রাজনীতি
দল-মত-ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার: তারেক রহমান

দল-মত-ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার এবং নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারও সবার আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণ, কিংবা ভৌগোলিক-আদর্শিক অবস্থান নির্বিশেষে, প্রত্যেক নাগরিক যেন তার ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অধিকার বিনা বাধায় উপভোগ করতে পারে—এই লক্ষ্যেই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান—এমন প্রশ্ন ছিল না।
তিনি আরো বলেন, তাই স্বাধীন বাংলাদেশেও তথাকথিত সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নিয়ে চিন্তার কোনো অবকাশ নেই। দেশের প্রতিটি নাগরিক সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করবে—এটিই বিএনপির নীতি, এটিই বিএনপির রাজনীতি। আমরা বিশ্বাস করি, দল-মত-ধর্ম যার যার; কিন্তু রাষ্ট্র সবার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার। বাঙালি-অবাঙালি, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী, কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেক নাগরিকের একমাত্র পরিচয়—আমরা বাংলাদেশি। এই বাংলাদেশ আপনার, আমার, আমাদের সবার।

রাজনীতি
এবার বায়তুল মোকাররম মসজিদে জামায়াতের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশ নির্ধারিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছাড়িয়ে যায়। যে কারণে মসজিদসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা করা হয়।
সোমবার (২১ জুলাই) সকালে পল্টন থানা জামায়াতের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ ও রমনা (ঢাকা- ৮) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নায়েবে আমীর ড. মো. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জামায়াতের মহাসমাবেশে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমবেত হন। সমাবেশ স্থান থেকে গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, বাংলামোটর, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পরিস্কার অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
হেলাল উদ্দিন বলেন, সমাবেশের পর আমাদের সন্মানিত আমিরে জামায়াতের নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করে আসছি। তিনি চিকিৎসা নিয়ে বাসায় পৌঁছার পর থেকে পরিস্কার অভিযানের প্রতি বিশেষ নজর রাখছেন। হেলাল উদ্দিন দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানান সবাই যেন সম্মানিত আমীরে জামাতের জন্য দোয়া করেন আল্লাহ যেন তাকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর সমাগম হয়েছিল। এর একটি অংশ বায়তুল মোকাররম মসজিদেও অবস্থান নেয়। যে কারণে মসজিদের ভেতরের কিছু কিছু অংশে পরিস্কার করতে হয়েছে।
তিনি জানান, জামায়াত ইসলামী মানুষের কল্যাণে ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও পল্টন থানা আমির শাহীন আহমেদ খান। পল্টন মতিঝিল এলাকার সাবেক কাউন্সিলর খন্দকার আব্দুর রব ও এনামুল হক শামীমসহ প্রায় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন।
জামায়াতের আমির ডা শফিকুর রহমানের সমাবেশের মূল ম্যাসেজ ছিল- আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের আরেকটি লড়াই করতে হবে আর তা হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। চাঁদাবাজ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।
হেলাল উদ্দিন জানান, আমিরে জামায়াত সেই সঙ্গে ঢাকাবাসী ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াত ইসলামী। স্বাধীনতা-উত্তর এই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে জামায়াত। এই সমাবেশে তাদের মূল দাবি ছিলো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা, মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রভৃতি।
কাফি
রাজনীতি
বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের শোক

ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ প্রাঙ্গণে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
সোমবার (২১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ এভিয়েশন একাডেমির একটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইট আকস্মিকভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কলেজের একটি অংশে আছড়ে পড়ে, যার ফলে বহু শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাদের দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হলেও, এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
এই দুর্ঘটনা কলেজে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সিভিল এভিয়েশনের প্রতিনিধি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। ঘটনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। হতাহত সকলের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
একইসাথে, নিহতদের আত্মার শান্তি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
নেত্বদ্বয় ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
কাফি
রাজনীতি
বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক

রাজধানী ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অনেক হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার (২১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি শোক প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ রাজধানী ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইল স্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের উপর বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির এবং অনেক শিক্ষার্থী শাহাদাত বরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এ ঘটনায় এখনো শতাধিক শিক্ষার্থী দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি ও এলাকাবাসীকে উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ এবং আহতদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহায়তার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আমি নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য মহান রবের নিকট কায়মনোবাক্যে দোয়া করছি। নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। পাশাপাশি আহত সকলের পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
কাফি
রাজনীতি
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় একমত এবি পার্টি

তৃতীয় দফা বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনায় একমত পোষণ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
তিনি বলেছেন, ‘এটি আদালতের রায়ের মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে। কমিশন সকল দলের মতের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। যেখানে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা রাজনৈতিক দলের নেতারাই সমাধান করবেন। সংসদের প্রধান দল, বিরোধী দল, দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল মতামত দেবেন।’
রোববার (২০ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী) সাঈদ নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) গাজী নাসির, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘মতামতের ওপর ভিত্তি করে ৭ সদস্যের একটি প্যানেল করার ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। যেখানে প্যানেল ৫ জন করে বাছাই করবেন। বাছাই প্রক্রিয়া শেষে সরকারি দলের প্রস্তাব, বিরোধীদলের প্রস্তাব, দ্বিতীয় বিরোধীদলের প্রস্তাব মিলে ৫ সদস্যের একটা প্যানেল হতে পারে। যদি প্রথম স্টেজে সকল দল মিলে একমত হতে না পারে, তাহলে ৫ সদস্যের ওই প্যানেলে র্যাংক চয়েজ ভোট হতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু দ্বিমত আছে, যেখানে সংসদে সকল প্রতিনিধিত্ব দলগুলোকে মতামতে অংশগ্রহণ করানো যায় কিনা সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পদ্ধতির ব্যাপারে এবি পার্টি একমত। যদিও প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের ব্যাপারে আরও একটি প্রস্তাব এসেছে।’
ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, ‘যেহেতু কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। তাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা ৫% কোটাকে অবমাননামূলক মনে করছি। কোটার বিরুদ্ধে মেধার ভিত্তিতে সমাজ ও একটি রাষ্ট্র তৈরির এই আজাদির লড়াইয়ে আবার কোটা ফিরিয়ে আনা অন্যায্য। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে জুলাই কোটার বিরুদ্ধে কমিশনে আলোচন হওয়া উচিত। পাশাপাশি পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এজন্য এবি পার্টি মনে করে, কমিশনে গুরুত্বের সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুত আলোচনা হওয়া দরকার।’
কাফি
রাজনীতি
স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে বিভক্তি করেছে আ. লীগ: সালাহউদ্দিন

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে আমরা সবাই স্বাধীনতাকে আপন করে নিয়েছি। এখানে আমরা কোনো বিভক্তি চাই না। কারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল, কারা স্বাধীনতার পক্ষে ছিল এই বিভক্তি তো আওয়ামী লীগ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
রোববার (২০ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে আদর্শ পাবলিকেশন আয়োজিত ‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল: অভ্যুত্থানের অজানা অধ্যায়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের এবং বিপক্ষের শক্তি সাজিয়ে স্বাধীনতা নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তারাই বাইরে রয়েছে। সেই একই রাজনৈতিক অস্ত্র কি আমরা ব্যবহার করব?
তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চাই। সেই ঐক্যটা কিসের? সেই ঐক্যটা হলো ২৪ এর জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য। সেই ঐক্যটাই আমাদের জাতীয় শক্তি এবং সেই ঐক্যকে কাজে লাগিয়েই আমরা সামনের দিনে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করব।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো স্বৈরাচারের স্বাভাবিক পতন হয়নি। কারণ তারা পতনের কোনো পথই রাখে না। যেমনটি শেখ মুজিব করেছিলেন। তাজউদ্দীনের মেয়ে তার বইয়ে লিখেছেন- আপনি স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো পথই রাখলেন না।
৭১ এর চেতনা ব্যাবসার মতো ২৪ এর ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থান নিয়ে যেন চেতনা ব্যাবসা না হয় এই আহ্বান জানান সালাউদ্দিন আহমদ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে যতদিন রক্তাক্ত ইতিহাস লেখা থাকবে ততদিন শহীদ আবু সাঈদের নাম জ্বলজ্বল করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আদর্শ প্রকাশনীর প্রকাশক মাহাবুর রাহমান।
‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল’ জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খানের লেখা বই, যা আজকের এই অনুষ্ঠানে মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
কাফি