টেলিকম ও প্রযুক্তি
স্মার্টব্যান্ডে যুক্ত হচ্ছে গুগলের এআই চ্যাটবট জিমিন
স্মার্টওয়াচে অসংখ্য নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনেক আগেই এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি যুক্ত হয়েছে স্মার্টওয়াচে। এবার স্মার্টব্যান্ডে যুক্ত হচ্ছে গুগলের এআই চ্যাটবট জিমিন। ফিটবিটে একটি নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বৈশিষ্ট্যযোগ করছে। যা ব্যবহারকারীদের তাদের স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস সম্পর্কে আরও ভালো তথ্য দেবে।
গুগল সম্প্রতি ফিটবিটে একটি নতুন এআই ফিচার যুক্ত করেছে, যা ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য ও ফিটনেস ট্র্যাকিংকে আরও উন্নত করবে। এই ফিচারটির নাম গুগল এআই জিমিন, যা প্রযুক্তির সাহায্যে ব্যক্তিগত ফিটনেস সহায়তা প্রদান করবে। এই নতুন ইনোভেশনটি ফিটবিটের ইউজারদের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করবে।
গুগল এআই জিমিন একটি উন্নত অ্যালগরিদমের মাধ্যমে কাজ করে, যা ব্যবহারকারীর ফিটনেস ডাটা, যেমন হাঁটার সংখ্যা, স্লিপ প্যাটার্ন, হার্ট রেট এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য তথ্য সংগ্রহ করে। এই তথ্য বিশ্লেষণ করে এআই ফিচারটি ব্যক্তিগতভাবে উপদেশ প্রদান করে।
ফিটনেস ট্র্যাকিংয়ের পাশাপাশি, এআই জিমিন ব্যবহারকারীদের খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইল পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও নির্দেশনা দিতে সক্ষম। এটি খাদ্য সম্পর্কিত সুপারিশ, যেমন ক্যালোরি এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করার জন্য টিপস, প্রদান করতে পারে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের স্বাস্থ্যগত লক্ষ্য অর্জনে আরও উৎসাহিত হতে পারবেন।
গুগল এআই জিমিনের একটি বিশেষত্ব হলো এটি ব্যবহারকারীর অগ্রগতি ট্র্যাক করতে পারে এবং সেই অনুযায়ী তাদের লক্ষ্য পুনর্বিবেচনা করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি ব্যবহারকারী একটি নির্দিষ্ট ওজন কমানোর লক্ষ্য স্থির করেন, তবে এআই সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো বিশ্লেষণ করে এবং দৈনন্দিন কাজের পরামর্শ দেয়।
এছাড়া, ফিটবিটের ব্যবহারকারীরা গুগল সহায়তার মাধ্যমে বিভিন্ন ফিটনেস চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে পারবেন, যা তাদের ফিটনেস যাত্রাকে আরও মজাদার ও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলবে। এটি সামাজিক সংযোগ তৈরিতে সহায়ক হবে, যেখানে ব্যবহারকারীরা একে অপরের সাথে তাদের অগ্রগতি শেয়ার করতে পারবেন।
সার্বিকভাবে, গুগল এআই জিমিন ফিটবিটের জন্য একটি গেম চেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হতে চলেছে। এটি শুধু ফিটনেস ট্র্যাকিংকেই উন্নত করবে না, বরং ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে উৎসাহিত করবে। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য প্রযুক্তির এ ধরনের উদ্ভাবন আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে আরও সহজ এবং সুস্থ করে তুলবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ঢাকা টেলিফোনের নতুন এমডি মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম
বেসরকারি মালিকানাধীন ল্যান্ড ফোন ঢাকা টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক। একইসঙ্গে এটিএম হায়াতুজ্জামান খান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হয়েছেন। সোমবার (৪ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ নতুন এমডি ও চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকা টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান ব্যবসা ঢাকা ফোন এই নিয়োগের মধ্য দিয়ে আশার আলো সঞ্চার করতে যাচ্ছে। মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, আমরা ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী ভয়েস এবং ইন্টারনেট উভয়ের দাম কমাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করব।
ঢাকা ফোন ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম ও সিলেট জোনে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৭ সালে রাজধানী ঢাকায় প্রথম বেসরকারি-খাতের ফিক্সড-লাইন অপারেটর হিসাবে কার্যক্রম শুরু করে।
ঢাকা টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পরিচালক ছিলেন মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে বিএসসি ও এমএসসি করেছেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার জিই ক্যাপিটাল ও কম্পিউটারল্যান্ডে কাজ করেন। ১৯৯৭ সাল থেকে মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম দেশের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তির নির্ভর ও সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা টেলিকম ও ফ্লোরা সিস্টেমস পরিচালনা করে আসছেন।
ফ্লোরা সিস্টেমস প্রতিষ্ঠার পর তিনি তৈরি করেন বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে বহুল সমাদৃত কোর ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার “ফ্লোরা ব্যাংক”। যা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, দ্য ট্রাস্ট ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের ২ হাজার ২৫৫টি শাখায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসে (বেসিস) প্রথম মেয়াদে (২০০২ সাল) অর্থ-সম্পাদক এবং দ্বিতীয় মেয়াদে (২০০৪ সাল) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দুই দফায় সফলভাবে যুক্ত ছিলেন। তার নেতৃত্বেই বেসিসের বিডিবিএল ভবনে স্থাপিত হয় দেশের প্রথম সফটওয়্যার ইনকিউবেটর এবং তিনিই ছিলেন দেশের প্রথম বেসিস সফটএক্সপোর আহ্বায়ক।
তিনি চারবার যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত কমডেক্সফলে সফটওয়্যার ও আইটি সেবা রপ্তানি প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের হয়ে নেতৃত্ব দেন। তিনি এফবিসিসিআই-এর সঙ্গে দেশের প্রথম জাতীয় আইসিটি নীতিমালার খসড়া প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইন্টারনেটের দাম কমানোর বিষয়ে কাজ করছে সরকার
ইন্টারনেটের দাম কমানোর বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান এমদাদ-উল বারী বলেছেন, সরকার এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন। টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ (টিআরএনবি) এই বৈঠকের আয়োজন করে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণে ইন্টারনেটের দাম কম হওয়া উচিত। যা নিয়ে বিটিআরসি কাজ করছে। আসলে বিটিআরসির অনেক ক্ষমতা কমেছে। তা পুনরুদ্ধারে কাজ করা হবে। সেই সঙ্গে আগামীতে অধিক সংখ্যক লাইসেন্স আর দেওয়া হবে না। বরং টেকসই লাইসেন্স দিতে কাজ করা হবে। আমরা এখন ভয়েস ফ্রেন্ডলি থেকে ডেটা ফেন্ডলিতে যাব। মোবাইল অপারেটরেরা সব টাওয়ার কোম্পানিগুলোকে দিয়ে দিতে চাইছে। আবার অপারেটরেরা যদি সাশ্রয়ী দামে ফাইবারের সেবা নিতে তা সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, টেলিকম খাতে কাউকে দানব হতে দেওয়া হবে না। যারা চেষ্টা করবে, প্রয়োজনে পাখা কেটে দেওয়া হবে। আজকের দিনে ইন্টারনেট মৌলিক অধিকার আইন হওয়া উচিত। কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া উচিত নয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
হাতে আইফোন-১৬ দেখলেই ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ
আইফোন-১৬ বিশ্বজুড়ে ক্রেতাদের তুমুল আগ্রহে রয়েছে। অত্যাধুনিক ফিচার আর নতুন প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এ মোবাইল নিয়ে যেন ক্রেতাদের আগ্রহের শেষ নেই। কিন্তু বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় আইফোন বিক্রি ও নিষিদ্ধ করেছে এশিয়ার একটি দেশ। এমনকি কারও হাতে আইফোন-১৬ দেখা গেলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় ইন্দোনেশিয়ায় আইফোন ১৬ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দেশটির শিল্পমন্ত্রী আগুস গুমিওয়াং কর্তাসাসমিতা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছেন।
গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দেশটির শিল্পমন্ত্রী বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় আইফোন ১৬ ব্যবহার অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। কেননা দেশটিতে আইফোন ১৬ এর জন্য এখনও আন্তর্জাতিক মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) সার্টিফিকেশন ইস্যু করা হয়নি।
অভিযোগ করা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি অ্যাপল। ফলে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশটিতে অ্যাপলের ১০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের কথা থাকলেও তারা এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয় আইফোনের ইএমআই আটকে দিয়েছে। ফলে নতুন করে কেউ আইফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি কারো হাতে আইফোন দেখা গেলে তাও কর্তৃপক্ষতে জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে শিল্পমন্ত্রী জানান, বিনিয়োগ ঘাটতির কারণে আইফোন ১৬ বিক্রি বা ব্যবহার নিষিদ্ধ হতে পারে।
চলতি বছরের এপ্রিলে আপলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) টিম কুক ইন্দোনেশিয়া সফর করেন। এ সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে তাতেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। এরপরই চলতি সপ্তাহে আইফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়া সফর করেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) টিম কুক। ওই সময় দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে দেখা করে দেশটিতে অ্যাপলের সম্ভাব্য উৎপাদন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। কিন্তু তাতেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। এরপরই চলতি সপ্তাহে আইফোন ১৬ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধের ঘোষণা এল। ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফেবরি হেন্দ্রি অ্যান্টনি আরিফ জানান, আইফোন ১৬-এর টিকেডিএন সার্টিফিকেশনের আবেদন পর্যালোচনাধীন রয়েছে। তবে অ্যাপলের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে আইফেন ১৬ বিক্রি বা ব্যবহারের বিষয়টি অনুমোদন পাবে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ডিজিটাল মার্কেটিং পদে চাকরির সুযোগ
রূপায়ন গ্রুপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল মার্কেটিং (কর্পোরেট সেলস) বিভাগ ম্যানেজার পদে জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গত ২৩ অক্টোবর থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
এক নজরে ডিজিটাল মার্কেটিং পদে বিজ্ঞপ্তি
প্রতিষ্ঠানের নাম: রূপায়ন গ্রুপ
পদের নাম: ম্যানেজার
বিভাগ: ডিজিটাল মার্কেটিং (কর্পোরেট সেলস)
পদসংখ্যা: ০১টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মার্কেটিংয়ে এমবিএ
অন্যান্য যোগ্যতা: ডিজিটাল মার্কেটিং পরিকল্পনা, এসইও/এসইএম, মার্কেটিং ডাটাবেজ, ই-মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন প্রচার। গুগল অ্যানালিটিক, গুগল ট্রেন্ডস, গুগল রি-মার্কেটিং, ফেসবুক প্রচারে দক্ষতা।
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১০ বছর
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মীরা সরকারি চাকরি পাবেন না: আসিফ মাহমুদ
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মক্ষেত্র: অফিসে
প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ
বয়সসীমা: ৩৪ থেকে ৪০ বছর
কর্মস্থল: ঢাকা
বেতন: ৫৫,০০০ থেকে ৭৫,০০০ টাকা (মাসিক)
অন্যান্য সুবিধা: টি/এ, মোবাইল বিল, পারফরম্যান্স বোনাস, প্রভিডেন্ট ফান্ড, দুপুরের খাবারের সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ২২ নভেম্বর ২০২৪
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
অতিরিক্ত এসএমএস পাঠানোয় জিপি-রবি-বাংলালিংককে জরিমানা
বিধি লঙ্ঘন করায় গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংককে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। নথি অনুযায়ী, গ্রাহকদের প্রতিদিন তিনটির বেশি প্রচারমূলক এসএমএস পাঠানোর জন্য প্রতিটি অপারেটরকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
গত বছর ডেটা ও অন্যান্য প্যাকেজ সম্পর্কিত নির্দেশনায় বিটিআরসি বলেছিল, মোবাইল অপারেটররা প্রতিদিন তিনটির বেশি প্রচারমূলক এসএমএস পাঠাতে পারবে না।
বিটিআরসি ও অপারেটরদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে যুক্তি-তর্ক হওয়ার পর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংককে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিটিআরসির যুক্তি, প্রতিদিন তিনটির বেশি প্রচারমূলক এসএমএস গ্রাহকদের মানসিকভাবে হয়রানির কারণ। অপারেটরদের দাবি, হ্যান্ডসেট, নিষ্ক্রিয় সিম ও অন্যান্য কারণে গ্রাহকদের কাছে এসএমএস সরবরাহের হার ৭০ শতাংশের কম হওয়ায় প্রতিদিন তিনটির বেশি এসএমএস পাঠানো প্রয়োজন হয়।
তারা আরও বলছে, নতুন পণ্য, পরিষেবা ও এআইচালিত অফার সম্পর্কে সরাসরি গ্রাহকদের জানানোর স্বার্থে প্রতিদিন তিনটি প্রচারমূলক এসএমএস পাঠানো তাদের জন্য অত্যাবশ্যক।
বিটিআরসি গত বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে গ্রাহকদের প্রতিদিন তিনটির বেশি এসএমএস পাঠানোর বিষয়ে গ্রামীণফোনকে প্রথম সতর্ক করেছিল এবং চলতি বছরের এপ্রিলে ব্যাখ্যা চেয়েছিল।
জবাবে, সিস্টেমের সীমাবদ্ধতা, গ্রাহক হ্যান্ডসেট সমস্যা এবং অন্যান্য কারণে প্রতি গ্রাহকের কাছে এসএমএস সরবরাহের হার গড়ে প্রায় ৬৮ শতাংশ বলে জানায় গ্রামীণফোন।
তারা আরও জানায়, নিষ্ক্রিয় গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এই হার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম হতে পারে। তাই, গ্রাহকরা তিনটি এসএমএস পেয়েছেন, সেটা নিশ্চিত করতে তিনটির বেশি এসএমএস পাঠাতে হয়।
বিটিআরসি গত বছর বাংলালিংককে সতর্ক করেছিল এবং চলতি বছরের মে মাসে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চায়।
এর প্রতিক্রিয়ায় অপারেটরটি জানায়, প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ থাকার পরও তারা দৈনিক প্রচারমূলক এসএমএস পাঠানো সীমিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
তাদের যুক্তি, তিনটি এসএমএস পাঠানোর সীমাবদ্ধতা থাকলে গ্রাহকের চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন পরিষেবা ও পণ্যের প্রচার করায় বাধা তৈরি হয়।
তারা জানায়, বাংলালিংকের বেশিরভাগ গ্রাহকই নন-স্মার্টফোন ২জি ডিভাইস ব্যবহারকারী। ফলে, ডিজিটাল প্রচারণার তথ্য তাদের কাছে পৌঁছায় না।
তাই, প্রান্তিক ও নন-স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে তথ্য পৌঁছানোর কার্যকর উপায় হিসেবে গ্রাহকদের এসএমএস পাঠানোর ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে বাংলালিংক।
বাংলালিংকের যুক্তি, প্রতিদিন সর্বোচ্চ তিনটি এসএমএস পাঠানোর সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া বৈষম্যমূলক এবং গ্রাহকরাও উপযুক্ত পণ্য সম্পর্কে জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।
গত বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে এ বিষয়ে রবিকে সতর্ক করা হয় এবং ওই বছরের নভেম্বরে গ্রাহকদের কাছে প্রতিদিন তিনটির বেশি এসএমএস পাঠানোর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
রবি তাদের জবাবে জানিয়েছে, পরিষেবার বৈচিত্র্য, পণ্য নির্বাচন ও এআইভিত্তিক নোটিফিকেশনের জন্য প্রচারণামূলক এসএমএস পাঠানো অপরিহার্য।
তারা জানায়, রবির এসএমএস প্ল্যাটফর্ম ডেটা ও ভয়েস প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আলাদাভাবে কাজ করে। ফলে, গ্রাহকদের পাঠানো এসএমএস সংখ্যা সীমাবদ্ধ করা তাদের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে কঠিন।
ডু নট ডিস্টার্ব (ডিএনডি) পরিষেবা চালু থাকার পরও এমন ছোট বিষয়েও বিটিআরসির প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মোবাইল অপারেটররা বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে বেশ কয়েক বছর আগে প্রচারমূলক এসএমএস বন্ধ করার সুযোগ দিয়েছে গ্রাহকদের।
গ্রাহকরা শর্ট কোড ডায়াল করে ডু নট ডিস্টার্ব পরিষেবা সক্রিয় করতে পারেন, যার ফলে তাদের মোবাইলে অপারেটরদের প্রচারণামূলক এসএমএস আসবে না। এর জন্য গ্রামীণফোন থেকে *১২১*১১০১#, বাংলালিংক থেকে *১২১*৮*৬# এবং রবি ও এয়ারটেল থেকে *৭# ডায়াল করতে হবে।
এমআই