খেলাধুলা
৪৬ রানে অলআউট হয়ে ভারতের রেকর্ড!
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে একেবারেই উড়ন্ত ছন্দে ছিল ভারত। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টের প্রথম দুই সেশন বাদ দিলে আর কখনোই বাংলাদেশ স্বাগতিকদের চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি। কিন্তু উল্টো এক চিত্র দেখা গেল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। বেঙ্গালুরু টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিনটায় রীতিমত ভারতকে লজ্জা দিয়েছে সফরকারী দলটি।
ভারতকে বাগে পেয়ে এদিন শুরু থেকেই চেপে বসেছে নিউজিল্যান্ডের পেস লাইনআপ। টিম সাউদি ইনিংসের শুরুতেই রোহিত শর্মাকে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন। এরপরের কাজটা সেরেছেন উইল ও’রুর্কি আর ম্যাট হেনরি। সেইসঙ্গে চারটা দুর্দান্ত ক্যাচের সুবাদে ভারত পেয়েছে নিজেদের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোরে অল আউটের লজ্জা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্টে ভারত অলআউট হয়েছে ৪৬ রানে। ঘরের মাঠে এটিই ভারতের টেস্টে সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। সেইসঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও এটিই সবচেয়ে কম রানে আউট হওয়ার নজির। তবে সামগ্রিকভাবে এটি ৩য় সর্বনিম্ন। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০২০ সালে ৩৬ আর ১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত করেছিল ৪২ রান।
বৃষ্টিবিঘ্নিত এই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাঠে নেমেই স্বাগতিক ব্যাটারদের ওপর চড়াও হয়েছে নিউজিল্যান্ড। লাঞ্চের আগে ৩৪ রান তুলতেই নেই ভারতের ৬ উইকেট। তারমাঝে ৪ জন ফিরেছেন শূন্য রানে। পরে তাতে যোগ হয়েছে আরও একজনের নাম। ভারতের জন্য টেস্টে এক ইনিংসে ৫ ডাক মারার ঘটনা এটি ষষ্ঠবার।
লাঞ্চের আগেই ৩৪ রানে ৬ উইকেট পতনের ঘটনা ভারতের জন্য ঘরের মাঠে বিগত ৫৫ বছরে সবচেয়ে দ্রুত প্রথম ছয় উইকেট হারানোর ঘটনা। এর আগে ১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই হায়দরাবাদ টেস্টে ২৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল তারা। তবে এবারে নিউজিল্যান্ডের পেস ইউনিট এমন কিছু করবে তা হয়ত ভেবেও দেখেনি ভারত।
শুরুটা ৯ রানে রোহিত শর্মার উইকেট নিয়ে। বড় শট খেলতে গিয়ে টিম সাউদির বলে ভারত অধিনায়ক হয়েছেন বোল্ড। উইল ও’রুর্কি কিছুটা বাড়তি বাউন্সে কোহলিকে ফেলেছেন ফাঁদে। লেগ গালিতে গ্লেন ফিলিপ্সের অসাধারণ ক্যাচে ডাক মেরে ফিরতে হয় তাকে। পরের ওভারেই ম্যাট হেনরির বলে আলতো শট খেলতে গিয়ে ডেভন কনওয়ের আরেকটি অসামান্য ক্যাচে ফিরতে হয় সরফরাজ খানকে।
এরপর ঋষভ পান্ত আর যশস্বী জয়সওয়াল কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও সেটা হয়নি। দুজনের জুটি টিকেছে ২৩ রান পর্যন্ত। এরইমাঝে হানা দেয় বৃষ্টি। সেই বিরতির পর ফের আঘাত করে নিউজিল্যান্ড। যশস্বী জয়সওয়াল ৬৩ বলে ১৩ রান করে ক্যাচ দিতে বাধ্য হয়েছেন। এরপরেই ডাক মেরেছেন লোকেশ রাহুল এবং রবীন্দ্র জাদেজা। ভারতের রান তখন মোটে ৩৪। এরপরেই আসে লাঞ্চ বিরতি।
লাঞ্চের পর প্রথম বলেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন মেরেছেন গোল্ডেন ডাক। স্লিপে ক্যাচ দেন ম্যাট হেনরির বলে। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার ঋষভ পান্ত আউট হয়েছেন সেই হেনরির বলেই। টম ল্যাথামকে ক্যাচ দেন তিনি। এরপরেই ১ রান করে ফেরেন জাসপ্রিত বুমরাহ। বাড়তি বাউন্সের বলে উড়িয়ে মেরেছিলেন। ফাইন লেগ থেকে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন হেনরি।
দিনের শেষ উইকেটও পেয়েছেন হেনরিই। টেস্ট ক্যারিয়ারের শততম উইকেট হিসেবে তুলে নেন কুলদীপ যাদবের উইকেট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শান্তকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ
আগের ম্যাচেই হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। শারজাহতে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের ম্যাচে তার দুই বড় পার্টনারশিপ দিয়েছিল জয়ের ভিত। কিন্তু সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে পাওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশের। আগের ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন অধিনায়ক শান্ত। সেটার জেরেই তৃতীয় ম্যাচে তিনি থাকছেন দর্শক হয়ে।
দ্বিতীয় ম্যাচে শর্ট কাভারে ফিল্ডিং করতে গিয়ে কুচকিতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক। পরে মাঠে বাকিটা সময় অধিনায়কত্ব করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যাচ শেষেই শান্ত বলেছিলেন, খানিকটা ব্যাথা তখনো আছে। শেষ ম্যাচের জন্য আজকের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলেছিলেন তিনি। তবে ম্যাচের দিন সকালে শারজাহ থেকে আসেনি কোনো সুসংবাদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবির একটি সূত্র। সেই সূত্রের খবর অবশ্য আরও খানিকটা ধাক্কা দিতে পারে বাংলাদেশকে। শান্ত শুধু এই ম্যাচেই না, মিস করতে পারেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টও। যদিও স্পষ্ট করে এই বিষয়ে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ এই সম্পর্কে কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি।
শারজাহয় সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগে গতকালই এমআরআই করিয়েছিলেন শান্ত। সেটার রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছিল আজকের ম্যাচে তার থাকা বা না থাকা। শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো শঙ্কাটাই। শান্তকে এই ম্যাচে মিস করছে বাংলাদেশ। তার বদলে আজকের ম্যাচে দেখা যেতে পারে জাকির হোসেনকে। এর আগে জাতীয় দলে একটি ম্যাচেই খেলেছিলেন সিলেটের এই ব্যাটার।
গত ম্যাচে শান্তর অনুপস্থিতিতে ফিল্ডিং করেছিলেন জাকির। পরে অবশ্য তিনিও হাঁটুতে ব্যাথা পেয়েছিলেন। যদিও জানা গিয়েছে, হাঁটুর ব্যাথা কাটিয়ে ম্যাচ খেলার মতোই ফিট আছেন এই ওপেনার। আর শান্তর অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক থাকছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
শারজাহতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এখন পর্যন্ত লড়াই হয়েছে সমানে সমান। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৯২ রানের ব্যবধানে। আর পরের ম্যাচে তারাই জয় পেয়েছে ৬৮ রানের ব্যবধানে। এটিই আবার এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রথম জয়। সে হিসেবে কিছুটা আত্মবিশ্বাস নিয়েই এই ম্যাচে বিকেলে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সাফজয়ী মেয়েদের দেড় কোটি টাকা পুরস্কার দেবে বাফুফে
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অপ্রতিরোধ্য চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গত আসরে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবারও ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে নারীরা। তাতে পরপর দুই আসরে শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল তারা। নারীদের এমন নৈপুণ্যে ক্রীড়াঙ্গনে আমেজ বিরাজ করছে। বিভিন্ন সংগঠন-সংস্থা ঘোষণা দিয়েছে বড় অঙ্কের পুরস্কার। এবার সাফজয়ী মেয়েদের জন্য দেড় কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
আজ শনিবার বাফুফের নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মিডিয়া কমিটির প্রধান আমিরুল ইসলাম বাবু। সেখানেই সাবিনা-মারিয়া-তহুরাদের দেড় কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাটি দেন তিনি।
এর আগে সাফ শিরোপা জেতায় চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকেও এসেছিল পুরস্কারের ঘোষণা। বিসিবি নারীদের এমন সাফল্যে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার দেবে। তবে বাকিদের ঘোষণা শেষেও অপেক্ষা ছিল বাফুফে থেকে কেমন পুরস্কারের ঘোষণা আসে, সেটি দেখার। অবশেষে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের নতুন কমিটি মেয়েদের এই পুরস্কার ঘোষণা করলো।
২০১০ সালে বাংলাদেশেই প্রথম সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজিত হয়েছিলো। সার্কভুক্ত দেশগুলো নিয়েই হয় এ আয়োজন। দুই বছর পরপর আয়োজিত এ আসরে টানা দুইবার শিরোপা জিতেছে বাংলার নারীরা। তবে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছে ভারত। সাত আসরের ৫টাই ভারতীয় প্রমীলা দলের দখলে। বাকি দুটো শিরোপা বাংলার নারীদের নামে লিপিবদ্ধ। তবে সাত আসরের মধ্যে ছয়বারই রানার্স আপ হয়েছে নেপাল। বাকি একবার আবার বাংলাদেশ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সিরিজ বাঁচাতে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
মুশফিকুর রহিম ভালো করতে না পারলেও দলের ভেতরে তাঁর উপস্থিতির ইতিবাচক একটা প্রভাব থাকে। সে জায়গায় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে উইকেটরক্ষক ব্যাটারের ইনজুরিতে। লিটন কুমার দাস দলে নেই আগে থেকেই। স্বাস্থ্যগত কারণে যেতে পারেননি তিনি। গুরুত্বপূর্ণ এ দুই ক্রিকেটারের জায়গায় সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা যে বাজিমাত করবেন, সে রকম ব্যাটিং ‘ক্যারেক্টার’ দলে একজনও নেই। তাই পুরোনো গৎবাঁধা ছকে খেলার প্রস্তুতি নেওয়া বাংলাদেশের।
মেহেদী হাসান মিরাজ যদিও বলেছেন, ম্যাচের ছন্দ নিজেদের করে নিতে নতুনভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন। টাইগার এ অলরাউন্ডারের বক্তব্য ফাঁকা বুলির মতোই শোনাচ্ছে। কারণ মরুর বুকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই তো জয়ের স্বপ্ন মরীচিকা হয়ে গেছে। মরূদ্যানে পরাজয়ের কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত হওয়া দলের সামনে আজ আবার সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ। জিতলে রক্ষা, হারলে সমালোচনার তীরে ক্ষতবিক্ষত হবে পুরো দল। নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনীর আশাবাদ ম্যাচ জিততে চাওয়া।
বাংলাদেশের ক্রিকেট আশার ভেলায় ভাসছে অনেক দিন হয়ে গেল। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এক দিনের ক্রিকেটে ভালো করতে পারছে না। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারের মধ্য দিয়ে কেলেঙ্কারির শুরু। বাংলাদেশ দল সেই থেকে কেন যেন কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারছে না। এশিয়া কাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ কোথাও ভালো করতে পারেনি। যদিও এ দুই টুর্নামেন্টেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। শারজায় চলমান দ্বিপক্ষীয় সিরিজে জয়ের ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে ভালো শুরু করেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৯২ রানে হারের লজ্জায় পড়ে। অথচ বোলাররা বেশ ভালো করেছিলেন। তিন পেসার মিলে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে ২৩৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তানকে।
শারজার উইকেট স্পিনারদের ভালো করার রেকর্ড থাকলেও মেহেদী হাসান মিরাজ আর লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন ভালো করতে পারেননি। দু’জনে ২০ ওভার বল করে উইকেটশূন্য। অথচ সেই একই মাঠে আফগান স্পিনাররাই লন্ডভন্ড করে দেন বাংলাদেশের ইনিংস। ১০ উইকেটের ৯টিই গেছে তিন স্পিনারের দখলে। বাজিমাত করেন অখ্যাত অফস্পিনার আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর। রশিদ খানরা আজও যে হুমকি হয়ে উঠতে পারেন, মিরাজদের ভালো করেই জানা।
গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের সুযোগ আছে। একটি ম্যাচ হেরেছি, এখন দুটি ম্যাচ আছে। পরের ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটু ব্যাকফুটে আছি। সাত-আট মাস আগে ওয়ানডে খেলেছিলাম। সবার ভেতরে ওই জিনিসটাও কাজ করছিল। প্রস্তুতিটা ওইভাবেই নিয়েছি। এই মাঠে একটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। ছন্দ নিজেদের দিকে কীভাবে নিতে হবে, সেটা আমরা প্র্যাকটিস করছি। আশা করি, ভালো কিছু হবে।’
প্রথম ম্যাচে ১৩ জনের স্কোয়াড ছিল বাংলাদেশ। পেস ও স্পিনে একজনও বিকল্প বোলার ছিল না নাহিদ রানা ও বাঁহাতি নাসুম আহমেদ ভিসা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে শারজাহ যেতে না পারায়। আজকের ম্যাচে তারা থাকলেও খেলার সম্ভাবনা কম। মুশফিকের চোটের কারণে একটি পরিবর্তন অবধারিত। কিন্তু সে জায়গায় নাসুমের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলীর অভিষেক হতে পারে মুশফিকের জায়গায়। চোট নিয়ে দল থেকে মুশফিক ছিটকে যাওয়া নিয়ে আফসোস থাকলেও নতুন একজনকে দেখে নেওয়ার সুযোগ পাবে টিম ম্যানেজমেন্ট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
জাতীয় দলের কোচ হলেন সালাউদ্দিন
প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের বিভিন্ন দলের কোচিং করিয়ে যাচ্ছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। জাতীয় দলেও সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিমদের গুরু ছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে গত কয়েক বছর ধরে সবচেয়ে সফল এই কোচের জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা চলেছে অনেক। তবে বিভিন্ন কারণে বোর্ডের সঙ্গে তার ব্যাটে-বলে মিলছিল না। অবশেষে দুই পক্ষ এবার চুক্তি করল।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। আগামী বছরের মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত এই কোচের সঙ্গে চুক্তি করেছে বিসিবি। বুধবার (৫ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই চুক্তির বিষয়ে জানিয়েছে বিসিবি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে বিভিন্ন ক্লাব এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সালাউদ্দিন ২০০৬-১০ পর্যন্ত জাতীয় দলে কাজ করেছেন সহকারী কোচ হিসেবে। জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতেও এক বছর কাজ করেছেন স্পেশালিস্ট কোচ হিসেবে।
২০১৪ সালে সিঙ্গাপুর জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সালাউদ্দিন। তার অধীনেই সে বছর বিশ্বকাপ ক্রিকেটের লিগ-৪ ডিভিশনে খেলেছিল দলটি। বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল কোচের একজন সালাউদ্দিন। তার অধীনে বিপিএলে একাধিক শিরোপা জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও বেশ কয়েকবার শিরোপা জিতেছেন তিনি।
জাতীয় দলে সালাউদ্দিনের মতো দেশীয় কোচের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি যখনই বিসিবি সভাপতি হিসেবে যোগদান করেছি, আমি তখন থেকেই শপথ নিয়েছি যে যোগ্য লোকদেরই জাতীয় দলের সঙ্গে রাখব। সালাউদ্দিনের বিস্তর অভিজ্ঞতা, বেড়ে ওঠার পরিবেশ এবং জ্ঞান তাকেঙেই পজিশনের জন্য যোগ্য করে তুলেছে। আমি বিশ্বাস করি এটাই সময় যোগ্য বাংলাদেশি কোচদের সিস্টেমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব নিয়ে যা বললেন হৃদয়
সাম্প্রতিক সময়ে সব ফরম্যাটের অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়ার গুঞ্জন ছিল নাজমুল হোসেন শান্ত’র। তবে আপাতত আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও তাকে নেতৃত্বে রেখেই বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি দুই ফরম্যাটের বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। এর আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে তাওহীদ হৃদয়ের নামও শোনা যাচ্ছিল।
আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আজ (শনিবার) দলের কয়েকজন ক্রিকেটার আরব আমিরাতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ছেন। তার আগে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘এ বিষয়ে বিসিবি সিদ্ধান্ত দেবে। আমার হাতে কিছু নেই। আমি মনে করি, এটা শুধু আমার বা এক-দুজন দিয়ে হবে না। এটা বিসিবি বা যারা দায়িত্বে আছেন, তারা ভালো জানবেন। আমার যেটা মনে হয়, দলের ভালোর জন্য যার কাছে (অধিনায়কত্ব) যাওয়া উচিৎ, তাকেই দেওয়া উচিৎ। আর যার কাছেই যাবে, তার জন্য শুভকামনা।’
জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব নিতে প্রস্তুত কি না প্রশ্নে হৃদয়ের জবাব, ‘আমি এই ব্যাপারটা নিয়ে এখন কথা বলতে চাচ্ছি না। সামনে যেহেতু আমাদের একটা খেলা আছে, এই ব্যাপারটাতেই মনোযোগ দিতে চাচ্ছি।’
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে বাংলাদেশ। তবুও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা হৃদয়ের, ‘আশা করি, ভালোভাবে শুরু করতে পারব। বরাবরই এই সংস্করণে আমরা ভালো খেলে থাকি। এবারও অবশ্যই ভালোভাবে শুরু করতে চাই। আমাদের যে সামর্থ্য আছে, সে অনুযায়ী যদি খেলতে পারি, ভালো কিছু হবে ইনশা-আল্লাহ।’
প্রসঙ্গত, আগামী ৬ নভেম্বর শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১১ নভেম্বর।
এমআই