জাতীয়
সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা
সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা। সর্বশেষ শুমারির তথ্য অনুয়ায়ী বর্তমানে সেখানে ১১টি বাঘ বেড়ে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৫। এ তথ্য জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪’ এর ফলাফল ঘোষণা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি এ তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা বলেন, সার্বিক বিচার বিশ্লেষণে ২০২৩-২০২৪ সালে সুন্দরবনে পরিচালিত বাঘ জরিপে বাঘের সংখ্যা ১২৫ পাওয়া যায় এবং প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটার বনে বাঘের ঘনত্ব পাওয়া যায় ২ দশমিক ৬৪। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে এবং ২০১৫ সালের তুলনায় বাঘের সংখ্যা ১৭ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে।
রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে আধুনিক পদ্ধতি ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ জরিপ করা হয় এবং এ জরিপে বাঘের সংখ্যা পাওয়া যায় ১০৬টি এবং প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটারে বাঘের ঘনত্ব ছিল ২ দশমিক ১৭। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ জরিপে ১১৪টি বাঘ পাওয়া যায় এবং প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটারে বাঘের ঘনত্ব ছিল ২ দশমিক ৫৫। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বাঘ বেড়ে দাঁড়ায় ৮টি এবং বাঘ বৃদ্ধির শতকরা হার ছিল প্রায় ৮ শতাংশ।
এর আগে, বাঘ জরিপ কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক আবু নাসের বলেন, বনদস্যু ও জলদস্যু বিতরণের পরে প্রচুর বাঘের বাচ্চার ছবি পেয়েছি। আমরা এবার চাঁদপাই, শরণখোলা এবং খুলনা ও সাতক্ষীরাতে প্রচুর বাঘের বাচ্চার ছবি পেয়েছি।
জরিপ দলের প্রধান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ডাকাত বিলুপ্ত হওয়ার পরে যে অর্জন সেটার প্রতিফলন আমরা আমাদের সবশেষ জরিপে দেখতে পেয়েছি। এই নাজুক পরিস্থিতিতে যদি আবার সুন্দর বনে ডাকাতের আস্তানা গড়ে ওঠে তাহলে যে আশাবাদ আমরা দেখছি তা আবার হারিয়ে যাবে। দেশের যেকোনো বাহিনী থেকে কিছু সদস্য নিয়ে বাঘের নিরাপত্তায় একটা বিশেষ বাহিনী করা যেতে পারে।’
সুন্দরবনে যে বাঘ বাস করে নাম নাম রয়েল বেঙ্গল টাইগার। প্যান্থেরা টাইগ্রিস উপজাতির এই বাঘ সাধারণত বাংলাদেশ ও ভারতে দেখা যায়। বাঘের যতগুলো উপপ্রজাতি আছে তার মধ্যে বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যাই বেশি।
২০০৪ সালের বাঘ জরিপে সুন্দরবনে ৪০০টির বেশি বাঘের সন্ধান মিললেও ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে। তবে সবশেষ জরিপে আবারও বাঘের সংখ্যা বাড়ার আভাস মিলল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৪৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে দায়ের করা পৃথক আট হত্যামামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৪৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজার আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর ভিন্ন ভিন্ন মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর উত্তরা থেকে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনি আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির পরিচয় নিয়ে যা জানা গেল
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করে এবং ছাত্র-আন্দোলনে নিহত আবু সাইদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে সমালোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সাময়িক বরখাস্তকৃত) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে সাফাই গেয়ে অনবরত লিখে গেছেন।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্রী এই ঊর্মি বিতর্কিত শিক্ষক ও লেখক অধ্যাপক জাফর ইকবালের সঙ্গী ছিলেন। গণজাগরণ মঞ্চেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঊর্মি শাবি থেকে থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে ঢুকেন।
সমালোচনায় পড়া লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে রোববার (৪ অক্টোবর)। এদিন সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিন সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, রংপুর বিভাগ, রংপুরের ০৬ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখের প্রজ্ঞাপন নম্বর : ০৫.৪৭.০০০০.০০৬.০৮.০০৩.২২.৪০১ মোতাবেক তাপসী তাবাসসুম উর্মি (পরিচিতি নম্বর-১৯২৮৬), সহকারী কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, লালমনিরহাটকে সহকারী কমিশনার হিসেবে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, রংপুর বিভাগ, রংপুরে বদলি করায় বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নিমিত্ত ০৬/১০/২০২৪ খ্রি. তারিখ অপরাহ্ণে অবমুক্ত করা হলো।
সোমবার (৭ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নিয়ে তাপসী তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি, বিভিন্ন কারণে হতে পারে।’ পরে তিনি বলেন, ‘এ বিষয় আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এছাড়া, আওয়ামী লীগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে বেশকিছু পোস্টও করেছেন। একটি স্ট্যাটাসে তিনি ছাত্র আন্দোলনের নিহত শহীদ আবু সাইদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছেন।
জানা গেছে, তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি নেত্রকোনা জেলার জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের মো: ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী। ঊর্মিরা কেউ গ্রামের বাড়িতে থাকেন না। তারা দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহে অবস্থান করছেন। মাঝে মধ্যে তারা বাড়িতে যান।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। তিনি বলেন, আমার জানামতে পূজাকে ঘিরে ঢাকায় কোনো হুমকি নেই, কোনো ঝুঁকিও দেখছি না।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
মাইনুল হাসান বলেন, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ফিক্সড পুলিশ মোতায়েন থাকবে, থানা পুলিশ কর্তৃক অধিক টহল ও চেকপোস্ট স্থাপন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং ব্যবস্থা থাকবে। সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি প্রতিটি পূজামণ্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। একইসঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ র্যাবের সদস্যরা টহল ও অন্যান্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পূজা চলাকালীন যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যানজট এড়াতে পূজা কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে মণ্ডপের আশপাশে কোনো মেলা যাতে না হয়।
বিসর্জনে ঢাকা মহানগরীতে ১৫টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসর্জন শোভাযাত্রায় ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বিসর্জনের জন্য পূজা কমিটি ও ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানান মাইনুল হাসান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রতি বছর পূজা বিসর্জনের সময় নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা প্রতিরোধে এবার নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পূজা শেষে বিসর্জনের জন্য ঢাকা মহানগরীতে ১৫টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এই তালিকায় পোস্তগোলা শ্মশানঘাট, ওয়াইজঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদী ও ডেমরাসহ আরও অন্যান্য স্থান রয়েছে। বিসর্জন শোভাযাত্রার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। বিসর্জনের স্থানগুলোতে নৌ পুলিশের টহলের পাশাপাশি ফায়ার ব্রিগেডকে অনুরোধ করেছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।’ পূজামণ্ডপগুলোতে তল্লাশির সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে ব্যক্তিদের সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।
পূজা বিসর্জনের দিন সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে বিসর্জনের সব কার্যক্রম শেষ করা, পূজা উদযাপন, বিসর্জন এবং বিসর্জনের শোভাযাত্রার সময় সব ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং বিসর্জনের সময় মাদক গ্রহণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জেড আই খান পান্না গড়পড়তা আইনজীবী: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করে আলোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মির পক্ষ নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার সমালোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, তাপসী তাবাসসুম উর্মি বাক স্বাধীনতার বলি নন। তিনি সরকারের শৃঙ্খলাবিধি ভঙ্গ করেছেন। আর এ যৌক্তিক কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে তার হওয়ার কথা পক্ষপাতহীন। কিন্তু তিনি স্বৈরশাসকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব আরও লিখেছেন, আইনজীবী জেড আই খান পান্না তাকে সেলুট জানিয়েছেন। কয়েকদিন আগে পান্না অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বর্জ্য বলে সমালোচনা করেছিলেন। আমি অবাক হইনি। সারাজীবনই তিনি খুবই গড়পড়তা মানের একজন আইনজীবী ছিলেন। তবে কোনোভাবে তিনি শোরগোল তৈরিতে ওস্তাদ। হয়ত এ কারণেই তিনি আজকের এ অবস্থানে এসেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করে সম্প্রতি আলোচনায় আসেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি। গত শনিবার তিনি ফেসবুকে লেখেন লেখেন, সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।
পরে স্ট্যাটাস বিষয়ে জানতে চাইলে উর্মি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যের জের ধরে তার এই প্রতিক্রিয়া।
নিজের স্ট্যাটাসের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, আমি পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি, বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর জন্য যদি আমার চাকরি চলে যায়, আমার সমস্যা নাই। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, এটা মীমাংসিত সত্য। রিসেট বাটন মুছে ফেলে অতীত মুছে ফেলা, এর মানে কি? তাহলে তো আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি আমাদের দেশে সরকার হিসেবে আছে। আমার মনে হয়েছে, আমার দায়িত্বশীল জায়গা এটাই। বলা হচ্ছে জুলাই গণহত্যা, এগুলো সবই তদন্ত সাপেক্ষে, মীমাংসিত সত্য না। এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি তো।
তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে এরই মধ্যে বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
উর্মিকে বরখাস্ত করার পর তার পক্ষ নিয়ে জেড আই খান পান্না একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে তাকে আইনি সহায়তা দেবেন তিনি।
জেড আই খান পান্না মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। গত জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করা হলে শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন জেড আই খান পান্না।
জেড আই খান পান্নার সমালোচনান করে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, যখন আপনি (পান্না) আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মতো একটি মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন, তখন শব্দ চয়নে আপনার সতর্ক থাকা উচিত। আপনার মন্তব্যের স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণ থাকা উচিত। স্বৈর শাসনের সময় মানবাধিকারের বিষয়ে পান্নার তেমন কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। এখন তিনি ফ্যাসিস্টকে রক্ষার চেষ্টায় নেমেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত নয় সরকার
আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারও কোনো তথ্য নিশ্চিত করেনি। ফলে শেখ হাসিনা কোথায় আছেন সে বিষয়ে সরকার নিশ্চিত নয়।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ কথা বলেন।
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আসছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে গেছেন। সে ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াকিবহাল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনার (শেখ হাসিনা) অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতেও খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি। কনফারমেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেননি। তবে আপনারা যেমনটি দেখেছেন আমরাও দেখেছি উনি আজমানে সম্ভবত গেছেন। কিন্তু সেটা রি-কনফার্মের চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি।
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দেখলাম আমেরিকার চাপেই ভারত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়েছে, এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমি বলতে পারব না, আমেরিকাকেই জিজ্ঞেস করুন।