ধর্ম ও জীবন
বায়তুল মোকাররমে নতুন খতিব নিয়োগ
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে নতুন খতিব নিযুক্ত করা হয়েছে। ইসলামি আইন বিশেষজ্ঞ ও হাদিস বিশারদ মুফতি আবদুল মালেককে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এই পদে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মুফতি আবদুল মালেক দেশ-বিদেশের প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামিক স্টাডিজ, হাদীস ও ফিকহে ইসলামির ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী একজন প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার। বিশ্বখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত মুফতি বিচারপতি তাকী ওসমানী তার উস্তাদ। সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত ইমাম মোহাম্মদ ইবনে সাউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উসুলুদ্দীন অনুষদের অধ্যাপক শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহর অধীনে তিনি দুই বছর হাদীস ও ইসলামি আইন বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনা করেন।
মুফতি আবদুল মালেক মক্কা, মদীনা, পাকিস্তান, ভারত ও তুরস্ক সফর করেছেন এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। তিনি ইতোমধ্যে বাংলা, আরবি, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় মোট ১৬টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এছাড়া তার তত্ত্বাবধানে মাসিক আল-কাউসার নামে নিয়মিত একটা গবেষণা পত্রিকা বের হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় না
জুমা অর্থ সম্মিলন বা জমায়েত। জুমা শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো কিছু সংখ্যাক মানুষের জমায়েত। কিছু সংখ্যাক মানুষ একসাথে জামাতবদ্ধ হয়েই জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ একা আদায় করা গেলেও জুমার নামাজ একা আদায় করা যায় না।
কোন জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে একটি শর্ত হলো জুমা হতে হবে কোনো শহর বা উপশহরে। জনমানবহীন জঙ্গল বা মরূভূমিতে জুমার নামাজ শুদ্ধ হবে না।
শহর ও উপশহরের বাইরে যেসব এলাকায় রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নেই, মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সহজলভ্য নয়, ওইসব এলাকায় জুমা হবে না। যেমন আমাদের দেশের খাগড়াছড়ি বা বান্দরবনের গহীন জঙ্গলে বসবাসকারীদের ওপর জুমা আবশ্যক নয়।
জনবহুল এলাকা থেকে দূরের মরুভূমিতেও জুমার নামাজ পড়া যাবে না। সেনাবাহিনীর কোন ক্যাম্প যদি গহীন পাহাড়ে স্থাপন করা হয়, অথবা মরু অঞ্চলে যদি ট্রেনিংয়ে জন্য সেনা ক্যাম্প করা হয়, তাহলে তারা এসব জায়গায় জুমা পড়া থেকে বিরত থাকবে এবং জোহরের নামাজ আদায় করবে।
হজরত আলী (রা.) বলেন,
لَا جُمُعَةَ وَلَا تَشْرِيقَ إِلَّا فِي مِصْرٍ جَامِعٍ
শহর ছাড়া জুমা ও ঈদের নামাজ নেই। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ৫১৭৫)
জুমার নামাজ শুদ্ধ হওয়ার আরেকটি শর্ত হলো যে জায়গায় জুমার নামাজ হবে, ওই জায়গাটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা। সবার জন্য উন্মুক্ত নয় এ রকম জায়গায় জুমা শুদ্ধ হয় না। যেমন জেলখানার মসজিদে জুমা শুদ্ধ হয় না। অফিসের নামাজ ঘর বা কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য বিশেষায়িত মসজিদ যদি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত না হয়, তাহলে সেখানে জুমা শুদ্ধ হবে না।
স্বাভাবিক অবস্থায় জুমার নামাজ কোনো জামে মসজিদে আদায় করাই বাঞ্চনীয়। তবে কখনও যদি বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয়, যেমন কোনো বড় সমাবেশ বা মাহফিলে যদি বহু সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হয়, যাদের জুমা আদায় করার মতো জায়গা আশপাশের জামে মসজিদগুলোতে নেই, তাহলে তারা জুমার অন্যান্য শর্ত পূরণ করে সমাবেশস্থলে বা কোনো মাঠেও জুমার নামাজ আদায় করতে পারেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হজযাত্রীদের বিমান টিকিটের আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার
হজযাত্রীদের জন্য বিমান টিকিটের ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ফলে হজের খরচ কমবে বলে মনে করছে রাজস্ব বিভাগ। এ ছাড়া যাত্রী নিরাপত্তা ফি, এম্বারকেশন ফি ও এয়ারপোর্ট নিরাপত্তা ফির ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ সোমবার এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে এনবিআর।
বর্তমানে সৌদি আরবগামী বিমান টিকিটের ওপর চার হাজার টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। হজযাত্রীদের জন্য এটি মওকুফ করা হলো। এ ছাড়া সার্কভুক্ত দেশের বিমান টিকিটের ওপর দুই হাজার টাকা; সার্কভুক্ত দেশের বাইরে অন্য দেশের টিকিটের ওপর চার হাজার টাকা এবং উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, হংকং, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস ও তাইওয়ানের বিমান টিকিটে ছয় হাজার টাকা শুল্ক দিতে হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৪ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবার বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের সুযোগ পাবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ট্রাম্পের মন্তব্য আমাদের বিব্রত করেছে: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ট্রাম্প (ডোনাল্ড ট্রাম্প) যে মন্তব্য করেছেন, এটা আমাদের অনেককে বিব্রত করেছে। কারণ, আমরা এখানে (বাংলাদেশে) যাঁরা আছি, তাঁরা মনে করি, সকল ধর্মাবলম্বীদের রাজনৈতিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অধিকার স্বীকৃত। ফলে অন্য ধর্মাবলম্বীদের হয়রানি করা হচ্ছে, এমন ধরনের যে অভিযোগ আমরা শুনি, আমরা এ কথাগুলোর সঙ্গে একমত নই।
ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ড্যাফোডিল ইসলামিক সেন্টার আয়োজিত আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে দুই দিনব্যাপী ‘সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স বাংলাদেশ-২০২৪’–এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বাংলাদেশ হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতা ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন।
খালিদ হোসেন বলেন, ভোটের ময়দানে অনেকে অনেক কথা বলেন, হয়তো মি. ট্রাম্প ভোট পাওয়ার জন্য এসব কথা বলেছেন। তবে আমরা বিশ্বাস করি ও আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ যে এ দেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী যাঁরা আছেন, তাঁরা নিরাপদে আছেন। তাঁদের ধর্ম, ব্যবসা, রাজনৈতিক অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি। এটা আমাদের অঙ্গীকার। কেউ যদি কারও কোনো উপাসনালয় অপবিত্র করতে চায়, আমরা মনে করি তারা কোনো ধর্মের লোক নয়, তারা অপরাধী। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের।
খালিদ হোসেন আরও বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি, এ দেশের যাঁরা নাগরিক, নানা ধর্মাবলম্বী আছেন, প্রত্যেকের নাগরিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার, ব্যবসায়িক অধিকার আছে। এটা সাংবিধানিক অধিকার। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের পূজা–পার্বন উৎসবগুলো গেল, তাঁদের আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়েছি। তাঁদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। এগুলো সরকারের বিবেচনায় আছে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা মনে করি সহনশীলতা না থাকলে আমরা সুন্দর, বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারব না। বিভেদ কমিয়ে পারস্পরিক সম্মান, সহিষ্ণুতা, সম্প্রীতির আবহ যদি আমরা তৈরি করতে পারি, তাহলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
তুরস্কে কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের মুয়াজ
তুরস্কে অনুষ্ঠিত নবম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। ২০১৬ সালের পর তুরস্কের এ প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় জোহরের নামাজের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাত থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধায়নে এ প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে দেশের শতশত মেধাবী হাফেজদের পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করে তুরস্ক আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হন মুয়াজ মাহমুদ।
এছাড়া, চলতি বছরের ২১ আগস্ট মক্কায় ৪৪তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১২৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম স্থান অর্জন করে। সে সময় হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ ১৫ পারা গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
হাফেজ মুয়াজ ঢাকার মিরপুর-১ এ অবস্থিত মারকাজু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী, ঢাকার কিতাব বিভাগের ছাত্র। তিনি এ মাদরাসা থেকে হাফেজ হয়ে এখন কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
খরচ কমিয়ে আগামী বছরের হজ প্যাকেজ ঘোষণা
২০২৫ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম ড. খালিদ হোসেন। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে এবার প্রথমবারের মতো দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে ২০২৫ সালের এ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, সাধারণ হজ প্যাকেজ ১ এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। সাধারণ হজ প্যাকেজ ২ এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা।
গতবারের তুলনায় ১ লাখ ৯ হাজার ১৪৫ টাকা কমে সরকারিভাবে সাধারণ হজ প্যাকেজের ১ এর মূল্য ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২শ ৪২ টাকা নির্ধারণ। হজ ব্যববস্থাপনায় যুক্ত নয় এমন কাউকে সরকারি টাকায় হজে নেয়া হবে না।
হজের দুটি প্যাকেজের একটি পবিত্র কাবা শরিফ থেকে এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে যারা থাকবেন তাদের জন্য, আরেকটি কাবা শরিফের আড়াই থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে যারা থাকবেন তাদের জন্য। দুটি প্যাকেজেই গত বছরের চেয়ে খরচ কমেছে।
ধর্মমন্ত্রণালয় জানায়, মক্কার হারাম শরিফ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে আজিজিয়া নামক স্থানের সঙ্গে মিল রেখে প্যাকেজের নাম ‘আজিজিয়া’ রাখা হচ্ছে। ২০২০ সালে তৎকালীন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত শেখ মো. আবদুল্লাহ এ প্যাকেজ চালুর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু করোনার কারণে তা আটকে যায়। দুবছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে পুনরায় হজ চালু হলে এটি নিয়ে আর তেমন আলোচনা হয়নি। কিন্তু ২০২৩ সালে হজের খরচ দেড় লাখ টাকা বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে এ প্যাকেজ চালুর উদ্যোগ নেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। কিন্তু নানা কারণে সে বছর এটি বাস্তবায়িত হয়নি। এবার সেই প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।
এর আগে ২০২৪ সালের সাধারণ প্যাকেজের জন্য খরচ নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা, আর বিশেষ প্যাকেজের জন্য ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা।
এমআই