অর্থনীতি
বাংলাদেশের বন্দর ও জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী ডেনমার্ক
বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ডেনমার্ক। বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান।
সাক্ষাৎকালে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গঠিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ডেনমার্কের সরকারপ্রধান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন এবং বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিতে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ৷ ডেনমার্ক বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ-ডেনমার্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতার পঞ্চাশ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এই দীর্ঘ পথচলায় উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব ও সহানুভূতির স্বাক্ষর হিসেবে চমৎকার একটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে সমভাবাপন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দেশ দুটিকে একাত্ম করেছে।
তিনি বলেন, ‘বন্দর ও জাহাজ শিল্পে ডেনমার্কের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডেনিশ সরকার বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামোসহ জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। এ সময় রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চরে কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগের বিষয়ে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেন। ’
বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে ডেনমার্কের বিনিয়োগের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিনিয়োগবান্ধব সরকার। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে গঠিত নতুন বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যেকোনো সমুদ্রবন্দরের জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিপইয়ার্ড/ডকইয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ’
এ সময় উপদেষ্টা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের শিপইয়ার্ড নির্মাণে ডেনিশ সরকারের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা কামনা করে বলেন, ‘সরকার বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এখানে বিনিয়োগকারীদের প্রতিটি বিনিয়োগ হবে নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত। ’
এ সময় তিনি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, তার মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর সংস্থার সকল কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। কোনো ব্যবসায়ী বা বিনিয়োগকারীকে হয়রানি করার সুযোগ নেই।
উপদেষ্টা বাংলাদেশের গৌরবময় পাট ও বস্ত্র শিল্পে ডেনিশ কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘পরিবেশগত কারণে ইউরোপে পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় পাট উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক দেশ। আমাদের পঁচিশটি করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও বস্ত্রকল রয়েছে। যেগুলোর অধিকাংশ অবস্থান বন্দরের নিকটে। এ খাতে দক্ষ জনবল রয়েছে। এ সকল খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ডেনমার্ককে অন্যতম প্রধান অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বন্ধুপ্রতীম দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই চমৎকার। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী ও উপকূলীয় এলাকার উন্নয়নে ডেনমার্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খেলাপি ঋণের দায়ে নিলামে উঠছে এস আলমের সম্পদ
এস আলম গ্রুপের কাছ থেকে এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য জনতা ব্যাংক গ্রুপটির অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের জামানত সম্পত্তি নিলাম করার ঘোষণা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, জনতা ব্যাংক ১ নভেম্বর পত্রিকায় নিলাম সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আগামী ২০ নভেম্বরকে নিলামের তারিখ ঘোষণা করেছে।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের মেয়াদে এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মধ্যে এ প্রথমবারের মতো জনতা ব্যাংক গ্রুপটির একটি কোম্পানির বন্ধক রাখা সম্পদ নিলামে ওঠানোর পদক্ষেপ নিল।
তথ্য অনুযায়ী, এ ঋণের বিপরীতে বন্ধক রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে এস আলম গ্রুপের ১৮৬০ শতাংশ জমি, যার বাজারমূল্য সর্বোচ্চ ৩৫৮ কোটি টাকা। এ দাম পাওনা টাকার চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ কম।
জনতা ব্যাংক জানিয়েছে, এ সম্পত্তি বিক্রি করে খেলাপি ঋণ পুরোপুরি আদায় করা সম্ভব নয়। বকেয়া বাকি টাকা আদায়ে আরও আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে। অর্থঋণ আদালত আইনের ১২(৩) ধারা অনুযায়ী ব্যাংক মামলা করার আগেই জামানতের সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আদায় সম্ভব।
বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর ২০২১ সালের এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা না মেনে ঋণসীমা অতিক্রম করে অতিরিক্ত ঋণ নিয়েছে।
এস আলম গ্রুপের ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন শিল্প কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য এবং নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসায় জড়িত ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে সাধারণ বীমা ভবনে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রাম কর্পোরেট শাখা থেকে গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন প্রাথমিকভাবে ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। এ ঋণ ২০২১ সাল পর্যন্ত সুদে আসলে মোট এক হাজার ৭০ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৬১৭ কোট ৪৭ লাখ টাকা পিএডি (পেমেন্ট এগেইনস্ট ডকুমেন্ট), ২২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা এলটিআর (ট্রাস্ট রিসিপ্ট) ঋণ এবং ২২৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা সিসি হাইপো ঋণ।
সুদাসল মিলিয়ে ঋণের পরিমাণ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর আভাস
আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। সময়সীমার মধ্যে জমা দিতে না পারলে বিদ্যমান আয়কর আইন অনুসারে তাকে জরিমানা ও সুদ পরিশোধ করতে হবে।
তবে আগামী ৩০ নভেম্বরের এই সময়সীমা আরও বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।
রবিবার (৩ নভেম্বর) শেরই বাংলা নগরে এনবিআর এর সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ‘আয়কর তথ্য-সেবা মাস- ২০০৪’ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে তিনি এই সম্ভাবনার কথা বলেন।
আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। গত বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়েছিল। এ বছরও কি এনবিআর সময় বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা করছে; এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ার ম্যান বলেন, সময় বৃদ্ধি নিয়ে আমরা এখনো ভাবিনি। আমরা দেখি কী পরিমাণ রিটার্ন জমা হয়। যেহেতু জুলাই–আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় আমরা স্বাভাবিক কাজকর্ম থেকে বিরত ছিলাম, একটু তো বিগ্ন হয়েছে ।
তিনি বলেন, সময় বাড়ানো নিয়ে এনবিআর নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তারা নীতিনির্ধারকেরা যদি রাজি হন, সময় বাড়লেও বাড়তে পারে। তবে সেটা আগাম বলার কোনো সুযোগ নেই।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও জানান, আয়কর মেলা আয়োজনের পরিবর্তে বিগত বছরের মতো এবারও দেশের সব কর অঞ্চলে নভেম্বর মাসজুড়ে সুষ্ঠু পরিবেশে আয়কর রিটার্ন গ্রহণের সেবা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, দেশের সকল করদাতাকে ই-রিটার্ন এবং অনলাইনে আয়কর দাখিলে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চাল আমদানিতে অগ্রিম আয়কর ছাড়া সব শুল্ক প্রত্যাহার
চালের সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ছাড়া সকল প্রকার আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি শুল্ক ও আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই সিদ্ধান্তের ফলে চালের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ২৫.৪৪ টাকা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রোববার (০৩ নভেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি, দেশের আপামর জনগণের ভবিষ্যত খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে গত ২০ অক্টোবর চাল আমদানির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, বিদ্যমান রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে অর্থাৎ মোট করভার ৬২ দশমিক ৫ হতে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারী করেছিল এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চাল আমদানির ওপর অবশিষ্ট আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ, রেগুলেটরি ডিউটি ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং অগ্রীম আয়করের হার ৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ২ শতাংশ ধার্য্য করে অর্থাৎ মোট করভার ২৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এর ফলে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ব্যতীত অন্য কোন শুল্ক-কর আরোপযোগ্য রইলো না।
এনবিআর থেকে দাবি করা হয়, চাল আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক-করাদি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার ফলে এবং অগ্রীম আয়করের হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করায় প্রতি কেজি চালের আমদানি ব্যয় ২৫.৪৪ টাকা কমবে। এতে চালের আমদানি বৃদ্ধি পাবে, বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, দেশের আপামর জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বছরে আয় সাড়ে ৩ লাখের নিচে হলে কর দিতে হবে না
বাৎসরিক আয় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচে এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে মিনিমাম আয়কর দিতে হবে না, কোনো আয়কর দিতে হবে না তাদের। যাদের বাৎসরিক আয় এই সীমার ওপরে তাদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম আয়কর প্রযোজ্য হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার (০৩ নভেম্বর) শের ই বাংলা নগরে এনবিআরের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ‘আয়কর তথ্য-সেবা মাস- ২০০৪’ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, কর সংস্কৃতির বিকাশ, কর সচেতনতা বৃদ্ধি এবং করদাতাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের লক্ষ্যে নভেম্বর মাসব্যাপী আয়কর তথ্য ও সেবা প্রদানের ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আয়কর তথ্যসেবা মাসের সার্বিক কাজে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিলের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সব তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর এবং বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশের অন্য সকল করদাতাদেরকে অনলাইনে ই-রিটার্ন ও আয়কর দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অক্টোবরে রেমিট্যান্স এলো ২৪০ কোটি ডলার
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত অক্টোবর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন বা প্রায় ২৪০ কোটি ডলার। রোববার (৩ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ৩০ অক্টোবর বিপিএম৬ পদ্ধতিতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে ১৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।
আগস্ট ও সেপ্টেম্বর দুই মাস মিলিয়ে দেশে ৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। শুধু সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।
দেশ যখন বেসরকারি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি, সার ও পণ্য ইত্যাদি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে পড়ে, ঠিক তখনই বেড়ে যায় রেমিট্যান্স প্রবাহ।
আর্থিক বিশেষজ্ঞ ও ব্যাংকারদের মতে, দুটি কারণে আসলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। প্রথমত, আমদানি বিলের আন্ডার-ইনভয়েসিং উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। আগে এ প্রক্রিয়ায় বড় অঙ্কের অর্থ সরিয়ে নেওয়া হলেও সম্প্রতি এটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক মাধ্যমে অর্থপাচার কমেছে অনেকটা। এর ফলে হুন্ডিতে ডলারের চাহিদা কমে সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে বেশি ডলার আসা শুরু করেছে।
এমআই