টেলিকম ও প্রযুক্তি
বাংলাদেশে পেপ্যাল কতটা জরুরি, চালু হতে বাধা কোথায়?
কেনাকাটা করতে গেলে অথবা কাউকে টাকা পাঠাতে গেলে বারবার অ্যাকাউন্টের নাম, নম্বর, রাউটিং নম্বর, ক্রেডিট কার্ড হলে কার্ড নম্বর, কার্ডের মেয়াদ ইত্যাদি তথ্য প্রদান শুধু ঝামেলাদায়কই নয়, গুরুত্বপূর্ণ এই আর্থিক ডেটা যেখানে সেখানে সরবরাহ করা অনিরাপদও বটে। ঠিক এ জায়গায় এসেই আর্থিক খাতে বিশ্বব্যাপী নিজেদের অবস্থান পোক্ত করে নিয়েছে পেপ্যালের মতো সেবাগুলো।
একটিমাত্র ই–মেইল ঠিকানার (বা ফোন নম্বর) মাধ্যমে লেনদেনের সুযোগ করে দিয়েছে পেপ্যাল। সে ই–মেইলই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আইডি। অনলাইনে বা অ্যাপের মাধ্যমে পেপ্যাল দিয়ে টাকা পাঠানো, বলতে গেলে জিমেইল ব্যবহার করে ই–মেইল পাঠানোর মতোই সহজ। পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ডের সঙ্গে পেপ্যালকে সংযুক্ত করে নিতে হয়। পরবর্তী সময়ে সে ব্যাংক বা কার্ডের তথ্য বারবার দেওয়া ছাড়াই নিরাপদে করা যায় লেনদেন, পরিশোধ করা যায় পণ্য বা সেবার মূল্য।
বিশ্বের ২০০টির বেশি দেশে পেপ্যালের সার্ভিস চালু আছে এবং লেনদেন হয় ২৫টির বেশি মুদ্রায়। ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সচল পেপ্যাল অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৩ কোটি। প্রতিদিন পেপ্যালের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় ৪ কোটির বেশিসংখ্যক লেনদেন। অনলাইন লেনদেন প্রক্রিয়াকরণ বাজারের ৪৩ দশমিক ৮৫ ভাগ রয়েছে পেপ্যালের দখলে। বিশ্বের ১ কোটি ৬৮ লাখের বেশি ওয়েবসাইট পেপ্যালের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করে। ২০২০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা ৭১ ভাগ ই-কমার্স সাইট পেপ্যালের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সুযোগ রেখেছে।
বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে পেপাল চালু রয়েছে। তবে বাংলাদেশে সেই সুযোগ নেই। বাংলাদেশ যেখানে অনলাইন কর্মীর দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে; সেখানে বিষয়টি বেশ অদ্ভুতই মনে হয়।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিংয়ের শতকরা ১৪ ভাগই বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের দখলে।
পেপাল কেন দরকার?
আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করা ফ্রিল্যান্সাররা প্রাথমিকভাবে দুটি উপায়ে কাজ করে থাকেন। প্রথমত, মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে আর দ্বিতীয়ত স্বাধীনভাবে। এক্ষেত্রে কিছু মার্কেটপ্লেস একচেটিয়াভাবে পেপালের উপর নির্ভর করে। আর অন্যগুলো একাধিক পেমেন্ট পদ্ধতির প্রস্তাব করে।
মামুন নামের একজন বলেন, আমরা বহু মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করতে পারি না। শুধু আমাদের পেপাল সুবিধা নেই বলে। কিছু প্ল্যাটফর্ম শুধু পেপাল ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে একবার যখন আস্থা তৈরি হয়ে যায়, তখন বহু ফ্রিল্যান্সাররাই তার ক্লায়েন্টের সাথে মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ শুরু করে। এতে করে প্ল্যাটফর্ম ফি এড়িয়ে যাওয়া যায়। যাতে দুপক্ষই লাভবান হয়। কেননা, প্রতিটি পেমেন্ট থেকে মার্কেটপ্লেস মোটা অঙ্কের টাকা কেটে নেয়।
মামুন জানান, পশ্চিমা দেশগুলোর ক্লায়েন্টের জন্য পেপাল সবচেয়ে সুবিধাজনক পেমেন্ট পদ্ধতি। কেননা, ওই দেশগুলোতে এটিই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। তারা প্রায়শই অন্য পেমেন্ট পদ্ধতির থেকে পেপালকে এগিয়ে রাখেন।
মীর তৌহিদুল ইসলাম নামের একেজন ফ্রিল্যান্সার বলেন, আমি একজন মার্কিন ক্লায়েন্টের পক্ষ থেকে ফুল টাইম রিমোট জবের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তবে সেখানে একমাত্র পেমেন্ট অপশন ছিল পেপাল। যেহেতু আমি পেমেন্ট মেথডটি ব্যবহার করতে পারবো না; তাই আমাকে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিতে হয়।
আমরা কি অন্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারি?
এ প্রসঙ্গে মামুন বলেন, এক্ষেত্রে হ্যাঁ বা না দুটোই বলা যায়। পেপালের তুলনায় অন্য পেমেন্ট পদ্ধতিতে সাধারণত ট্রানজেকশন ফি বেশি। কিংবা এটি ক্লায়েন্টের জন্য সুবিধাজনক হয় না।
বাংলাদেশে পেওনিয়ার, জুম ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতি চালু রয়েছে। তবে এগুলো একটিও পেপালের মতো জনপ্রিয় নয়। একইসাথে কিছু কিছু মেথডে অতিরিক্ত ফি আদায়, অল্প সংখ্যক ফিচার থাকা কিংবা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের কাছে সেগুলো গ্রহণযোগ্য না হওয়ার মতো সমস্যা রয়েছে।
তৌহিদ বলেন, আমি সাধারণত ডোমেইন কেনা ও বিক্রির কাজ করতাম। তবে পেপাল ব্যবহার না করতে পারার কারণে আমাদের অন্য পেমেন্ট মেথডের ওপর নির্ভর করতে হতো। যেগুলো আমার আয়ের ৪০ ভাগ পর্যন্ত কেটে রেখে দিত। অথচ পেপাল ব্যবহার করতে পারলে মাত্র ৫ ভাগেরও কম আয় কাটা হতো।
এ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর প্রফেসর বিএম মইনুল হোসাইন বলেন, পেপালের মূল বিষয়টি হচ্ছে আস্থা। যখন আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি আসে; তখন আস্থাই সব। পেপাল বিশ্বব্যাপী এমন জোড়ালো আস্থা অর্জন করেছে যে, মানুষজন অন্য পেমেন্ট মেথডের তুলনায় এটিকেই ব্যবহার করে থাকেন।
এমন পরিস্থিতিতে ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজ করা কিছু এজেন্সি আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের জন্য পেপালের ব্যবস্থা করে থাকেন। তবে সেটা ভিন্নভাবে। তারা যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের একটি ঠিকানা ব্যবহার করে ব্যবসার নিবন্ধন করে। সেখানে একটি স্থানীয়ভাবে ব্যবসার লাইসেন্স নেন। সেই দেশের একটি ফোন নম্বরও রাখা হয়।
মামুন বলেন, একবার এজেন্সিটি বিদেশে নিবন্ধিত হলে সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের একটি ব্যবসা হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ করে। কিন্তু এখানে একটি খরচও আছে। এক্ষেত্রে তাদের ওই দেশের সরকারকে ট্যাক্স ও ফি দিতে হয়৷ যেহেতু ফ্রিল্যান্সারদের পেপালে সরাসরি প্রবেশাধিকার নেই, তাই বাংলাদেশ মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে।”
বাধাগুলো কী?
বাংলাদেশে পেপাল চালুর বিষয়টি অনিশ্চিত। ফ্রিল্যান্সার ও ডিজিটাল উদ্যোক্তারা বিষয়টি নিয়ে হতাশ। যদিও কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা নেই।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের সাবেক প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির এই বিলম্বের পেছনে দুটি কারণ রয়েছে বলে মনে করেন।
তার মতে, পেপালের কাছে বাংলাদেশের আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ বেশ সামান্য মনে হয়। যাতে করে এখানে সার্ভিস চালুর ক্ষেত্রে তারা আগ্রহী নয়। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রেগুলেশনের সাথে পেপালের পলিসির সামঞ্জস্য নেই।
কবির বর্তমানে মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও ও আয়অল কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন। তিনি বলেন, “পেপাল দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে না এলেও ফ্রিল্যান্সাররা পেওনিয়ার ও জুম সার্ভিসের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের কাজ করছে। তবে এই বিকল্পগুলো জটিলতা ও ফি বৃদ্ধির মতো সমস্যা তৈরি করছে।”
আরেকটি বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা বৈধভাবে পেপাল অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন না। অর্থাৎ, তারা বাংলাদেশ থেকে অন্য পেপাল ব্যবহারকারীদেরও পেমেন্ট পাঠাতে পারে না। এক্ষেত্রে অন্য দেশের ফ্রিল্যান্সারদের থেকে সার্ভিস নিতেও বেশ বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।
কবির বলেন, এখানে অর্থ পাচারের মতোও উদ্বেগ রয়েছে। বর্তমানে নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকেরা প্রতি বছর সর্বোচ্চ ১২ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিদেশে পাঠাতে পারেন। যেটি আবার বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটর করে। এক্ষেত্রে এ পেমেন্টগুলো পেপালের মাধ্যমে করা হলে সেটি ট্র্যাক করা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সম্ভব হবে না। যাতে করে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।
বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ কী কী উদ্যোগ নিয়েছে?
২০১৭ সাল থেকে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা দেশে পেপাল চালু সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। তারা ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, এটি শীঘ্রই চালু হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত বাস্তবে এক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
অধ্যাপক মাইনুল বলেছেন, একাধিক ঘোষণা সত্ত্বেও আমার মনে হয় না যে, পেপালের সাথে আলোচনার জন্য কোন জোড়ালো চেষ্টা করা হয়েছে।
সৈয়দ আলমাস কবিরও এই মন্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, সরকার ও পেপালের মধ্যে কোনও চুক্তি বা বৈঠক হয়নি, অন্তত আমার জানামতে।
পেপালের জন্য বাংলাদেশের বাজার খুবই ছোট এমন ধারণার সাথে একমত নন অধ্যাপক মইনুল। তিনি বলেন, পেপাল ২০০টিরও বেশি দেশে কাজ করে। যার মধ্যে কয়েকটি বাংলাদেশের চেয়েও ছোট। তাদের যদি পেপাল থাকতে পারে তবে আমরা কেন পারবো না?
অধ্যাপক মইনুল অর্থ পাচারের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অন্যান্য দেশগুলিও একই রকম ঝুঁকি মোকাবিলা করে। আমাদের তাদের সমাধানগুলি সম্পর্কে জানতে হবে। সেই অনুযায়ী মানিয়ে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি আশাবাদী যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টি সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আমি মনে করি যে, এটির জন্য তাদের সদিচ্ছা রয়েছে।
পেপাল কীভাবে বর্তমানের আর্থিক প্রেক্ষাপটকে প্রভাবিত করতে পারে?
পেপাল বাংলাদেশে কী প্রভাব তৈরি করবে সেটি অনুমান করা কঠিন। তবে এর বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে।
অধ্যাপক মইনুল বলেন, আমি সঠিক সংখ্যা দিতে পারছি না। তবে এটি অবশ্যই আর্থিক খাতকে চাঙ্গা করবে।
কবির মনে করেন যে, বিকাশ বা নাগদের মতো স্থানীয় মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (এমএফএস) পেপালের সাথে যুক্ত হতে পারে। এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স পাঠানো সহজ করবে।
প্রবাসীদের দেশে থাকা পরিবারগুলো বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা তখন এমএফএস সাভিসের মাধ্যমে টাকা পেতে পারবে। ফলে প্রক্রিয়াটি আরও নির্বিঘ্ন হবে।
পেপাল চালু হলে ফ্রিল্যান্সাররাও উপকৃত হবে। তারা বিশ্বব্যাপী আরও প্রজেক্টে যুক্ত হতে পারবে। এতে করে তাদের আয়ের সম্ভাবনা বাড়বে। একইসাথে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ বৃদ্ধির ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদানের পাশাপাশি আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
১৫ মিনিটের চার্জে ১৫০ কিলোমিটার চলবে টাটার নতুন গাড়ি
নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি আনলো টাটা মোটরস। শুধু দারুণ রেঞ্জ নয়, নতুন এ গাড়িতে সংযুক্ত করা হয়েছে আধুনিক ডিজাইন এবং বৈশিষ্ট্য। সানরুফ থেকে শুরু করে বড় টাচস্ক্রিন, সেফটি ফিচার্স সবই রয়েছে এই গাড়িতে।
গাড়িটির নাম রাখা হয়েছে টাটা কার্ভ ইভি। এতে রয়েছে এলইডি টেল লাইট, যা গাড়িজুড়ে দেখা যাবে। ভেতরে রয়েছে ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম। তার সঙ্গে রয়েছে প্যানারমিক সানরুফ, ওয়্যারলেস চার্জিং, অ্যাডজাস্টেবেল ড্রাইভার সিট, ইলেক্ট্রনিক পার্কিং ব্রেক ইত্যাদি।
সুরক্ষার জন্য গাড়িটিতে দেওয়া হয়েছে ৬টি এয়ারব্যাগ, লেভেল ২ অ্যাডভান্স ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম, ডিস্ক ব্রেক, অটো-হোল্ড, এমার্জেন্সি ব্রেকিং-সহ একাধিক ফিচার্স।
টাটা কার্ভ গাড়ির একাধিক ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করেছে কোম্পানি। বেস মডেলে আছে ৪৫ কিলোয়াট আওয়ার ব্যাটারি, যা ফুল চার্জে ৫০২ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে সক্ষম। আর টপ মডেলে রয়েছে ৫৫ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি, যা ফুল চার্জে নন-স্টপ ৫৮৫ কিলোমিটার নিয়ে যাবে। এটি টাটা মোটরসের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে লং রেঞ্জ ইলেকট্রিক গাড়ি।
কোম্পানির দাবি, কার্ভ ইভিতে রয়েছে আলট্রা-ফাস্ট চার্জিংয়ের ব্যবস্থাও। ডিসি চার্জিং প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র ১৫ মিনিট প্লাগ-ইন রাখলেই গাড়ি চলবে ১৫০ কিলোমিটার। অর্থাৎ মাত্র ১৫ মিনিটের চার্জেই গাড়িটি ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো যাবে।
টাটা মোটরসের নতুন এই ইলেকট্রিক গাড়িটি ভারতীয় বাজারে পাওয়া যাবে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার থেকে ২১ লাখ ৯৯ হাজার রুপিতে। নতুন টাটা কার্ভ ইলেকট্রিক ছাড়াও পেট্রল মডেলেও পাওয়া যাবে।
কর্পোরেট সংবাদ
দেশে মোবাইল এক্সেসরিজ ব্র্যান্ড বিও’র সকল পণ্য নিয়ে এলো সোর্স এজ
বিশ্বে তরুন প্রজন্মের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল ও কম্পিউটার এক্সেসরিজ ব্র্যান্ড বিও এর সকল পণ্য এখন বাংলাদেশে। দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি পণ্যের পরিবেশক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সোর্স এজ লিমিটেড তাদের পরিবেশিত অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি বিও ব্র্যান্ডের সকল পণ্য সারাদেশে বাজারজাত ও সরবরবরাহ করবে।
সম্প্রতি বিও এবং সোর্স এজ লিমিটেডের মধ্যে এবিষয়ে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এখন থেকে বিও ব্র্যান্ডের একমাত্র পরিবেশক হিসেবে সোর্স এজ লিমিটেড বাংলাদেশের বাজারে সকল মোবাইল ও কম্পিউটার এক্সেসরিজ সমুহ যুক্তিসংগত মুল্যে বাজারজাত করবে এবং এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করবে।
জানা গেছে, বিও ২০০৫ সালে উৎপাদন ও বাজারজাত করা শুরু করে আজ অবধি পৃথিবীর প্রায় ১১৭ টিরও বেশি দেশের প্রযুক্তি প্রেমী মানুষের কাছে বিও একটি অত্যন্ত সুপরিচিত নাম। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা, আধুনিক স্মার্ট ডিজাইন, যুক্তিসংগত দাম ও ক্রেতাবান্ধব বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে এটি বিশ্বের কোটি মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছে।
বিও ব্রান্ডের পণ্য সমুহের মধ্যে রয়েছে স্মার্ট ওয়াচ, ইয়ারবাড, হেডফোন, স্পিকার, পাওয়ার ব্যাংক, মোবাইল চার্জার, কার চার্জার, কিবোর্ড-মাউস, বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল, কানেক্টর ও হাব। ইউরোপ-আমেরিকার অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড বিও এর সকল পণ্য আমাজন, ওয়ালমার্ট, কেয়ারফোর, টেসকো, টার্গেট, কস্টকো হোলসেল, হারভি নরম্যান সহ বিশ্বের সকল বড় বড় রিটেইল আউটলেট গুলোতে পাওয়া যায়। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ৬০০+ আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ব্রান্ড হিসেবে এর রয়েছে ১৫০+ পণ্যের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি পেটেন্ট।
জাতীয়
২১ সেপ্টেম্বর বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ
আগামী রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানায় আইএসপিআর।
এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর দেখা গিয়েছিল এক অপূর্ব চন্দ্রগ্রহণ, যাকে অনেকেই ‘রক্তচন্দ্র’ বলছেন। আর এর ঠিক ১৫ দিন পরে, অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর ঘটতে চলেছে বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ।
আইএসপিআর জানায়, সূর্যগ্রহণ শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর বিএসটি সময় ২৩টা ২৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে, সর্বোচ্চ গ্রহণের সময় ২২ সেপ্টেম্বর ১টা ৪১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে এবং গ্রহণ শেষ হবে ২২ সেপ্টেম্বর ৩টা ৫৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। সূর্যগ্রহণের ব্যপ্তিকাল থাকবে ৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিট। তবে বাংলাদেশ থেকে সূর্যগ্রহণের এই বিরল দৃশ্য দেখা যাবে না।
নিউজিল্যান্ড, পূর্ব মেলানেশিয়া, দক্ষিণ পলিনেশিয়া ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে সূর্যগ্রহণটি দৃশ্যমান হবে। গ্রহণটির কেদ্রীয় গতিপথের বিবরণ হলো ২১ সেপ্টেম্বর গ্রহণ শুরু যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়া দ্বীপ থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে স্থানীয় সময় ৫টা ৫৩ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে। সর্বোচ্চ গ্রহণ অ্যান্টার্কটিকার ডুমন্ট ডি’উরভিল আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ১০টা ১৩ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডে।
গ্রহণ শেষ অ্যান্টার্কটিকার আলেকজান্ডার দ্বীপ থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ১৭টা ৪৮ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে। সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ মাত্রা থাকবে ০ দশমিক ৮৫৫।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বছরে ১৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স হারাচ্ছে বাংলাদেশ: না’লা
২০২৪ সালে বৈশ্বিক রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে উচ্চ ফি, লুকানো চার্জ ও কম এক্সচেঞ্জ রেটের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫৭ বিলিয়ন ডলার অপচয় হয়েছে।
একই সময়ে বাংলাদেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৬.৯ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ১.৪৮ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬,২০০ কোটি টাকা) অতিরিক্ত খরচে হারিয়ে গেছে। এই অঙ্ক বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেটের প্রায় ২.০২৫ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ০.৩৩ শতাংশের সমান।
আন্তর্জাতিক ফিনটেক কোম্পানি ও মানি ট্রান্সফার অ্যাপ ‘না’লা’ (NALA) বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাতে আয়োজিত “মিট দ্য মিডিয়া গেটকীপার্স” অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরে।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বার্ডস আই রেষ্ট্যুরেন্টে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ‘না’লা বাংলাদেশ’-এর হেড অব গ্রোথ মাহমুদুল হাসান।
মাহমুদুল হাসান বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা জিরো ফিতে দ্রুত এবং নিরাপদভাবে দেশে পৌঁছানোই আমাদের অঙ্গীকার। প্রবাসীরা কঠোর পরিশ্রম করে পরিবারকে সহায়তা করেন, তাঁদের উপার্জিত প্রতিটি টাকা শুধু পরিবারের জীবনমান নয়, দেশের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করে। তাই রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়ায় যেন বাড়তি খরচ, লুকানো চার্জ বা বিলম্ব না হয়, সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে না’লা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি লেনদেনে আস্থা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রবাসীরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারেন—‘আমাদের টাকা নিরাপদে, দ্রুত এবং বিনামূল্যে দেশে পৌঁছাচ্ছে।’ এভাবেই রেমিট্যান্স প্রবাহকে শক্তিশালী করে জাতীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নেব।
এসময় প্রবাসীদের সাচ্ছন্দ্যের লক্ষ্যেই অ্যাপটি চালু হয়েছে জানিয়ে বক্তারা বলেন, প্রবাস জীবনে সবাই নানাভাবে ব্যস্ত থাকেন। ব্যাংক বা বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে গিয়ে টাকা পাঠানো অনেক সময় ঝামেলাপূর্ণ হয়ে পড়ে, তাছাড়া অতিরিক্ত চার্জও গুনতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে না’লা-এর তৈরি এ প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে প্রবাসীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ঘরে বসেই সর্বোত্তম রেটে এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেশে অর্থ পাঠাতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে ‘না’লা’ জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের অ্যাপ ব্যবহার করে প্রবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের ২১টি দেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারেন। ২০২১ সালে চালু হওয়া এই অ্যাপটির ব্যবহারকারী সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫ লাখ ছাড়িয়েছে।
‘না’লা’ অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো দেশগুলো হলো– অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইটালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, ‘না’লা’ একটি আন্তর্জাতিক ফিনটেক কোম্পানি ও মানি ট্রান্সফার অ্যাপ, যা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে বাংলাদেশসহ আফ্রিকা ও এশিয়ার ১৪টি দেশে দ্রুত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী উপায়ে টাকা পাঠানোর সুবিধা দেয়। অ্যাপটির মাধ্যমে ২৪৯টি ব্যাংক ও ২৬টি মোবাইল মানি সার্ভিসে লেনদেন সম্ভব। “না’লা”-এর রয়েছে ৫ লাখের বেশি ব্যবহারকারী। প্রতিষ্ঠানটির বি টু বি (B2B) পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম রফিকী এপিআই (Rafiki API) আন্তর্জাতিক লেনদেনকে সহজ করেছে। এটি ওয়াই কম্বিনেটর (Y Combinator), এক্সেল (Accel), বিসসিমার-এর (Bessemer) মতো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগপ্রাপ্ত। স্বচ্ছতা, গতি ও নিরাপত্তা—এই তিনটি মূলমন্ত্রে কাজ করছে “না’লা” (NALA)।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
হ্যাকারদের নজরে এবার হোয়াটসঅ্যাপ, সুরক্ষিত থাকবেন যেভাবে
এবার জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে সাইবার অ্যাটাকের কথা শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ স্পাইওয়্যার হুমকি আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। সর্বশেষ প্রায় ৯০ জন ব্যক্তির উপরে গুপ্তচরবৃত্তি এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার জন্য কুখ্যাত কিছু প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহার করে টার্গেট করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই আক্রমণের পরিধি নিয়ে উদ্বিগ্ন, যা ব্যবহারকারীদের সতর্কতার বেড়া ডিঙিয়ে ডিভাইস হ্যাক করতে এবং ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করতে দিতে পারে বলেই জানিয়েছেন তারা।
নতুন হোয়াটসঅ্যাপ স্পাইওয়্যার অ্যাটাকটি বিশেষ করে আইফোন এবং ম্যাক ব্যবহারকারীদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে, ফলে সংস্থা ব্যবহারকারীদের সম্ভাব্য আক্রমণ এবং এর তীব্রতা সম্পর্কে অবহিত করেছে।
হোয়াটসঅ্যাপ টার্গেটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে হ্যাকাররা তাদের ডিভাইস এবং ডাটা, যার মধ্যে ব্যক্তিগত টেক্সটও রয়েছে, তা ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
ম্যালওয়্যারের কাজ করার জন্য একটি উৎসের প্রয়োজন হয়, তার বিপরীতে, এই উন্নত স্পাইওয়্যারগুলো কেবল ব্যবহারকারীকে একটি বার্তায় ক্লিক করার ফাঁদে ফেলে! এরপর ব্যবহারকারী যখন ফোন ব্যবহার শুরু করেন, তখন ম্যালওয়্যারের কাজ শুরু হয়ে যায়।
পেগাসাসের মতো স্পাইওয়্যার সাইবার যুদ্ধের নতুন হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে যা প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করে যা তাদের টেক্সট, ছবি পাঠাতে, এমনকি ভিডিও কল করতেও সাহায্য করে।
মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম এবং এর মূল কোম্পানি মেটা ব্যবহারকারীদের সতর্ক করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে, পাশাপাশি এই জটিল আক্রমণগুলো প্রতিরোধের জন্য বিশেষজ্ঞরা দিনরাত কাজ করছেন, যাতে এগুলো চিরতরে বন্ধ বা প্রতিরোধ করার জুতসই সমাধান খুঁজে বের করা যায়।
এই স্পাইওয়্যার অ্যাটাক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ নাগরিককে টার্গেট করে না, তাই হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের গুরুতর ক্ষতি করার আগে এগুলো পর্যবেক্ষণ/শনাক্ত করার একটি উপায় থাকা উচিত।
নিজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট এবং ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতে যা করবেন-
>> হোয়াটসঅ্যাপে অপরিচিত নম্বর থেকে কোনও লিঙ্ক এলে সেখানে ক্লিক করবেন না।
>> নিজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করে রাখুন। এর ফলে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের উপর সুরক্ষার একটা অতিরিক্ত আস্তরণ পড়বে।
>> হোয়াটসঅ্যাপের লেটেস্ট ভার্সনেই থাকে যাবতীয় উন্নত ও আধুনিক সিকিউরিটি ফিচার। তাই নিজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট আপডেটেড করুন নিয়মিত।
>> নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট কোথায় কোথায় সক্রিয় তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি অপরিচিত কোনো ডিভাইস লক্ষ্য করেন, তাহলে অননুমোদিত অ্যাক্সেস প্রতিরোধ করতে দূরবর্তীভাবে লগ আউট করুন।




