গণমাধ্যম
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি

তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রাণ হারাচ্ছেন প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার জন মানুষ। এই বিপুল সংখ্যক প্রাণহানি এড়াতে এবং প্রাণঘাতী নেশাদ্রব্যের হাত থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
বুধবার সকাল ১১ টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বেসরকারি নারী উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রীর আয়োজনে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে সাংবাদিকদের নিকট প্রত্যাশা ও করণীয়’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় দাবি জানান সাংবাদিকরা।
নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক, অনকোলজিস্ট এবং প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লীড পলিসি অ্যাডভাইজার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) এবং বাংলাদেশ এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান, বিসিআইসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাশেদ রাব্বি, সভাপতি, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম। শামীম মেহেদী, চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, গ্লোবাল টিভি, প্রথম আলোর যুগ্ম–সম্পাদক সোহরাব হাসান, শাহনাজ বেগম পলি— ব্যবস্থাপনা কমিটি সদস্য, জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং জুলহাস আলম, ঢাকা ব্যুরো প্রধান, নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা—অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সুশান্ত কে সিনহা, স্পেশাল করস্পনডেন্স,৭১ টিভি। মো. আব্দুস সালাম মিয়া, প্রোগ্রাম ম্যানেজারস, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ এবং হুমায়রা সুলতানা, কমিউনিকেশনস ম্যানেজার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ।
তামাক কোম্পানিগুলো নানামুখী অপ-কৌশলে বিভ্রান্ত না হওয়ার কথা জানান সুশান্ত কে সিনহা, তিনি বলেন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনী আনার যে উদ্যোগ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে একটি সময়োচিত এবং জনবান্ধব উদ্যোগ। তবে বেশ কিছু ধাপ পার হলেও আইনটিকে চূড়ান্ত রূপ পেতে হলে আরো কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। এখনো এটি পাশের অপেক্ষায় রয়েছে। এটিকে আইনে রূপান্তরের পথে নানা রকম বাধা আসার আশঙ্কা রয়েছে, বিশেষ করে সংশোধনীর বিপক্ষে তামাক কোম্পানিগুলো নানামুখী অপকৌশল ও অপ-তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা নানা রকম বিভ্রান্তিমূলক তথ্য মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করে জন বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এক্ষেত্রে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুদেরকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে।
রাশেদ রাব্বি বলেন, ‘তামাক থেকে সরকারের যে রাজস্ব আয় আসে তার চেয়ে তামাক ব্যবহারজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা বাবদ ব্যয় ৩৪ শতাংশ বেশি। রাজস্ব আয় প্রায় ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা এবং চিকিৎসা ব্যয় প্রায় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। তামাকের কারণে বার্ষিক ক্ষতি প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা (ক্যান্সার সার্ভে-২০১৮)। সুতরাং মানুষের ভ্রান্ত ধারণা দূর করার পাশাপাশি প্রয়োজন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা।’
আর একটি প্রাণও যাতে না হারাতে হয় তামাকের কারণে সে প্রেক্ষাপটে সোহরাব হাসান বলেন, ‘প্রতিদিন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন এই ভয়ংকর তামাকের আগ্রাসনে। তামাকের এই সর্বগ্রাসী আগ্রাসন ও তামাক মহামারি আমাদের জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। আমাদের তামাকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আরও সোচ্চার হতে হবে ।পাশাপাশি তামাক কোম্পানির গুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে।’
শামীম মেহেদী বলেন, ‘তরুণরা ই-সিগারেটের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের এই আসক্তি থেকে বের করে আনতে ই-সিগারেট বাজারজাত বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।’
মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘তামাক একটি প্রাণঘাতী দ্রব্য। তামাকের পক্ষে বলার মতো একটি শব্দও নেই। তামাক পরিবেশ, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। টোব্যাকো এটলাস ২০১৮- এর তথ্য মতে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মানে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ প্রাণ হারান । জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ও জীবন রক্ষায় দ্রুততম সময়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে এখনই। আইন শক্তিশালী করবার এই পদক্ষেপ বেগবান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন আমাদের গণমাধ্যমের বন্ধুগণ,যাদের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের লেখনী ও গণমাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের কাছে পৌঁছানোর কৌশল”
বিশেষজ্ঞ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড: গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর প্রায় এক-তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী তামাক। তামাকের কারণে ফুসফুস ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার, মুখগহ্বরের ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। এই ঝুঁকি মোকাবেলায় তামাক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক অন টোব্যাকো কন্ট্রোল—এফসিটিসি’তে স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ হলেও ধুমপানমুক্ত পরিবেশ এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে এখনও সর্বোত্তম মান অর্জন করতে পারেনি। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশ এবং শক্তিশালী করা অতি জরুরি। যা তামাকমুক্ত সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে।
সভাপতির বক্তব্যে শাহীন আকতার ডলি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, গর্ভপাত এবং সন্তান জন্মদানে মা ও শিশু উভয়ই মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নারী ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের জোরালো দাবি জানাচ্ছি।’
এমআই

গণমাধ্যম
চাঁদপুর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইয়াসিন, সম্পাদক শাওন

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রেসক্লাব ভবনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৮টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ৭টি পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিকেলে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচিত এই পরিষদ ২০২৫ ও ২০২৬ সালে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম, সাধারণ সম্পাদক পদে শাওন পাটওয়ারী, সিনিয়র সহসভাপতি পদে এসএম সোহেল, সহসভাপতি পদে মাজহারুল ইসলাম অনিক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে শরীফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সজীব খান, দপ্তর সম্পাদক পদে মানিক দাস ও সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ইমাম হোসেন গাজী।
সংগঠনের ৪০ জন সদস্যের ৩৯ জন ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাঈদ হোসেন আপু চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ পদে শেখ আল মামুন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আনোয়ারুল হক, কার্যকরী সদস্য পদে এম এ লতিফ, কে এম মাসুদ অভিজিত রায় ও মিজানুর রহমান লিটন।
এদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাঈদ হোসেন আপু চৌধুরী ও আব্দুর রহমান সমান ১৭ ভোট পান। পরে নির্বাচন কমিশনার লটারির মাধ্যমে সাঈদ হোসেন আপু চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলম পলাশ, সহকারী নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব ছিলেন গোলাম মোস্তফা ও মো. মাসুদ আলম।
গণমাধ্যম
ঢাকাস্থ চাঁদপুর সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শাহরিয়ার, সম্পাদক সফিক শাহীন

ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের নতুন কমিটি ২০২৫-২০২৭ গঠন করা হয়েছে। ফোরামের নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক স্বদেশ বাংলার সম্পাদক এ কে এম রাশেদ শাহরিয়ার। এছাড়াও, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এনটিভির চিফ অব করেসপন্ডেন্ট সফিক শাহীন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি মাজহারুল হক মান্না নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার (২০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ফোরামের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় ফোরামের সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে এম রাশেদ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম।
সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, চাঁদপুরের মানুষ সবসময় ক্রিয়েটিভ, চিন্তায়-কর্মে ও মননে। তাদের সে ক্রিয়েটিভিটি শুধু চাঁদপুর নয়, সারা দেশের কাছে উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করাতে হবে।’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ফেমাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউনূছ উল্ল্যাহ, এলডিপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. মঞ্জুর খানসহ ফোরামের সদস্যরা।
দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দৈনিক আমার দেশের বিশেষ প্রতিনিধি নোমান সেলিম।
এসময় প্রস্তাব, সমর্থনের ভিত্তিতে এ কে এম রাশেদ শাহরিয়ারকে সভাপতি, সফিক শাহীনকে সাধারণ সম্পাদক এবং মাজহারুল হক মান্নাকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার ও সালেহ বিপ্লব।
কমিটির বাকি সদস্যদের নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। এ সময় ফোরামের সদস্যরা তাদের মতামত ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন।
কমিটির নাম ঘোষণার পর সদ্য সাবেক সভাপতি মিজান মালিকসহ ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান।
গণমাধ্যম
সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও সংবাদমাধ্যমের অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান এমসিএফের

গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার জোরালো আহ্বান জানিয়েছে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন (এমসিএফ)।
আজ, শনিবার (৩ মে), বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে সংস্থাটি এই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছে।
এই বিশেষ দিনে, মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো তাদের সমর্থন জানিয়েছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রগুলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহের মৌলিক নীতির প্রতি তাদের অবিচল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। তারা বলেছে, মানবাধিকারের সুরক্ষা, একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাজ গঠন এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধির জন্য একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বহুমাত্রিক গণমাধ্যম অত্যাবশ্যক। সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম পেশাদারদের অবশ্যই কোনো প্রকার সেন্সরশিপ, ভয়ভীতি বা সহিংসতার হুমকি ছাড়াই নিরাপদে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুযোগ থাকতে হবে।
এমসিএফ বিবৃতিতে বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতি তাদের গভীর সংহতি জানিয়েছে। যারা একটি জ্ঞানভিত্তিক, স্থিতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। জোটটি এমন একটি পরিবেশের জন্য তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে, যেখানে প্রতিটি কণ্ঠস্বর শোনা যাবে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকারকে সম্মান করা হবে।
তবে, এই গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাক্ষর না থাকা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। একটি নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বিবৃতি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে এইবার রাজি করাতে সক্ষম হয়নি, যদিও পূর্বে দেশটির সমর্থন ছিল।
উল্লেখ্য, মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন একটি আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বমূলক প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ছয়টি মহাদেশের ৫০টিরও বেশি দেশ এই জোটে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গণমাধ্যম
বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের ১৬ ধাপ উন্নতি

বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (২ মে) বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) তাদের ২০২৫ সালের সূচক প্রকাশ করেছে।
সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯তম, স্কোর ৩৩ দশমিক সাত এক। ২০২৪ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৫তম, এর আগের বছর ১৬৩তম। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম সূচকে ১৫০-এর ভেতর অবস্থান করলো বাংলাদেশ।
আরএসএফের এ বছরের সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৫১তম, পাকিস্তানের ১৫৮তম ও ভুটানের ১৫২তম। সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এই তিনটি দেশ পিছিয়ে আছে। তবে নেপাল (৯০তম), শ্রীলঙ্কা (১৩৯তম) ও মালদ্বীপ (১০৪তম) অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে।
২৩ বছর ধরে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে সূচক প্রকাশ করে আসা প্রতিষ্ঠানটির মতে, এবার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সূচকের ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বের অর্ধেক দেশের জন্য সাংবাদিকতার অনুকূল পরিবেশ ‘খারাপ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এক-চতুর্থাংশেরও কম দেশে পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’।
সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ৫৭তম স্থানে অবস্থান করছে। এই সূচকে দেশটির অবস্থান এখন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনেরও নিচে। আরএসএফের মতে, দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় ‘আশঙ্কাজনক অবনতি’ ঘটিয়েছেন, যা দেশটিতে ‘স্বৈরাচারী মোড়ের’ ইঙ্গিত দেয়।
গণমাধ্যম
সংবাদপত্রে ঈদুল ফিতরের ছুটি ৩ দিন

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সংবাদপত্র ৩ দিন বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। ৩০ ও ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল ছুটি থাকবে। তবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতর ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলে সে ক্ষেত্রে পরদিন ২ এপ্রিল সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে।
বুধবার (৩ মার্চ) নোয়াব সভাপতি একে আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াবের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটি পালন করা হবে। তাই ৩১ মার্চ থেকে ১ ও ২ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো পত্রিকা প্রকাশ করা হবে না। তবে ঈদুল ফিতর ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলে এই ছুটি ২ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হবে। সে ক্ষেত্রে ৩ এপ্রিল কোনো পত্রিকা প্রকাশিত হবে না।