ব্যাংক
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. তাজুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। ‘ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। এর আগে ব্যাংকটিতে থাকা নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি সোমবার পদত্যাগপত্র জমা দেন। ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট সূত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তাজুল ইসলাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন। ২০২২ সালের মার্চে তাজুল ইসলাম কমার্স ব্যাংকে এমডি হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি রাষ্ট্রমালিকানাধীন কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, জনতা ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। সেই সূত্রে তাজুল ইসলামের সঙ্গে এস আলম গ্রুপের সখ্য গড়ে ওঠে। জনতা ব্যাংক থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি কমার্স ব্যাংকের এমডি হিসেবে নিয়োগ পান।
এদিকে এমডি পদত্যাগ করলেও এস আলম গ্রুপের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান এখনো বহাল রয়েছেন। ফলে ব্যাংকটি সংকট থেকে বের হতে পারছে না।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এস আলম গ্রুপের দখলে ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৩ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটিকে এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ পুনঃগঠন করে দেয়। নতুন পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আতাউল রহমান মেঘনা ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মহসিন মিয়া, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট শেখ আশ্বফুজ্জামান।
এছাড়া দুজন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন-অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব কামরুল হক মারুফ। তিনি বর্তমানে সরকারের প্রতিনিধি পরিচালক হিসেবে আছেন এবং জনতা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা। তিনি জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে আছেন ।
কমার্স ব্যাংকের ৫১ শতাংশ শেয়ারের অংশীদার সরকারি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০১৬ সাল থেকে এ ব্যাংকের পুরো নিয়ন্ত্রণ বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের হাতে ছিল। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ব্যাংকটিতে চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকও নিয়োগ দেয় এই গ্রুপ। তাদের মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আটকা পড়েছে ব্যাংকটির ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
এদিকে কমার্স ব্যাংক থেকে কৌশলে অন্য ব্যাংকে টাকা নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি এস আলম গ্রুপ। তারা ব্যাংকটিতে প্রায় ৬০০ জনবলও নিয়োগ দিয়েছে। এর বেশির ভাগই গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকার। সার্বিকভাবে আধা সরকারি এই ব্যাংকের কার্যক্রম থমকে আছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গ্রাহকের ১০ হাজার টাকাও দিতে পারছে না সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ১০ হাজার টাকাও দিতে পারছে না বলে জানিয়েছে ব্যাংকটির গ্রাহকরা। টাকা তুলতে আসা ব্যাংকটির গ্রাহকদের একজন অভিযোগ করে বলেন, টাকার জন্য তিন মাস ধরে ঘুরছি, টাকা তুলতে না পারায় ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এস আলম গোষ্ঠীর অনিয়ম তদন্তে ইসলামী ব্যাংকে নিরীক্ষক নিয়োগ
এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের দখল নেওয়ার পর যেসব অনিয়ম হয়েছে, সেগুলো তদন্তের জন্য চারটি নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে ব্যাংকটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে, প্রতিষ্ঠানগুলো ইসলামী ব্যাংকের সম্পদের হিসাব, ঋণ বিতরণের বৈধতা ইত্যাদি খতিয়ে দেখবে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মাহফেল হক অ্যান্ড কোম্পানি, পি কে এফ হালিম খায়ের চৌধুরী, এ ওয়াহাব অ্যান্ড কোম্পানি ও জোহা জামান কবির রশিদ অ্যান্ড কোম্পানি।
প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রা পরিচালনা, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা, কোষাগারের তহবিল ব্যবস্থাপনা ও অফশোর ব্যাংকিংসহ ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করবে।
এছাড়াও আইটি, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর), যাকাত ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোও মূল্যায়ন করবে।
গত আগস্টে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৫৫৮৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা পেল দুর্বল ব্যাংক
দেশের ব্যাংকগুলোর কোনটাতে ভল্ট উপচে পড়ছে, কোনটাতে আবার অর্থ সংকটের হাহাকার। এমন পরিস্থিতিতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দিতে সবল ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থ সংকটে থাকা এসব দুর্বল ব্যাংকগুলোকে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
মুখপাত্র বলেন, এখন পর্যন্ত তিনটি টাস্কফোর্স ব্যাংক খাতে সংস্কার, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগ করবে না।
অর্থ সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সব ব্যাংকই সময় অনুসারে গুরুত্ব সহকারে সংস্কার করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকগুলোকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধার দিতে সবল ১০ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালি ব্যাংক, বেসরকারি খাতের ব্র্যাক, ইস্টার্ন, সিটি, শাহজালাল ইসলামী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, পূবালী, ঢাকা, ডাচ্-বাংলা ও ব্যাংক এশিয়া।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেয়া ঋণের টাকা ফেরত চাইলে সবল ব্যাংকগুলোকে ৩ দিনের মধ্যেই তা ফেরত দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ঋণের সুদহার নির্ধারণ হবে চলতি রেটে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ইসলামী ব্যাংকের ২৩ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব
চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের একাধিক শাখায় তিনটি প্রতিষ্ঠানের ঋণের নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরীসহ ইসলামী ব্যাংকের ২৩ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের আগামী ১০ থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ অন্যান্য তথ্যাদি জমা দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছে দুদক।
অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২২ এর ডিসেম্বরে নিয়ম না মেনে ইসলামী ব্যাংকের চাকতাই শাখার গ্রাহক মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাডেট সুপার ট্রেডার্স ও খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসকে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ঋণ প্রস্তাবনা, সুপারিশ, অনুমোদন, বিতরণ, পরিদর্শন ও মনিটরিংয়ের সঙ্গে জড়িত ২৩ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুদক।
এই ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার আলী, ওমর ফারুক খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহের আহমেদ চৌধুরী, এ এ এম হাবিবুর রহমান, হাসনে আলম, আব্দুল জাব্বার, সিদ্দিকুর রহমান, কাজী মো. রেজাউল করীম, মিফতাহ উদ্দিন, এএফএম কামালুদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, জেকিউএম হাবিবুল্লাহ।
আরও আছেন মনিটরিং বিভাগের প্রধান এসভিপি খালেকুজ্জামান, একই বিভাগের এসএভিপি মোহম্মদ নজরুল ইসলাম, বিনিয়োগ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাব্বির, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ উল্লাহ, মোহাম্মদ আলী, ফরিদ উদ্দিন, সাইদ উল্লাহ, আবু সৈয়দ মোহম্মদ ইদ্রিস, আলতাফ হোসাইন ও গিয়াস উদ্দিন কাদের।
চিঠিতে উল্লিখিত ব্যক্তিদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হয়ে বিতরণকৃত ঋণের তথ্যসহ ব্যক্তিগত তথ্য এবং লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের অর্থ সংকটে গ্রাহকের বিদেশ যাত্রার স্বপ্ন ভঙ্গ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের অর্থ সংকটে ব্যাংকটির এক গ্রাহকের বিদেশ যাত্রার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ভিসা আসার পরেও টাকা জমা দিতে না পারায় এ গ্রাহক বিদেশে পাড়ি জমাতে পারেননি। অর্থসংবাদের এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। সাক্ষাৎকারে অপর এক গ্রাহক জানান, ব্যাংকটিতে ২৫ লাখ টাকা জমা রাখলেও টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকার বেশি পাচ্ছেন না তারা।
এমআই