পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, আমরা অনেকদিন ধরে স্বপ্ন দেখছি পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। আমরা আগামীর যে বাংলাদেশ চাই, সেখানে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের মূল উৎস হওয়া উচিত পুঁজিবাজার।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিএসইসি চেয়ারম্যান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যালয় পরিদর্শনে গেলে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামেরর নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বোর্ডরুমে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ এবং নির্বাহী পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় খন্দকার রাশেদুল মাকসুদ বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে স্বপ্ন দেখছি বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। আমরা আগামীর যে বাংলাদেশ চাই, সেখানে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের মূল উৎস হওয়া উচিত পুঁজিবাজার। এর জন্য আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। আমাদের পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের সকল সমস্যা একদিনে সমাধান করা সম্ভব নয়, এজন্য সময়ের প্রয়োজন। আমাদের বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সংস্কার। প্রধান উপদেষ্টা থেকে সকলেই বলেছেন যে, প্রথম ও প্রধান বিষয় হচ্ছে সংস্কার। এজন্য আমরা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে বসছি এবং মতামত নিচ্ছি। প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যা সকল কিছুর কেন্দ্রবিন্দু হবে। এছাড়াও আমাদের তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। একইভাবে টাস্কফোর্সও নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। পলিসিগত বিষয় ছাড়া আমরা ডিএসইকে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। বিএসইসির সাথে ডিএসই’র সম্পর্ক হবে অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত।
তিনি আরও বলেন, আমরা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এবং সমস্ত কিছু একতরফাভাবে না করে, সুষ্ঠু এবং নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কাজ করতে চাই। বিএসইসি আশা করে ডিএসই নতুন বোর্ডের লক্ষ্য হবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে অর্থনীতির কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত করা। আমাদের প্রত্যেকের লক্ষ হবে সবাইকে নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসা এবং কমপ্লায়েন্স এবং গভান্যান্স বৃদ্ধি করা। আর এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের প্রতি সকলের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। সব সময় সঠিক পথে থাকলে এর ফলাফল অবশ্যই পাওয়া যাবে।
বৈঠকের শুরুতেই ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারবৃন্দকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এই মিটিং ডিএসই বোর্ড এবং বিএসইসির কমিশনারবৃন্দ উভয় পক্ষের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি উদ্যোগ। এতে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক ইন্টাররেকশন বৃদ্ধি পাবে। ৩ অক্টোবর ডিএসইর এই নবিগঠিত পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়েছে। আমরা সকলের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য কাজ করবো। স্টক এক্সচেঞ্জ হলো পুঁজিবাজারের মূল চালিকা শক্তি। ডিএসই তার অভ্যন্তরীণ কাঠামো আরও শক্তিশালী করবে যাতে তারা পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ডিএসই পুঁজিবাজারের প্রাথমিক রেগুলেটর। ডিএসইকে মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারিজ, পাবলিক লিস্টেট কোম্পানি, বিনিয়োগকারী, মিডিয়াসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে একটি লিংক তৈরি করতে হবে। আমাদের সামনের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো মোকাবেলা করতে আমরা স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো। আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। সময়ের সাথে সাথে তা বাস্তবায়ণ করতে হবে। ডিএসই প্রধান রেগুলেটরের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। আমাদেরকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং বিদ্যমান কিছু সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কিছু সমস্যা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ বের করতে হবে। গঠনমূলক সংস্কারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
পরে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে ডিএসইর ইতিহাস, পরিচালনাগত আইন, বিধি ও প্রবিধান, কোম্পানির অবস্থা, শেয়ার মূলধন এবং ডিএসইর শেয়ারহোল্ডিং প্যাটার্ন; বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের কাঠামো; ডিএসইর ডিমিউচুয়ালাইজেশন ও এর উদ্দেশ্য; ডিএসই ভূমিকা, দায়িত্ব, পরিচালনা পর্ষদ ও বোর্ড কমিটি; ডিএসইর পণ্য এবং ট্রেডিং বোর্ড; পার্শবর্তী এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন; ২০১১-২০২৪ সাল পর্যন্ত আইপিও স্ট্যাটাস এবং মিউচুয়াল ফান্ড, টার্নওভার ভেলোসিটি অনুপাত, আর্থিক অবস্থা, ডিএসই’র আইসিটি অবকাঠামো, ডেটা সেন্টার ও আইসিটি চ্যালেঞ্জ সমূহ; ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমের উদ্দেশ্য; কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের থেকে মূল্য সংযোজন অফার; ডিএসই’র আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংযুক্তি; পণ্য, বাজার এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ডিএসইর ভবিষ্যত পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
বৈঠকে উপস্থিত বিএসইসি ও ডিএসইর কর্মকর্তাগণ পুঁজিবাজার উন্নয়নে একসাথে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সবশেষে বিএসইসির চেয়ারম্যান, কমিশনার ও অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ ডিএসইর ডেটা সেন্টার, ডিবিএ, সিডিবিএল, সিসিবিএলের অফিস এবং ডিএসই লাউঞ্জসহ ডিএসই টাওয়ার পরিদর্শন করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে বিনিয়োগকারীরা
দেশের অস্থির পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে এবং বিনিয়োগকারীদের পুঁজি রক্ষায় প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। একইসঙ্গে আগামীকাল রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর স্মারকলিপি দেবেন তারা। বিনিয়োগকারীদের এক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের গণসংযোগ ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে এ স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কর্মসূচিতে নারী ও পুরুষ বিনিয়োগকারীরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে বুলবুল আহমেদ বলেন, বহু বছর ধরে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত। বিনিয়োগকারীদের সব পুঁজি শেষ হয়ে গেছে। অপরদিকে, পুঁজিবাজার থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার ও লুটপাট হয়েছে। এতে পুঁজিবাজার ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গণবিপ্লবের মাধ্যমে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিল যে, পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে, ধারাবাহিক পতনের ফলে গত ১৫ বছরের চেয়ে বর্তমান সময়ে পুঁজিবাজার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছে। গত ৩০ বছরেও এমন পুঁজিবাজার আমরা দেখি নাই।
তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে প্রতিনিয়ত পতন ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাও বিনিয়োগকারীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসি এমন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যার ফলে পুঁজিবাজারে পতন আরো ত্বরান্বিত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পুঁজিবাজার ধ্বংস হয়ে যাবে। এখানে আর কেউ বিনিয়োগ করতে আসবে না। তাই, বিনিয়োগকারীদের রক্ষার্থে আমরা আজ এ কর্মসূচি পালন করছি। পাশাপাশি, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এরই ধারাবাহিকতায় বিনিয়োগকারীরা রোববার সকালে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
গত ২৮ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় অনলাইন বিজনেস পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ‘বিএটিবিসির সিএসআরের অর্থ লোপাট, জড়িতরা চাকরিচ্যুত’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএটি বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
প্রতিবাদলিপিতে বিএটি বাংলাদেশের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘মুবিনা আসাফ ২০২৩ সালের এপ্রিলে বিএটি বাংলাদেশ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। বিএটির স্ট্যান্ডার্ডস অব বিজনেস কনডাক্ট অনুযায়ী আমাদের সকল কর্মী সর্বোচ্চ মাত্রার সততা বজায় রাখতে এবং তাদের ওপর প্রযোজ্য সব রকম আইন ও বিধিবিধান মেনে চলতে বাধ্য।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনটি তৈরিতে সকল তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হয়েছে। এছাড়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিতে বিএটি বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব সৈয়দ আফজাল হোসেনের সঙ্গে প্রতিবেদকের কথা হয়েছে। সৈয়দ আফজাল জানিয়েছেন, কোম্পানির সিএসআরের ২০০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স প্রধানকে চাকরিচ্যুত করা হয়। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সুতরাং প্রতিবেদনটিকে বানোয়াট বা ভিত্তিহীন বলার সুযোগ নেই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের আয় বেড়েছে
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ২০ পয়সা।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক (জানুয়ারি’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) মিলিয়ে তথা ৯ মাসে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৭৩ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ৩ টাকা ৬৬ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৪৫ টাকা ৮৬ পয়সা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর কমেছে ২২ শতাংশ
সমাপ্ত সপ্তাহে (১৩ অক্টোবর-১৭ অক্টোবর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৩৪৫টির শেয়ারদর কমেছে। তাতে সপ্তাহ শেষে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী সপ্তাহে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬ টাকা ৭০ পয়সা বা ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য ছিলো ২৩ টাকা ১০ পয়সা।
দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসের শেয়ারদর কমেছে ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ। আর শেয়ারের দাম ১৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ কমায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান নিয়েছে রতনপুর ষ্টিল।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১৮ দশমিক ১৪ শতাংশ, নর্দান জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ, তাল্লু স্পিনিংয়ের ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ, চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং শামপুর সুগার মিলস লিমিটেডের ১৪ দশমিক ০৩ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সের শেয়ারদর বেড়েছে ২৫ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ অক্টোবর-১৭ অক্টোবর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৩৪টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রায়াল ফাইন্যান্সের শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৫ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৪০ পয়সায়।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা এমবি ফার্মার শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ০২ শতাংশ। আর ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ারদর বাড়ায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করেছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রহিম টেক্সটাইলের ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ, ফার্মা এইডসের ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ, এনআরবি ব্যাংকের ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং তাওফিকা ফুডস এন্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসির ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
কাফি