আইন-আদালত
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জামিন
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল হামিদ বলেন, অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় আদালত এম এ মান্নানের জামিন দিয়েছেন। আদালতের রায়ে আমরা খুশি।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থীর ভাই হাফিজ আলী বাদী হয়ে ৯৯ জনকে আসামি করে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করেন। মূলত এই মামলায় কারাগারে ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দায়ের হওয়া রাজধানীর পল্টন থানার দুই মামলা এবং খিলগাঁও থানার চার মামলায় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জামিন পেয়ে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আলাদা দুই আদালত এসব মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্তি পান তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
পিলখানা হত্যা মামলার পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের রুল
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।
রিটকারী আইনজীবী বলেন, ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার নেপথ্যের কারণ জানতে চায় দেশের জনগণ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুনঃতদন্তের কথা বললেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই রিট আবেদন করা হয়েছে।
পিলখানা ট্র্যাজেডির পর জাতীয় তদন্ত কমিশনের একজন সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসিরের বরাত দিয়ে আইনজীবী বলেন, ওই সময় সরকারের হস্তক্ষেপে শুধু কাগুজে তদন্ত হয়। এর প্রতিবাদ করলে তাকে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। দায় এড়াতে তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ অসংলগ্ন কথা বলছেন বলেও জানান সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
এর আগে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের সময় সেনা অফিসারদের হত্যার ঘটনা তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে রিট আবেদন করা হয়।
একই সঙ্গে বিডিআর বিদ্রোহের দিনকে সৈনিক শহীদ দিবস এবং হতাহতদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিট আবেদনে।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন, বিচার ও মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি ও র্যাব ডিজিকে বিবাদী করা হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত ২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদসহ দুই আইনজীবী এই রিট আবেদন করেন।
বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা অফিসারসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ফের তদন্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন ও ওই ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষারসহ ৯ জন আইনজীবী এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা শাস্তির আওতায় আসেনি। অনেক নিরীহ মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) জেনারেল মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিডিআর সদর দপ্তরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা জনগণ জানতে পারেনি।
নোটিশে আরও বলা হয়, সেনা অফিসারদের জীবন রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল নোটিশগ্রহীতাদের। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী এ দায়িত্ব রক্ষায় তারা ব্যর্থ হয়েছেন। তারা তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার বলেন, বিডিআর বিদ্রাহের ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তাতে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ওই ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। আবার অনেক নিরপরাধ মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে এ ঘটনা ফের তদন্ত করতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে বলেছিল। নোটিশের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল শুনানি ১০ নভেম্বর
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল শুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এদিকে লিভ টু আপিলের ওপর শুনানির জন্য আগামী ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. রেজাউল হক। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল।
সোমবার (৪ নভেম্বর) খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান।
একইসঙ্গে এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বাকি চার আসামি হলেন- সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।
এরপর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বিএনপির ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি
আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির শীর্ষ ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
সেইসাথে বিএনপির আইনজীবীর বিরুদ্ধে আবেদনকারী আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে। জরিমানার টাকা জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে দিতে হবে।
সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতা হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
এর আগে গত ১২ জুন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির ৫ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর পল্টন থানার বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাচান মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন গণমাধ্যমকে বলেন, রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদিরকে ফাঁসানো হয়েছে। বিএনপি অফিসে হামলার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এর আগে ৭ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশের হারুন অর রশীদ, মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ভাঙচুর করার পাশাপাশি আন্দোলনে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এতে মকবুল হোসেন নামে এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
প্রসঙ্গত, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সর্বশেষ শেখ হাসিনার মন্ত্রী পরিষদে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
তারেক রহমান-সালামের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালামের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এ মামলার আরও দুইজন হলেন, মাহাথির ফারুকী ও কনক সারওয়ার।
আজ বৃহস্পতিবার মামলা বাতিলে জারি করা রুল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আব্দুস সালামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, আজকে শাহদীন মালিক সাহেব শুনানি করেছেন। আমরাও সেখানে ছিলাম। এই মামলার শুরুইটাই বেআইনি। তাই আব্দুস সালাম সাহেব, তারেক রহমান সাহেবসহ সবার মামলা বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য একুশে টিভি সরাসরি সম্প্রচার করে। পরদিন তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের মালিক আব্দুস সালামের নামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় তেজগাঁও থানা পুলিশ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তেজগাঁও থানার এসআই বোরহান উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি এ মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এমদাদুল হক। সেখানে তারেক ও সালামের সঙ্গে একুশে টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান এবং জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কনক সারওয়ারের নাম যোগ করা হয়। পরে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আব্দুস সালাম হাইকোর্টে আবেদন করেন।
হাইকোর্ট ২০১৭ সালে রুল ও স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেওয়া হয়।
কাফি