কর্পোরেট সংবাদ
ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১ এ ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফার
সারাদেশে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ শুরু করছে গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক। সিজন-২১ এ ক্রেতাদের জন্য ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফার ঘোষণা করেছে ওয়ালটন। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। চলতি বছরের ১০ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।
বুধবার (০৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মীম। তিনি দেশব্যাপী ক্যাম্পেইনের ২১তম সিজনের উদ্বোধন করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা, চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) গালীব বিন মোহাম্মদ, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস মো. ফিরোজ আলম, ওয়ালটনের স্ট্র্র্যাটেজিক বিজনেস ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আরিফুল আম্বিয়া, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তানভীর রহমান, ফ্রিজের সিবিও তাহসিনুল হক, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মোস্তফা কামাল, ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিজনেস কোঅর্ডিনেটর তানভীর আঞ্জুম ও চিফ ইনফরমেশন অফিসার মফিজুর রহমান, ওয়ালটনের ডেপুটি সিএমও জোহেব আহমেদ, টিভির ডেপুটি সিবিও হাবিব ইফতেখার আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সদ্য নিযুক্ত জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মীম বলেন, ওয়ালটন শুধু একটি ব্র্যান্ড নয়; বাংলাদেশের একটি গর্ব। আমাদের সবার ঘরে ঘরে এখন ওয়ালটন পণ্য। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ওয়ালটন পণ্য এখন রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বহুদেশে। বাংলাদেশের জন্য এটা অত্যন্ত গর্বের। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ওয়ালটন পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। ক্যাম্পেইনের পূববর্তী কয়েকটি সিজনে ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন বহু ক্রেতা। ওয়ালটন তাদের জীবন পুরো পাল্টে দিয়েছে। ওয়ালটনের এই উদ্যোগ সত্যিই খুবই প্রশংসনীয়। এই কার্যক্রমের সঙ্গে এবার আমাকে যুক্ত করায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ। আশা করি- ওয়ালটনের সঙ্গে আমার এই পথচলায় ভবিষ্যতে চমৎকার কিছু হবে।
অনুষ্ঠানে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের বিস্তারিত তুলে ধরে ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার গালীব বিন মোহাম্মদ জানান, সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ইতোমধ্যে ক্যাম্পেইনের ২০টি সিজন বেশ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। এরই প্রেক্ষিতে আগামীকাল ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে সিজন-২১। এই সিজনে ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফার। অর্থাৎ ওয়ালটন পণ্য কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ২০ লাখ টাকা। পূর্বের মতো ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের এই সিজনও শতভাগ সফল হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিজন-২১ চলাকালীন ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে পণ্য কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা পেতে পারেন ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও পাবেন নিশ্চিত উপহার। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম ক্রেতাদেরকে উপহার বুঝিয়ে দিবে।
উল্লেখ্য, বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রমকে অটোমেশনের আওতায় আনতে ‘ডিজিটাল কাস্টমার ডাটাবেজ’ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য দেশব্যাপী চলছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বরগুনায় প্রান্তিক মানুষের মাঝে প্রকাশ্যে ঋণ বিতরণ
বরগুনা জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নিম্ন আয়ের প্রান্তিক মানুষদের মাঝে প্রকাশ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পুন:অর্থায়ন তহবিল কর্মসূচির আওতায় প্রান্তিক মানুষের আর্থিক অন্তর্ভূক্তি নিয়ে মতবিনিময় সভা ও ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ১০ টাকার হিসাবধারী ৬৯ জন গ্রাহকের নিকট এই ঋণের চেক হস্তান্তর করা হয়। এই অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বরগুনার আরডিএফ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত পরিচালক সোহেলী আফরীন। এতে সভাপতিত্ব করেন এনআরবিসি ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং ডিভিশন ও বরিশাল-খুলনা জোনের প্রধান এসইভিপি একেএম রবিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক দেবাশীষ রায়, মাইক্রো ফাইন্যান্স ডিভিশনের প্রধান মো. রমজান আলী ভূইয়াঁ, সোনালী ব্যাংকের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. সেলিম হায়দার, এনআরবিসি ব্যাংকের বরিশাল শাখার ম্যানেজার কৃষিবিদ মো. আব্দুল হালিম, বরগুনা শাখার ম্যানেজার ও এরিয়া ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেন, বরিশাল-পিরোজপুর এরিয়া ইনচার্জ সৈয়দ জাহিদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় ও ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ১৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের মাঝে প্রকাশ্যে বিনাজামানতের এ ঋণ বিতরণ করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এনআরবিসি ব্যাংকের ২৩ জন গ্রাহককের ঋণের চেক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংকের ৭ জন, অগ্রণী, বাংলাদেশ কৃষি ও ইসলামী ব্যাংকের ৫ জন করে, ইউসিবি, উত্তরা, রূপালী, জনতা, আল আরাফাহ, পূবালী ও ব্র্যাক ব্যাংকের ২ জন করে গ্রাহকের হাতে চেক হস্তান্তর করা হয়। গ্রাহকদের সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ ঋণ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক সোহেলী আফরীন বলেন, দেশের নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে অল্প টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দিয়ে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের সুযোগ অবারিত করেছে। খুব সাধারণ তথ্য দিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন। জামানত লাগছে না, অতিরিক্ত কাগজপত্র লাগছে না। এর সুফল অর্থনীতি পাচ্ছে, দেশ পাচ্ছে। আমরা চাই আজকের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা একসময় বড় উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে উঠবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক দেবাশীষ রায় বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য গ্রাহকের সমস্যা সমাধান করা। গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে আমরা চায় অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। দেশের একটি মানুষও ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকবে না- সেই লক্ষেই আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এনআরবিসি ব্যাংকের একেএম রবিউল ইসলাম বলেন, দেশের গণমানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক, জেলে, কামার, কুমার, অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাত্র ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দিয়ে তাদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এই প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে তহবিল গঠন করেছে সেই তহবিল থেকে এ পর্যন্ত এনআরবিসি ব্যাংক ৯৩ কোটি টাকা যা ৩ হাজার উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ও সহযোগিতায় এনআরবিসি ব্যাংক প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাবে।
এনআরবিসি ব্যাংকের মো. রমজান আলী ভূইয়াঁ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে সুযোগ দিয়েছে সেই সুযোগ ব্যবহার করে মানুষকে কিভাবে সহায়তা করা যায় সেই কাজ করছে ব্যাংক। আমাদের লক্ষ্য দেশের অর্থনীতিকে জাগরিত করা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে কনকর্ড আর্কিটেকচারের চুক্তি
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সাথে চুক্তি সই করেছে কনকর্ড আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইনটেরিয়র ডেকোর লিমিটেড। সম্প্রতি গুলশানে ব্যাংকের করপোরেট অফিসে প্রতিষ্ঠানগুলোর চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংকের কার্ডধারীরা কনকর্ড আর্কিটেক্টস অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডেকর লিমিটেড থেকে ডিজাইন কনসালটেন্সি সেবা এবং এক্সিকিউশনে চমৎকার অফার উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও পরিবারসহ ফ্যান্টাসি কিংডম এবং ফয়েজ লেক রিসোর্টে থাকার জন্য পাবেন বিশেষ ছাড়।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. নাজিম এ চৌধুরী এবং কনকর্ড আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইনটেরিয়র ডেকোর লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার অনুপ কুমার সরকার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রাইম ব্যাংক পিএলসির হেড অব লায়াবিলিটি মামুর আহমেদ; হেড অফ কাস্টমার প্রোপসিশন হোসাইন মোহাম্মদ জাকারিয়া এবং কনকর্ড আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইনটেরিয়র ডেকোরের ম্যানেজার- সেলস ও মার্কেটিং মো.নাজমুল ইসলাম (তানিম); সিনিয়র এক্সিকিউটিভ- ব্র্যান্ড মার্কেটিং মো.মাজাহার আলী হিমুসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করলো সাউথইস্ট ব্যাংক
কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র- “কৃষি খাতের উৎপাদন বৃদ্ধি” “কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়” এবং “কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ”-এর জন্য এ সহায়তা প্রদান করা হয়।
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসাইন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে “মৌসুমি” এনজিওর মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের হাতে এই আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। বিশেষ তহবিলের মাধ্যমে প্রদত্ত এই সহায়তা প্রান্তিক কৃষকদের উন্নয়নে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
সাউথইস্ট ব্যাংক “মৌসুমি” এনজিওর সাথে সমন্বয় করে এই সহায়তা প্রেরণ করেছে। সহায়তাপ্রাপ্ত কৃষকদের পাশাপাশি “মৌসুমি” এনজিওর চিফ এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ হোসেন শাহিদ ইকবাল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাছুম উদ্দিন খান ও আবিদুর রহমান চৌধুরী এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
এভারকেয়ার হাসপাতালে ১১০০ হৃদরোগীর এনজিওপ্লাস্টি সম্পন্ন
বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ হাসপাতাল এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম ১১০০ জনেরও বেশি হৃদরোগীর এনজিওপ্লাস্টি বা স্টেন্টিং (পিটিসিএ) চিকিৎসা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এই সাফল্য চট্টগ্রামসহ আশপাশের অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রচেষ্টার প্রমাণস্বরূপ। সাফল্য উদযাপনে হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে একটি প্রেস ইভেন্ট আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডাঃ শেখ মোহাম্মদ হাছান মামুন; হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ জহির উদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াছ; হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ তারিক বিন আব্দুর রশিদ ও এভারকেয়ার হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার সামির সিং।
অনুষ্ঠানে এনজিওপ্লাস্টি/স্টেন্টিং (পিটিসিএ) চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং হৃদরোগের চিকিৎসায় এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের সক্ষমতা সম্পর্কে চিকিৎসাবৃন্দ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত হৃদরোগীরা এভারকেয়ার হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ।
এ সময় এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার সামির সিং বলেন, “আমরা ১১০০ জনেরও বেশি হৃদরোগীর এনজিওপ্লাস্টি/ স্টেন্টিং (পিটিসিএ) চিকিৎসা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরে গর্বিত। এই মাইলফলকটি বিশ্বমানের কার্ডিয়াক যত্ন প্রদানের জন্য আমাদের অটল প্রতিশ্রুতি এবং আমাদের অত্যন্ত দক্ষ চিকিৎসা দলের উৎসর্গকে প্রতিফলিত করে। এভারকেয়ারে রোগীর নিরাপত্তা এবং ক্লিনিকাল শ্রেষ্ঠত্ব আমরা যা কিছু করি তার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে এবং আমরা স্বাস্থ্যসেবার সর্বোচ্চ মান সহ সেবা চালিয়ে যাবো।
প্রফেসর ডাঃ শেখ মোহাম্মদ হাছান মামুন বলেন, “এই অর্জন আমাদের দক্ষতা ও ডেডিকেশনের প্রমাণস্বরূপ। ১১০০ জনেরও বেশি হৃদরোগীর জীবন পরিবর্তন করতে পেরে আমরা গর্বিত।”
ডাঃ জহির উদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াছ বলেন, “আমাদের পেশেন্ট-ফার্স্ট কর্মপ্রক্রিয়া এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসায়ও আমরা অসাধারণ সাফল্য নিশ্চিতে সক্ষম হয়েছি। এই অর্জন আমাদের প্রতি রোগীদের আস্থার প্রতিফলন বলে আমি মনে করি।”
ডাঃ মোঃ তারিক বিন আব্দুর রশিদ বলেন, “এই অর্জন আমাদের সহকর্মীদের ভবিষ্যতে আরও ভালো করার মনোবল জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা আমাদের দক্ষতা আরও বাড়াতে এবং স্বাস্থ্য চাহিদা পূরণে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছি।”
সম্প্রতি সংযুক্ত আধুনিক প্রযুক্তির আইভিইউএস ও এফইআর মেশিনের সাহায্যে ও দক্ষ মেডিকেল টিম নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিতে ধারাবাহিকভাবে অগ্রগতি সাধন করছে এবং চট্টগ্রামের হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছে।
উল্লেখ্য, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর সর্বপ্রথম ৪৭০ শয্যাবিশিষ্ট মাল্টি-ডিসিপ্লিনারী সুপার-স্পেশিয়ালিটি টারশিয়ারি কেয়ার হসপিটাল। এখানে আছে ২৪/৭ জরুরী বিভাগ, সর্বাধুনিক আইসিইউ সেবা এবং ২৭টি বিশেষ ও উপ-বিশেষ বিভাগ, যা গোটা অঞ্চলের ধারণক্ষমতার শূন্যস্থান পূরণে সক্ষম। প্রায় ৪ লক্ষ ৯২ হাজার বর্গফুট আয়তনের উপর নির্মিত এই হসপিটালের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেডিকেল সেবা ও পাঁচ শতাধিকেরও বেশি মেডিকেল প্রোফেশনাল চট্টগ্রামের সকল স্তরের রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের নতুন কমিটি
বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মরত জাতীয়তাবাদী আদর্শের কর্মকর্তাদের নিয়ে ৫ সদস্যের জাতীয়তাবাদী ‘ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে জনতা ব্যাংকের মো. ইকবাল হোসেনকে আহ্বায়ক ও সোনালী ব্যাংকের মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় জাতীয়তাবাদী আদর্শের কর্মকর্তাদের নিয়ে এই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্যরা হলেন- যুগ্ম আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম (রূপালী ব্যাংক), যুগ্ম আহবায়ক ইদ্রিস মিয়া (সোনালী ব্যাংক) ও যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুল হাসান (অগ্রণী ব্যাংক)।
এমআই