পুঁজিবাজার
অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিএসইসির চিঠির প্রতিবাদ বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের

পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে (এফআইডি) চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত ০৬ অক্টোবর বিএসইসির পাঠানো এই চিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসইসি যে চিঠি দিয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। এতে যে সব বিষয়বস্তু উল্লেখ করে আমাদের সংগঠনকে দোষারোপ করা হয়েছে, তাতে আমরা (বাপুবিসপ) যারপরনাই ক্ষুব্দ ও চরমভাবে ব্যথিত হয়েছি। অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিএসইসির প্রেরিত চিঠির ভাষা প্রয়োগ থেকেই প্রতীয়মান হয় যে, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপপ্রয়াস মাত্র। কারসাজিকারক ও অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে চলমান আইনি ব্যবস্থা ও সংস্কার কার্যক্রমকে আমাদের সংগঠন জোর সমর্থন জানায়। তার আগে বিনিয়োগকারী ও স্টেক হোল্ডারদের আস্থায় আনা ও প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রস্তুতি থাকা অত্যাবশ্যকীয় ছিল। সেটা না থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম মাত্রায় অনাস্থা কাজ করায় বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উদ্ভব।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এইরুপ পরিস্থিতিতে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ, বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন/সংস্কারের স্বার্থে করণীয় প্রসঙ্গে ১২ দফা দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীরা এর সুফল পাবেন বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। অথচ আমাদের দাবী সমূহের গভীরতা অনুধাবন না করে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রয়াস লক্ষণীয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখিত ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি’ প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের বক্তব্য হলো, ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত ১২ দফার কোথাও বিক্ষোভ কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। সুতরাং এর দায়ভার বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ বহন করে না। কমিশন বলেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন কর্মসূচি পেছনে থাকা ব্যাক্তিরা স্পষ্টভাবে পুঁজিবাজারের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী মহলের। আশীর্বাদপুষ্ট। অথচ ২০১০ সালে ভয়াবহ দরপতনে বিগত ফ্যাসিবাদের দোসর, কারসাজিকারক, অনিয়মে জড়িত ও শেয়ারবাজার লুন্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ। কোন প্রকার রক্ত চক্ষুকে পরোয়া এবং কারো সাথে আপোষ করেনি, যার স্বাক্ষী সর্বস্তরের বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট মহল। এর জন্য ফ্যাসিবাদের রোষানলে পড়ে হামলা/মামলার শিকার হতে হয়েছে। ডিএসই কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বছরের পর বছর চালিয়ে এবং পুঁজিবাজারে পুঁজি হারিয়ে আর্থিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার পথে বিনিয়োগকারীরা। অথচ সেই বিনিয়োগকারীদেরকেই ভিক্টিম বানানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়া ঢালাওভাবে দোষারোপ করার সংস্কৃতি বিগত ফ্যাসিবাদী আমলকে স্মরন করিয়ে দেয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ব্যাক্তিরা শত সহস্র শহীদ ও হাজার হাজার পঙ্গু, চোখ হারা, হাত-পা হারা, অঙ্গ-প্রতঙ্গ হারা আহত বীর ভাইদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত, আমাদের ছাত্র-জনতার সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে প্রকৃত বিনিয়োগকারীদেরকে শত্রু চিহ্নিত করে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র কিনা, তা খতিয়ে দেখতে এবং নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার বিনিয়োগকারীদের উপর চাপিয়ে কার স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিকট জোর দাবি জানাই। অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত বিএসইসির চিঠি ইস্যুকারী সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখারও জোর দাবী জন্যই। পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিএসইসি কর্তৃক প্রেরিত চিঠির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অন্যথায় এর দায়ভার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনকে বহন করতে হবে।
কাফি

পুঁজিবাজার
এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার বিক্রয়

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান এনসিসি ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা পরিচালক পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার বিক্রয় সম্পন্ন করেছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক মো. নুরুন নেওয়াজের নিকট কোম্পানিটির ২ কোটি ৬২ লাখ ০৭ হাজার ৩৩৬টি শেয়ার ছিলো। এরমধ্যে থেকে তিনি ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রয় সম্পন্ন করেছেন।
বর্তমান বাজার মূল্যে ব্লক মার্কেটে উল্লেখিত পরিমান শেয়ার বিক্রয় করেছেন এই উদ্যোক্তা। এরআগে গত ২০ মে শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
এসএম
পুঁজিবাজার
ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে আর্গুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদে ‘এএএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-১’রেটিং হয়েছে।
কোম্পানির ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত ও চলতি হিসাববছরের সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদেন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের ভিত্তিতে এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
নর্দার্ণ জুটের সর্বোচ্চ দরপতন

ঈদুল আজহার ছুটি পূর্ববর্তী শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ার কমেছে। এদিন দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (৪ জুন) কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৭ টাকা ৫০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছে আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা সাফকো স্পিনিংয়ের দর কমেছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, গ্রীণডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড, বে লিজিং এবং ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
এসএম
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে সোনারগাঁও টেক্সটাইল

ঈদুল আজহার ছুটি পূর্ববর্তী শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭৭টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (০৪ জুন) ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে থাকা এস.আলম কোল্ড রোল্ডের শেয়ার দর ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা তিতাস গ্যাসের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এদিন দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হলো- সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, এম.এল ডায়িং, এইচ.আর টেক্সটাইল, শাইনপুকুর সিরামিক, এপেক্স ট্যানারি, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং লাভেলো আইসক্রিম।
এসএম
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

ঈদুল আজহার ছুটি পূর্ববর্তী শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আজ বুধবার (০৪ জুন) কোম্পানিটির ২২ কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে লাভেলো আইসক্রিম। কোম্পানিটির আজ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার।
আর ১০ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ফাইন ফুড।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্কয়ার ফার্মা, মিডল্যান্ড ব্যাংক, সি পার্ল বিচ, উত্তরা ব্যাংক, বিচ হ্যাচারি, মালেক স্পিনিং এবং বিএটিবিসি।
এসএম