আন্তর্জাতিক
পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তঃসরকার সংস্থা সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) যোগ দিতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর, এনডিটিভি’র।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, জয়শঙ্কর ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ইউরেশীয় নেতাদের সম্মেলনে পাকিস্তানে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। তবে এই সম্মেলনের ফাঁকে তিনি কোনো পাকিস্তানি নেতার সাথে সাক্ষাৎ করবেন কিনা, সেটি জানাননি জয়সওয়াল।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে জয়শঙ্কর জানয়েছিলেন, বহু বছরের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ সমস্যার সমাধান করতে চায় ভারত। তিনি তখন বলেছিলেন, এটি কোনো ভালো প্রতিবেশীর নীতি হতে পারে না।
সবশেষ ২০১৫ সালে ভারতের কোনো মন্ত্রী পাকিস্তান গিয়েছিলেন। সে সময় তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আফগানিস্তান সংক্রান্ত একটি সফরে সে দেশে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, এসসিও বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থা। ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও এই সংস্থার সদস্যের তালিকায় রয়েছে রাশিয়া, চীন, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান।

আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ায় বিমানবন্দরে ১৫ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ার কুচিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই আটক হয়েছেন ১৫ জন বাংলাদেশি। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, তারা কুয়ালালামপুর থেকে একটি ফ্লাইটে করে সারাওয়াক প্রদেশের কুচিংয়ে পৌঁছানোর পরই এ অভিযান চালানো হয়।
প্রাথমিক যাচাইয়ে দেখা গেছে, আটক ব্যক্তিদের মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে প্রবেশের কোনো রেকর্ড নেই। পাসপোর্ট পরীক্ষা করে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা আরও জানান, তাদের পাসপোর্টে ব্যবহৃত হয়েছে ভুয়া ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্প। ধারণা করা হচ্ছে, দালালদের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা। প্রতিজনের কাছ থেকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।
আটকদের সবাইকে সেমুজা ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইনের আওতায় তদন্ত শুরু করেছে মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, গত ২৫ জুলাই কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাত ঘণ্টাব্যাপী বিশেষ অভিযানে ৮০ বাংলাদেশিসহ ৯৯ জন বিদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (AKSEM) জানিয়েছে, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ফ্লাইটের যাত্রীদের টার্গেট করে ওইদিন টার্মিনাল-১-এ এ অভিযান চালানো হয়। যাচাই-বাছাইয়ে নিরাপত্তা শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
আন্তর্জাতিক
নিউইয়র্কে বন্দুক হামলায় বাংলাদেশিসহ নিহত ৪

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি বহুতল অফিস ভবনে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন নিহত হয়েছে। নিহত একমাত্র পুলিশ সদস্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস জানিয়েছেন, মিডটাউনে হামলায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন, যাদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। এই ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্য বাংলাদেশি অভিবাসী।
তিনি আরও বলেন, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন ও তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী। মেয়র অ্যাডামস তাকে ‘অফিসার ইসলাম’ বলে উল্লেখ করেন।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের কমিশনার জেসিকা টিশ জানিয়েছেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ওই কর্মকর্তার নাম দিদারুল ইসলাম। তিনি বিবাহিত ছিলেন ও তার দুটি সন্তান রয়েছে। এছাড়া, তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
জেসিকা টিশ বলেন, আমরা তাকে যে কাজটি করতে বলেছিলাম সে সেই কাজটিই করছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এদিকে, সন্দেহভাজন হামলাকারী নিজেই নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ।
কাফি
আন্তর্জাতিক
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সম্মত: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শনিবার বলেছেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন। সীমান্তে তিন দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, থাইল্যান্ড নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত তবে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে সৎ অভিপ্রায় দেখতে চায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিকমাধ্যমে জানান, থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়া দুই দেশই শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি সংঘাত বন্ধ না হয়, তাহলে কোনো দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি হবে না। উভয় পক্ষই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চেয়েছে।
যদিও ট্রাম্পের প্রস্তাবের আগে, কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল থাইল্যান্ড। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ব্যাংককে শান্তির প্রস্তাব পাঠিয়েছে নমপেন। বলছে, সংঘর্ষের কোনো মানে নেই, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। এ প্রস্তাবের জবাবে থাইল্যান্ড সাফ জানিয়ে দেয়, কম্বোডিয়ার আন্তরিকতা প্রমাণ করলেই হবে শান্তির আলোচনা।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই সংঘাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উভয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ও আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কাফি
আন্তর্জাতিক
ইতালির ব্যস্ত সড়কে বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহত

সড়কে ছুটছিল গাড়ি, ঠিক সে সময়ই আচমকাই মুখ থুবড়ে পড়ে ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাতে আগুন ধরে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি এ দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবারের ওই দুর্ঘটনায় বিমানের চালক এবং তার সঙ্গিনী, অর্থাৎ একমাত্র যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে আহত হয়েছেন দুটি গাড়ির চালকও। তবে তাদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
উত্তর ইতালির লম্বার্দি প্রদেশের ব্রেসিয়া শহরের একটি হাইওয়েতে ঘটেছে এই কাণ্ড। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে ব্যস্ত সেই হাইওয়েতে প্রচণ্ড গতিতে আছড়ে পড়ে ইতালির একটি ফ্রেসিয়া আরজি আল্ট্রালাইট উড়োজাহাজ। ভিডিয়োতে দেখা গেছে যে রাস্তায় ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে গেছে।
বিমান বিধ্বস্তের পর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে বিমানের চালক সার্জিও রাভাগলিয়া (৭৫) এবং তার বান্ধবী অ্যান মারি ডি স্টেফানো’র (৬০)। সার্জিও পেশায় আইনজীবী এবং শৌখিন পাইলট ছিলেন। তিনি এবং অ্যান উভয়েই লম্বার্দির রাজধানী শহর মিলানের বাসিন্দা ছিলেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সড়কে বিমানটিকে জরুরিকালীন অবতরণ করানোর চেষ্টা করছিলেন পাইলট। কিন্তু তার পরিবর্তে বিমানটি ভেঙে পড়ে রাস্তায়। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনার মুহূর্তে জ্বলন্ত বিমানটির পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে যাওয়া কয়েকটি গাড়ি। সেগুলোর মধ্যে দুটি গাড়ির চালক আহত হয়েছেন।
বিমান ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং দমকলবাহিনী। যদিও ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বিমানটি। ব্রেসিয়া শহরের পাবলিক প্রসিকিউটর দপ্তর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিমানটির রক্ষণাবেক্ষণের নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে অহমদাবাদের লোকালয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। সেটির গন্তব্য ছিল লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইক। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২৬০ জনের। নিহতদের মধ্যে বিমানটির যাত্রী ছিলেন ২৪১ জন।
আন্তর্জাতিক
গাজায় যুদ্ধবিরতি চাইছে না হামাস: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি চাইছে না। তার মতে, হামাস আশঙ্কা করছে—যদি সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তবে এর পরিণতি তাদের জন্য ভয়াবহ হতে পারে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
ট্রাম্প বলেন, “আমরা শেষ কয়েকজন জিম্মির মুক্তি নিয়ে আলোচনা করছি। কিন্তু হামাস বুঝতে পারছে, সবাইকে ছেড়ে দিলে তাদের কী হবে। এ কারণেই তারা যুদ্ধবিরতিতে যেতে চাইছে না।”
তার এই বক্তব্যকে ঘিরে ধারণা করা হচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল গাজা যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি নয়, বরং কেবল জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে একটি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধবিরতি চায়।
তিনি আরও বলেন, “হামাস আসলে কোনো চুক্তিতে যেতে চায় না। আমার মনে হয় তারা মৃত্যুকেই বেছে নিচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক।”
ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার দায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের ওপরই পড়ে। তিনি জানান, এই গোষ্ঠীটিকে শিগগিরই ‘শিকার’ বানানো হবে।
এর আগের দিন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ জানান, হামাসের পক্ষ থেকে আন্তরিকতা না পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনায় নিজেদের ভূমিকা সীমিত করছে। তার ভাষায়, “হামাস এখনো কোনো প্রকৃত আগ্রহ দেখায়নি।”
ইসরায়েলও অনাগ্রহ প্রকাশ করে জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি আলোচনা থেকে নিজেদের প্রতিনিধি দলকে কাতার থেকে ফিরিয়ে এনেছে।
তবে হামাস যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থানে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টা সফল করতে তারা সবসময়ই আন্তরিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। তারা আরও দাবি করে, তাদের গঠনমূলক অবস্থানকে কাতার ও মিশর ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।
কাফি