রাজনীতি
১৯ বছর পর প্রকাশ্যে জামায়াতের রুকন সম্মেলন
আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরসহ দীর্ঘ ১৯ বছর প্রকাশ্যে সম্মেলন করতে পারেনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে এবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পটপরিবর্তনের পর প্রকাশ্যে রুকন সম্মেলন করছে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ সম্মেলনেই নির্বাচন করা হবে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির। মহানগর উত্তরের রুকনরা তাদের গোপন ভোটে মহানগর উত্তরের নতুন আমির নির্বাচন করবেন। তবে দলীয় নিয়ম অনুযায়ী, কেউ আমির পদে নিজে থেকে প্রার্থী হবেন না।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রুকনরা পছন্দের নেতার নাম লিখে একটি নির্দিষ্ট বাক্সে ফেলবেন। মহানগর উত্তরের আমির নির্বাচনে ১০ হাজারের বেশি রুকন এতে অংশ নেবেন। সর্বোচ্চ যিনি ভোট পাবেন, তিনি আমির হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
সর্বশেষ ২০০৫ সালে পল্টন ময়দানে বড় পরিসরে অভিন্ন ঢাকা মহানগরের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে প্রকাশ্যে বড় পরিসরে রুকন সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
অন্তর্বর্তী সরকার তিনমাসে অনেকগুলো কাজ করেছে: ফখরুল
অন্তবর্তীকালীন সরকারের তিনমাসে অনেকগুলো কাজ করেছে। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করি তাহলে তারা উপযুক্ত ও যৌক্তিক সময়ে তারা নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ‘৭ নভেম্বর বিপ্লব সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ নভেম্বরের এই ১৯৭৫ সালে দেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক জনতা দ্বিতীয়বারের মত আধিপত্যবাদকে ও তাদের দোসরদের পরিজাতি নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে। ৭ নভেম্বরের পরে রাজনীতি ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রাজনীতি, সেই রাজনীতি ছিলো আধিপত্যবাদকে পরাজিত করে গণতন্ত্রের শত্রুদের পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালে সিপাহি জনতার বিপ্লবের পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর দেশের অবস্থা পরিবর্তন করলেন।
‘সেই সময় জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করে বহদলীয় গণতন্ত্রে নিয়ে আসেন। তিনি রুদ্ধ বাজার অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রূপান্তর করেন। ফলে বাংলাদেশে নতুন অর্থনীতির সম্ভবনা সৃষ্টি করেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর দায়িত্ব নেয়ার পর জাতীয়বাদী দল ও জাতীয়তাবাদ দর্শন সৃষ্টি করেছেন। এই দর্শনে দীর্ঘকাল দলটি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই ও সংগ্রাম করছে। দেশনেত্রী খালেদা দীর্ঘ সংগ্রামে দলটি তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসছে।
ফ্যাসিবাদ সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার বিএনপিকে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেছে নির্যাতন করেছে। এই আওয়ামীলীগ প্রায় ৬০ লাখের মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। ৭শত মানুষকে গুম করে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলো।
‘কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মত এই দেশে আধিপত্যবাদকে পরাজিত করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রধান নায়ক স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে জিয়ারত করেছে শ্রদ্ধা জানিয়েছি ও শপথ করেছি আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দিবো এরজন্য প্রয়োজনে আরো বেশি শক্তিশালী আন্দোলন করবো।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচনের দাবিতে এপ্রিলের মধ্যেই আন্দোলনে নামছে বিএনপি
অন্তর্বতী সরকারের মেয়াদ ৩ মাস পেরোলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ‘নির্দিষ্ট তারিখ ও রোডম্যাপ’- এর কোন ধরণের ঘোষণা না আসায় আশাহত হচ্ছে বিএনপি। প্রধান উপদেষ্টার সাথে বেশ কয়েকটি বৈঠকে এসব দাবি করে সাড়া না পাওয়ায় দলটি কিছুটা সন্দেহও পোষণ করছে সরকারের প্রতি। তাই এবার নির্বাচন আদায়ে ও সরকারকে চাপে রাখতে আন্দোলন নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি দলীয় একাধিক সূত্র এমনটি নিশ্চিত করেছে।
গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়, সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ভার্চুয়ালি অংশ নেন। দলের সর্বোচ্চ এ ফোরামে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইবেন। সেটি নাহলে মার্চ-এপ্রিলের দিকে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর পরিকল্পনা দলটির। তবে দলের দুই-একজন সদস্য আরো একটু ধীরে চলা নীতিতে এগোনোর পক্ষেও মতামত দিয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, সরকার প্রথমদিকে যেভাবে বিএনপির কথা শুনতো তা দিনেদিনে কম শোনার প্রবণতার দিকে যাচ্ছে, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি গঠনের আগেও বিএনপিকে জানায়নি। এছাড়া সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার কথায় মনে হচ্ছে, তারা বিএনপির বিপরীতে আরেকটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের জন্য নির্বাচনে কালক্ষেপণ করছেন।
গত কয়েক মাস বিএনপির কর্মসূচি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়; এ সরকারের প্রথম মাসে বিএনপিকে যেমন নির্ভার মেজাজে দেখা গেছে- তা কিছুটা কম দেখা গেছে গত দুই মাসে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর যুগপৎ আন্দোলনের জোট শরীকদের সাথে কিছুটা যোগাযোগ কমিয়ে দিলেও এখন আবার তা জোরদার করেছে, দফায় দফায় মিটিং করছে ছোট দলগুলোর সঙ্গে। ইতোমধ্যে ছোট দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে ১৮ জনকে বিভিন্ন আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে আগাম মনোনয়ন দিয়ে সাথে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও সালাহ উদ্দিন আহমেদও সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামির দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে দুই দলের একসাথে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও কিছুদিন আগেই উভয় দলের নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। এসব কিছু মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে বিএনপি সবাইকে নিয়ে নির্বাচন আদায়ে মাঠে থাকতে চাইছে, এবং কোনমতেই জোটছুট হতে চাচ্ছে না এ পরিস্থিতিতে।
গত সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর বলেন, “২০০৭ সালে ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় বিরাজনীতিকরণে এবং মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছিল।
সেই পথ অনুসরণ করার কথা চিন্তাও করা উচিত নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপিকে কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ বাংলাদেশের জনগণ কখনোই তা মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নানাভাবে ভাঙার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও পারবে না,” বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা অপ্রত্যাশিত ও অযাচিত মন্তব্য করে বলেছেন, রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যেতে অস্থির। ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তার মতো কোনো ব্যক্তি এ ধরনের মন্তব্য করবেন তা আমরা আশা করি না’।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচনের দরজা পার হয়ে গণতন্ত্রের পথে যেতে হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দেবেন। এ আশায় তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন একটি দরজা, সে গেট পার হয়েই গণতন্ত্রের পথে যেতে হবে।
আজ মঙ্গলবার ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় মহিলা দলের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র হয় দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে দানব চেপে বসেছিলো তা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। ছাত্র, আমরা সবাই মিলে একটি অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করেছি। তবে বিপদ শেষ হয়ে যায়নি। নতুন করে বিপদ আসার আশঙ্কা আছে এবং গণতন্ত্রকে নষ্ট করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে আবার। তাই সামনে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর গোটা জাতিকে নির্যাতন করেছে। অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। ব্যাংক ধ্বংস করেছে। সব জায়গায় দুর্নীতি। ১৭ বছর ধরে বিএনপি লড়াই-সংগ্রাম করেছে। অসংখ্য মামলা, জেল, গুমের ঘটনা ঘটেছে।
৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতির কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান অন্ধকার থেকে দেশকে আলোতে নিয়ে আসেন। ১৯৭৫ সালের পর শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়িত্ব না নিলে এ দেশের ভাগ্যে কি হতো বলা যায় না। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব বিভক্ত জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল সেদিন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বিএনপিই প্রথম সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আজ অনেক ব্যক্তি সংস্কারের কথা বলছেন, তবে সবার আগে সংস্কারের প্রস্তাব বিএনপিই দিয়েছিল। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র নেতা তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেত্মাতারা রয়ে গেছে, তাই দেশে রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। এ সময় শুধু বইয়ের কতগুলো লাইন পরিবর্তন করলেই সংস্কার হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের ভাগ্যের ভালো পরিবর্তন হলেই তবে তা সংস্কার হবে।
বিএনপিই প্রথম সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে দাবি করে তারেক রহমান বলেন, আজ অনেক ব্যক্তি সংস্কারের কথা বলছেন, তবে সবার আগে সংস্কারের প্রস্তাব বিএনপিই দিয়েছিল। ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কারের রূপরেখা বাস্তবায়নে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
এ সময় রাজনীতিতে তরিকুল ইসলামের অবদানের কথা তুলে ধরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এমন একজন মানুষ হারিয়েছি বলেই হয়তো আজ আরও ভালো পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। দেশ ও রাজনীতিতে তার অবদান অনস্বীকার্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ.লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল আর নেই: গয়েশ্বর
আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল বাংলাদেশে আর নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সোমবার (০৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, সর্বস্তরের মানুষ দেশ স্বাধীন করল আর সরকার গঠন করল আওয়ামী লীগ। বাহাত্তরে তারা যে সংবিধান লিখেছে, তারা কি সেই সংবিধান মেনে চলেছে? চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ব্যাংক ডাকাতি, নারী নির্যাতন- এসব কি সংবিধানে লেখা ছিল?
তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধান আওয়ামী লীগ লঙ্ঘন করেছে। তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। যুগে যুগে আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল আর নেই। জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের স্যালুট জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশ গঠন করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যার যেটুকু করা উচিত, সেটুকু করলে দেশের মানুষ খুশি হবে। দেশের জনগণ নির্বাচন চায়, বিএনপিও নির্বাচন চায়। কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত শান্তি বয়ে আনে না। জিয়াউর রহমান সব নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বাকশালী আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেন। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের সেকেন্ড নেতা। প্রথম নেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
তিনি আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় নিরঙ্কুশ করার ফলাফল কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। যাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করব, তারা নিজেরাই নিজেদের নিষিদ্ধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এ সময় গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনা এতদিন আইন মানেনি। এখন আইনকে ভয় পাচ্ছে। ভয় না পেলে দেশ ছেড়ে পালাত না।
এমআই