ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারও কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সই করা নীতিমালা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬+ শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন: ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্মতারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত।
পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সাথে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতি শ্রেণি শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে ৫৫ জন।
ভর্তি কমিটি:
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভর্তি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভর্তির তারিখ ও ফি:
কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় এবং আবেদন ফি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
ভর্তির জন্য আবেদন এবং শিক্ষার্থী নির্বাচন পদ্ধতি:
ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী নির্ধারিত সফটওয়্যারে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করবে।
সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদন ও আবেদন ফি গ্রহণ এবং ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের পূর্বে নির্বাচিত কারিগরি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সফটওয়ারের যথার্থতা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্য একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যাচাই করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করার পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমান শিক্ষার্থীর তালিকাও প্রস্তুত করতে হবে।
ভর্তি কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে তালিকার ক্রমানুসারে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকাশিত অপেক্ষমাণ তালিকার ক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।
শিক্ষাবর্ষের কোনো সময়ে আসন শূন্য হলে প্রকাশিত অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ভর্তি করে আসন পূরণ করতে হবে। এন্ট্রি/প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত যে কোনো শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাবে। ওই তালিকা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তি কমিটি কাগজপত্র যাচাইপূর্বক নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
ঢাকা মহানগরী ব্যতীত সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি/প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী নির্বাচনের জন্য ডিজিটাল লটারির বিষয়ে ‘ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি’ কেন্দ্রীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবে।
ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি জাতীয় পত্রিকা/ওয়েবসাইট ইত্যাদিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া জেলা/উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারবে।
যৌক্তিক কোনো কারণে সরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত হতে না পারলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি নিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করবে। তবে সেক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারির দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
আবেদনে বিদ্যালয় পছন্দক্রম:
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে ২টি পছন্দক্রম (২টি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে গণ্য হবে। বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যে কোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
শূন্য আসন নিরূপণ:
প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বিভিন্ন শ্রেণির শূন্য আসনের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণ করবেন। ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্ধারিত সফটওয়্যারে তার প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি ভিত্তিক শূন্য আসনের সংখ্যাসহ অন্যান্য তথ্য আপলোড করবেন।
ভর্তির আবেদন ও ফি:
অনলাইনে ভর্তি আবেদন ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে গ্রহণ করতে হবে। সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী সর্বোচ্চ আদায় করা যাবে।
ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান ও ফলাফল তৈরি:
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান আবেদন ও ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রকাশের যাবতীয় তথ্য ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটির কাছে দেবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি/প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদন ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত তালিকার সমসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে লটারির মাধ্যমে দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটির কাছ থেকে প্রাপ্ত নির্বাচিতদের তালিকা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে এবং নোটিশ বোর্ডেও টাঙিয়ে দেবে। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকার বাইরে কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা যাবে না।
আসন সংরক্ষণ:
ঢাকা মহানগরীর সরকারি বিদ্যালয় সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে ওই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মোট আসনের ১০ শতাংশ আসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা শর্তে ভর্তির ক্ষেত্রে ২ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। ওই আসনে কোনো শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।
কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর যমজ ভাই/বোন যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে অথবা যে সব যমজ ভাই/বোন নতুন আবেদন করবে তাদের জন্য ৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে এ সুবিধা কোনো দম্পতির মোট তিন সন্তান পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানে যমজ ভাই/বোনের আবেদন পাওয়া না গেলে ওই ৩ শতাংশ আসন সহোদর/সহোদরার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীরা এক কর্মস্থল থেকে অন্য কর্মস্থলে বদলি হলে তাদের সন্তানদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটির আওতাধীন কোনো শিক্ষার্থীকে একই শ্রেণিতে উভয় বিদ্যালয়ের সম্মতির ভিত্তিতে পারস্পরিক বদলি ভিত্তিক ভর্তি করা যাবে।
এ নীতিমালা প্রয়োগকালীন কোনো অস্পষ্টতা/অসুবিধা পরিলক্ষিত হলে তা দূরীকরণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক নিষ্পত্তি করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ভর্তির পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ও ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টার পর বুটেক্সের আজিজ হল ও ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের লতিফ হলের শিক্ষার্থীর মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তবে ঠিক কী নিয়ে এ সংঘর্ষ, তা এখনো জানা যায়নি।
বুটেক্সের শিক্ষক অধ্যাপক সায়েদুজ্জামান সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে সংঘর্ষের কারণ জানাতে পারেননি তিনি।
সংঘর্ষের খবরে পুলিশ সদস্যদের একটি টিম এলেও দুপক্ষের তোপের মুখে তারা সেখান থেকে কিছুটা দূরে সরে যান বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের একপাশের অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে আশপাশের সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আরও দুই দিন বন্ধ থাকবে ঢাকা সিটি কলেজ
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আরও দুই দিন (২৪ ও ২৫ নভেম্বর) সিটি কলেজের সব ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কলেজ প্রশাসন। আজ শনিবার দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক কাজী নেয়ামুল হকের সই করা এক নোটিশে বিষয়টি জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী রোববার (২৪ নভেম্বর) এবং সোমবার (২৫ নভেম্বর) সব ক্লাস স্থগিত থাকবে।
এর আগে, গত বুধবার (২০ নভেম্বর) সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পরদিন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বন্ধ ছিল উভয় প্রতিষ্ঠানের ক্লাস-পরীক্ষা।
সিটি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কাজী নেয়ামুল হক জানিয়েছেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সিনিয়র শিক্ষক এবং ছাত্র প্রতিনিধির সমন্বয়ে সভা হয়েছে। এতে (সভায়) উভয় কলেজের শিক্ষকদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স টিম গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ান ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত থেমে থেমে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে পুরো এলাকাজুড়ে। এ সময় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ (যৌথ বাহিনী) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার গ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পরীক্ষায় অসদুপায়ে ঢাবি ও অধিভুক্ত কলেজের ৯৯ জনকে শাস্তি
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজগুলোর ৯৯ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সর্বশেষ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ৪৮ জন, উপাদানকল্প কলেজের দুইজন ও অধিভুক্ত কলেজগুলোর ৪৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের ১৮ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা কলেজের ৩ জন, ইডেন মহিলা কলেজের ৩ জন, সরকারি তিতুমীর কলেজের ১ জন, সরকারি বাঙলা কলেজের ৪ জন, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ২ জন ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের ২ জন এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের ৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ফের ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এখনো থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের তাদের কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরপরই একপক্ষ আরেকপক্ষকে ধাওয়া করছেন, ইট-পাটকেল ছুড়ছেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ধানমন্ডি জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার তারিক মোস্তফা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, মারামারি ও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ
জুলাই-আগস্টে ছাত্র ও জনতার আন্দোলনে আহত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সব সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ইউজিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ২৯ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এ ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে (সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের বেতন বা টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই অবস্থায় এই প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের করার জন্য নির্দেশ জানানো হলো।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বর্তমানে এই শিক্ষার্থীরা যে শ্রেণিতে আছেন, সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়জীবন পর্যন্ত তারা এ সুবিধা পাবেন।
এতে বলা হয়, আহত শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে আবেদন করবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে আবেদনগুলো যাচাই করে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কাফি