ব্যাংক
বৃহস্পতিবার ব্যাংক বন্ধের বিষয়ে যা জানা গেল
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দেশব্যাপী সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তবে সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যাংক খোলা রাখা হবে।
মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত সার্কুলার জারি করে বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাহী আদেশে ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১০ অক্টোবর বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
তবে সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা ও বুথ বিশেষ ব্যবস্থায় সার্বক্ষণিকভাবে খোলা থাকবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চটপটির দোকানে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ঋণ ২৩৪ কোটি টাকা
চট্টগ্রামে নওরোজ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান তাদের একটি চটপটির দোকান ও দুটি রেস্তোরাঁ রয়েছে দেখিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৩টি শাখা থেকে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক নাজমি নওরোজ।
এর মধ্যে ইট অ্যান্ড ট্রিট নামের চটপটির দোকানটি নগরীর আসকার দিঘির পাড়ে। এর পাশেই ফিউশন ইটস নামের একটি রেস্তোরাঁ ও অপরটি লা এরিস্টোক্রেসি নামের রেস্তোরাঁটি তিনবার জায়গা বদল করে এখন নগরীর আগ্রাবাদে।
জানা গেছে, সামান্য ব্যবসার বিপরীতে এত বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়া সম্ভব হয়েছে খোদ ব্যাংক মালিকের বিশেষ আগ্রহে। ফলে ঋণ শোধ না করে দিব্যি বিলাসী জীবনযাপন চালিয়ে আসছেন তিনি। এ ছাড়া ঋণ শোধ না করে তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাদের খুশি রাখতেন ‘জোরপূর্বক উপহার’ দিয়ে। ব্যাংকের মালিকপক্ষও ঋণ পরিশোধ না করার সুবিধাটি অব্যাহত রাখতে তা খেলাপি না দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অশ্রেণিবদ্ধ (আনক্লাসিফায়েড) করে রাখে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লা এরিস্টোক্রেসি রেস্তোরাঁটির নামে ২ কোটি টাকার ঋণসীমা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নাজমি নওরোজ উত্তোলন করেছেন ৭০ কোটি টাকা, যা সুদ-আসলে ১১৭ কোটি টাকা হয়েছে। তিনি এই টাকা নিয়েছেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আসকার দিঘির পাড়ের মহিলা শাখা থেকে। একই প্রতিষ্ঠানের নামে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে অবস্থিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে তিনি ঋণ নেন ৫৪ কোটি টাকা, যা সুদে-আসলে এরই মধ্যে ৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা হয়েছে। এর বাইরে ব্যাংকটির চকবাজার শাখা থেকে ২৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। তবে চকবাজার শাখার পুরো টাকা এস এলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলম মাসুদ নিয়ে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন নাজমি নওরোজ।
আসকার দিঘির পাড়ের মহিলা শাখার মাধ্যমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে ২০১১ সাল থেকে লেনদেনের শুরু হয় নাজমি নওরোজের। বর্তমানে এই ঋণ সুদে আসলে ১১৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ব্যাংকের চাপাচাপিতে ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি শুধু ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। তবে ঋণের টাকা অশ্রেণিবদ্ধ (আনক্লাসিফায়েড) তালিকায় দেখানো হয়।
ব্যাংক সূত্র জানায়, মালিকপক্ষ চায়নি বলে নাজমি নওরোজকে ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখানো হয়নি। তাই ঋণটিকে অশ্রেণিবদ্ধ করে রাখা হয়। অবশেষে গত আগস্ট মাসে তাকে ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখানো হয় এবং পাওনা আদায়ে মামলা করা হয়।
ব্যাংক সূত্র জানায়, নাজমি নওরোজ ব্যাংক থেকে যে টাকা উত্তোলন করেন, বছর শেষে তা পরিশোধ না হওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো কথা বলেনি। তবে ব্যাংকের টাকা ফেরত না পাওয়ায় শাস্তি হিসেবে আটকে দেওয়া হয় একাধিক কর্মকর্তার পদোন্নতি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকটির এক কর্মকর্তা বলেন, নাজমি নওরোজ ব্যাংকের কিস্তি জমা দেন না। কিন্তু মাঝেমধ্যে উপহার নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে আসেন। কর্মকর্তারা এসব উপহার গ্রহণ করতে না চাইলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দিয়ে প্রচণ্ডভাবে ধমকাতেন।
নাজমি নওরোজ বলেন, আমি যে পরিমাণ সম্পদ ব্যাংকে জামানত দিয়েছি তাতে ৪০ কোটি টাকাও পাওয়ার কথা নয়। যা কিছু হয়েছে সবই মাসুদ সাহেবের ইচ্ছায় হয়েছে। আমি যে আকিজ উদ্দিনকে টাকা দিয়েছি, সেই প্রমাণ আমার কাছে আছে। ব্যাংকের নতুন পর্ষদ গত রোববার আমার সঙ্গে বসেছে। আমি তাদেরকে এসব জানিয়েছি।
তাহলে ব্যাংকের এত টাকার দায় দেনা কে পরিশোধ করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমি নওরোজ বলেন, কেন? মাসুদ সাহেব শোধ করবেন?
নাজমি নওরোজ উল্টো প্রশ্ন করেন, টাকা জামানত ছাড়া আমি এত বিপুল পরিমাণ টাকা কীভাবে তুলতে পারলাম? পারলাম ওই ব্যাংকের মালিক মাসুদ সাহেবের ইচ্ছায়।
ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ও তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আকিজ উদ্দিনের বিশেষ আগ্রহে সামান্য চটপটির দোকান ও রেস্তোরাঁর নামে নাজমি নওরোজ এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যাংক থেকে তোলার সুযোগটি পান।
নাজমি নওরোজের কাছে চটপটির দোকান ও রেস্তোরাঁর বছরে আয় কত? ব্যক্তিগত চলাফেরার গাড়ির দাম ও বিদেশে সন্তানদের লেখাপড়া সংক্রান্ত আরও কয়েকটি প্রশ্নের জবাব চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
নাজমি নওরোজ ২০১২ সালে ৮১, শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ রোড ঠিকানায় লা এরিস্টোক্রেসি নামে একটি রেস্তোরাঁর ব্যবসা শুরু করেন। এখানে কম-বেশি ১০০ জনের বসার ব্যবস্থা ছিল। ২০২০ সালে হঠাৎ লা এরিস্টোক্রেসি নামের রেস্তোরাঁটি সেখান থেকে সরিয়ে প্রথমে শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ রোডের কর্ণফুলী টাওয়ারে (এস আলম টাওয়ার) এবং পরে নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার ১০৫ হোসাইন চেম্বারের নিচতলায় স্থানান্তর করেন। আর লা এরিস্টোক্রেসি হোটেলটির নতুন নাম দেন ফিউশন ইট। দামপাড়া পুলিশ লাইনের কাছে কেক বিক্রিরও একটি দোকান তিনি খুলেছিলেন, যেটি এখন নেই। নগরীর একমাত্র পাঁচতারা হোটেল রেডিসন ব্লু’র প্রবেশপথের বিপরীত পাশেও তিনি ইট অ্যান্ড ট্রিট নামের একটি চটপটির দোকান খুলেন। কয়েক মাসের মধ্যে বন্ধও করে দেন।
এভাবে নানা জায়গায় বারবার দোকান খোলা এবং বন্ধ করার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা দিয়েছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারা বলেছেন, লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ব্যাংক থেকে অধিক হারে ঋণ বরাদ্দের জন্য তিনি এই কৌশল নেন। অর্থের উৎস গোপন করা হয় এই প্রক্রিয়ায়। যেমন একটি ব্যাংক হিসাব থেকে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তর, বিদেশে অর্থ পাচার, ট্রাভেলার্স চেকে রূপান্তর, একটি ব্যাংক হিসাব থেকে অন্যান্য শাখায় বিভিন্ন নামে অর্থ সরানোর জন্য এই কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয়। নাজমি নওরোজ রেস্তোরাঁ ব্যবসায় আয় উন্নতি যা-ই হোক না কেন, তিনি বারবার শাখা বাড়ানো বা নাম পরিবর্তন করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরের কূট কৌশলের আশ্রয় নেন।
একটি ভাতের হোটেল এবং একটি চটপটির দোকানে বিক্রি-বাট্টা কত- তা নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের রয়েছে প্রশ্ন। তবে নাজমি নওরোজের বিলাসী জীবনের সঙ্গে এই দুইটি দোকান মেলানো অসম্ভব। তার নিজস্ব চলাফেরার জন্য আছে একটি টয়োটা ক্রাউন সেডান কার। নগরীর অভিজাত এলাকা নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে আছে দুটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে লেখাপড়া করিয়েছেন লন্ডন ও কানাডায়।
এ বিষয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক প্রধান (উত্তর) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, নাজমি নওরোজের বিরুদ্ধে আমরা আদালতে মামলা করেছি। ঋণের টাকা আদায়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইসলামী ব্যাংকের ৮২ শতাংশ শেয়ার জব্দ, লেনদেনযোগ্য ১১ শতাংশ
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশে এস আলম গ্রুপের মালিকানায় থাকা ইসলামী ব্যাংকের মোট ১৩১ কোটি ৮৯ লাখ শেয়ার জব্দ বা ‘লকড-ইন’ করা হয়েছে। যা ব্যাংকটির মোট শেয়ারের ৮১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যাংকটির লেনদেন যোগ্য শেয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৪০ লাখে, যা ব্যাংকের মোট শেয়ারের ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
সেপ্টেম্বর মাসের শেয়ারধারণ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। প্রতিবেদনটি ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এস আলমের মালিকানায় থাকা ব্যাংকটির শেয়ার জব্দ করেছে বিএসইসি।
বিএসইসির দেওয়া আদেশে জানানো হয়েছে, এস আলম-সহ ২৬ ব্যাক্তি এবং গ্রুপের ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইসলামী ব্যাংকের ৮১.৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ব্যাংকটির শেয়ার দর ছিল ৫৬.৮০ টাকা। এই দরে এস আলমের কাছে থাকা মোট শেয়ারের মূল্য দাঁড়ায় ৭ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
টাকা পাচ্ছে না গ্রাহকেরা, নিজেদের সব টাকা তুলে নিলো দুই ব্যাংকের এমডি
স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখা টাকা নগদে উত্তোলন ও অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া ইউনিয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের গ্রাহকদের। চেক নিয়ে ব্যাংক দুটির এক শাখা থেকে আরেক শাখা ঘুরেও তুলতে পারছেন না টাকা। এমন সংকটের মধ্যেও ব্যাংক দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা (এমডি) তাঁদের বেতনের পুরো টাকা ঠিকই তুলে ফেলেছেন। তাঁদের ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, দুটি ব্যাংকই নিজ নিজ কর্মকর্তাদের বেতনের টাকা তোলার সীমা বেঁধে দিয়েছে। কেউ ১০ হাজার, আবার কেউ ২০ হাজার টাকা তুলতে পারেন। তবে ব্যাংক দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা (এমডি) তাঁদের বেতনের পুরো টাকা ঠিকই তুলে ফেলেছেন। এর মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী ২ ও ৩ অক্টোবর তুলে নিয়েছেন ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। কমার্স ব্যাংকের এমডি তাজুল ইসলাম গত ২৬ সেপ্টেম্বর একবারে তুলেছেন ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
ইউনিয়ন ব্যাংকে গ্রাহক জ্যেষ্ঠ নাগরিক কামরুন নাহার জানান, তিন বছর আগে প্রায় এক কোটি টাকা স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখেন। গত জুলাই থেকে তিনি সেই টাকা নগদে উত্তোলন ও অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো টাকা তিনি তুলতে পারেননি। শুধু তিনি নন, ব্যাংকটি কোনো গ্রাহকেরই টাকা ফেরত দিতে পারছে না। তবে মাঝেমধ্যে পরিচিত গ্রাহকদের ১০-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দেয়।
ব্যাংক দুটি এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংক দুটির পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। স্বতন্ত্র পরিচালকেরা এখন দুই ব্যাংকের চেয়ারম্যান। এর মধ্যে কমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আতাউর রহমান। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অবসরের পর প্রায় পাঁচ বছর এস আলমের মালিকানাধীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।
দেখা গেছে, কমার্স ব্যাংকের এমডি তাজুল ইসলামের হিসাবে ২৫ আগস্ট বেতনের ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জমা হয়। এরপর ২৯ আগস্ট তিনি আগের জমাসহ ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা অন্য ব্যাংকের হিসাবে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বিশেষ ব্যবস্থায় পয়লা সেপ্টেম্বর সেই টাকা অন্য হিসাবে নিতে সক্ষম হন। ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁর হিসাবে ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা বেতন বাবদ জমা হওয়ার পরদিনই তিনি পুরো টাকা তুলে ফেলেন।
জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আয়কর দেওয়ার জন্য পে-অর্ডার করেছিলাম। এ ছাড়া খরচের জন্য বেতনের টাকা তোলা হয়েছে। ব্যাংকে টাকার সংকট রয়েছে। এ জন্য অনেকে টাকা পাচ্ছেন না। ভবিষ্যতে এটি ঠিক হয়ে যাবে। আমরা ঋণ আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজও ১০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
কমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, কবে তারল্যসংকট মিটবে, এটা বলতে পারব না।
ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী তাঁর ব্যাংক হিসাব থেকে পয়লা সেপ্টেম্বর ২ লাখ টাকা ও ৫ সেপ্টেম্বর ৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁর হিসাবে ৫০ লাখ টাকা জমা হয়। একই দিন মাসের বেতনের ১০ লাখ ৮ হাজার ২৪২ টাকা জমা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর ওই হিসাবে জমা হয় ৪২ লাখ টাকা। এরপর তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার টাকা, ২ অক্টোবর ৫০ লাখ টাকা এবং ৩ অক্টোবর ৫০ লাখ ও ৫৩ লাখ টাকা তোলেন।
এবিষয়ে মন্তব্য জানতে এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরীকে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ফরীদ উদ্দীন আহমদকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
এক্সিম ব্যাংকে ৪৫০ কোটি টাকার খেলাপি বিনিয়োগ আদায়
গত সেপ্টেম্বর মাসে এক্সিম ব্যাংকের দীর্ঘদিনের অনাদায়ী ৪৫০ কোটি টাকার খেলাপি বিনিয়োগ আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে মো. নজরুল ইসলাম স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ২০৩তম সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. নূরুল আমিন ফারুক, অঞ্জন কুমার সাহা, স্বতন্ত্র পরিচালক এস এম রেজাউল করিম এবং খন্দকার মামুন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোঃ ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান, মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
এমআই