আন্তর্জাতিক
হাজার বছরের পুরোনো বীজ থেকে যেভাবে জন্ম নিল রহস্যময় গাছ!

জেনেটিক্যালি মডিফাই করে ডাইনোসোরকে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা নিয়ে তৈরি বৈজ্ঞানীক কল্পকাহিনী নির্ভর চলচ্চিত্র ‘জুরাসিক পার্ক’ কখনোই বাস্তবে ঘটবে না। তবে এর অর্থ এই নয় যে বিজ্ঞানীরা অতীতকে পুনরুজ্জীবিত করতে আগ্রহী নয়।
সম্প্রতি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণী- মেমাথ, ডোডো এবং তাসমানিয়ান টাইগার পুনরুজ্জীবিত করার প্রকল্পগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যে এসে পৌঁছেছে। তবে প্রাণীগুলোর কার্বন কপি নয় বরং এর শংকর সংস্করণ তৈরির প্রচেষ্টেই চলছে।
গবেষকরা প্রাচীন ডিএনএ থেকে নতুন মলিকিউলার ভিত্তিকে ঔষুধ তৈরির সম্ভাবনাও খুঁজছেন। অন্যদিকে কেউ কেউ ইতিহাসের পুরোনো উদ্ভিদগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করছেন।
১৯৮০ এর দশকে প্রত্নতাত্ত্বিকরা জুডিয়ান মরুভূমির একটি গুহা থেকে একটি সম্পূর্ণ সুস্থ বীজ আবিষ্কার করেন। কয়েক দশক পরে জেরুজালেমের লুই এল. বোরিক ন্যাচারাল মেডিসিন রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ড. সারা স্যালনের নেতৃত্বে একটি নতুন গবেষণা দল সেই বীজটি রোপণ করেন এবং অপেক্ষা করতে থাকেন যে কী ঘটতে পারে।
গবেষকদের বিস্মিত করে পাঁচ সপ্তাহ পরে ওই বীজ থেকে ছোট্ট একটি অঙ্কুর বেরিয়ে আসে। সেই অঙ্কুরের একটি অংশ পরীক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন যে বীজটি ১০০০ বছর পুরোনো ছিল।
অবিশ্বাস্যভাবে, গাছটি সুস্থভাবে বেড়ে উঠেছে এবং এখন এর উচ্চতা ১০ ফুট বা ৩ মিটার। তবে এটি এখন পর্যন্ত কোনো ফুল বা ফল দেয়নি।
ডিএনএ সিকোয়েন্সিং ব্যবহার করে গবেষকরা সেই রহস্যময় গাছকে কমিফোরা বর্গের অংশ হেসেব শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এর সঠিক প্রজাতি এখনো অজানা এবং সম্ভবত বিলুপ্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। গবেষক দলটি বিশ্বাস করেন, গাছটি বাইবেলে উল্লেখিত একটি ঔষধি উদ্ভিদের সঙ্গে যোগসূত্র থাকতে পারে।
এমআই

আন্তর্জাতিক
চার্লি কার্ককে হত্যা আমেরিকার জন্য একটি অন্ধকার মুহূর্ত: ট্রাম্প

মার্কিন ডানপন্থী কর্মী ও ভাষ্যকার চার্লি কার্কের হত্যাকে ‘আমেরিকার জন্য এক অন্ধকার মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কার্ক, যিনি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার পর ট্রুথ সোশালে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, চার্লি কার্কের নৃশংস হত্যাকাণ্ড তাকে ‘শোক ও ক্রোধে ভরিয়ে দিয়েছে’। তিনি বলেন, “চার্লি লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। আজ রাতে যারা তাকে চিনতেন ও ভালোবাসতেন, তারা সবাই গভীর শোকে মর্মাহত। তিনি একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ছিলেন, যিনি মুক্ত আলোচনা এবং তার প্রিয় দেশ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।”
ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, চার্লি কার্ক ছিলেন সত্য ও স্বাধীনতার প্রতীক এবং তরুণদের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত একজন মানুষ। “তিনি ছিলেন গভীর বিশ্বাসের অধিকারী। আমরা সান্ত্বনা পাই এই ভেবে যে এখন তিনি ঈশ্বরের সঙ্গে শান্তিতে আছেন,” বলেন তিনি।
এ সময় ট্রাম্প কার্কের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, “আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছি যেন এই ভয়াবহ দুঃখ ও কষ্টের সময়ে তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেখভাল করেন।”
এ ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে বিচারকার্যে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই হামলার সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্র ছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
চার্লকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজতে ক্যাম্পাসজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও শুরুতে কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানান, সন্দেহভাজন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পরে এটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
ঘটনার পরই ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশ সদস্যরা সেখানে টহল দিচ্ছে। কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার ডানপন্থী রাজনৈতিক কর্মী ও ভাষ্যকার চার্লি কার্ক (৩১) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) উটাহ রাজ্যের ওরেম শহরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বক্তব্য দেয়ার সময় হঠাৎ গুলির শব্দ হয়। সঙ্গে সঙ্গে কার্ক গলায় হাত দিয়ে চেয়ারে লুটিয়ে পড়েন। এরপর উপস্থিত কয়েক হাজার মানুষ দৌড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। অন্য এক ভিডিওতে দেখা যায়, তার গলা থেকে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে।
উটাহ গভর্নর স্পেন্সার কক্স সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। আমাদের রাজ্যের জন্য আজ অন্ধকার দিন, জাতির জন্য ট্র্যাজেডি।’
আন্তর্জাতিক
কাতারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

কাতারের রাজধানী দোহায় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, তারা হামাসের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে।
হামাসের একজন সূত্র আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, হামাসের আলোচক দলকে নিশানা করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
হামলা এমন সময় ঘটেছে যখন হামাসের প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করছিলেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালর মুখপাত্র বলেন, এই অপরাধমূলক হামলা সব আন্তর্জাতিক আইন ও বিধিনিষেধের পরিপন্থি এবং কাতার ও সেখানে বসবাসরত জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য গুরুতর হুমকি।।
হামলায় হতাহতের সংখ্যা বা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক
বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। টানা দুইদিনের বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে গেলেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন বলে তার সচিবালয় এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে।
কেপি শর্মা ওলি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চলমান সংকটের সংবিধানসম্মত সমাধানের পথ সুগম করার জন্য তিনি পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভোর থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ সারা নেপালে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। এ সময় উত্তেজিত জনতা একাধিক প্রভাবশালী নেতার বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। আক্রমণের শিকার হয় ওলি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার বাসভবনও। রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়ও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
সিভিল সার্ভিস হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন রেগমি বিবিসিকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের বিক্ষোভে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও ৯০ জন।
এর আগে তরুণদের আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়নের পর দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর সংকট নিরসনে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।
পদত্যাগের আগে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওলি জানান, বৈঠকটি সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোথায় বৈঠক বসবে তা উল্লেখ করা হয়নি। তিনি বলেছিলেন, এই সংকটের সমাধান একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশে সোমবারের বিক্ষোভ ও পরবর্তী ঘটনাগুলো আমাকে দুঃখিত করেছে। কোনো ধরনের সহিংসতা দেশের স্বার্থে ভালো নয়। শান্তিপূর্ণ ও আলোচনাভিত্তিক সমাধানই এখন প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক
পদত্যাগ করলেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
বৈঠকে উপস্থিত একজন মন্ত্রীর বরাত দিয়ে কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, সোমবার বিক্ষোভকালে কাঠমান্ডুতে ১৭ জন এবং ইটাহরিতে দুজন নিহত হওয়ার পর নৈতিক দায় স্বীকার করে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে দিনের শুরুতে নেপালি কংগ্রেসের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গগন থাপা এবং বিশ্ব প্রকাশ শর্মা নৈতিক কারণে লেখকের পদত্যাগের দাবি জানান।
রমেশ লেখককে গত ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত ও আহতদের মধ্যে অনেকের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
এদিন বিক্ষোভকারীরা নির্দেশনা ভেঙে পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসময় পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস ও গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এতে বহু বিক্ষোভকারী আহত হন।
নেপালের তরুণরা মূলত সরকারের দুর্নীতি ও ২৬টি অনিবন্ধিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম—যার মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও স্ন্যাপচ্যাট রয়েছে—নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।
সংঘর্ষের পর কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন শহরের বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করেছে। এ বিক্ষোভ দেশের অন্যান্য বড় শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক
জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, পার্লামেন্টে ঢুকে পড়েছে জনতা

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভকারীরা নিউ বানেশ্বরে অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। সোমবার তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এবং গেট টপকে সেখানে প্রবেশ করে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা থাকলেও জেন-জিদের বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও পানি কামান ব্যবহার করে। খবর দ্য হিমালয়ান টাইমসের।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বনেশ্বর ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কারফিউ জারি করেছে কাঠমান্ডুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়।
প্রধান জেলা কর্মকর্তা ছবি রিজালের সই করা কারফিউ ঘোষণায় জানানো হয়, স্থানীয় প্রশাসন আইন ২০২৮-এর ৬(এ) ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিউ বানেশ্বর চৌক থেকে পশ্চিমে বিজুলিবাজার সেতু পর্যন্ত (এভারেস্ট হোটেল সংলগ্ন), পূর্বে টিঙ্কুনে চৌক পর্যন্ত (মিন ভবন ও শান্তিনগর হয়ে), উত্তরে আইপ্লেক্স মল সংলগ্ন রত্ন রাজ্য সেকেন্ডারি স্কুল পর্যন্ত এবং দক্ষিণে শঙ্খমূল সেতু পর্যন্ত এলাকা কারফিউয়ের অধীনে রাখা হয়েছে।
১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া জেনারেশন জেডের (জেন-জি) তরুণরা কাঠমান্ডু, পোখারা, বুটওয়াল, বিরাটনগরসহ বিভিন্ন শহরে দুর্নীতি ও সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে।
বনেশ্বর এলাকায় কিছু তরুণকে পুলিশের গার্ড হাউসে উঠতে দেখা যায়। এরপরই নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ব্যাবহার করে। পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করা বিক্ষোভকারীদের সরাতে কর্তৃপক্ষ অভিযান চালাচ্ছে।