কর্পোরেট সংবাদ
জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ঢাকা ওয়েস্ট এবং লিভিং উইথ ওয়েলনেস’র যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ভিন্নধর্মী কর্মশালা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ৪০টি কোম্পানি থেকে ১৩০ জন অংশগ্রহণ করেন। মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করা ও চাপমুক্ত জীবন যাপনের কৌশল নিয়ে কর্মশালা পরিচালিত হয়।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের এবারের মূল প্রতিবাদ্য ছিল কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য। এর আলোকেই জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের ‘বিবর্তন প্রজেক্ট’ অনলাইন এবং অফলাইন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ বছরে বিবর্তনের স্লোগান ‘থাকবো সচেতন, যেন সুস্থ থাকে মন’।
কর্পোরেট জগতের শতাধিক পেশাজীবীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে জনসচেতনতা এবং করণীয় নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ‘লিভিং উইথ ওয়েলনেস’-এর স্বত্তাধিকারী এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মানসিক স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক মাহমুদা।
২০২৪ সালের জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের লোকাল চ্যাপ্টার প্রেসিডেন্ট এস এম বেলাল উদ্দিনের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং সার্বিক সহযোগিতায় প্রজেক্টের সকল কার্যক্রম পরিচালিত ও সম্পন্ন হয়।
তিনি বলেন, জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট বরাবরই মেম্বার ও স্টেকহোল্ডারদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন। এই ধারাবাহিকতায় আমরা ‘বিবর্তন’ প্রজেক্টটি বিগত চার বছর ধরে করে আসছি। এ বছরের থিম ছিল কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য, যার ফলে আমরা আমাদের সদস্যদের ও তাঁদের কোম্পানির কর্মীদের এই ইভেন্টে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
বিবর্তন-এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর রিয়াল আহমেদ বলেন, আমাদের এই আয়োজনে সবাই কিছু না কিছু মানসিক সাস্থ্য নিয়ে শিখতে পারছে, জানতে পারছে। আমরা ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য সংগঠনের সাথে যৌথ উদ্যোগে আরো ব্যাপক পরিসরে মানসিক স্বাস্থ্য সচতেনতা এবং কার্যক্রম পরিচালনা করবো।
কর্মশালায় উপস্থিত থেকে এই আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন জেসিআই বাংলাদেশের গভর্নিং বডির ন্যাশনাল ট্রেনিং কমিশনার মুহাম্মদ আলতামিশ নাবিল এবং ন্যাশনাল ডিরেক্টর মাহমুদুর রহমান এবং বিবর্তন-৩ এর প্রকল্প পরিচালক জীবন আহমেদ। এছাড়া জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজাউর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিবর্তন প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর রিয়েল আহমেদ এবং প্রজেক্ট লিড আহমেদ ওয়াজেদুল হক খান দ্বায়িত্ব পালন করেন।
অনুষ্ঠানে জেসিআই বাংলাদেশের সদস্যভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এর সহযোগিতায় ছিলেন , ট্রাভেল পার্টনার গ্লোবাল ট্রাভেলস, আইটি পার্টনার টেক্সর্ট, ফুড স্পন্সর পিজ্জা ওয়ালা, মিডিয়া পার্টনার ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম, ডিজিটাল পি আর পার্টনার দ্য মেইডেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি পদে ৬ জনের পদোন্নতি
ইসলাামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, কে এম মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মো. মাকসুদুর রহমান। এর আগে তারা ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মাহমুদুর রহমান ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইং, নোয়াখালী জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১০ সালে লন্ডন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এলআইবিএফ) থেকে সার্টিফাইড ডকুমেন্টারি ক্রেডিট স্পেশালিস্ট (সিডিসিএস) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন।
মো. রফিকুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯৮ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ক্যামেলকো ও ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশনের প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য জার্মানি, ইংল্যান্ড, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত ও মালয়েশিয়া সফর করেন।
মুহাম্মাদ সাঈদ উল্লাহ স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস উইং, ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট উইং, রিটেইল ইনভেস্টমেন্ট উইং, ঢাকা নর্থ জোন ও সিলেট জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, কুষ্টিয়া থেকে অনার্স ও মাস্টার্স এবং পরে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, নেপাল, ভুটান, জর্ডান ও ভারত সফর করেন।
কে এম মুনিরুল আলম আল-মামুন ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ফরেন ট্রেড অপারেশন্স ডিভিশনের প্রধান, নওয়াবপুর রোড ও পল্টন শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৯ সালে লন্ডন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এলআইবিএফ) থেকে সার্টিফাইড ডকুমেন্টারি ক্রেডিট স্পেশালিস্ট (সিডিসিএস) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০০৬ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে ফাইন্যান্সে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত, মালয়েশিয়া ও উজবেকিস্তান সফর করেন।
ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ব্যাংকের ক্যামেলকো ও অপারেশন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান ও বিজনেস প্রমোশন অ্যান্ড মার্কেটিং ডিভিশন, হেড অফিস কমপ্লেক্স করপোরেট শাখা, ধানমন্ডি ও ফার্মগেট শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক, চীন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন।
মো. মাকসুদুর রহমান ব্যাংকের ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট উইং, ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি উইং, ফরেন রেমিট্যান্স ডিভিশনের প্রধান, যশোর ও খুলনা জোনপ্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএসএস (অনার্স) ও এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, উজবেকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভারত সফর করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
পাঁচশ তালবীজ রোপণ করলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম
বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও পরিবেশ আন্দোলনকে গুরুত্ব দিয়ে এবং বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে নিজ গ্রামে পাঁচশত তালবীজ রোপন করলেন পরিবেশ, ভ্রমণ ও এ্যাভিয়েশন বিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম। নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দশানী টবগা গ্রামে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দুই দিনব্যাপী তালবীজ রোপন কার্যক্রম শেষ হয় শনিবার (২ নভেম্বর)। এই কার্যক্রম সম্পাদনে সহযোগী হিসেবে ছিল মিশন গ্রিন বাংলাদেশ।
তালবীজ রোপনের উদ্যোক্তা পরিবেশ কর্মী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম বলেন, আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে বজ্রপাতে মারা যাওয়ার সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। মানুষের পাশাপাশি প্রতি বছর অনেক গবাদি পশু মারা যায় এ বজ্রপাতে। তাল গাছ এসব দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারে বলে এমন উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মতো আপনারাও তালের সময়ে তাল খেয়ে সেই বীজ বসতভিটার আশেপাশে অথবা রাস্তার ধারে রোপণ করুন কিংবা সেই বীজ তুলে দিন আমাদের হাতে। আসুন প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় ও বজ্রপাত থেকে বাঁচতে তালের বীজ রোপণ করি এবং নিজ চারপাশকে আরও একটু সবুজ করি।
তালবীজ রোপন করা প্রসঙ্গে মিশন গ্রিন বাংলাদেশের আহ্বায়ক আহসান রনি বলেন, সারাদেশকে আমরা সবুজ করতে চাই। দেশ সবুজ হলে অনেকাংশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিই শুধু কমবে না বরং আমাদের দেশ ফিরে পাবে তার হারানো রূপ। আমরা ফিরে পাব সবুজ, শ্যামল বাংলাদেশ। এছাড়াও আমরা বুকভরে নিতে পারব নির্মল বাতাস।
গ্রামের বাসিন্দা ও সরল অংক বইয়ের লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস অনি রাস্তার দুধারে তালবীজ লাগানো প্রসঙ্গে বলেন, মাটির ক্ষয়রোধ, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি ঘরের খুঁটি ও হাতপাখা তৈরিতে তালগাছের ব্যবহার হয়ে আসছে শত বছর ধরে। তালপাতার পাখা আমাদের বাঙ্গালী জাতির ঐতিহ্যের একটি অংশ। তাল গাছের ডালের আঁশ থেকে রকমারি দ্রব্যাদি প্রস্তুত হয়। তিনি আরও বলেন, তালগাছের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে তাই আমাদেরকে প্রচুর পরিমানে তালবীজ রোপন করতে হবে যাতে করে প্রকৃতি ঠিক থাকে।
প্রসঙ্গত, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে প্রতি বছর উষ্ণতা বাড়ছে। পৃথিবী বিশেষ করে গত কয়েক বছরে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ উষ্ণায়নের ফলে প্রতিনিয়ত কঠিন হয়ে পড়ছে মানুষের বসবাস। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পৃথিবী ব্যাপী নানান পদক্ষেপ বা কর্মসূচী লক্ষণীয় হলেও দেশে সেটা অপ্রতুল। ঝুঁকি মোকাবেলায় পরিবেশবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞগণ বৃক্ষরোপনের উপর বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন। এছাড়াও গত কয়েক বছরে দেশব্যাপী বজ্রপাতের ফলে প্রাণহানির ঘটনা হু হু করে বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতি বৃক্ষরোপনে বিশেষ তালগাছ লাগানোর উপর জোর দিচ্ছে বৃক্ষপ্রেমী ও পরিবেশকর্মীরা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
স্বপ্ন-তে ১৬০ টাকায় গরুর মাংস-আলু মিক্স কম্বো
বাংলাদেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ এবার গ্রাহকদের কেনার সুবিধার্থে এনেছে গরুর মাংস ও আলু মিক্স কম্বো নিয়ে সাশ্রয়ী অফার। শুক্র ও শনিবার (১ ও ২ নভেম্বর) ঢাকা, কুমিল্লা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভার জোনের নির্দিষ্ট আউটলেটে এই অফার থাকবে।
‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছোট পরিবারের কেনার সুবিধার্থে গরুর মাংসের সাথে আলুসহ কম্বো প্যাক করা হয়েছে। যেখানে কম্বো প্যাকটির নাম গরুর মাংস-আলু মিক্স (স্মল)- ছোট এই প্যাকে থাকছে গরুর মাংস ২০০ গ্রাম এবং আলু ১০০ গ্রাম (১০ পিস গরুর মাংসের সাথে ১০ পিস আলু)-যার বিক্রয়মূল্য রাখা হয়েছে মাত্র ১৬০ টাকা।
আর একটি প্যাকে থাকছে গরুর মংস-আলু মিক্স (লার্জ)- বড় এই প্যাকে ৩৭৫ গ্রাম মাংসের সাথে ২০০ গ্রাম আলু থাকবে-যার বিক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা।
মূলত, একটি পরিবারের এক বা দুবেলার মাংস-ভাতের আয়োজনে ক্রেতাদের জন্যে সুবিধাজনক এই প্যাক এনেছে ‘স্বপ্ন’।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বেসিসের পুনর্গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান সংস্কার পরিষদের
দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনকে প্রত্যাখ্যান করতে পথে নেমেছিল ছাত্র-জনতা। জুলাই-আগস্টে আন্দোলনরত এ জনতাকে দমন করতে গণহত্যা, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া, গণগ্রেফতার ইত্যাদি চালিয়েছিল বিগত সরকার। স্বৈরাচারী সরকারকে সমর্থন দেওয়া বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমের (বেসিস) কার্যনির্বাহী পরিষদের পুনর্গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বেসিস সংস্কার পরিষদ।
বেসিস সংস্কার পরিষদের পক্ষে মুখপাত্র ফৌজিয়া নিগার সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পুনর্গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। সেই সঙ্গে বেসিসের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটিকে বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সংস্কার কমিটি গঠনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
জানা গেছে, আওয়ামী দুঃশাসনে মানুষ যখন অতিষ্ঠ, গণহত্যার প্রতিবাদে দেশ-বিদেশের মানুষ উচ্চকিত, তখন তৎকালীন সরকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল তাদের টিকে থাকার স্বার্থে। এসময় শেখ হাসিনা সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (বেসিস) তার কার্যালয়ে আয়োজন করেছিল ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা। যেখানে বেসিসের সদস্য কোম্পানিরা তাদের জনশক্তিদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে হোম অফিস দিয়েছিল, সেখানে বেসিস কার্যালয়ে সশরীরে প্রোগ্রাম করে বেসিস নেতৃবৃন্দের চাওয়া ছিল বিশ্বদরবারে দেখানো যে বাংলাদেশে কিছুই হচ্ছে না।
গত ৮ মে অনুষ্ঠিত বেসিসের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন হয়েছিল। সে নির্বাচনে সালমান ও পলকের আশির্বাদ নিয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ক্ষমতায় বসেছিল বর্তমান ইসি।
গত ৫ আগস্ট গণঅভুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এক নতুন যাত্রা শুরু হয়। মানুষ যে কোনো বিষয়ে মুখ খুলে সমালোচনা করতে পারে। ফলে বর্তমান ইসির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে থাকে বেসিস সংস্কার পরিষদের ব্যানারে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। সালমান ও পলকের আশির্বাদের জিতে আসা বর্তমান ইসির পদত্যাগ দাবি করে এ পরিষদ।
সংস্কার পরিষদের অব্যাহত দাবির প্রেক্ষিতে বেসিসের প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ এবং সহ-সভাপিত (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান পদত্যাগ করেন।
বেসিস সংস্কার পরিষদ থেকে জানানো হয়, আমাদের প্রত্যাশা ছিল বেসিসের কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল সদস্যই পদত্যাগ করবেন। কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি, জয়-সালমান-পলকের আশির্বাদে জিতে আসা সদস্যরা পদত্যাগ না করে কার্যনির্বাহী পুনর্গঠিত করেছেন। ৩ আগস্ট ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে প্রোগ্রামের মঞ্চে থাকা ব্যক্তিরাই নেতৃত্ব হাতে তুলে নিয়েছেন। আইসিটি ডিভিশনে সালমান এফ রহমানের পার্টনার হয়ে কাজ করা ব্যক্তি এম রাশিদুল হাসান বেসিসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। বেসিসের মত একটি অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের হাতে থাকলে তা দেশের অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করে সংস্কার পরিষদ।
আমরা বেসিসের পুনর্গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করছি। বেসিসের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটিকে বিলুপ্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি আরও মজবুতের লক্ষ্যে ক্যাম্পেইন
সহনশীলতা, পুনরুদ্ধার ও নবজাগরণ এই ৩জকে নতুন মোটো হিসেবে নিয়ে ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তিকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে শুরু হয়েছে ‘শক্তিশালী আগামীর পথে, এগিয়ে চলি একসাথে’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মাকসুদা বেগম, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. মোরশেদ আলম খন্দকার ও মো. আনোয়ার হোসেন, এফসিএ।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ- ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হান্নান খান ও মো. নাজমুস সায়াদাতসহ, ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ ও ঢাকাস্থ শাখার ব্যবস্থাপকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম বলেন, গত দেড় মাসে ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা রিকভারি হয়েছে এবং এই ক্যাম্পেইনকালীন সময়ে আরও ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ডিপোজিট আহরণেরও যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে তা অর্জিত হলে ব্যাংকের তারল্য সংকট কেটে যাবে। ক্যাম্পেইনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক শরী’আহ কমপ্লায়েন্স ব্যাংক হিসেবে তার অবস্থান আরো সুদৃঢ় করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ও এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মাকসুদা বেগম বলেন, ক্যাম্পেইনে একসাথে রিকভারি ও ডিপোজিট মবিলাইজেশনের উপর গুরুত্বরোপ করা হয়েছে যা খুবই ইতিবাচক।
এসএম