রাজনীতি
অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এই সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে হবে। সেজন্য আমরা সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই। সেটা কতদিনের, তা আমরা পরে জানাবো।
শনিবার (৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় সংলাপে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, গত তিনটা নির্বাচনে জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আগামীতে জাতির সামনে একটা গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া বর্তমান সরকারের মূল কাজ। সেজন্য মৌলিক বিষয়ে তাদের কিছু সংস্কার করতেই হবে। কি কি মৌলিক বিষয়ে সংস্কার করা উচিত সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।
ডা. শফিকুর রহমান জানান, জামায়াতের পক্ষ থেকে সরকারকে দুইটি রোড ম্যাপ দেওয়া হয়েছে। একটি সংস্কারের, অন্যটি নির্বাচনের। ভোটের আগে সংস্কার চায় জামায়াত। আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। এজন্য অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত।
তিনি বলেন, এই সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি, তারা একটা ভোটের পরিবেশ তৈরির জন্য এসেছে। তাদেরকে বিভিন্ন রকম সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ তারিখ রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরা হবে জামায়াতের পক্ষ থেকে।
জামায়াত আমির বলেন, জনগণ এবং সরকার একসঙ্গে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে পারে, সব ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতিকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ রাখা যেতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বর্তমান যে সরকার আছে, তারা কোনো ধরনের পক্ষ-বিপক্ষের মানসিকতা না নিয়ে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেশকে একটা ভালো পর্যায়ে নিয়ে নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে।
এদিন প্রধান উপদেষ্টার সংলাপের আহ্বানে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে যমুনায় প্রবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্ব দেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। ঘণ্টাখানেক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করেন তারা।
এর আগে দুপুর সোয়া ২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা আলোচনায় বসেন বিএনপির প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে নির্বাচনী রোডম্যাপসহ নিজেদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত সারজিস আলমের
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি বলেন, পঞ্চগড়ের মানুষ যদি মনে করে আমি কিংবা তরুণ অন্য কেউ সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে তাহলে আমি মনে করি তার এই দায়িত্ব নেওয়া উচিত
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ জেলা পঞ্চগড়ের মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ মাঠে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পঞ্চগড় পৌরসভার প্রায় দুই হাজার মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন তিনি।
সারজিস বলেন, আমরা মানুষের চাওয়া নিয়েই কাজ করেছি। সব কর্মসূচি ছিল মানুষের পালস বুঝেই। মানুষ এখন চায় আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণরা তাদের প্রতিনিধি হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করুক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক বলেন, অন্যায় অনিয়ম ঠেকাতে প্রত্যেক জেলা উপজেলার মানুষকে নিয়ে গ্রুপ তৈরি করা হবে। কেউ অন্যায় অনিয়ম করলে এই গ্রুপের মাধ্যমে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে সেটি আমানত মনে করি। এই আমানত রেখে মানুষের কল্যাণে যা কিছু করা যায় আমরা করবো।
সারজিস আলম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এই অভ্যুত্থানটি সফল হয়েছে এবং আমরা যারা এই অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম আমরা অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে যে স্বপ্ন দেখি তার সামগ্রিক একটি রূপরেখা এই জায়গায় দেখতে পাবো। ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নিয়ে যে আলোচনা করেছেন তা ফলপ্রসূ হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের মানুষের সামনে আসবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, এতো রক্ত, এতো জীবনের বিনিময়ে জনগণের চাওয়া কেবল একটি নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হয়ে জনগণের যারা প্রতিনিধি হবে স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কাছে ক্ষমতা যাবে এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ৬ মাসের মধ্যে নতুন একটি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, নির্বাচন কমিশনকে ঠিক করা, বিচার ব্যবস্থাকে ঠিক করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের মূল দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা প্রায় অবাস্তব ও অসম্ভব।
তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরে রংপুর বিভাগসহ পঞ্চগড় অনেক বৈষম্যের শিকার হয়েছে। কয়েকটি রাস্তা ছাড়া কিছুই হয়নি। একটা শিল্প কারখানা হয়নি। আমাদের বেশি কিছু দরকার নেই। যেটুকু পঞ্চগড়ের মানুষের পাওনা বা হক সেটা কীভাবে আদায় করা যায় আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করবো। সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে সেটি আমানত মনে করি। এই আমানত রেখে মানুষের কল্যাণে যা কিছু করা যায় আমরা করবো।
তিনি আরও বলেন, অনেক বিত্তবান ভালো মানুষ রয়েছেন। অনেক গার্মেন্ট মালিক রয়েছেন। তাদের সঙ্গে কেবল যোগাযোগ করা ও সদিচ্ছা থাকা দরকার। আমরা যে শীতবস্ত্র পেয়েছি তা পঞ্চগড়ের প্রত্যেক ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
হাজারীবাগ বাজারে ট্যানারি গোডাউনে আগুন
রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারের একটি ট্যানারি গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আমাদের টিম পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ট্যানারি গোডাউনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা ছাত্রদলের
শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করার দাবিতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর দুইটায় এ কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করা, একইসঙ্গে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ভূমিকা পালনকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
এতে বলা হয়, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর দুইটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে এ কর্মসূচি শুরু হবে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ছাত্রদলের সব নেতাকর্মীসহ ছাত্রসমাজকে মিছিলে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে, উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান সালাউদ্দিনের
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি জুলাই গণঅভুত্থ্যানের সাড়ে পাঁচ মাস পরে জুলাই ঘোষণাপত্রের কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল কিনা? যদি থেকে থাকে তাহলে রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও আইনি গুরুত্ব কী, সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে। কারণ, ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে জাতির মধ্যে যেন বিভেদ সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছি।
তিনি বলেন, এই ঘোষণাপত্র যদি রাজনৈতিক দলিল বা ঐতিহাসিক দলিল সৃষ্টি হয় তাহলে সেটিকে আমরা সম্মান করি। তবে সেটা প্রণয়নে যেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সবার সঙ্গে পরামর্শ ও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক হয়।
এই বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শুরুর আগে অনিশ্চয়তা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্য দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আছেন—গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও সংগঠনটির মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে তিন সদস্য, ইসলামি আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমানের নেতৃত্বে দুই সদস্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
এ ছাড়া যোগ দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ মার্কসবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও জাতীয় গণফ্রন্টের কামরুজ্জামান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
প্রধান উপদেষ্টার সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে বিএনপি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের ওপর সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে বিএনপি ও জামায়াত। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সংলাপে অংশ নিতে বিএনপি এক প্রতিনিধি যাবেন। এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন।
এদিকে, সর্বদলীয় এই বৈঠকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও অংশ নেবে। দলটির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানানো হয়। জামায়াতের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এই বৈঠকে অংশ নেবে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেবেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। প্রতিনিধিদলে জামায়াতে ইসলামীর অন্য কোন দুই নেতা থাকছেন, তাঁদের নাম জানানো হয়নি।
এ ছাড়া, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে না লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গতকাল রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৈঠকের তথ্য জানানো হয়। প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের ওপর একটি সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করবে।