রাজনীতি
ভারত ছাড়েনি শেখ হাসিনা, জানালেন জয়
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গেল ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর থেকে ভারতেই অবস্থান করছেন তিনি। টানা কয়েক মাস সেখানে অবস্থান শেষে গুঞ্জন উঠেছে, ভারত ছেড়ে আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। তিনি সেখানের আজমান শহরে অবস্থান করছেন বলেও জানা গেছে। তবে শেখ হাসিনা এখন কোথায় আছে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে দেশের একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে জয় জানান, শেখ হাসিনার ভারত ছেড়ে যাওয়ার খবরটি সঠিক নয়। তার মা এখনও ভারতেই আছেন।
কোটা প্রসঙ্গে জয় বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এমন প্রস্তাব রাখেন জয়। সে সময় কোটা আন্দোলন দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, তার মা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বেশ বিচলিত এবং হতাশ। কেননা গত ১৫ বছরে হাসিনার কঠোর পরিশ্রম অনেকটাই ব্যর্থ হতে চলেছে।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে জয় জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তার কখনই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কী হবে তা তিনি বলতে পারছেন না।
এদিকে জল্পনা উঠেছে অচিরেই ভারত ছাড়তে হবে শেখ হাসিনাকে। তবে ভারত ছেড়ে কোথায় যাবেন তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে শেখ হাসিনা কীভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন? জবাবে ভারত বলেছে, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন।
এমন খবর ঢাকার সরকারি একটি মহলকে জানানো হয়েছে। একাধিক সূত্র সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে তিনি দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেন তারা। এরপর থেকে তিনি কোথায় আছেন তা আর জানা যায়নি।
শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার প্রধান করা হয়েছে নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূসকে। এরপর থেকে প্রায় দু মাস হয়ে গেছে। পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছু।
শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করে দিয়েছে সরকার। এ ধরনের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ভারতে ৪৫ দিন বৈধভাবে থাকতে পারেন। কিন্তু শেখ হাসিনা প্রায় ২ মাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। কূটনৈতিক পাসপোর্টে তার বৈধভাবে অবস্থানের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখন তারা দেশটিতে কিভাবে অবস্থান করছেন তা পরিষ্কার নয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গ্রেপ্তারের দুই দিন পরেই কারামুক্ত হলেন সাবের হোসেন
গ্রেপ্তারের দুই দিন পরেই কারামুক্ত হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের গারদখানা থেকে তিনি কারামুক্ত হন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানার ইনচার্জ এসআই মুরাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান আজ বিকেলে সাবের হোসেন চৌধুরীকে জামিন দেন।
সাবের হোসেন চৌধুরীর আইনজীবী মোরশেদ আলম শাহীন জানিয়েছেন, আর কোনো মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। যে কোনো সময় তিনি মুক্তি পেতে পারেন।
গত রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন সোমবার রাজধানীর পল্টনে বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরীকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসান তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন জানান। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মাহবুবুল হক শুনানি শেষে সাবের হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে কারামুক্ত হলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের ৭ দাবি
সাত দিনের মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। দেশে ফেরার পর সাংবাদিকদের সাথে তার প্রথম মতবিনিময় সভায় তিনি এসব দাবি উত্থাপন করেছেন।
আজ রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
সাত দফা দাবি তুলে ধরে মাহমুদুর রহমান বলেন, অনতিবিলম্বে ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ও বেআইনি সংগঠন ঘোষণা করতে হবে। গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের যত সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা ঘটনা ঘটেছে তার জন্য দায়ী একমাত্র বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার ছেলে-মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে, আবু সাঈদ-মুগ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের গুণ্ডা বাহিনী ছিল। এই অনুষ্ঠান থেকে আমার দেশ পরিবার, আমার ও সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আল্টিমেটাম দিচ্ছি, সাত দিনের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় আমি সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামব।
তিনি বলেন, একজন বর্ষিয়ান নাগরিক হিসেবে ফ্যাসিবাদবিরোধী কর্মী হিসেবে আমি সাত দফা দাবি ঠিক করেছি, যা এই সরকারের কাছে উত্থাপন করছি।
সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের ৭ দফা দাবি
এক নং দাবি হচ্ছে, ছাত্র-জনতার বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসার জন্য অনতিবিলম্বে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করতে হবে।
তৃতীয়ত, যমুনা সেতুকে শহীদ আবু সাঈদ সেতু নাম ঘোষণা করতে হবে।
চতুর্থত, ২০০৯ সাল থেকে ভারতের সঙ্গে যতগুলো চুক্তি হয়েছে তার প্রতিটি ধারা উপ-ধারা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। জনগণকে জানতে হবে ভারতের সঙ্গে কি কি চুক্তি হয়েছে। এগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটিতে দেশ প্রেমিকরা থাকবেন। তবে সেখানে টিআইবির ইফতেখারুজ্জামান বা ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মতো কোনো ব্যক্তিকে রাখা যাবে না, যারা ফ্যাসিবাদ, ভারতীয় দালাল তারা থাকবে না।
পঞ্চমত, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে শহীদ আবরার এভিনিউ করতে হবে। ছাত্র-জনতার বিপ্লব শুরু হয়েছে শহীদ আবরারের শাহাদতের মাধ্যমে। শহীদ আবরার ছিলেন ইন্ডিয়ান হেজেমনির বিরুদ্ধে। সেজন্য বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর নাম পরিবর্তন করে সৈয়দ আবরার অ্যাভিনিউ করতে হবে।
ষষ্ঠত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নমিনেশন অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই সাহেবা পুতুলের নমিনেশন করা হয়েছিল জালিয়াতির মাধ্যমে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পুতুলের নমিনেশন বাতিল করবে কি করবে না– সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু বিপ্লবোত্তর সরকারকে পুতুলের নাম প্রত্যাহার করে ম্যাসেজ দিতে হবে সংস্থাটিকে।
সপ্তমত, বুয়েটের ছাত্র, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) রহিমকে অবহেলাজনিত হত্যা করা হয়েছে। এটা আমি কারাগারে থাকতে জেনেছি। তিনি ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় কারান্তরীণ ছিলেন। যদিও বলা হয় তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। কিন্তু, আমি জেনেছি হার্ট অ্যাটাকের পর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হলে ইলেক্ট্রিসিটির লাইন বন্ধ করে রাখা হয়েছিল দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এসময় তিনি ছটফট করে মারা যান। আরেকজন হচ্ছে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টু, যাকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে বলে জেনেছি। দুজনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। যে কমিটির দায়িত্ব হবে সমস্ত কাগজপত্র প্রমাণ পর্যালোচনা করে এই দুজনের মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
তিন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
ঢাকায় নিযুক্ত ৩ দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে করেছে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি। রবিবার (৬ অক্টোবর) সকালে গুলশান সুইডিশ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, ঢাকাস্থ সুইডিশ রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরালড গুলব্র্যান্ডসেন এবং ডেনিশ দূতাবাস ডেপুটি হেড অব মিশন অ্যান্ডার্স বি কার্লসেনের সঙ্গে বৈঠকে করেছে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামা ওবায়েদ ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল অংশ নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এই সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে হবে। সেজন্য আমরা সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই। সেটা কতদিনের, তা আমরা পরে জানাবো।
শনিবার (৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় সংলাপে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, গত তিনটা নির্বাচনে জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আগামীতে জাতির সামনে একটা গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া বর্তমান সরকারের মূল কাজ। সেজন্য মৌলিক বিষয়ে তাদের কিছু সংস্কার করতেই হবে। কি কি মৌলিক বিষয়ে সংস্কার করা উচিত সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।
ডা. শফিকুর রহমান জানান, জামায়াতের পক্ষ থেকে সরকারকে দুইটি রোড ম্যাপ দেওয়া হয়েছে। একটি সংস্কারের, অন্যটি নির্বাচনের। ভোটের আগে সংস্কার চায় জামায়াত। আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। এজন্য অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত।
তিনি বলেন, এই সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি, তারা একটা ভোটের পরিবেশ তৈরির জন্য এসেছে। তাদেরকে বিভিন্ন রকম সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ তারিখ রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরা হবে জামায়াতের পক্ষ থেকে।
জামায়াত আমির বলেন, জনগণ এবং সরকার একসঙ্গে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে পারে, সব ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতিকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ রাখা যেতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বর্তমান যে সরকার আছে, তারা কোনো ধরনের পক্ষ-বিপক্ষের মানসিকতা না নিয়ে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেশকে একটা ভালো পর্যায়ে নিয়ে নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে।
এদিন প্রধান উপদেষ্টার সংলাপের আহ্বানে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে যমুনায় প্রবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্ব দেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। ঘণ্টাখানেক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করেন তারা।
এর আগে দুপুর সোয়া ২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা আলোচনায় বসেন বিএনপির প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে নির্বাচনী রোডম্যাপসহ নিজেদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনী রোড ম্যাপ চেয়েছি: ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করার জন্য আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি। নির্বাচন কমিশন, কবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী। এদিন দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে সংলাপ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সংস্কার এবং নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারগুলো আমরা তুলে ধরেছি। আমাদের মতামতও দিয়ে এসেছি। আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আর আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি। নির্বাচন কমিশন, কবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মাস, দিনকাল নিয়ে কথা বলি না। উনি যেটা আমাদের বলেছেন, নির্বাচনই আমাদের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে সংলাপে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি