পুঁজিবাজার
প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন বিনিয়োগকারীরা
পুঁজিবাজারে পতন অব্যাহত রয়েছে।এতে বিনিয়োগকারীরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়ে নিঃস্বপ্রায়। এমন পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনয়ন ও বিনিয়োগকারীদের পুঁজি রক্ষায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি দিলেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে ৪ জন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় উপস্থিত হয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। এর আগে, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের গণসংযোগ ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে এ স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কর্মসূচিতে নারী ও পুরুষ বিনিয়োগকারীরা অংশ নেন।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে বাংলাদেশ জনস্বার্থ সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক বুলবুল আহমেদ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি বলা হয়, পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ক্ষতিগ্রন্থ। বাজার থেকে গত ১৬ বছরে বিগত স্বৈরাচার সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিনিয়োগকারীদের পথে বসিয়েছে। শেষ সম্বল টুকু হারানোর কষ্টে অনেকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছে। ছাত্র জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে গত স্বৈরাচার সরকার পতন হলে বিনিয়োগকারীরা আশায় বুক বেঁধে ছিল যে, তাদের হারানোর পুঁজি তারা ফেরত পাবে, কিন্তু অবস্থা সম্পূর্ণ বিপরীত দেখা গেল। বর্তমান গণ বিপ্লবের সরকার গঠন হওয়ার পরে যে কমিশন দায়িত্ব নিয়েছে তারা বিনিয়োগকারীদের রক্ষার বিপরীতে তাদের পুঁজি যতটুকু ছিল তাও হারিয়ে যাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, বর্তমান কমিশনের খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত যেমন হুট করে কোম্পানীগুলোকে জেড কেটাগরিতে পাঠিয়ে দেওয়া হুটহাট করে বাজারের জন্য ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত নেওয়া পুঁজি হারানোর বড় কারণ। তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ৯০ শতাংশ শেয়ারের দর ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেছে। এতে করে বিনিয়োগকারীরা সরণকালের সর্ব্বোচ্চ ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নজির স্থাপন করবেন এবং বিনিয়োগকারীদের হারানো পুঁজি ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে প্রধান উপদেষ্টার নিকট আবেদন করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মূলধন ঘাটতিতে জেনারেশন নেক্সটের উৎপাদন বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষের পর পরিস্থিতির অবনতি এবং কার্যকরী মূলধনের ঘাটতির কারণে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস লিমিটেডের (জিএনএফএল) উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির একজন পরিচালক শাহীন আক্তার চৌধুরী আজ ডিএসইকে অবহিত করেছেন যে তারা শ্রম অসন্তোষ এবং কার্যকরী মূলধনের ঘাটতির কারণে কাজ বন্ধ করার বিষয়ে গত ২০ অক্টোবর তারিখে বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) একটি চিঠি জমা দিয়েছেন।
এই পরিচালক আরও জানান, কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগাযোগের বাইরে রয়েছেন এবং দেশের বাইরেও থাকতে পারেন। কোম্পানিটি চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অন্যান্য পরিচালকদের অনুপস্থিতিতে অসম্পূর্ণ কোরামের কারণে পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম। এছাড়াও স্বাক্ষরকারী কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতির কারণে ব্যাংকিং লেনদেন পরিচালনা করতে অক্ষম।
এসব বিষয় উল্লেখ করে সংকট পরিস্থিতি উত্তরণে কোম্পানিটির এই পরিচালক বিএসইসির কাছে পরামর্শ চেয়েছেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাউথইস্ট ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করেছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক জোসনা আর কাশেম ১৩ লাখ শেয়ার ক্রয় করেছেন।
এর আগে, ১৭ অক্টোবরের উল্লেখিত শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দেন এই উদ্যোক্তা পরিচালক।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করেছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির উদ্যোক্তা সরোয়ার জামান চৌধুরী ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৩২টি শেয়ার ক্রয় করেছেন।
এর আগে, ২৮ অক্টোবরের উল্লেখিত শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দেন এই উদ্যোক্তা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের দুর্দিনে নিষিদ্ধ ফরেক্স ও ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ে মেতেছে যুবসমাজ
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার গত কয়েক বছরে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। বাজারের অস্থিতিশীলতা, নিয়মিত মূল্য হ্রাস এবং দুর্বল অর্থনৈতিক পরিবেশ অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে হতাশ করেছে। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ফরেক্স ট্রেডিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি, বাইন্যান্স ট্রেডিং এবং অনলাইন অপশন ট্রেডিংয়ের এজেন্টরা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লক্ষ্য করে অবৈধ ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে আকৃষ্ট করছে নিয়মিত। অনেক বিনিয়োগকারী, বিশেষতঃ তরুণ সমাজ ও শিক্ষার্থীরা পুঁজিবাজারের লোকসান পুষিয়ে নিতে দ্রুত আয়ের প্রতিশ্রুতিতে এসব অবৈধ ট্রেডিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
বাংলাদেশ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, ফরেক্স ট্রেডিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন, বাইন্যান্স ট্রেডিং এবং অপশন ট্রেডিং নিষিদ্ধ, যা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তবে এই নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, যুবসমাজ ও শিক্ষার্থীরা বিপুল পরিমাণে এই ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মগুলোর দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। অধিকাংশই জানে না যে, এই ট্রেডিং কার্যক্রমগুলো আইনতঃ অবৈধ। আবার অনেকে জানার পরেও আইন অমান্য করে দ্রুত আয়ের আশায় এই অবৈধ পথে পা বাড়াচ্ছে। একদিকে তারা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির মুখে পড়ছে, অন্যদিকে দেশের অর্থ পাচারের একটি বৃহৎ ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, যা কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এইসব অবৈধ ট্রেডিং কার্যক্রম দেশে অর্থ পাচারের একটি বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। আন্তর্জাতিকভাবে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে চলে যাচ্ছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ তৈরি করছে। এছাড়া, এই ধরনের অবৈধ ট্রেডিং দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে দুর্বল করছে এবং সাধারণ মানুষকে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে ফেলছে।
ফরেক্স ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো অবৈধ ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মগুলো বাংলাদেশে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে প্রচলিত হয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এজেন্টরা ভূয়া বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব ট্রেডিং কার্যক্রমকে বৈধ এবং লাভজনক হিসেবে তুলে ধরছে। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন শুধু তরুণদের আকৃষ্ট করছে না, বরং পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরও বৈধ বিনিয়োগ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
অবৈধ ট্রেডিং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সক্রিয়ভাবে এই অবৈধ প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর নজরদারি চালাতে হবে। অনলাইনে মিথ্যা বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে আরও সক্রিয় হতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ অবৈধ ট্রেডিংয়ে প্রভাবিত না হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট এই বিজ্ঞাপনগুলোর প্রচার বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এছাড়াও, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা যেতে পারে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগ সংস্থাগুলোতে কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বৈধ এবং অবৈধ বিনিয়োগের মধ্যে পার্থক্য, মানি লন্ডারিং আইন, শাস্তি, ইত্যাদি বোঝানো যেতে পারে। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদেরও একইভাবে সচেতন করতে হবে, যাতে তারা বৈধ পুঁজিবাজারে ধৈর্য ধরে বিনিয়োগ চালিয়ে যায় এবং কোনো ধরনের অবৈধ ট্রেডিংয়ের ফাঁদে পা না বাড়ায়।
বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল পুঁজিবাজার অপরিহার্য। তবে, বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে ধরে রাখতে হলে বৈধ বিনিয়োগের প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধার করা জরুরি। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারকে ফরেক্স, ক্রিপ্টো এবং অনলাইন ট্রেডিংয়ের মতো ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ লেনদেনের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করা যেতে পারে।
লেখক: মো. সাইফুল ইসলাম (পিপন), স্টক এনালিস্ট (শিক্ষানবিশ)।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ভ্যানগার্ড রূপালী ব্যাংক ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে ১০৭ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এদিন দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (৪ নভেম্বর) ভ্যানগার্ড রূপালী ব্যাংক ফান্ডের ইউনিটদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে ২০ পয়সা বা ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। তাতে দরপতনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড-১ এর ইউনিট দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ৬ শতাংশ। আর ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- জাহিন স্পিনিং, সিটি ইন্স্যুরেন্স, এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড-১, শামপুর সুগার, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান, ফার্স্ট ফাইন্যান্স এবং আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড।
এসএম