বীমা
কমিশন বন্ধে একমত নন-লাইফ বিমা কোম্পানির সিইওরা

কমিশন বন্ধের বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন নন-লাইফ বিমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে নন-লাইফ বিমা কোম্পানির কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করার জন্য ১৬ সদস্য বিশিষ্ট নন-লাইফ টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়।
বুধবার (০৯ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলস্থ বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) অস্থায়ী কার্যালয় পিপলস ইন্স্যুরেন্স ভবনে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিআইএফ থেকে পাঠানো এ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, বৈঠকে নন-লাইফ কমিশন বন্ধের বিষয়ে ফোরামের উপস্থিত সকল মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা একমত পোষণ করেন এবং ফোরামের নেতৃত্বে নন-লাইফ বীমা কোম্পানির কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করার জন্য সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) শফিক শামীম পিএসসিকে আহ্ববায়ক করে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট নন-লাইফ টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বি এম ইউসুফ আলী। সভা পরিচালনা করেন ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ও জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও এস এম নুরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) শফিক শামীম পিএসসি, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও খাজা মঞ্জুর নাদিম, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও ডা. সারোয়ার জাহান জামিল, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও শামীম হোসেন, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও আবুল কালাম আজাদ, ক্রিষ্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও এস এম শহিদুল্লাহ, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও এ.এন.এম ফয়জুল করিম মুন্সী, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও মোঃ সেলিম প্রমুখ।
এমআই

অর্থনীতি
বীমা দাবি পরিশোধ নিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত, বাতিলের দাবিতে আইডিআরএ’কে বিটিএমএ’র চিঠি

গত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ‘পপুলার রেসিং’ বা গণঅভ্যুত্থান হওয়ায় স্ট্যান্ডার্ড ফায়ার পলিসি (এসএফপি) বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল রিস্কস (আইএআর) পলিসির আওতায় আরঅ্যান্ডএসডি কভারেজ থাকা সত্ত্বেও কোনো বীমা দাবি পরিশোধযোগ্য হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আয়োজিত সভায় সংশ্লিষ্ট অংশীজন বিশেষ করে দেশের উল্লেখযোগ্য কোন বাণিজ্য সংগঠন তথাপি বস্ত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট কোন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এমনকি দাবি নিষ্পত্তির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বীমাগ্রহীতাদের কোনো প্রতিনিধিকেই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে এই সিদ্ধান্তটি একতরফা এবং দেশের শিল্প ও অর্থনীতির স্বার্থবিরোধী জানিয়ে বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। গত ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বীমা দাবির বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের পুঙ্খানুপুঙ্খ পুনর্বিবেচনা ও বাতিলের দাবি জানিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। চিঠিতে গৃহীত একতরফা, ত্রুটিপূর্ণ এবং জাতীয় স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তটি বাতিল করে বীমা আইন,২০১০ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সূত্র মতে, সরকার পতন আন্দোলনের চুড়ান্ত ও পরবর্তী পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল ও বাণিজ্যিক অঞ্চলে কিছু দুষ্কৃতিকারী ও উশৃঙ্খল শ্রমিক মিলে বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালায় যাতে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো একটি বড় ধরণের ক্ষতির শিকার হয়। অথচ ঐ সমস্ত শিল্পকারখানা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ আন্দোলনকারী জনতার আক্রোশের শিকার বা আন্দোলনের লক্ষ্যবস্তু ছিল না বা হতে পারে না। কিছু দুষ্কৃতিকারী অস্থির রাজনৈতিক অবস্থার সুযোগে ঐ সমস্ত শিল্পকারখানা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহে লুটতরাজের হীন উদ্দ্যেশ্যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায়।
সূত্র জানায়, শিল্পকারখানা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বেশীরভাগই বিভিন্ন প্রকারের বীমা আবরণসহ বীমাকৃত থাকে, কিন্তু গত ৩ মার্চ সকাল ১০ ঘটিকায় দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বীমাকারী প্রতিষ্ঠান, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে দেশের সকল বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নির্বাহী/প্রতিনিধি ও জরীপকারী প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র জরীপকারী/প্রতিনিধিদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ শিল্পকারখানা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের উত্থাপিত বীমা দাবী বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ক্ষতিগ্রস্থ শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের উত্থাপিত বীমা দাবী বিষয়ে বিভিন্ন বীমাকারী বা জরীপকারী প্রতিনিধিগণ বিভিন্নভাবে ক্ষতির বিবরণ এবং ব্যাখ্যা প্রদান করেন। শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এধরণের হামলা ও ক্ষতি সংঘটনের কারণে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য বিষয়ে বক্তাগণ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিস্থাপন ও ক্ষতিপূরণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের একটি সুনির্দিষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন। কিন্তু সভায় সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের পক্ষ হতে বিদেশী পুনঃবীমাকারীদের বিষয় উল্লেখ করে ক্ষতিগ্রস্থ শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের উত্থাপিত বীমা দাবীকে পপুলার রেসিং, সিভিল কমটিও এন্ড টেররিসম জনিত ক্ষতি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে বক্তব্য প্রদান করা হয় এবং ক্ষতি অগ্নিবীমা এবং আইএআর পলিসিতে আবরিত নয় বলে অভিমত প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিকগণ চরম এক হতাশায় ভুগছেন, কারণ এত বিশাল অংকের ক্ষতি বীমা দাবী বা অন্য কোনভাবে নিষ্পত্তি করা না হলে তাহাদের পক্ষে শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা বা চালু করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাছাড়াও এসব প্রতিষ্ঠানসমূহের বিপরীতে যে ব্যাংক ঋণ রয়েছে তাও যথাযথভাবে নিষ্পত্তি বা পুনঃতপশীলিকরণ করা অসম্ভব হয়ে দাড়াবে এবং ঋণ খেলাপীর পরিমান ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, গত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে দেশে একটি গণ-আন্দোলন সংঘটিত হয় ফলে ৫ই আগস্ট তৎকালীন সরকারের পতন হয় । আন্দোলনে দেশের সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে বিশেষভাবে রাজধানী শহর ও জেলা শহরের কেন্দ্রস্থলে জনতা অবস্থান গ্রহণ করে। এ প্রেক্ষিতে জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এ দেশব্যাপী সংঘটিত অনাকাঙিক্ষত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে জানতে পেরেছি এবিষয়ে গত ৩ মার্চ জেনারেল ম্যানেজার, পুনঃবীমা, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। উক্ত ঘটনাসমূহ ‘পপুলার রেসিং’ বা গণঅভ্যুত্থান হওয়ায় স্ট্যান্ডার্ড ফায়ার পলিসি (এসএফপি) বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল রিস্কস (আইএআর) পলিসির আওতায় আরঅ্যান্ডএসডি কভারেজ থাকা সত্তেও কোনো বীমা দাবি পরিশোধযোগ্য হবে না ।
চিঠিতে এই সিদ্ধান্তটি একতরফা এবং দেশের শিল্প ও অর্থনীতির স্বার্থবিরোধী জানিয়ে যুক্তিসমূহের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তটি বাতিলের জন্য আবেদন জানানো হয়। তাদের যুক্তিগুলো- অংশীজনদের অংশগ্রহণ ছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ ন্যায়নীতির লঙ্ঘন: বীমা চুক্তির দুটি প্রধান পক্ষ হলো বীমাকারী এবং বীমাগ্রহীতা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হাজার হাজার কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বীমাগ্রহীতাদের কোনো প্রতিনিধিকেই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এটি স্বাভাবিক ন্যায়নীতি এবং আইনের মৌলিক নীতি ‘Audi Alteram Partem’ (অপর পক্ষের বক্তব্য শোনা)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন । এটি একটি গুরুতর পদ্ধতিগত ক্রটি, যা পুরো সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা পূর্বক দুর্বল করে দিয়েছে ।
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ স্পষ্টভাবে বলছে, আইন ব্যতীত বা আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়া কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি করা যাবে না। অর্থাৎ, একটি বৈধ অধিকার (যেমন, বীমা দাবির অর্থপ্রাপ্তি) কোনো পক্ষকে না শুনেই বাতিল করে দেওয়া হলে তা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ এর পরিপন্থী। কারণ, বীমা দাবির অর্থপ্রাপ্তি চুক্তিভিত্তিক একটি বৈধ অধিকার। একে একতরফাভাবে, কোনো শুনানি ছাড়া অস্বীকার করা হলে তা আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া—এর পরিপন্থী, যা অনুচ্ছেদ ৩১–এর সুরক্ষা লঙ্ঘন করে ।
এই বিষয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় এই নীতি ঘোষণা করেছে: আব্দুল লতিফ মির্জা বনাম বাংলাদেশ সরকার [৩১ ডিএলআর (এডি) ৩৩] মামলায় আদালত বলেন: প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতিগুলো সহজাতভাবে সর্বজনীন এবং দেশের আইনের একটি অংশ। মাহিনুদ্দিন বনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় [৪৫ ডিএলআর ২৯২] মামলায় বলা হয়েছে: কোনও ব্যক্তিকে শুনানি ছাড়াই দোষী সাব্যস্ত করা হবে না, এই নীতিমালা ‘অডি অল্টেরাম পার্টেম’ বিচারিক এবং প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, বিশেষ করে যেখানে গৃহীত কার্যক্রম বিরোধে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর ব্যক্তি বা সম্পত্তি বা অন্যান্য অধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে।
সকল ঘটনাকে ঢালাওভাবে ‘গণঅভ্যুত্থান’ চিহ্নিতকরণ: ঘটনার সরলীকরণ এবং আন্তর্জাতিক নজিরের অবমাননা সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী, ১৬ জুলাই থেকে পরবর্তী সকল ঘটনাকে সামগ্রিকভাবে ‘পপুলার রেসিং’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই সময়ের মধ্যে সংঘটিত প্রতিটি সহিংস ঘটনা এক প্রকৃতির ছিল না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিদ্যমান অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ব্যক্তিগত শত্রুতা, ডাকাতি, লুটতরাজ বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলো দাঙ্গা, নাগরিক বিশৃঙ্খলা বা বিদ্বেষমূলক ক্ষতির সংজ্ঞার আওতায় পড়ে, যা আরঅ্যান্ডএসডি কভারেজের মূল ভিত্তি। তাই প্রতিটি দাবি বীমা আইন ২০১০ অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করা আবশ্যক ।
চিঠিতে বলা হয়, বিচারিক নজির থেকে স্পষ্ট যে—সব ঘটনাকে ঢালাওভাবে ‘পপুলার রেসিং’ আখ্যা দিয়ে দাবি বাতিল করা সঠিক ও আইনসিদ্ধ নয়। আন্তর্জাতিক উদাহরণ এবং পুনর্বীমাকারীদের সাথে আলোচনার প্রয়োজনীয়তাঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সৃষ্ট ক্ষতির ক্ষেত্রে বীমা দাবি নিষ্পত্তির বহু উদাহরণ রয়েছে। থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক দাঙ্গা (২০১০) বা লন্ডনের দাঙ্গা (২০১১) এর ক্ষেত্রে বীমা কোম্পানিগুলো ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে । ইন্দোনেশিয়ার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, স্থানীয় বীমা কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক পুনর্বীমাকারীদের সাথে সফল আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান খুঁজে বের করেছিল। আমরা মনে করি, বিদেশি পুনর্বীমাকারীদের উপর সমস্ত দায় চাপিয়ে না দিয়ে, তাদের সাথে দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও আন্তর্জাতিক নজির তুলে ধরে কার্যকর আলোচনার সুযোগ এখনো রয়েছে এবং সেই উদ্যোগ আপনাদেরই নিতে হবে ।
আন্তর্জাতিকভাবে, এরূপ অস্থিরতা কারনে সৃষ্ট ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার ও বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য বিশেষ তহবিল বা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যুক্তরাজ্য: দাঙ্গা ক্ষতিপূরণ আইন ২০১৬ অনুযায়ী, দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে এবং বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র: মিনেসোটা রাজ্য ২০২০ সালের দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্গঠনের জন্য প্রায় $৪৫ মিলিয়ন তহবিল অনুমোদন করেছে। এই ধরনের আন্তর্জাতিক উদাহরণ অনুসরণ পূর্বক, বাংলাদেশেও একটি জাতীয় ক্ষতিপূরণ তহবিল বা সমন্বিত ফান্ড গঠন করা যেতে পারে, যা ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তাত্ক্ষণিক আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করবে ।
তাদের মতে, বীমার মূল উদ্দেশ্যই হলো বিপদের দিনে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে অর্থনীতিকে সচল রাখা । যদি দেশের এক ক্রান্তিকালে আইন ও পলিসির কঠোর, সংকীর্ণ এবং ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সকল দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়, তবে তা কেবল ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেউলিয়া করবে না, বরং সমগ্র বীমা শিল্পের উপর মানুষের আস্থা নষ্ট করবে। এর ফলে বীমা গ্রহণে অনীহা তৈরি হবে যা এই শিল্পের জন্য আত্মঘাতী। তাই বিষয়গুলো বিবেচনাপূর্বক গৃহীত একতরফা, ত্রুটিপূর্ণ এবং জাতীয় স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তটি বাতিল করে বীমা আইন, ২০১০ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এসএম
বীমা
চার কোটি ৩৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে গার্ডিয়ান লাইফকে লিগ্যাল নোটিশ

চার কোটি ৩৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দাবি টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) কোম্পানিটির সাবেক এরিয়া ম্যানেজার মো. ছিদ্দিকুর রহমান আইনজীবীর মাধ্যমে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। ভুক্তভোগীর পক্ষে সিরাজগঞ্জ যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের আইনজীবী এডভোকেট এস. এম. দেলোয়ার হোসেন মন্টু উক্ত লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, মো. ছিদ্দিকুর রহমান কোম্পানিটির সিরাজগঞ্জের এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০১৯ সালে কোম্পানিতে যোগদান করেছেন। এসময় কোম্পানির অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হয়রানী ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাকিবুল হাসান, এএমডি মাহমুদুর রহমান খাঁন, ভিপি আলমগীর হোসেন, এসভিপি আনোয়ার হোসেন, জাফর আহমেদ, ডিআরএম শাহিদুল ইসলাম শান্ত, ব্রাঞ্চ সার্ভিস শামিম হোসেন, কাওছার হোসেন গং যোগসাজসে ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করেন। কিন্তু কোম্পানির অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির কারণে তার টাকার বিপরীতে প্রাপ্য দাবি মেটানো হয়নি।
নোটিশে আরও বলা হয়, ভুক্তভোগীর চাকরী চলাকালীন সময়ে সংগঠনের কর্মকর্তা ও বিপনন কর্মীদের বিচ্ছিন্ন করে আর্থিকভাবে লাখ লাখ টাকা ক্ষতি করা হয়েছে। যাহার আর্থিক ক্ষতির পরিমান ৩০ লাখ টাকা। এছাড়াও ২০২৪ সালের বকেয়া আরও ৫ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এক পর্যায়ে কোম্পানিটি ছিদ্দিকুর রাহমানের বেতন, বোনাস, টিএ, ডিএ, ভ্রমণ প্যাকেজ, ইনসেন্টিভ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার পরিমান প্রায় ১ কোটি টাকা। কোম্পানিটির কর্মকর্তারা পাওনা টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন প্রকার হুমকী, ধামকী ও মামলার ভয় দেখায়। যখন তিনি আতঙ্ক ও ভীতিকর পরিবেশে বসবাস করছেন। তখনই পাওনাদী পরিশোধ না করে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এতে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তিনি। তার রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া নোটিশে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দাবি পরিশোধ না করলে বাংলাদেশ বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আদালতে মামলা দায়েরের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থায়ও নোটিশের কপি প্রেরণ করা হয়েছে।
কাফি
বীমা
বিমায় আস্থা ফেরাতে দরকার প্রযুক্তির আধুনিকায়ন

দেশের বীমা খাতের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে এ খাতের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন দরকার বলে মনে করেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, কোম্পানিগুলো পলিসির যেসব তথ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা করেন সেগুলোর সাথে সফটওয়ারে আপলোড করা তথ্যের গরমিল থাকে। কোম্পানিগুলো প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত হলে গরমিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না, এতে বাড়বে গ্রাহকের আস্থা।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বীমা খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরামের (আইআরএফ) উদ্যোগে সাভারের শক্তি ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ‘বীমা খাতের আধুনিকায়নে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিইও এস এম জিয়াউল হক। এছাড়া দুয়ার সার্ভিসেস পিএলসির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন শাহনেওয়াজ দুর্জয়, ছিলেন ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসানও।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ব্যাংকিং খাত প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত। এখন কোনো একটি ব্যাংক অন্যায় করলে বাংলাদেশ ব্যাংক তা সাথে সাথে চিহিৃত করতে পারে। কিন্ত বীমা খাত এখনও সে পর্যায়ে যেতে পারেনি। ফলে বীমা কোম্পানিগুলো গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ না করলেও কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) প্রযুক্তিগতভাবে কোম্পানিগুলো সুসংবন্ধ করার চেষ্টা করলেও কিছু কোম্পানির অসহযোগিতার কারণে সেটি বাস্তবায়ণ হচ্ছে না।
তারা বলেন, বীমা খাতকে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করা সম্ভব হলে- গ্রাহক প্রিমিয়াম জমার সঙ্গে সঙ্গে তার তথ্য পাবেন। এতে একদিকে যেমন বীমার প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়বে, অন্য দিকে এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে।
কর্মশালায় দুয়ার সার্ভিসেসর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুয়ারের মাধ্যমে বীমা গ্রাহক সেবা সহজতর ও বীমা খাতের সার্বিক মান উন্নয়নে ১০টি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল সিস্টেম সমৃদ্ধ ইন্স্যুরেন্স ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইআইএমএস) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উন্নত বিশ্বের ন্যায় কেন্দ্রীয় পলিসি ডিপোজিটরি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে সকল বীমা পলিসির তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে এবং গ্রাহকেদের বীমা দাবি সঠিক সময়ে প্রদান করা হচ্ছে কি না তা তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইআইএমএস বাস্তবায়ন করার ফলে এখন অনেক বীমা কোম্পানি বাধ্য হচ্ছে তাদের অভ্যন্তরীন আইটি অবকাঠামো আরো শক্তিশালী করতে। দুয়ারের মাধ্যমে গ্রাহক প্রিমিয়াম জমাদানের তথ্য অ্যাপ, বীমা পলিসি অন-বডিং বা দ্রুত পলিসি চালু করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ই-কেওআইসি সিস্টেম এবং প্রিন্টেড কাগজের ব্যবহারের বদলে ই-রিসিপ্ট সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করে আইআরএফের সভাপতি গাযী আনোয়ার।
বীমা
ফারইস্টের সাবেক সিইওসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্যপাচার মামলা

জালিয়াতি ও প্রতারণা করে তথ্যপাচারের অভিযোগে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডর সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আপেল মাহমুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বীমা প্রতিষ্ঠানটি। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- ফারইস্ট ইসলামী লাইফের আইটি বিভাগের ইনচার্জ লোকমান ফারুক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ওসমান গনি।
গত মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন কোম্পানিটির আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ১৯, ২১ ও ২২ ধারায় এ মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে ফারইস্ট লাইফের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবহৃত ডিজিটাল সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ তথ্য ভাণ্ডারে হস্তক্ষেপ করেন। প্রতারণার মাধ্যমে তারা প্রায় ৫৫ হাজার ৮৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ব্যাংক হিসাব নম্বর, মোবাইল নম্বর, বেতন-ভাতা, কর্মী শনাক্তকরণ নম্বরসহ বিভিন্ন গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তা ‘সাবলাইন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে সরবরাহ করেন।
এসব স্পর্শকাতর তথ্য পাচারের ফলে কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং আর্থিক সম্পদের ওপর মারাত্মক হুমকি তৈরি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এসএম
বীমা
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সঙ্গে আইডিআরএ’র সভা

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৪টায় আইডিআরএ’র সাথে কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষ-০১ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
সভার সভাপতিত্ব করেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এর চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সদস্য প্রশাসন মো. ফজলুল হক, সদস্য আইন তানজিনা ইসলাম, সদস্য (নন-লাইফ) মো. আবুবকর সিদ্দিক, সদস্য (লাইফ) মো. আপেল মাহমুদ এসিআইআই (ইউকে)।
এছাড়া, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) নির্বাহী কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বিএম ইউসুফ আলী, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারী জেনারেল ও সেনা ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) শফিক শামীম, জয়েন্ট সেক্রেটারী জেনারেল ও জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এস এম নুরুজ্জামান, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরে আলম সিদ্দিকী, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ কে এম সারোয়ার জাহান জামীল, অফিস সেক্রেটারী ও ষ্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. আবদুল মতিন সরকার, নির্বাহী সদস্য ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমাম শাহীন, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোকাররম দস্তগীর, ইষ্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হসান তারেক, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বায়োজিদ মুজতবা সিদ্দিকী, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী, নর্দার্ণ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী গোলাম ফারুক এবং প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামছুল আলম প্রমুখ।
কাফি