পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, আমরা অনেকদিন ধরে স্বপ্ন দেখছি পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। আমরা আগামীর যে বাংলাদেশ চাই, সেখানে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের মূল উৎস হওয়া উচিত পুঁজিবাজার।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিএসইসি চেয়ারম্যান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যালয় পরিদর্শনে গেলে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামেরর নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বোর্ডরুমে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ এবং নির্বাহী পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় খন্দকার রাশেদুল মাকসুদ বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে স্বপ্ন দেখছি বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। আমরা আগামীর যে বাংলাদেশ চাই, সেখানে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের মূল উৎস হওয়া উচিত পুঁজিবাজার। এর জন্য আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। আমাদের পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের সকল সমস্যা একদিনে সমাধান করা সম্ভব নয়, এজন্য সময়ের প্রয়োজন। আমাদের বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সংস্কার। প্রধান উপদেষ্টা থেকে সকলেই বলেছেন যে, প্রথম ও প্রধান বিষয় হচ্ছে সংস্কার। এজন্য আমরা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে বসছি এবং মতামত নিচ্ছি। প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যা সকল কিছুর কেন্দ্রবিন্দু হবে। এছাড়াও আমাদের তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। একইভাবে টাস্কফোর্সও নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। পলিসিগত বিষয় ছাড়া আমরা ডিএসইকে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। বিএসইসির সাথে ডিএসই’র সম্পর্ক হবে অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত।
তিনি আরও বলেন, আমরা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এবং সমস্ত কিছু একতরফাভাবে না করে, সুষ্ঠু এবং নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কাজ করতে চাই। বিএসইসি আশা করে ডিএসই নতুন বোর্ডের লক্ষ্য হবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে অর্থনীতির কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত করা। আমাদের প্রত্যেকের লক্ষ হবে সবাইকে নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসা এবং কমপ্লায়েন্স এবং গভান্যান্স বৃদ্ধি করা। আর এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের প্রতি সকলের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। সব সময় সঠিক পথে থাকলে এর ফলাফল অবশ্যই পাওয়া যাবে।
বৈঠকের শুরুতেই ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারবৃন্দকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এই মিটিং ডিএসই বোর্ড এবং বিএসইসির কমিশনারবৃন্দ উভয় পক্ষের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি উদ্যোগ। এতে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক ইন্টাররেকশন বৃদ্ধি পাবে। ৩ অক্টোবর ডিএসইর এই নবিগঠিত পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়েছে। আমরা সকলের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য কাজ করবো। স্টক এক্সচেঞ্জ হলো পুঁজিবাজারের মূল চালিকা শক্তি। ডিএসই তার অভ্যন্তরীণ কাঠামো আরও শক্তিশালী করবে যাতে তারা পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ডিএসই পুঁজিবাজারের প্রাথমিক রেগুলেটর। ডিএসইকে মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারিজ, পাবলিক লিস্টেট কোম্পানি, বিনিয়োগকারী, মিডিয়াসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে একটি লিংক তৈরি করতে হবে। আমাদের সামনের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো মোকাবেলা করতে আমরা স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো। আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। সময়ের সাথে সাথে তা বাস্তবায়ণ করতে হবে। ডিএসই প্রধান রেগুলেটরের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। আমাদেরকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং বিদ্যমান কিছু সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কিছু সমস্যা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ বের করতে হবে। গঠনমূলক সংস্কারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
পরে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে ডিএসইর ইতিহাস, পরিচালনাগত আইন, বিধি ও প্রবিধান, কোম্পানির অবস্থা, শেয়ার মূলধন এবং ডিএসইর শেয়ারহোল্ডিং প্যাটার্ন; বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের কাঠামো; ডিএসইর ডিমিউচুয়ালাইজেশন ও এর উদ্দেশ্য; ডিএসই ভূমিকা, দায়িত্ব, পরিচালনা পর্ষদ ও বোর্ড কমিটি; ডিএসইর পণ্য এবং ট্রেডিং বোর্ড; পার্শবর্তী এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন; ২০১১-২০২৪ সাল পর্যন্ত আইপিও স্ট্যাটাস এবং মিউচুয়াল ফান্ড, টার্নওভার ভেলোসিটি অনুপাত, আর্থিক অবস্থা, ডিএসই’র আইসিটি অবকাঠামো, ডেটা সেন্টার ও আইসিটি চ্যালেঞ্জ সমূহ; ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমের উদ্দেশ্য; কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের থেকে মূল্য সংযোজন অফার; ডিএসই’র আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংযুক্তি; পণ্য, বাজার এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ডিএসইর ভবিষ্যত পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
বৈঠকে উপস্থিত বিএসইসি ও ডিএসইর কর্মকর্তাগণ পুঁজিবাজার উন্নয়নে একসাথে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সবশেষে বিএসইসির চেয়ারম্যান, কমিশনার ও অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ ডিএসইর ডেটা সেন্টার, ডিবিএ, সিডিবিএল, সিসিবিএলের অফিস এবং ডিএসই লাউঞ্জসহ ডিএসই টাওয়ার পরিদর্শন করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জনতা ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ১ টাকা ৩১ পয়সা ছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৫ টাকা ১৯ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সিলকো ফার্মার আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১১ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২ টাকা ৮৪ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসানে এনার্জিপ্যাক, দেবে না লভ্যাংশ
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৭ টাকা ৪৫ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য অনুমোদনের জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এসকে ট্রিমসের লভ্যাংশ ঘোষণা
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি পৌনে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৯৪ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৬ টাকা ৬৫ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়ে ডিএসইর নয়-ছয়!
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়ে ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) বিরুদ্ধে দেরি করার অভিযোগ উঠেছে। লেনদেনের শুরুতে কোন কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের তথ্য জানানোর নিয়ম থাকলেও এ ক্ষেত্রে লেনদেনের সময় শেষে জানানো হয়। এতে লেনদেনের শুরুতে আগের ক্যাটাগরি বহাল থাকায় কারসাজিতে ডিএসইর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগসাজসের অভিযোগ তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেডের গতকাল (২০ নভেম্বর) পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটি।
এদিকে আজ লেনদেনের শুরুতে ডিএসই ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে ডিএসই। তবে লভ্যাংশ না দেওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের সংবাদটি ট্রেডিং আওয়ার বা লেনদেনের সময় শেষে প্রকাশ করা হয়। তাতে কোন লভ্যাংশ না ঘোষণা করেও গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসের শেয়ার পুরো কার্যদিবস ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে লেনদেন করেছে। ডিএসইর এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডে যোগসাজস ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তবে এ ঘটনাই প্রথম নয়, সম্প্রতি আরেকটি কোম্পানির শেয়ারের ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়েও বিতর্ক তৈরি করেছে ডিএসই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুর রহমান মুঠোফোনে অর্থসংবাদকে বলেন, গতকালকে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও এটা আমাদের আইটি সফটওয়্যারে একদিন আগে ইনপুট দিয়ে ট্রেড চালাতে হয়। অথবা এ সংবাদটা অফিস আওয়ারের পরে আসছে বিধায় এ তথ্যটা পরে প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে ডিএসই একদিন পরে আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য ট্রেডিং আওয়ারের শুরুতে জানাতে পারলেও ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়ে কেন গড়িমসি করেন এবং কেন লেনদেন শেষ হওয়ার পরে কেন ক্যাটাগরি পরিবর্তনের খবর প্রকাশ করে থাকেন- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত না হলে সেখানে কারসাজির আশঙ্কা থাকে।
বিএসইসির সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী, কোন কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ না দিলে সেসব কোম্পানিকে দ্রুতই ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে হবে। কিন্তু গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড টানা দুই বছর লভ্যাংশ না দেওয়ার পরেও তাদের ক্যাটাগরি পরিবর্তনের সংবাদ ট্রেডিং আওয়ারের পরে প্রকাশ করা হয়। এতে ডিএসইর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত কোন কোম্পানি আগের দিন ডিএসই কর্মঘণ্টার মধ্যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে ওদিন ক্যাটাগরি পরিবর্তনের তথ্য জানানো যায়। কিন্তু ট্রেডিং আওয়ারের পরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে তা পরেরদিন লেনদেনের শেষে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রযুক্তিগত কারণে সকালে কোম্পানিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা যায় না। তবে এখানেও আইনের ফাঁকফোকর রয়েছে।
এদিকে বিএসইসির নিয়ম অনুযায়ী, কোন কোম্পানির বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে শেয়ারের দামে সার্কিট ব্রেকারের সীমা আরোপিত হয় না। তাতে কোম্পানিটির শেয়ারদর স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে বেশি বাড়তে বা কমতে পারে। দুর্বল কোম্পানির ক্ষেত্রে এ সুযোগটাই ব্যবহার করে থাকেন কারসাজি চক্র।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণায় আজ লেনদেনের শুরুতে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের শেয়ারের দাম কমে ২০ টাকা ৪০ পয়সায় দাঁড়ায়। তবে লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পার হতেই এর দাম বাড়তে শুরু করে। তাতে লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৪ শতাংশ।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের আজকের দরবৃদ্ধিতেও কারসাজি চক্রের হাত থাকতে পারে। কারণ টানা লভ্যাংশ না দেওয়ার পরেও কোনো কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি অস্বাভাবিক বিষয়। তবে লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের সংবাদটি ডিএসই প্রকাশ করলে শেয়ারদর হয়তো এতটা বাড়তো না। একইসঙ্গে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হলে শেয়ার কেনাবেচায় কিছু সুবিধা হারাতো কারসাজি চক্র।
এমআই