জাতীয়
মহাঅষ্টমীতে কুমারী ও সন্ধিপূজা সম্পন্ন
আজ শুক্রবার মহাষ্টমী। মণ্ডপ-মন্দিরে ভক্ত দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। এদিনের মূল আকর্ষণ থাকে কুমারী ও সন্ধিপূজা। মহাষ্টমীর দিন সকাল থেকেই দেবীর মহাষ্টমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা শুরু হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় কুমারী পূজা শুরু হয়ে শেষ হয় সাড়ে ১০টায়। দেবী পুরাণে কুমারী পূজার সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। এদিন কুমারী বালিকার মধ্যে বিশুদ্ধ নারীর রূপ কল্পনা করে তাকে দেবী জ্ঞানে পূজা করেন ভক্তরা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) প্রতিবারের মতো এবারও ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত হয় দেবী কুমারী পূজা। অন্যান্যবার সন্ধিপূজা সন্ধ্যা বা রাতের বেলায় অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর তিথি মেনে তা দিনের বেলাতেই অনুষ্ঠিত হয়। পূজার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে হাতে ফুল, বেলপাতা নিয়ে ভক্তরা মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে দেবীর পায়ে অঞ্জলি দেন। এরপর দুপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত এক থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা ব্রাহ্মণ বা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কুমারী নারীকে দেবী জ্ঞানে পূজা করা হয়। শ্রীরাম কৃষ্ণের কথামতে, কুমারী পূজার বিষয়ে বলা হয়েছে—শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর রূপ বেশি প্রকাশ পায় এবং মাতৃরূপ উপলব্ধি করাই কুমারী পূজার উদ্দেশ্য।
শাস্ত্রমতে, এক বছর বয়সী কন্যাকে সন্ধ্যা, দুইয়ে সরস্বতী, তিনে ত্রিধামূর্তি, চারে কলিকা, পাঁচে সুভাগা, ছয়ে উমা, সাতে মালনী, আটে কুজ্বিকা, নয়ে কালসন্দর্ভা, দশে অপরাজিতা, এগারোতে রুদ্রানী, বারোতে ভৈরবী, তেরোয় মহালক্ষ্মী, চৌদ্দতে পীঠ নায়িকা, পনেরোতে ক্ষেত্রজ্ঞা এবং ষোলো বছরে তাকে অন্নদা নামে অভিহিত করা হয়।
নির্বাচিত কুমারীকে মহাষ্টমীর দিন ভোরে গোসল করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। তাকে সাজিয়ে কপালে সিঁদুর, পায়ে আলতা ও হাতে ফুল দেওয়া হয়। কুমারীকে সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোড়শোপাচারে (ষোলো উপাদান) দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়। এ সময় চারদিক শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বোল, উলুধ্বনি আর দেবী স্তুতিতে মুখর হয়ে ওঠে।
সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। অষ্টমী এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে দেবী দুর্গার আরাধনা পুজোই হলো সন্ধিপূজা। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট সর্বমোট ৪৮ মিনিটে সন্ধিপূজা হয়। এই সময়েই দেবী দুর্গা চন্ড ও মুন্ড নামে দুই ভয়ংকর অসুরদের নিধন করেছিলেন। এই ঘটনাটিকে স্মরণ করার জন্যই প্রতি বছর অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে এই সন্ধিপূজা করা হয়। সন্ধিপূজার অন্যতম উল্লেখযোগ্য নৈবেদ্য হলো পদ্ম। এই পূজায় দেবীকে ১০৮টি পদ্ম অর্পণ করা হয়, ১০৮টি বেলপাতা এবং ১০৮টি মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। নৈবেদ্যতে দেওয়া হয় গোটা ফল, জবা ফুল, সাদা চাল, শাড়ি, গহনা, এবং সাজ-সজ্জার দ্রব্যও থাকে।
নবমীর দিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ পরের দিন কেবল বিসর্জনের পর্ব। নবমীর রাতে উৎসব শেষ হয়। নবমীর রাতে তাই মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের ঘণ্টা বাজে।
বিজয়া দশমীর দিন রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টার পর থেকে প্রতিমা বিসর্জনের কথা বলা হয়েছে। মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির নেতৃত্বে পলাশীর মোড় থেকে বিজয়া শোভাযাত্রা বের হয়ে সদরঘাটের ওয়াইজ ঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন হবে।
আজ দুপুর থেকেই মন্দির ও মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনে বেরিয়ে পড়েন অনেকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ভিড়। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা গতকাল থেকেই বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শুরু করেছেন। পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ভক্তরা জানান, ষষ্ঠী থেকে দুর্গাপূজার শুরু হলেও উৎসবের আনন্দটা পুরোদমে শুরু হয় মহাঅষ্টমী থেকে। মায়ের আগমনে আনন্দ করার পাশাপাশি থাকবে বিশ্বশান্তির জন্য মঙ্গল কামনাও। এবার সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় পূজা হওয়ায় সবাই নিরাপদ অনুভব করলেও সবার মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হবে, দেবীর কাছে সেই প্রার্থনাই করেছেন তারা।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ধর্মদাশ চট্টোপাধ্যায় জানান, ষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও বেলবরণ পূজায় দেবীদুর্গার আগমন ঘটে। এরপর সপ্তমীতে পূজা দিলে সপ্তজনমের, মানে সাত জনমের পাপ মোচন হয়ে যায়।
হিন্দু পুরাণ মতে, মহাসপ্তমীতে ভক্তদের কল্যাণ ও শান্তির আশীর্বাদ নিয়ে হিমালয় কন্যা দেবী দুর্গাপূজার পিঁড়িতে বসেন। শুরু হয় মূল পূজা। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী। সকালে নবপত্রিকা স্নান ও পূজার পর দেবীর চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে প্রতিমায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভক্তের কাছে মৃণ্ময়ী প্রতিমা হয়ে উঠেছে চিণ্ময়ী। দেবীর চরণে অঞ্জলি দিয়ে তাই ভক্তরা জানিয়েছেন তাদের মনের আকুতি।
ধর্মদাশ চট্টোপাধ্যায় জানান, এবার তিথির কারণে অষ্টমী পূজাও আগে হবে। শুক্রবার সকাল ৬টার আগে অষ্টমী পূজা শেষ হয়েছে এবং এরপর সন্ধিপূজা।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির তথ্য মতে, এ বছর সারাদেশে ৩১ হাজার ৪৬১টি মণ্ডপ ও মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি দুর্গাপূজা হয়েছিল। সেই হিসাবে এবার ৯৪৭টি দুর্গাপূজা কম হচ্ছে। আর ঢাকা মহানগরে এবার ২৫২টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর ঢাকা মহানগরে ২৪৮টি পূজার আয়োজন হয়। সেই হিসাবে এবার ঢাকা মহানগরে চারটি পূজা বেড়েছে।
পিতৃপক্ষের অবসানে গত ২ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষ সূচিত হয়েছে, যা মাতৃপক্ষ নামেও অভিহিত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সিএসও অ্যালায়েন্সের আয়োজনে ‘নাগরিক সমাজ: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক জাতীয় মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের নয়, এটি আমাদের সকলের দায়িত্ব। এটির বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজের সহযোগিতা অপরিহার্য। রাষ্ট্রের সংস্কারে নিজেদেরও পরিবর্তন করতে হবে। সরকারের কোনও উদ্যোগে ঘাটতি থাকলে তা উল্লেখ করতে হবে। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সরকার ও বিভিন্ন কমিশন আলাপ-আলোচনা করছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্রদের সাথে কথা বলা হচ্ছে। সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। প্রথাগত সরকারের থেকে বর্তমানে সবকিছু ভিন্নভাবে পরিচালিত হচ্ছে।’
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি সংস্থার অবদান রাষ্ট্রে অনেক। আমাদের কমিউনিটির বন্ধন আরও দৃঢ় করতে হবে। জিএনসিসির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তী কেবিনেটে এ বিষয়ে কথা হবে। এনজিওদেরও আত্মানুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে। এনজিও ব্যুরোকে স্বচ্ছ হতে হবে। আমাদের নিজেদের পরিচয় ধরে রাখতে হবে। সমষ্টিগতভাবে ভাবতে হবে। নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি সংস্থাকে অগ্রাধিকার ঠিক করে কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, সিএসও অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক ও ক্যাম্পের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সিএসও অ্যালায়েন্সের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. হোসেন জিল্লুর রহমান; ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান; সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম; এবং ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) গুরুত্বপূর্ণ অংশীদাররা অংশগ্রহণ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি: মাহফুজ আলম
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের জন্য বিদ্যমান আইনে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। আর কমিটি গঠনের পর তারাই ঠিক করবেন নির্বাচন কমিশনে আসলে কারা থাকবেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগসহ শরিক দলগুলো নিষিদ্ধের কথা উঠেছে সংলাপে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একক কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, যারা জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যারা পালিয়েছেন, তারা কীভাবে গেলেন সে বিষয়েও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সড়ক ছাড়লো আউটসোর্সিং কর্মীরা, দিলেন আল্টিমেটাম
চাকরি স্থায়ী করতে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে শাহবাগ মোড় থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আউটসোর্সিং কর্মচারীরা। এরপর ওই এলাকায় যান চলাচল শুরু হয়।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের আশ্বাসে বিকেল ৪টার পর সড়ক থেকে চলে যান আন্দোলকারীরা।
এর আগে, শনিবার সকালে চাকরি স্থায়ীর দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হাজারেরও বেশি মানুষ। সে সময় বিভিন্ন দাবিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, কর্ণফুলি গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির কর্মচারীরাও শাহবাগে যোগ দেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, বিশৃঙ্খলা নয়, জীবন বাঁচাতেই এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা। নতুন বাংলাদেশে ঠিকাদারের কাছ থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তাছাড়া, দ্রুত দাবি মেনে নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বন্যার কারণে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়েছে: ত্রাণ উপদেষ্টা
দেশে এ বছর বন্যায় ৬০ লাখ একর জমির শস্য নষ্ট হয়ে গেছে। নিত্যপণ্যের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক-ই-আজম বলেন, বন্যার কারণে বিপুল পরিমাণ খাদ্য শস্যের ক্ষতি হয়েছে। তবে সেই ঘাটতি রাতারাতি পূরণ করা সম্ভব না হলেও সরকার দ্রুত এর যোগান দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলায় অতিদরিদ্র মানুষ বসবাস করছে। তারা অপুষ্টিতে ভুগছেন এবং প্রোটিন থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়টিকেও দুর্যোগ হিসেবে দেখছে এবং এর সমাধানের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজের বিষয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। দ্রুত রেসপন্স করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের কী কী প্রয়োজন, তা জানার চেষ্টা করেছি। বাস্তবতা হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে অনেক এলাকায় ভারী উদ্ধারকারী যানবাহন ঢুকতে পারবে না। এ ধরনের বিপর্যয়ের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিচ্ছি।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল নাহিদ আসগর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কারসহ যেসব প্রস্তাব দিল গণফোরাম
রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ ফের সংলাপে বসেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরই অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রথমেই গণফোরামের সঙ্গে বসেন তিনি।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এই সংলাপে অংশ নেয়।
সংলাপ শেষে দলটির সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসিন মন্টু সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমান বাজার অবস্থা, নিরপেক্ষ নির্বাচন ও পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার বিষয় উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া সংস্কার করে স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচনের কথাও বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। আমরা সেই কমিশন করার প্রস্তাব দিয়েছি।
গণফোরামের সমন্বয় কমিটির এই চেয়ারম্যান বলেন, সংস্কার কমিশনের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য একটি লিখিত প্রস্তাব গণফোরাম থেকে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, আজ বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সাত দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে বরাবরের মতো এবারও ডাকা হয়নি বিগত সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে (জাপা)।
সাত দল ও জোটের মধ্যে রয়েছে- গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণতান্ত্রিক মুক্তি কাউন্সিল।
সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া দল বা জোটের একাধিক নেতা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে তাদের আলোচনার মূল কেন্দ্র থাকবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ। এ ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সামনে সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব পেশ করবেন তারা। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগের দোসরদের সরানো, গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গেও নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবে দলগুলো।
এমআই