স্বাস্থ্য
২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ১৮৬ ডেঙ্গু রোগী
এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ এবারও ভয়াবহরূপ নিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন একজন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২১৫ জন। এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে এক হাজার ১৮৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গু বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ১৮৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪৯৭ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ৭৮ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬৫৬ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৭২৪ জন। মারা গেছেন ২১৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৩, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৮৮, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২০৯, খুলনা বিভাগে ১৫২ জন রয়েছেন।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন ডেঙ্গুতে মারা যান, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বাধিক মৃত্যু।
২০১৯ সালে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং প্রায় ৩০০ জন মারা গিয়েছিলেন। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম ছিল, কিন্তু ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এবং ১০৫ জন মারা যান। ২০২২ সালে ডেঙ্গুর জন্য মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যার মধ্যে ২৮১ জন মারা গিয়েছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
১৪৮ চিকিৎসককে বদলি
দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৪৮ চিকিৎসককে বদলি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বুধবার (১ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার সার্ভিসের এসব চিকিৎসককে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে পদায়ন করা হলো।
আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত চিকিৎসকদের কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ও জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ২৯ ডিসেম্বর
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বিডিএস (ডেন্টাল) ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। আবেদনের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার সেকেন্ড টাইম ভর্তিচ্ছুদের দুই পদ্ধতিতে ৩ ও ৬ নম্বর কর্তন করা হবে।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিডিএস (ডেন্টাল) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগ্রহী প্রার্থীদের ২০২৩ অথবা ২০২৪ সালে এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী ২০২১ সালের পূর্বে এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা আবেদন করার যোগ্য নন।
এদিকে অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিডিএস (ডেন্টাল) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগ্রহী প্রার্থীকে এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে অন্তত জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন থাকতে হবে। এছাড়া, এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ থাকতে হবে।
উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের জন্য এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ থাকতে হবে। তবে, কোনো একক পরীক্ষায় যদি জিপিএ ৩.৫০ এর কম হয়, তবে তারা আবেদনের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন না। সব প্রার্থীর জন্য, এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০ থাকতে হবে, না হলে তারা আবেদনের যোগ্য হবেন না।
লিখিত ভর্তি পরীক্ষা এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় মোট ১০০টি প্রশ্ন থাকবে, যার প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর করে, ফলে মোট নম্বর হবে ১০০। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন হবে : জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ১০। পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য ১ নম্বর দেওয়া হবে।
কোনো প্রশ্নের একাধিক উত্তর দিলে তা ভুল হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীরা দেশে অথবা বিদেশে বিডিএস/সমতুল্য কোর্সে ভর্তির অনুমতির জন্য অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রমসহ ফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ কে মোট ১০০ নম্বর হিসেবে মূল্যায়ন করা হবে। এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ হবে ৫০ নম্বর (সর্বোচ্চ), এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ হবে ৫০ নম্বর।
লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান ও এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাপ্ত জিপিএ অনুযায়ী নম্বর যোগফল করে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।
আবেদন করার প্রক্রিয়া
আবেদনকারীদের টেলিটক প্রিপেইড সিমের মাধ্যমে এক হাজার টাকা জমা দিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনলাইন ফরম পূরণের প্রক্রিয়া ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য টেলিটকের ওয়েবসাইট (http://dgme.teletalk.com.bd), স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইট (www.mefwd.gov.bd), স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dgme.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dghs.gov.bd) থেকে পাওয়া যাবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সারজিসের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলমের আশ্বাসে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা সড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছেন।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে সারজিস আলম শাহবাগে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আশ্বাস দেন। এরপর তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।
সারজিস বলেন, ট্রেইনি চিকিৎসকদের দাবি যৌক্তিক। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা লাগছে, যা দুঃখজনক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কমিটমেন্ট দিয়েছে দাবি মানার। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে যদি প্রজ্ঞাপন না আসে, আমরা একসঙ্গে রাস্তায় নামব। জানুয়ারি থেকে ভাতা কার্যকর করতে হবে।
এরপরই চিকিৎসকরা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। এ সময় ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, আমরা আজকের মতো আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করছি। আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমরা ভাতা বৃদ্ধির জন্য আলটিমেটাম দিয়ে যাচ্ছি। তবে এই সময় আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
এর আগে, দুপুর ১টার দিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন ছেড়ে সড়কে অবস্থান নেন বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে একজন ট্রেইনি চিকিৎসকের পক্ষে ২৫ হাজার টাকা ভাতায় জীবন ধারণ সম্ভব নয়। এ অবস্থায় ভাতার পরিমাণ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবি জানান তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
চট্টগ্রাম এভারকেয়ারে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ক্রিটিকাল কেয়ার সিম্পোজিয়াম
বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগ প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে ক্রিটিকাল কেয়ার সিম্পোজিয়াম। ইভেন্টে ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিনের লেটেস্ট সব তথ্য ও অনুসন্ধান বিষয়ে আলোচনা করা হয় এবং উপস্থিত হেলথ প্রফেশনালদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হয়।
ইভেন্টে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইটিআইডির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম. এ. হাসান চৌধুরী। গেস্ট অব অনার ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. জসীম উদ্দিন। ইভেন্টে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামেরর সিওও সামির সিং।
এছাড়া, বক্তব্য রাখেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ও প্রধান অধ্যাপক ডা. এ.এস.এম. আরিফ আহসান, এভারকেয়ার চট্টগ্রামের ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট অধ্যাপক ডা. এ এ মোহাম্মদ রায়হান উদ্দিন এবং ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রেজাউল করিম ।
স্বাগত বক্তব্যে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের সিওও সামির সিং বলেন, চট্টগ্রামে প্রথম ক্রিটিক্যাল কেয়ার সিম্পোজিয়াম আয়োজন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা পেশাজীবীরা ক্রিটিক্যাল কেয়ার নিয়ে নতুন কিছু শেখার ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং একইসাথে রোগীদের বিশ্ব মানের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এভারকেয়ার’এর অঙ্গীকারকে তুলে ধরেছে বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রধান অতিথি বিআইটিআইডির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম. এ. হাসান চৌধুরী বলেন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার জীবন রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সিম্পোজিয়াম চট্টগ্রামে ক্রিটিক্যাল কেয়ার সেবার সক্ষমতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হেলথকেয়ার কমিউনিটিকে সহায়তা করতে এভারকেয়ার হসপিটালের এই অঙ্গীকার সত্যিই প্রশংসনীয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. জসীম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে একটি সেরা মানের ক্রিটিক্যাল কেয়ার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই সিম্পোজিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এভারকেয়ার হসপিটালের নেতৃত্বে সহযোগিতামূলক শিক্ষার প্রচার এবং পেশাগত উন্নয়নের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এই ধরণের সিম্পোজিয়াম রোগীদের চিকিৎসা ফলাফল উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৯৬ জন।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৬, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৯৮, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩০, খুলনা বিভাগে ৭২ জন রয়েছেন। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগে ৩২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ জন, রংপুর বিভাগে ৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৭৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৪৬৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৯৬ হাজার ২২৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫২৯ জনের। এছাড়াও গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।