্রস্তুতি চলছে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আরো প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহের। কিন্তু, বর্তমানে ১০৩ বিলিয়নের বিদেশি ঋণ ও পরিশোধের ধারাবাহিক বাড়তি চাপে কিছুটা চিন্তিত গভর্নর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, অবস্থা সামাল দিতে ধৈর্য্য ধরতে হবে অন্তত এক বছর।
আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, যদি আমি আইএমএফ থেকে ২-৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত পাই, এর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের আরও ২ বিলিয়ন পাই; তাহলে এই ৫ বিলিয়ন নিয়ে দুটো জিনিস করতে হবে। সরকার কিছু ব্যয় বাড়াতে পারবে, এতে করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কিছুটা গতিশীল পাবে। এখনই লম্প-ঝম্প করলে হবে না যে আমার বিনিয়োগ নাই। এখন বিনিয়োগ হবে না, কম হবে, এটাই বাস্তবতা। এখন বিশ্বব্যাংক বলছে আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়তো ৪ শতাংশে নেমে আসবে। হতে পারে, আমিও মনে করি ৪-৫ মধ্যে হয়তো হবে। হোক; তাও সেটা একটা বছরই তো।