পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৪ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ১৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৬৯ লাখ ১৯ হাজার ৫২২টি শেয়ার ৬৮ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৪ কোটি ১০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (২ অক্টোবর) ব্লকে সবচেয়ে বেশি ইফাদ অটোসের ৩ কোটি ৮২ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি ফাইন্যান্সের ৩ কোটি ৮১ লাখ ৩২ হাজার ও তৃতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের ২ কোটি ৫৯ লাখ ৮১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের দুর্দিনে নিষিদ্ধ ফরেক্স ও ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ে মেতেছে যুবসমাজ
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার গত কয়েক বছরে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। বাজারের অস্থিতিশীলতা, নিয়মিত মূল্য হ্রাস এবং দুর্বল অর্থনৈতিক পরিবেশ অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে হতাশ করেছে। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ফরেক্স ট্রেডিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি, বাইন্যান্স ট্রেডিং এবং অনলাইন অপশন ট্রেডিংয়ের এজেন্টরা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লক্ষ্য করে অবৈধ ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে আকৃষ্ট করছে নিয়মিত। অনেক বিনিয়োগকারী, বিশেষতঃ তরুণ সমাজ ও শিক্ষার্থীরা পুঁজিবাজারের লোকসান পুষিয়ে নিতে দ্রুত আয়ের প্রতিশ্রুতিতে এসব অবৈধ ট্রেডিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
বাংলাদেশ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, ফরেক্স ট্রেডিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন, বাইন্যান্স ট্রেডিং এবং অপশন ট্রেডিং নিষিদ্ধ, যা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তবে এই নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, যুবসমাজ ও শিক্ষার্থীরা বিপুল পরিমাণে এই ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মগুলোর দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। অধিকাংশই জানে না যে, এই ট্রেডিং কার্যক্রমগুলো আইনতঃ অবৈধ। আবার অনেকে জানার পরেও আইন অমান্য করে দ্রুত আয়ের আশায় এই অবৈধ পথে পা বাড়াচ্ছে। একদিকে তারা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির মুখে পড়ছে, অন্যদিকে দেশের অর্থ পাচারের একটি বৃহৎ ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, যা কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এইসব অবৈধ ট্রেডিং কার্যক্রম দেশে অর্থ পাচারের একটি বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। আন্তর্জাতিকভাবে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে চলে যাচ্ছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ তৈরি করছে। এছাড়া, এই ধরনের অবৈধ ট্রেডিং দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে দুর্বল করছে এবং সাধারণ মানুষকে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে ফেলছে।
ফরেক্স ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো অবৈধ ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মগুলো বাংলাদেশে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে প্রচলিত হয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এজেন্টরা ভূয়া বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব ট্রেডিং কার্যক্রমকে বৈধ এবং লাভজনক হিসেবে তুলে ধরছে। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন শুধু তরুণদের আকৃষ্ট করছে না, বরং পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরও বৈধ বিনিয়োগ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
অবৈধ ট্রেডিং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সক্রিয়ভাবে এই অবৈধ প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর নজরদারি চালাতে হবে। অনলাইনে মিথ্যা বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে আরও সক্রিয় হতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ অবৈধ ট্রেডিংয়ে প্রভাবিত না হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট এই বিজ্ঞাপনগুলোর প্রচার বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এছাড়াও, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা যেতে পারে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগ সংস্থাগুলোতে কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বৈধ এবং অবৈধ বিনিয়োগের মধ্যে পার্থক্য, মানি লন্ডারিং আইন, শাস্তি, ইত্যাদি বোঝানো যেতে পারে। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদেরও একইভাবে সচেতন করতে হবে, যাতে তারা বৈধ পুঁজিবাজারে ধৈর্য ধরে বিনিয়োগ চালিয়ে যায় এবং কোনো ধরনের অবৈধ ট্রেডিংয়ের ফাঁদে পা না বাড়ায়।
বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল পুঁজিবাজার অপরিহার্য। তবে, বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে ধরে রাখতে হলে বৈধ বিনিয়োগের প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধার করা জরুরি। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারকে ফরেক্স, ক্রিপ্টো এবং অনলাইন ট্রেডিংয়ের মতো ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ লেনদেনের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করা যেতে পারে।
লেখক: মো. সাইফুল ইসলাম (পিপন), স্টক এনালিস্ট (শিক্ষানবিশ)।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ভ্যানগার্ড রূপালী ব্যাংক ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে ১০৭ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এদিন দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (৪ নভেম্বর) ভ্যানগার্ড রূপালী ব্যাংক ফান্ডের ইউনিটদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে ২০ পয়সা বা ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। তাতে দরপতনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড-১ এর ইউনিট দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ৬ শতাংশ। আর ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- জাহিন স্পিনিং, সিটি ইন্স্যুরেন্স, এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড-১, শামপুর সুগার, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান, ফার্স্ট ফাইন্যান্স এবং আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে মনোস্পুল পেপার
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ২৫৭টির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (৪ নভেম্বর) মনোস্পুল পেপারের শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৫১ শতাংশ। তাতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ৯ দশমিক ৯৫০ শতাংশ বেড়েছে। আর শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৫০ শতাংশ বাড়ায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে গ্লোবাল হেভি ক্যামিকেল।
এদিন দরবৃদ্ধির তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- রহিমা ফুড, পেপার প্রসেসিস, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, মতিন স্পিনিং, মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং এস্কয়ার নিট।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন বা বিএসসি।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিএসসির ১৯ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ফার ইস্ট নিটিংয়ের আজ ১৭ কোটি ৭৬ লাখ ০২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড।
সোমবার লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, ইউনিক হোটেল, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, জেনেক্স ইনফোসিস, ইবনে সিনা ফার্মা এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মূলধনি মুনাফায় কর কমানোর খবরে পুঁজিবাজারে উত্থান
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে মূলধনী মুনাফার উপর বিদ্যমান কর কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। টানা দরপতনের মধ্যে এমন খবরে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের সঙ্গে বেড়েছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৬১ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়েছে। সূচকটি আজ বাজার শেষে ৫ হাজার ২৫২ পয়েন্টে দাড়িয়েছে।
এদিন প্রধান সূচকের সঙ্গে ডিএসইর শরীয়াহ্ সূচকে ১৫ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়েছে এবং ডিএস৩০ সূচক ২২ দশমিক ১৫ পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
ডিএসইতে আজ মোট ৫৬৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৩১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে মোট ৩৯৬ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদরই আজ অপরিবর্তিত রয়েছে। দর বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫৭ কোম্পানির। বাকি ১০৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম আজ কমেছে।
এসএম