কর্পোরেট সংবাদ
ইউটিলিটি বিল পেমেন্টের ডেডলাইন মিস হবে না বিকাশে
বাসার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যাংকের কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার চিত্র অনেকের কাছেই বেশ পরিচিত ঘটনা। বেসরকারি চাকুরিজীবী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানও তার কর্মব্যস্ত জীবন থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য হয় অফিস থেকে অর্ধদিবস ছুটি নিতেন, নয়তো নির্ভর করতেন বাসা দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির উপর।
এমন অবস্থায় তাঁর জীবনে আক্ষরিক অর্থে স্বস্তি নিয়ে এলো দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ। কেননা, এখন নিজের ফোন থেকেই বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে যেকোনো সময় বিদ্যুৎ বিল সহ আরও নানা ধরণের বিল পরিশোধ করতে পারছেন তিনি।
আসাদুজ্জামান বলেন, গত বছর দুয়েক ধরে বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য বেশকিছু পরিসেবার বিল পরিশোধ করছি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে। বিল পরিশোধের এই প্রক্রিয়া খুব সহজ এবং পুরো বিষয়টি বেশ স্বচ্ছও বটে। পাশাপাশি, বিল পরিশোধ করার সাথে সাথেই ডিজিটাল রিসিট চলে আসে ফোনে। তবে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে দিনে রাতে যেকোনো সময় বিল দেয়ার সুযোগ থাকায় বিল পরিশোধের শেষ তারিখ বা ডেডলাইন মিস করার সম্ভাবনা নেই।
দেশ জুড়ে আসাদুজ্জামানের মতো লক্ষ গ্রাহক বিকাশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ইন্টারনেট, টিভির মতো ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করছেন স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগের এক জরিপেও উঠে এসেছে ইউটিলিটি বিল পেমেন্টের মাধ্যম হিসেবে বিকাশের জনপ্রিয়তার কথা। এই জরিপে (যেখানে একাধিক উত্তর দেওয়ার সুযোগ ছিল) দেখা যায়, দেশের ৬৮.৩২ শতাংশ গ্রাহক বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে পোস্ট-পেইড বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন, আর শুধুমাত্র বিকাশ-এর মাধ্যমেই পোস্ট-পেইড বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন ৬১.১১ শতাংশ গ্রাহক। এছাড়াও, ঐ জরিপে ১৮.০১ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ অফিসে, এবং ১৪.২৬ শতাংশ গ্রাহক অন্যান্য এমএফএস সেবার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন।
বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার ডিভিশনের আওতাধীন পাওয়ার সেল কর্তৃক নিযুক্ত ‘কাস্টমার স্যাটিসফ্যাকশন সার্ভে উইথ রিকমেন্ডেশন অব কোয়ালিটি পাওয়ার সাপ্লাই ইনক্লুডিং এসএআইডিআই/এসএআইএফআই’ (এসএআইডিআই/এসএআইএফআই ব্যবহারপূর্বক মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের পরামর্শসহ গ্রাহক সন্তুষ্টি সমীক্ষা) শীর্ষক জরিপটি পরিচালনা করে উন্নয়ন সংস্থা মাইডাস (মাইক্রো ইন্ডাসট্রিজ ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্টেন্স অ্যান্ড সার্ভিসেস)। জরিপটি করা হয় ২০২৩ সালের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, রংপুর, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির ১৫ হাজার ২৪৫ জন গ্রাহকের উপর জরিপটি চালানো হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫২.০১ শতাংশ গ্রাহক প্রি-পেইড বিদ্যুতের মিটার এবং ৪৭.৯৯ শতাংশ পোস্ট-পেইড মিটার ব্যবহার করেন। ৬৯.৮৭ শতাংশ মোবাইল বা অনলাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন। জরিপে উত্তর দেয়া ৯৯.১২ শতাংশ গ্রাহক এমএফএস ও অনলইনে বিল পরিশোধে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ সেবাকে নিয়ে ৪৬.৫ শতাংশ গ্রাহক ‘ভালো’, ২৯.৫ শতাংশ ‘খুব ভালো’ এবং ২৩.১ শতাংশ গ্রাহক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
জরিপে আরও দেখা গিয়েছে, অনলাইনে বিল দেয়া বর্তমানে অনেক আধুনিক ও নিরাপদ একটি সেবা, যা আগের চেয়ে অনেক সহজ এবং গ্রাহকরা ঘরে বসেই পেমেন্ট করতে পারছেন। গ্রাহকরা যাতে ঘরে বসেই নির্বিঘ্নে বিল পরিশোধ করতে পারেন, সে বিষয়ে ইউটিলিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় জরিপটিতে।
কেবল ইউটিলিটি বিলই নয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি, সরকারি ফি, ক্রেডিট কার্ডের বিলসহ বিভিন্ন সেবার বিল বিকাশ-এর মাধ্যমে পরিশোধ করার সুবিধা গ্রাহকের জীবনকে করেছে আরও সহজ ও গতিশীল।
প্রয়োজনের মুহূর্তে বিল পরিশোধের জন্য বিকাশ-এ পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলেও সমস্যায় পড়তে হয়না বিকাশ অ্যাপের ‘অ্যাড মানি’ সেবার কল্যাণে। কেননা, দরকারের সময় গ্রাহক তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা ভিসা, অ্যামেক্স বা মাস্টারকার্ড থেকে নিমেষেই টাকা ট্রান্সফার করতে পারেন নিজের বা প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। আবার, বিকাশ অ্যাপে আছে ‘অটো পে’ সুবিধা, যা সেট করে রাখলে নির্দিষ্ট ইউটিলিটি বিলের ক্ষেত্রে নির্ধারিত তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল পেমেন্ট হয়ে যায়।
এই সেবা চালু করে রাখলে ডেডলাইন মিস হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো যায় খুব সহজেই। বিকাশ থেকে ইউটিলিটি বিল পেমেন্টের বিস্তারিত দেখে নেয়া যাবে এই লিংকে – https://www.bkash.com/products-services/pay-bill
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের নবনিযুক্ত সিকিউরিটি গার্ডদের ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন
ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির (আইবিটিআরএ) উদ্যোগে নতুন যোগদানকৃত সিকিউরিটি গার্ডদের ‘পেশাগত দক্ষতা অর্জন, প্রশিক্ষণ ও পরিচিতি কর্মসূচি’ বিষয়ক দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১০ নভেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতিথি হিসেবে এ প্রোগ্রাম উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও আইবিটিআরএর প্রিন্সিপাল কে.এম. মুনিরুল আলম আল- মামুন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমিনুর রহমান। এসময় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মিয়া ও ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ সাইদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
১৪১ জন প্রশিক্ষণার্থী দিনব্যাপী এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
চট্টগ্রামে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মিটিং
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের শাখাসমূহের অংশগ্রহণে বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের স্থানীয় একটি হোটেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ইভিপি ও এসএএমডি এর প্রধান মুহাম্মদ মিজানুল কবির, ইভিপি ও চট্টগ্রাম জোনাল প্রধান সৈয়দ মো. সোহেল এবং ইভিপি ও আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক সালেহ উদ্দীন কুতুবী।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম অঞ্চলের শাখা ব্যবস্থাপকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ চলমান পরিস্থিতিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ, শ্রেণিকৃত ও অবলোপনকৃত বিনিয়োগ থেকে আদায়ের জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ভিসা পেমেন্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস জিতলো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড
তিন বিভাগে ভিসা পেমেন্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪ জয় করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। ভিসা লিডারশিপ কনক্লেভ ২০২৪ এর অংশ হিসেবে আয়োজিত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড বিভাগে সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘এক্সেলেন্স ইন কনজ্যুমার কার্ড’ এবং ইস্যু বিভাগের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘এক্সেলেন্স ইন কন্টাক্টলেস পেমেন্টস’ ও ‘এক্সিলেন্স ইন ক্রস-বর্ডার পেমেন্টস – ক্রেডিট’ অর্জন করেছে। অ্যাওয়ার্ড তিনটি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মূল্যবান গ্রাহকদের জন্য একটি বিস্তৃত নগদবিহীন ইকোসিস্টেম তৈরির প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ক্যাশলেস বাংলাদেশ হয়ে ওঠার যাত্রায় আমরা ভিসার মতো অংশীদারদের পেয়ে আনন্দিত। নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং সহজ পেমেন্ট প্রক্রিয়ার প্রচার ও প্রসার এর লক্ষ্যে আমরা ভিসার সাথে কাজ চালিয়ে যাবো। আমাদের সমস্ত গ্রাহক, নিয়ন্ত্রক এবং অংশীদারদের অবিরাম বিশ্বাস এবং সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি আমার সহকর্মীদের কাছেও কৃতজ্ঞ, যাদের উদ্যোগী মনোভাবের কারণে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী (সিইও) নাসের এজাজ বিজয় এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ওয়েলথ অ্যান্ড রিটেইল ব্যাংকিংয়ের প্রধান মোহাম্মদ লুৎফুল হাবিব ব্যাংকের পক্ষে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।
দেশে ১২০ বছরের নিরবচ্ছিন্ন উপস্থিতির ধারাবাহিকতায়, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশই একমাত্র বহুজাতিক সার্বজনীন ব্যাংক। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিনিয়োগের মাধ্যমে, বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তি প্রচারে সেবার পরিসর ও স্কেল বৃদ্ধি করে এবং অংশীদারদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরিতে বাণিজ্য ও উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বছরের পর বছর ধরে, ব্যাংকটি বাজারে একাধিক ক্ষেত্রে প্রথম উদ্ভাবক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ডিজিটাল পেমেন্টে অগ্রগামী হিসেবে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সারা বাংলাদেশে গ্রাহকদের এমন পণ্য সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা তাদের সঞ্চয় করতে, ব্যয় করতে এবং বিভিন্ন ব্যতিক্রমী পুরস্কার এবং অফার উপভোগ করতে সক্ষম করে। ডিজিটাল পেমেন্টে অগ্রগামী হিসেবে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সারা বাংলাদেশে গ্রাহকদের সঞ্চয় করতে, ব্যয় করতে এবং বিভিন্ন ব্যতিক্রমী পুরস্কার এবং অফার উপভোগ করার সুযোগ সহজে করে দেয়, এমন পণ্য সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
ব্যাংকের ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড অফারগুলি অত্যাধুনিক উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা কার্ডধারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সাহায্য করে। বিশ্বে ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে অগ্রদূত ভিসা ইনকর্পোরেটেড। ভিসার লক্ষ্য হলো সবচেয়ে উদ্ভাবনী, নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পেমেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্বকে সংযুক্ত করা– ব্যক্তি, ব্যবসা এবং অর্থনীতিকে উন্নত করতে সক্ষম করা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
গ্রামে ১ হাজার গাছ রোপণ করলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি হল কৃষক ও কৃষিজ সম্পদ। বন্যা-পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসীর কৃষিজ সম্পদের প্রতিস্থাপনের অংশ হিসেবে নিজ গ্রামে এক হাজার ফলজ গাছ রোপন করলেন পরিবেশ, ভ্রমণ ও এ্যাভিয়েশন বিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম।
শনিবার (৯ নভেম্বর) নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দশানী টবগা গ্রামে আম, জাম, কাঁঠাল, পেঁয়ারা, কাঠবাদাম, বাক্সবাদাম, লেবু ইত্যাদি গাছ রোপণ ও বিতরণ কার্যক্রম আয়োজন করা হয়।
এই কার্যক্রম সম্পাদনে সহযোগী হিসেবে ছিল মিশন গ্রিন বাংলাদেশ ও এসএমএস এনভায়রনমেন্টাল এলায়েন্স।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম বলেন, ফলজ গাছ শুধুমাত্র আমাদেরকে বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনই দেয়না বরং এসব গাছ থেকে প্রাপ্ত ফল আমাদের শরীরে ভিটামিনের যোগানের পাশাপাশি ফল বিক্রয়ের মাধ্যমে সংসারে অর্থকড়িও দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে পরিমাণ অক্সিজেন প্রকৃতি থেকে বিনামূল্যে নিচ্ছি সেটা কোন হাসপাতাল থেকে নিতে গেলে প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের অর্থ গুণতে হত। জীবনে আমরা সবকিছুর জন্য অর্থ খরচ করলেও কেবলমাত্র প্রতিনিয়ত অক্সিজেন গ্রহণের জন্য খরচ করি না। কেউ না কেউ গাছ লাগিয়েছে বলেই কিন্তু আমরা নির্মল বাতাস গ্রহণ করতে পারছি। তাই আসুন আজ থেকে নিজের অক্সিজেনের ও ভিটামিনের যোগান নিজেই দেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাটখিল উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. মোকছেদ মিয়া বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বন্যা পরবর্তী বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম এলাকার মধ্যে সবুজের ভারসাম্য রক্ষায় যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। যেহেতু বন্যার কারনে গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃক্ষরোপন ও বিতরণ প্রসঙ্গে মিশন গ্রিন বাংলাদেশের আহ্বায়ক আহসান রনি বলেন, ‘সারা দেশকে আমরা সবুজ করতে চাই। দেশ সবুজ হলে অনেকাংশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিই শুধু কমবে না বরং আমাদের দেশ ফিরে পাবে তার হারানো রূপ। আমরা ফিরে পাব সবুজ, শ্যামল বাংলাদেশ। এছাড়াও আমরা বুকভরে নিতে পারব নির্মল বাতাস।‘
গ্রামের বাসিন্দা সমাজসেবক ও সদ্যবিদায়ী দশানী টবগা গ্রামের (৭ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর সালেহ আহমেদ সুমন বলেন, সম্প্রতি বন্যায় পাড়া-মহল্লায় এবং নার্সারিতে ও বনজ ও ফলদ গাছগুলো মারা যাওয়ায় এই মুহুর্তে নতুন উদ্যোমে বৃক্ষরোপণ অতিব জরুরি ছিলো। এছাড়াও, বর্তমানে ফলমূলের দাম আকাশচুম্বী তাই অনেকেই ফল থেকে প্রাপ্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন নিতে পারছে না। এ থেকে সমাধানের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ফলগাছ রোপন করা। আমাদের গ্রামে এই এক হাজার ফলজ গাছ রোপনের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের শুধুমাত্র ফলের চাহিদাই পূরণ করবে না বরং একইসাথেই অক্সিজেনেরও যোগান দিবে।
প্রসঙ্গত, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে প্রতি বছর বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার প্রভাব শহরের পাশাপাশি গ্রামেও পড়ছে। এসব মোকাবেলায় নগরাঞ্চলে নানান পদক্ষেপ বা কর্মসূচী লক্ষণীয় হলেও গ্রামে সেটা অপ্রতুল। তাই উষ্ণতা কমাতে হোক কিংবা ফল খেতেই হোক, প্রচুর পরিমানে গাছ লাগানো গেলেই উষ্ণতা কমতে শুরু হবে বলে মনে করেন পরিবেশ ও জলবায়ু বিজ্ঞানীরা।
উল্লেখ্য, কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম গত সপ্তাহে গ্রামে পাঁচশত তালবীজ রোপন করেন। এছাড়াও কিছুদিন আগে রাজধানী ঢাকায় পাঁচশত নিমগাছ রোপন ও নিয়মিত পরিচর্যার ব্যবস্থা করেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এবি ব্যাংকের বুথ উদ্বোধন
পূর্ণাঙ্গ আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা নিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নতুন আঙ্গিকে কালেকশন বুথের উদ্বোধন করেছে এবি ব্যাংক পিএলসি। ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখার অধীনে পরিচালিত এই বুথটি ইনস্টিটিউটের সকল ফি জমা নেয়াসহ ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের পে-রোল সুবিধাদি প্রদান করবে।
বুথটির উদ্বোধন করেন এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও তারিক আফজাল এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসএম