আইন-আদালত
ফের দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর বাড্ডা থানায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে তার এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। প্রথমে আদালত তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
কাফি

আইন-আদালত
সোহাগ হত্যার তদন্তে বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা তদন্তে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রোববার (১৩ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন।
রিটে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সোমবার (১৪ জুলাই) এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
এদিকে শনিবার (১২ জুলাই) টিটন গাজী নামে এক আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ গিয়াসের আদালত।
অপরদিকে এ ঘটনায় পুলিশের করা অস্ত্র মামলায় তারেক রহমান রবিন নামে এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিন টিটন গাজীকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক নাসির উদ্দিন। সেই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে দুদিনের রিমান্ড শেষে রবিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনির। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ১০ জুলাই হত্যা মামলায় মাহমুদুল হাসান মহিনের পাঁচদিন ও অস্ত্র মামলায় রবিনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা যায়, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর পুলিশ অস্ত্র আইনে পৃথক আরেকটি মামলা করে।
আইন-আদালত
আবু সাঈদ হত্যা ও আশুলিয়া গণহত্যার আসামিরা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা এবং ঢাকার আশুলিয়ায় ছয় মরদেহ পোড়ানোর মামলার আসামিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
রোববার (১৩ জুলাই) সকালে পৃথক প্রিজনভ্যানে করে আলোচিত এ দুটি মামলার আসামিদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পলাতক ২৬ আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। সবশেষ রোববার আলোচিত এ মামলার মোট ৩০ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার চার জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এই চারজন হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন। সেদিন সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করার মধ্যে তাকে গুলি করার ভিডিও সংবাদমাধ্যমে প্রচার হলে ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সেদিন থেকেই সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন থেকে সারা দেশে ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপর একের পর এক মৃত্যু, সরকারি সম্পত্তিতে হামলা, আগুনের মধ্যে ১৯ জুলাই কারফিউ দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি শেখ হাসিনা সরকার।
এদিকে গত ২ জুলাই আশুলিয়ায় গণহত্যা ও ৬ জনের লাশ পোড়ানোর মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে ওইদিন পলাতক সাবেক এমপি সাইফুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আইন-আদালত
সত্য উদঘাটনে সহায়তার শর্তে রাজসাক্ষী মামুনকে ক্ষমা: ট্রাইব্যুনাল

নিজেকে দোষী স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরা ও ট্রাইব্যুনালকে সার্বিক সহায়তা করার শর্তে সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে রাজসাক্ষী হওয়ায় তাকে কারাগারে অন্য বন্দীদের থেকে আলাদা জায়গায় রাখতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১২ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারে নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিষয়ে লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছেন।
চৌধুরী মামুনের আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ বলেন, রাজসাক্ষী হিসেবে জুলাই গণহত্যার সব বিষয় ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরে বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করলে ক্ষমার আদেশ বাস্তবায়ন হবে।
এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে আমাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা সংঘটনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য। এ ঘটনায় আমি নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করছি। আমি রাজসাক্ষী হয়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার বিস্তারিত আদালতে তুলে ধরতে চাই। রহস্য উন্মোচনে আদালতকে সহায়তা করতে চাই।’
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ দায় স্বীকার করে এমন বক্তব্য দেন তিনি।
আইন-আদালত
শেখ হাসিনার মামলায় রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি

জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নিজের অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে আদালতকে জানান, যারা এই অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে করতে চান তিনি। এতে তিনি রাজসাক্ষী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ও প্রসিকিউশন।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) গঠন করে আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। একই সঙ্গে মামলার সূচনা বক্তব্য প্রদান ও রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩ ও ৪ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন আদালত।
মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি হিসেবে রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আইন-আদালত
দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

সাড়ে তিন বছরের আইনি লড়াই শেষে অবশেষে চাকরি ফিরে পাচ্ছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর আলোচিত কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিন। বুধবার (৯ জুলাই) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আদেশ দেন। সেই সঙ্গে তার পাওনা সকল বেতন ও সুযোগ-সুবিধা ফেরত দিতে হবে।
রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা, সব বেনিফিটসহ চাকরিতে পুর্নবহালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতির আদেশকে প্রথম থেকে বাতিল ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে কয়েক লক্ষ কোটি টাকার নয়ছয় নিয়ে ২০২২ সালে ৬২০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেন শরীফ। এ রিপোর্টের জেরেই তাকে শুধু চাকরিচ্যুতিই নয়, দেয়া হয় বিভাগীয় মামলা।
আদালত রায়ে বলেছেন, কক্সবাজারে ৭২টি প্রকল্পে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, কিছু রোহিঙ্গার এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতি, কর্ণফুলী গ্যাসে অনিয়মসহ বেশ কিছু দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনায় তাকে পুরস্কৃত না করে চাকরিচ্যুত করার ঘটনা দুঃখজনক।
চাকরি হারিয়ে একটি কোম্পানিতে কাজ নেন শরীফ। অন্যদিকে চালাতে থাকেন আইনি লড়াই। বুধবার চাকরি ফেরতের আদেশ পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া তিনি বলেন, ‘আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। সবকিছু ভুলে এখন দেশের জন্য কাজ করতে চাই।’
২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ করা হয়।
দুদক তৎকালীন চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৫৪ (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা (যদি থাকে) পাবেন। কমিশনের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
শরীফ উদ্দিন প্রায় সাড়ে ৩ বছর দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। সে সময় এনআইডি সার্ভার ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি ভোটার করার অভিযোগে ২০২১ সালের জুনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একজন পরিচালক এবং ৬ কর্মীসহ আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনি। এই মামলার পরপরই ১৬ জুন তাকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়।
নিজের মেয়াদকালে বিভিন্ন খাতে অনিয়মের খবর প্রকাশের জন্য আলোচিত হন শরীফ। সে সময় তিনি ইসি কর্মকর্তা, কর্মচারী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ইয়াবা চোরাকারবারি, রোহিঙ্গা এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি মামলা করেন।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্ট দেওয়ার ঘটনায় এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার বাদী তিনি। কর্ণফুলীর দুর্নীতির মামলায় তিনি কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রকৌশল) সারোয়ার হোসেন এবং অন্যান্যদের সঙ্গে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানকে অভিযুক্ত করেন।
শরীফ কক্সবাজারের তালিকাভুক্ত ইয়াবা চোরাকারবারি হাজী সাইফুল করিমের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। সাইফুল ২০১৯ সালের ৩১ মে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি পরিবারসহ হত্যার হুমকি পান শরীফ। বিষয়টি নিয়ে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরী ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে সিসি টিভির ফুটেজসহ চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন তিনি।