জাতীয়
সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার
সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার হয়েছেন। সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ী) আসন থেকে ২০০১ সালের পর টানা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
জুলাই-আগস্টে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এমপি-মন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার গ্রেফতার হলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা।
খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে শেখ হাসিনার সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় তার স্থান হয়নি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আব্দুর রাজ্জাককে আর জনসমুক্ষে দেখা যায়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের গাড়িবহরে হামলা
ঢাকা থেকে বান্দরবানের লামা যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট করে নিশ্চিত করেছেন দুই সমন্বয়ক।
গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
হাসনাত আবদুল্লাহ তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ঢাকা থেকে বান্দরবানের লামা যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জে হামলার শিকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের গাড়িবহর। সেখানে তাদের ব্যাগ এবং মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং অনেকেই হামলায় আহত। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি বাংলাদেশ সরকারের নিকট। ম
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদও তার ফেসবুক পোস্টে গাড়িবহরে হামলার কথা জানিয়েছেন। রাত সোয়া ২টার দিকে তিনি ফেসবুকে লেখেন,‘আমরা প্রত্যেকেই জীবন বাজি রেখে চলি। যারা নারায়ণগঞ্জে আমার ভাই-বোনদের উপর হামলা করেছে, তাদের ক্ষমা নাই।’
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের বহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামে হত্যার শিকার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের দাফন শেষে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা তখন জানান, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম ওই গাড়িতে ছিলেন না। হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনায় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর এই প্রথম দিল্লির কোনো নীতিনির্ধারক ঢাকা সফরে আসছেন।
সফরের শুরুতেই বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সাথে বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। সেই বৈঠকে দিল্লিতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া, তার রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া বন্ধ করা, তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও ভিসা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার বিষয়ে জোর দেবে ঢাকা।
এই বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন বিক্রম মিশ্রি। এরপর আজই ঢাকা ছেড়ে যাবেন তিনি। ঢাকা ও দিল্লির উভয় পক্ষের আশা, এর মধ্য দিয়ে চলমান উত্তেজনা কমানোর পথ সহজ হতে পারে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রথম কারও ঢাকা সফর হতে যাচ্ছে এটি। এখন দেখার বিষয় এই আয়োজন দিল্লি-ঢাকা’র সম্পর্কে ইতিবাচক কোনো আবহ তৈরি করতে পারে কি না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আইনি প্রক্রিয়া শেষে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: প্রেস সচিব
কিছু আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পর ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে সরকারের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের সম্মুখীন করতে চাই। যে গণহত্যা হলো, জুলাই-আগস্টে যে ১ হাজার ৫০০ মানুষকে হত্যা করা হলো, এর নির্দেশদাতা তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, এর আগে যত গুম হয়েছে, তিনি তো সরকার প্রধান ছিলেন। প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন ডলার করে পাচার হয়েছে, যা দেশের জনগণের টাকা। এটা চুরি করে বাইরে চলে গেছে। এসবের জন্য তাকে আইনের আওতায় আনার বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে, যেহেতু ভারতের সঙ্গে আমাদের একটা প্রত্যার্পণ চুক্তি আছে, সেই চুক্তি অনুযায়ী কিছু আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রত্যার্পণের জন্য চাওয়া যায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আমরা সেই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করছি। এটা শেষ করে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে তার প্রত্যার্পণ চাইব।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি কোন স্ট্যাটাসে দিল্লিতে আছেন তা জানে না সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
এসআই চাকরিপ্রার্থীদের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের জরুরি বার্তা
পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ প্রার্থীদের কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন না জড়াতে অনুরোধ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ চলছে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধু মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হচ্ছে।
সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ পেতে কারো প্রলোভনে পড়ে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন বা অন্য কোনো অনিয়মে জড়িয়ে প্রতারিত না হতে সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
কেউ আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের প্রতারকদের সন্ধান পেলে নিকটস্থ থানায় বা পুলিশ সুপারের অফিসে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিভ্রান্তিকর মন্তব্য, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কাছে জামায়াতের প্রতিবাদলিপি
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক সদস্য বাংলাদেশ ও জামায়াত সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য মন্তব্য করায় এ বিষয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কাছে প্রতিবাদলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে দূত সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন জামায়াতের নেতারা। এসময় এই প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধিদল আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর প্রতনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
দলটি জানায়, সাক্ষাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওই সদস্যের মন্তব্যের প্রতিবাদলিপি হাইকমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাক্ষাৎকারটি অত্যন্ত সৌহার্দ্য ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়।