জাতীয়
তিন দেশ থেকে বুলগেরিয়ান ভিসার আবেদন করতে পারবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
ভারতীয় ভিসা বন্ধ থাকায় বুলগেরিয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও কাজাখস্তানে বুলগেরিয়ান দূতাবাসে আবেদন করতে পারবে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুকে এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পোস্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বুলগেরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে কিন্তু নয়াদিল্লিতে বুলগেরিয়ান দূতাবাসে তাদের ভিসার আবেদন জমা দিতে পারেনি তাদের হ্যানয় (ভিয়েতনাম), ইসলামাবাদ (পাকিস্তান) বা আস্তানা (কাজাখস্তানে) বুলগেরিয়ান দূতাবাসে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মেডিকেল ভিসা ছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিবেন প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজান যাচ্ছেন। বাকুতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) যোগ দেবেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা আগামী শনিবার (১০ নভেম্বর) বাকুর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। আগামী ১৪ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাকুতে ড. ইউনূস এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে। বৈঠকের সময় এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
আগামী ১১ থেকে ২২ নভেম্বর থেকে বাকুতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন (কপ২৯)। এটি বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন হিসেবেও পরিচিত। বিশ্বজুড়ে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে বিশ্ব নেতারা এতে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত আজারবাইজানের রাষ্ট্রদূত এলচিন হুসেনলি ইতোমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার দেশের পক্ষ থেকে এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার অনুরোধও করেছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করে ভারত
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেছেন, দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ভারত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করে। আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়লাভ করেছেন, মঙ্গলবার এ জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয় আওয়ামী লীগ। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ করা হয়।
এ প্রসঙ্গ তুলে একজন ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারত নাকি ‘নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে বিবেচনা করছে। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেছেন, ‘আমরা এখান থেকে আগেও বলেছি যে তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান এটাই।’
৫ আগস্ট ভারতে যাওয়ার পর থেকেই দেশটিতে তাঁকে বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে তাঁকে কোন মর্যাদায় রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ট্রাম্পের জয়ে সম্পর্কে বড় পরিবর্তন হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাম্পের জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে বড় পরিবর্তন হবে না জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এমনটি জানান তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, জানতে চাওয়া হয় তৌহিদ হোসেনের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, আমাদের স্পেকুলেট (অনুমান) করার প্রয়োজন নেই। আগামী দুই-তিন মাস দেখি।
উপদেষ্টা বলেন, দুই মাস সময়তো আছে। তারপর তিনি দায়িত্ব নেবেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর কী কী পদক্ষেপ নেন সেই অনুযায়ী আমাদের…তিনি তো বলেননি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করবেন বা খারাপ করবেন, কিছুই বলেননি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শুধু যে দলের ভিত্তিতে হয়, তা তো না। আমাদের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের যেসব বিষয় নিয়ে আলাপ চলছিল বা তাদের যেসব চাওয়া ছিল বা নেগোসিয়েশন হচ্ছিল সেগুলো পূর্ববর্তী ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গেও ছিল।
তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন এবং বাইডেন প্রশাসনের মাঝে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় কোনো পরিবর্তন হবে, তা আমি মোটেও মনে করি না। আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করব। তারপর দেখা যাবে কী হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে এই আইন ব্যবহার হয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এজন্য আইনটি বাতিল বা সংশোধনের বিষয়ে কিছুদিন ধরেই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল।
কয়েক দিন আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, এ সপ্তাহে এই আইন বাতিল হচ্ছে।
তারও আগে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা উচিত। সেদিকেই যাবে সরকার। এটা বাতিল হবে। পরবর্তী সময়ে যখন নতুন আইন হবে, এটার বেসিক অ্যাপ্রোচ থাকবে সাইবার সুরক্ষা দেওয়া, বিশেষ করে নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়া।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আইনটি ছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। পরে সেটি বাতিল করে প্রণীত হয় সাইবার নিরাপত্তা আইন। এই আইন নিয়েও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে আপত্তি ওঠে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মানুষ নতুন করে চিন্তার স্বাধীনতা পেয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মানুষ নতুন করে চিন্তার স্বাধীনতা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিশ্বের কাছে যাব না, বিশ্বই যেন বাংলাদেশের কাছে আসে, সেভাবেই দেশকে গড়ে তুলতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, বর্তমানে বিশ্বমানের গবেষণা বাড়ানো প্রয়োজন। সেইসঙ্গে বিজ্ঞান চর্চাকে এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে সংস্কারের চাহিদা নিয়ে কাজ করা হবে।