আন্তর্জাতিক
ফোর্বসের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় ৮ জনই প্রযুক্তি খাতের
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী শীর্ষ ৪০০ ধনীর তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ ধনীর মধ্যে ৮ জনই প্রযুক্তি খাতের। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ ২৫ ধনীর মোট সম্পদের মূল্য প্রায় আড়াই লাখ কোটি বা ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা তালিকায় থাকা ৪০০ ধনীর মোট সম্পদের প্রায় অর্ধেক। শুধু তা–ই নয়, শীর্ষ ২৫ ধনীর প্রত্যেকেরই সম্পদ গত বছরের তুলনায় এ বছর গড়ে ৩১ শতাংশ বেড়েছে।
শীর্ষ তালিকায় প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা
ফোর্বস–এর তালিকার প্রথমেই আছেন এক্স, টেসলা, স্পেসএক্সসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের মালিক ইলন মাস্ক। ৫৩ বছর বয়সী ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর তাই ফোর্বস ইলন মাস্ককে টেকনোকিং বা প্রযুক্তি–রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সম্প্রতি টেসলার বাজার কিছুটা পড়ে যাওয়ার কারণে শেয়ারের দাম ১৪ শতাংশ কমে যাওয়ায় প্রায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খুইয়েছেন ইলন মাস্ক। তারপরও ফোর্বসের তালিকায় অন্যদের তুলনায় সম্পদের দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
১৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। ৬০ বছর বয়সী জেফ বেজোস অ্যামাজন ছাড়াও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান লেভিয়াথানের ৯ শতাংশের মালিক। লেভিয়াথানের শেয়ারের দাম ২৯ শতাংশ বাড়ায় জেফের সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে। জেফ বেজোস বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর মহাকাশ পর্যটন নিয়ে কাজ করছেন।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ৪০ বছর বয়সী এই ধনীর সম্পদের পরিমাণ ১৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত এক বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জাকারবার্গের সব প্রতিষ্ঠানের আয়ের পরিমাণ প্রতি ৩ মাস পরপর ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে।
ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন আছেন চতুর্থ অবস্থানে। শীর্ষ ধনীর তালিকায় সবচেয়ে বেশি বয়সী তিনি। ৮০ বছরের ল্যারির মোট সম্পদের মূল্য ১৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওরাকলের ৪০ ভাগ শেয়ারের মালিক ল্যারি। এ বছর ওরাকলের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১২ শতাংশ। আর তাই ল্যারিরও সম্পদ বেড়েছে।
তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ৫১ বছর বয়সী ল্যারি পেজ। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সপ্তম অবস্থানে আছেন গুগলেরই আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন। ১৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদের মালিক ৫১ বছর বয়সী সের্গেই। গত জুলাই মাসে গুগলের শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছিল। শেয়ারের দাম বাড়ার কারণে সের্গেই ও ল্যারির সম্পদ বেড়েছে।
শীর্ষ ধনীর তালিকার অষ্টম অবস্থানে আছেন মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ বলমার। ৬৮ বছর বয়সী স্টিভের সম্পদের পরিমাণ ১২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৪ বছর মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করার পর ২০১৪ সালে অবসরে যান তিনি।
মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস আছেন তালিকার নবম অবস্থানে। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৬৮ বছর বয়সী বিল গেটস মাইক্রোসফটের দায়িত্ব ছাড়লেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), চিকিৎসাসহ বিভিন্ন গবেষণা বিষয়ে কাজ করছেন।
তালিকায় ১১তম স্থানে আছেন হাল আমলের আলোচিত প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব জেনসেন হুয়াং। সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের আলোচিত মুখ হুয়াংয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ ১০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি প্রসেসর নির্মাতা এনভিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা। এনভিডিয়ার শেয়ার গত বছরের তুলনায় ১৬২ শতাংশ বাড়ায় তাঁর সম্পদ গত বছরের তুলনায় ৬৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়েছে। ১৯৯৩ সালে তিনি এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির জন্য এনভিডিয়ার তৈরি প্রসেসরের চাহিদা বেড়েছে।
ডেল টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ৫৯ বছর বয়সী মাইকেল ডেল রয়েছেন তালিকার ১২তম স্থানে। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১০১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বছর ডেল টেকনোলজিসের শেয়ারের দাম বাড়ায় তাঁর সম্পদ গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
কনিষ্ঠ ধনী যাঁরা
ফোর্বসের ৪০০ জনের তালিকায় ২৬ জন আছেন, যাঁদের বয়স ৫০ বছরের কম। দুজনের বয়স ৩০–এর ঘরে। ১০ জন ধনীর গড় বয়স ৪২ বছর বা তার কম। শীর্ষ ১০ কনিষ্ঠ ধনীর মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ তালিকায় বেশ কয়েকজন আছেন প্রযুক্তি খাতের।
কনিষ্ঠ ধনীদের তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছেন ফেসবুকের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ও ডাস্টিন মস্কোভিৎজ। ৪০ বছর বয়সী মার্ককে সারা পৃথিবী চিনলেও প্রযুক্তি খাতে কিছুটা অপরিচিত ৪০ বছর বয়সী ডাস্টিন। জাকারবার্গের সম্পদের পরিমাণ ১৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর ডাস্টিনের ১৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মেটাতে ডাস্টিন মস্কোভিৎজের অংশীদারত্ব আছে। এ ছাড়া আসানা নামের একটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে তাঁর।
তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন এয়ারবিএনবির সহপ্রতিষ্ঠাতা ৪১ বছর বয়সী নাথান ব্লেচারজিক। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ কয়েন বেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রায়ান আর্মস্ট্রং আছেন তালিকার ষষ্ঠ স্থানে। ৪১ বছর বয়সী ব্রায়ান আর্মস্ট্রংয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কয়েন বেজের শেয়ার গত বছরের চেয়ে ১২৩ শতাংশ বাড়ায় এ বছর সম্পদ বেড়েছে ব্রায়ান আর্মস্ট্রংয়ের।
তালিকার ১০ নম্বরে আছেন ই–কমার্স উদ্যোক্তা আর্নেস্ট গার্সিয়া। ৪২ বছর বয়স্ক আর্নেস্টের মোট সম্পদের মূল্য ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর্নেস্ট গার্সিয়া ২০১২ সালে ই–কমার্স প্ল্যাটফর্ম কারভানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাবার সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে আর্নেস্ট গাড়ি কেনাবেচার ই–কমার্স চালু করেন। ২০১৭ সালে শেয়ারবাজার থেকে কারভানা ২২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছিল।
প্রথমবারের মতো তালিকায় যাঁরা
তালিকায় ৪০০ জনের মধ্যে নতুন সদস্য হিসেবে ২ জন প্রযুক্তি উদ্যোক্তার নাম রয়েছে। ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদ নিয়ে তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন আলেকজান্ডার কার্প। তিনি ডেটা মাইনিং প্রতিষ্ঠান প্যালান্টির টেকনোলজিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী কর্মকর্তা। গত ১২ মাসে তাঁর প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ১৭০ শতাংশ।
এনভিডিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম ব্যক্তিগত শেয়ারের মালিক ৬৬ বছর বয়সী টেঞ্চ কোক্সি। এনভিডিয়ার শেয়ার গত বছরের তুলনায় ১৬২ শতাংশ বাড়ায় তাঁর সম্পদও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। আর তাই ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ নিয়ে ফোর্বসের তালিকায় প্রথমবারের মতো নাম লিখিয়েছেন তিনি। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানও রয়েছে টেঞ্চ কোক্সির। সূত্র: ফোর্বস
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ট্রাম্প-কমলা ছাড়াও আছেন যেসব প্রার্থী
আগমী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচন কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরেই প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশটির দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই দুটি দলের প্রার্থীকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়। তবে তারা ছাড়া এবারের নির্বাচনে আরও কয়েকজন প্রার্থী রয়েছেন। চলুন তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কর্নেল ওয়েস্ট
এবারের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন ৭১ বছর বয়সী শিক্ষাবিদ কর্নেল ওয়েস্ট। তিনি ২০২৩ সালের জুন মাসে নিজের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে গ্রিন পার্টি থেকে তিনি মনোয়ন চেয়েছিলেন। পরে শেষ পর্যন্ত তার রানিং মেট মেলিনা আবদুল্লাহর সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
নির্বাচনী প্রচারে ওয়েস্ট গাজায় ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতির সমালোচনা করেছেন। ওই অঞ্চলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠাসহ উল্লেখযোগ্য সংস্কারের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে প্রচার চালিয়েছেন তিনি।
জিল স্টেইন
৭৪ বছর বয়সী জিল স্টেইন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তিনি ইসরায়েলের জন্য মার্কিন সমর্থন বাতিল করা, বিনামূল্যে শিক্ষা ও চিকিৎসা ঋণ বাতিল করার পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন। গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভের সময় গ্রেফতার হয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন জিল।
চেজ অলিভার
যুক্তরাষ্ট্রের লিবারটেরিয়ান পার্টির মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলেন চেজ অলিভার। ৩৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিক একজন সাবেক রেস্তোরাঁ কর্মী। নির্বাচনী প্রচারে তিনি কমলা ও ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। নিজের প্রচারে তিনি অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করা ও যুক্তরাষ্ট্রকে বিদেশি দ্বন্দ্ব থেকে দূরে রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।
ক্লাউদিয়া দে লা ক্রুজ
ক্লডিয়া দে লা ক্রুজ পার্টি ফর সোশ্যালিজম অ্যান্ড লিবারেশন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। নিউইয়র্কের সাউথ ব্রঙ্কসে ডোমিনিকান অভিবাসী মা-বাবার ঘরে জন্ম তার। সমাজতান্ত্রিক সংগঠক, শিক্ষাবিদ ও ধর্মতত্ত্ববিদ ক্লাউদিয়া তার নির্বাচনী প্রচারে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের জন্য ক্ষতিপূরণ, মার্কিন সামরিক বাজেট ৯০ শতাংশ কমানোর কথা বলেন। অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রচারের জন্য ১০০টি বৃহত্তম করপোরেশন জব্দ করার পক্ষেও প্রচার চালিয়েছেন ক্লাউদিয়া।
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র প্রাথমিকভাবে ডেমোক্র্যাটিক দল থেকে মনোনয়নের জন্য লড়াই করেছিলেন। কিন্তু এখন তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। যদিও তিনি ২০২৪ সালের আগস্টে তার প্রচার স্থগিত করেন ও ট্রাম্পকে সমর্থন দেন। রবার্ট তার প্রচারে সরকারী ব্যয় ও বিদেশি হস্তক্ষেপের মতো বিষয়ের সমাধানে জোর দিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আমিরাতে সাধারণ ক্ষমার সময় বাড়লো দুই মাস
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা ছাড়া বসবাসরত প্রবাসীরা বৈধতার সুযোগ পাচ্ছেন আরও দুই মাস। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ইউএই’র ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস ও পোর্ট সিকিউরিটি (আইসিপি) এ তথ্য জানিয়েছে।
ভিসা ছাড়া বসবাসরত প্রবাসীদের ১ সেপ্টেম্বর থেকে দুই মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দেশটির সরকার। সাধারণ ক্ষমার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ আজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এরই মধ্যে দুই মাস বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষমার সময় নির্ধারণ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। খবর গালফ নিউজ ও খালিজ টাইমস।
সাধারণ ক্ষমার ফলে অবৈধ প্রবাসীরা বৈধতার সুযোগ পাচ্ছেন। যারা আগে আমিরাতে রেসিডেন্স ভিসায় ছিলেন এবং বর্তমানে অবৈধ তারা ‘স্পন্সর’ খুঁজে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অথবা বিনা জেল-জরিমানা বা নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই আমিরাত ত্যাগ করতে পারবেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
হাতে আইফোন-১৬ দেখলেই ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ
আইফোন-১৬ বিশ্বজুড়ে ক্রেতাদের তুমুল আগ্রহে রয়েছে। অত্যাধুনিক ফিচার আর নতুন প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এ মোবাইল নিয়ে যেন ক্রেতাদের আগ্রহের শেষ নেই। কিন্তু বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় আইফোন বিক্রি ও নিষিদ্ধ করেছে এশিয়ার একটি দেশ। এমনকি কারও হাতে আইফোন-১৬ দেখা গেলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় ইন্দোনেশিয়ায় আইফোন ১৬ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দেশটির শিল্পমন্ত্রী আগুস গুমিওয়াং কর্তাসাসমিতা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছেন।
গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দেশটির শিল্পমন্ত্রী বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় আইফোন ১৬ ব্যবহার অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। কেননা দেশটিতে আইফোন ১৬ এর জন্য এখনও আন্তর্জাতিক মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) সার্টিফিকেশন ইস্যু করা হয়নি।
অভিযোগ করা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি অ্যাপল। ফলে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশটিতে অ্যাপলের ১০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের কথা থাকলেও তারা এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয় আইফোনের ইএমআই আটকে দিয়েছে। ফলে নতুন করে কেউ আইফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি কারো হাতে আইফোন দেখা গেলে তাও কর্তৃপক্ষতে জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে শিল্পমন্ত্রী জানান, বিনিয়োগ ঘাটতির কারণে আইফোন ১৬ বিক্রি বা ব্যবহার নিষিদ্ধ হতে পারে।
চলতি বছরের এপ্রিলে আপলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) টিম কুক ইন্দোনেশিয়া সফর করেন। এ সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে তাতেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। এরপরই চলতি সপ্তাহে আইফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়া সফর করেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) টিম কুক। ওই সময় দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে দেখা করে দেশটিতে অ্যাপলের সম্ভাব্য উৎপাদন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। কিন্তু তাতেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। এরপরই চলতি সপ্তাহে আইফোন ১৬ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধের ঘোষণা এল। ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফেবরি হেন্দ্রি অ্যান্টনি আরিফ জানান, আইফোন ১৬-এর টিকেডিএন সার্টিফিকেশনের আবেদন পর্যালোচনাধীন রয়েছে। তবে অ্যাপলের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে আইফেন ১৬ বিক্রি বা ব্যবহারের বিষয়টি অনুমোদন পাবে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১৯
মেক্সিকোর জাকাতেকাস রাজ্যে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ছয় জন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (২৬ অক্টোবর) এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
যাত্রীবাহী ওই বাসটিতে পেছন থেকে একটি ট্রাকটর ট্রেইলার ধাক্কা দিলে এটি নিয়ন্ত্রণ হারালে দুর্ঘটনা ঘটে। জেকাতেকাস গর্ভনর ডেভিড মনরিয়ার বলেন, প্রাথমিকভাবে ২৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের পক্ষ থেকে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা জানানো হয়।
স্থানীয় একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ট্রাক্টর ট্রেইলার ট্রাইভারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাস দুর্ঘটনায় নিহত কয়েকজন ব্যক্তির লাশ খাত থেকে উদ্ধার করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে উদ্ধারকর্মী, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সেনা সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষ, নিহত ৩
অস্ট্রেলিয়ায় মাঝ আকাশে দুটি ছোট প্লেনের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি বনাঞ্চলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর প্লেন দুটির ধ্বংসাবশেষ মাটিতে আছড়ে পড়ে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ, দমকল বাহিনী এবং অ্যাম্বুলেন্সের কর্মীরা প্রায় ৫৫ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সংঘর্ষের পর একটি প্লেন মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাতে আগুন ধরে যায়।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট টিমোথি ক্যালম্যান জানিয়েছেন, একটি সেসনা ১৮২ প্লেনের সঙ্গে একটি আলট্রালাইট প্লেনের সংঘর্ষ হয়। সেসনা ১৮২ প্লেনে দুজন এবং আলট্রালাইট প্লেনে একজন আরোহী ছিলেন।
এই দুর্ঘটনায় তিন আরোহীর কেউ বেঁচে নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আকাশ থেকে প্লেন দুটির ধ্বংসাবশেষ নিচে পড়তে দেখেন এবং দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে ঘটনাস্থলের অবস্থান এবং দুর্ঘটনার ভয়াবহতার কারণে তাদের বেশি কিছু করার সুযোগ ছিল না।
ক্যালম্যান এ বিষয়ে বলেন, দুর্ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণভাবে ‘অপরিত্রাণযোগ্য’। নিউ সাউথ ওয়েলস অ্যাম্বুলেন্স ইন্সপেক্টর জোসেফ ইব্রাহিম বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের কিছুই করার ছিল না।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করবে অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো।