পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারে টানা দরপতনে বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তারা বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করেন। একইসঙ্গে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ গঠন করার দাবি জানান তারা।
বুধবার (২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরাতন ভবনের সামনে সংগঠনটির বিনিয়োগকারীরা মানববন্ধন করেন।
এ সময় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের একাংশের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিনিয়োগকারীদের ‘শেয়ারবাজার ঠিক কর, নইলে বুকে গুলি কর’, ‘শেয়ারবাজার পড়লো কেন, ডিএসই জবাব দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সংগঠনটির সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানির দর ইস্যু মূল্যের নিয়ে যাওয়া মাত্রই তাদের বাধ্যতামূলক বাইব্যাক আইনের আওতায় আনতে হবে। এর বিকল্প কোন পথ নেই। এই পন্থা অনুসরণ করলে শেয়ারের বিভাজন হবে না।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন মার্কেটে শেয়ারের বিভাজন নেই। অথচ আমাদের পুঁজিবাজারে এ ক্যাটাগরি, এন ক্যাটাগরি, জেড ক্যাটাগরি, ওটিসি মার্কেট নামে শেয়ারের বিভাজন আছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিদের বাইব্যাক আইনের আওতায় আনলে এসব বিভাজন থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে কোন এসএমই মার্কেট থাকতে পারে না। শেয়ারবাজারে কোন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে হলে তাদের ৫০ কোটি টাকা থাকতে হবে।
সংগঠনটির অর্থ সম্পাদক মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক দর পতন অব্যাহত রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন বিনিয়োগকারীদের একটাই দাবি, বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যানের পদত্যাগ। একইসঙ্গে আমরা সরকারের কাছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ বাদ দিয়ে একটি ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ গঠনের দাবি জানাচ্ছি। আর সদস্যভুক্ত মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার দাবি জানাচ্ছি।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিনিয়োগকারীদের আইপিও এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ, খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া, শেয়ারবাজার লুণ্ঠনকারীদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত, বিনিয়োগকারীদের আদালত গড়ে তোলা, জিএমজি এয়ারলাইন্সের টাকা ফেরত দেওয়াসহ বেশ কিছু দাবি উপস্থাপন করতে দেখা যায়।
জানা যায়, দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে শেয়ারবাজারে কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও আবার টানা দরপতন শুরু হয়েছে। গত এক মাসে ডিএসইর মূলধন কমেছে ২১ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। এছাড়া গেল সেপ্টেম্বরে সূচকেও বেশ পতন দেখা গিয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় ২৪৩ পয়েন্ট কমেছে।
এদিকে আজ বেলা ১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৯৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৩০ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৩৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দুই ঘণ্টায় ২১৪ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ইতিবাচক প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রধান সূচক বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রোববার (১০ নভেম্বর) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দুই ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ৬ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৭২ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ২ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১১৭৭ ও ১৯৫৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ২১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গত কার্যদিবসের একই সময়ে ২১৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিলো।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৭টির, কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭০ কোম্পানির শেয়ারদর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ দেবে না এটলাস বাংলাদেশ
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেবে না।
রোববার (১০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ০১ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৯৩ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১১৪ টাকা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ০১ ডিসেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জাহিন স্পিনিংয়ের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জাহিন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
রোববার (১০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ০৮ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিলো ৩ টাকা ৮৯ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এমবি ফার্মার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
রোববার (১০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ০৩ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৭৯ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১২ টাকা ২৬ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২ ডিসেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মুনাফার সঙ্গে লভ্যাংশ বেড়েছে ফাইন ফুডসের
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফাইন ফুডস লিমিটেড। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। কোম্পানিটির ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ নগদ লভ্যাংশ।
রোববার (১০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৮ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ০৭ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১১ টাকা ৩১ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১ ডিসেম্বর।
এমআই