পুঁজিবাজার
মেঘনা, সিটি ও পিএইচপি গ্রুপের কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনার উদ্যোগ

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও পিএইচপি গ্রুপের শীর্ষ উদ্যোক্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে এই তিন গ্রুপের অধীনে থাকা শক্তিশালী মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিএসইসির কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, বিএসইসির কমিশনার মো. আলী আকবর, বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল, সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান এবং পিএইচপি গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারের স্বার্থে বাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তি জরুরি এবং এই লক্ষ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এরই প্রেক্ষিতে দেশের অন্যতম বৃহৎ তিনটি গ্রুপ: মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও পিএইচপি গ্রুপের অধীনে থাকা শক্তিশালী মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে গ্রুপের উদ্যোক্তাদের সাথে আলোচনা হয়। সার্বিকভাবে সফল ও ফলপ্রসূ উক্ত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন, তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোম্পানির ভ্যালুয়েশন, আইপিও অনুমোদন ও তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও দ্রুত সম্পাদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং শিল্প-বাণিজ্য খাতে মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও পিএইচপি গ্রুপের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এছাড়াও তারা শুধু বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে সুপরিচিতই নন, তাদের অধীন রাসায়নিক, সিমেন্ট, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য, রিয়েল এস্টেট, বীমা, সিকিউরিটিজ, ইউটিলিটি, ইস্পাত, মুদ্রণ ও প্যাকেজিং, শিপিং, পাওয়ার ও এনার্জি তথা জ্বালানী, শেয়ার এবং সিকিউরিটিজ, বীমা, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্যসেবা, স্টিল, গ্লাস, অ্যালুমিনিয়াম, শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং, টেক্সটাইল, পেট্রলিয়াম প্রোডাক্টস, কৃষিজাত পণ্য, লেদার পণ্য, ফিশারিজ ইত্যাদি বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি রয়েছে যা তাদের ব্যবসার ব্যাপ্তি ও ডাইভারসিফিকেশনের স্পষ্ট প্রতিফলন। এইসব বিভিন্ন খাতের গুরত্বপূর্ণ শক্তিশালী মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি একদিকে যেমন দেশের পুঁজিবাজারকে আরো শক্তিশালী করবে, অন্যদিকে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অর্থায়নের ফলে এইসব বিভিন্ন খাতের অধিকতর বিকাশের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন ও উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করার সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে দেশের অন্যান্য বড় গ্রুপগুলোর সাথে সভা করবে বিএসইসি। এই প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আগামীতে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তি হবে বলেই বিএসইসির প্রত্যাশা। এর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারে নতুন গতি আসবে এবং বাজার আরো প্রাণবন্ত রূপ পাবে বলে আশা করা যায়। একটি সমৃদ্ধ ও সফল পুঁজিবাজার গড়তে এবং পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন ও সংস্কারের নিমিত্ত বর্তমান কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের পুঁজিবাজারে সংস্কার, উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিতের মাধ্যমে অচিরেই বিনিয়োগকারীরা একটি স্বচ্ছ, গতিশীল এবং আধুনিক পুঁজিবাজার পাবেন বলে আশা করা যায়।
এসএম

পুঁজিবাজার
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের নাম সংশোধনে সম্মতি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রস্তাবিত নাম সংশোধনে সম্মতি দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির নাম ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড’-এর পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসি’ হবে। আগামী ১৫ জুন থেকে কোম্পানিটি নতুন নামে পুঁজিবাজারে লেনদেন করবে।
নাম সংশোধন ছাড়া কোম্পানিটির অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।
এসএম
পুঁজিবাজার
দেড় ঘণ্টায় লেনদেন মাত্র ৫৪ কোটি টাকা

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে। তবে এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে মাত্র ৫৪ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (০৪ জুন) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ১৬ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৬৮১ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ২ দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক বেড়েছে ৫ দশমিক ৬১ পয়েন্ট।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ৫৪ কোটি ২২ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯২টির, কমেছে ৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০০ কোম্পানির শেয়ারদর।
এসএম
পুঁজিবাজার
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পিএলসির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এ+’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে।
কোম্পানিটির গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১৭ জুন বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সভায় ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মাচ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম
পুঁজিবাজার
প্রাইম ফাইন্যান্সের লোকসান বেড়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২০২৩-জুন’২০২৩) ও তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২০২৩-সেপ্টেম্বর-২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য দুই প্রান্তিকেই কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২০২৩-জুন’২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ০৮ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৭৭ পয়সা।
৩০ জুন,২০২৩ তারিখে সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে মাইনাস ৫ টাকা ৯২ পয়সা।
এছাড়া, সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২০২৩-সেপ্টেম্বর-২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৬৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।
৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৩ তারিখে সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে মাইনাস ৫ টাকা ৩১ পয়সা।
এসএম