খেলাধুলা
সাকিবকে ব্যাট উপহার দিলেন বিরাট কোহলি
বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান এক নক্ষত্রের নাম। নক্ষত্রেরও একদিন থেমে যেতে হয়। সাকিবও থামছেন। ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে গেলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যদিও, চেয়েছেন দেশের মাটিতে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলে টেস্টকে বিদায় বলতে। দেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে যা অনেকটা অসম্ভব। সেই হিসেবে কানপুরে নিজের শেষ টেস্টটি খেলে ফেললেন সাকিব।
শেষ ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব। বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ভারতের চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে ছিল বিরাট কোহলির উইকেট। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে কোহলিকে বোল্ড করেন সাকিব। বাংলাদেশ অবশ্য জিততে পারেনি ম্যাচ। সাকিবের সম্ভাব্য শেষটা তাই হলো হারের তিক্ততায়।
ম্যাচ হারলেও খেলা শেষে সাকিবকে বেশ ফুরফুরে মেজাকে দেখা যায়। কানপুরে আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) উপহারও পেয়েছেন তিনি। তাকে ব্যাট উপহার দিয়েছেন কোহলি। এমআরএফ কোম্পানির ব্যাট ব্যবহার করেন কোহলি। নিজ হাতে সাকিবকে ব্যাট দেন কোহলি। বিদায়ী উপহার দেওয়ার সময় বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে জড়িয়ে ধরেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার।
বিদায়ী টেস্টে দুই ইনিংসে সাকিব নিয়েছেন চার উইকেট। যার সবগুলোই প্রথম ইনিংসে। ব্যাট হাতে হতাশই করেছেন তিনি। লম্বা সময় ধরেই ব্যাটে রান নেই তার। কানপুরেও পারেননি ভালো করতে। দুই ইনিংস মিলিয়ে করেন ৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে খুলতে পারেননি রানের খাতাই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০ বছর পর ম্যাচ জিতল বাঘিনীরা
সময়ের হিসেবে ১০ বছর, ম্যাচের হিসেবে ১৬ আর টুর্নামেন্টের হিসেবে ৪টি সময় অতিবাহিত করার পর মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লম্বা সময় পর জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। আজ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে নিগার সুলতানার দল।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ খুব একটা বড় ছিল না। তবে ৭ উইকেটে ১১৯ রানের পুঁজিতেই জয় এনে দেন বোলাররা। রান তাড়ায় স্কটল্যান্ডের ইনিংস থামে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৩ রানে।
স্কটিশদের হারানোর আগে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বশেষ জিতেছিল ২০১৪ সালে। সে বার সিলেটে নবম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১৭ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে সাথি রানী ও সোবহানা মোস্তারীর ব্যাটে ৭ উইকেটে ১১৯ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে রিতু মণি, মারুফা আক্তার, নাহিদা আক্তারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৭ উইকেটে ১০৩ রানে থামে স্কটিশদের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনার সারা ব্রাইস ছাড়া কেউ-ই স্কটল্যান্ডকে পথ দেখাতে পারেননি। ব্যাটিং করা বাকিদের মধ্যে কেবল দুজন দুই অঙ্কের রান করেন, তবে এদের কেউ ২০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করা ব্রাইস ৫২ বলে একটি চারে ইনিংস সেরা ৪৯ রানের ইনিংস খেলেও অপরাজিত থাকেন।
অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রাইস ও অ্যালিসা লিস্টার ১১ রান করে করেন। স্কটল্যান্ডের আর কেউ ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। রিতু মণি ৪ ওভারে ১৫ রানে ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান মারুফা, নাহিদা, ফাহিমা ও রাবেয়া।
এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারই টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা সোবহানা মোস্তারী ৩৮ বলে ২টি চারে করেন ৩৬ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করা সাথি রানীও রানের চেয়ে বেশি বল খরচা করেন। ৩২ বলে ৩টি চারে ২৯ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৩৫ রান তোলে বাংলাদেশ।
দলীয় ২৬ রানে আউট হন মুর্শিদা খাতুন, বাঁহাতি এই ব্যাটার ১৪ বলে একটি চারে ১২ রান করেন। প্রথম উইকেট হারানোর পর ৪৪ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন দলের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা সাথি ও সোবহানা। এরপর সেভাবে আর জুটি গড়ে ওঠেনি, কেউ সেভাবে রানও করতে পারেননি। এক বল খেলা তাজ নেহার রান আউটে কাটা পড়েন, রানের খাতা খোলা হয়নি তার।
ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে আউট হওয়া অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ১৮ বলে একটি চারে ১৮ রান করেন। শেষ দিকে দ্রুত গতিতে রান তোলেন ফাহিমা খাতুন, ডানহাতি এই অলরাউন্ডার ৫ বলে ২ চারে অপরাজিত ১০ রান করেন। স্কটল্যান্ডের সাসকিয়া হর্লে ২ ওভারে ১৩ রানে ৩টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ক্যাথরিন ব্রাইস, অলিভিয়া বেল ও ক্যাথরিন ফ্রেজার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে যত রেকর্ড
একটা সময় সেঞ্চুরিকে নিজের অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছিলেন মুমিনুল হক সৌরভ। তবে সেই ধারায় ছেদ এসেছে আগেই। অনেকটা দিন ধরেই সেঞ্চুরি নেই টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ানের ব্যাটে। সবশেষ টেস্টে শতক পেয়েছিলেন ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে। আর ১৫ মাস পর এবারে পেলেন আরেক সেঞ্চুরি।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সুইপ শট খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের ১৩তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। দেশের বাইরে এটি তার মাত্র ২য় সেঞ্চুরি। এর আগে নিজের ১১তম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২১ সালে ক্যান্ডি টেস্টে। সে হিসেবে দেশের বাইরে প্রায় ৩ বছরের সেঞ্চুরি খরা কাটিয়েছেন তিনি।
তবে ভারতের মাটিতে সেঞ্চুরি করে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ভারতের মাটিতে সেঞ্চুরি গড়েন তিনি। এর আগে ২০১৭ সালে ভারতের মাটিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম।
ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরির মধ্যে বিদেশে মাত্র দুটি সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করা সেঞ্চুরির পর আজ করলেন ভারতের বিপক্ষে।
ভারতে এর আগে খেলা ব্যাটারদের মধ্যে সর্বনিম্ন গড় নিয়ে খেলা মুমিনুল পেলেন প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। এর আগে ভারতে ৮ ইনিংসে ৯৬ রান করা মুমিনুলের ব্যাটিং গড় ছিল ১২। তবে কিংবদন্তী রিকি পটিংও ১৪ ইনিংসে ১২ গড়ে রান করার পর ভারতে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৯তম সেঞ্চুরি করা মুমিনুল স্বীকৃত ক্রিকেটে করেছেন ৩৩ শতক। বলে রাখা ভালো, একদিন আগে জন্মদিন উদযাপন করা মুমিনুলের বয়সটাও এখন ৩৩।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা, যুক্ত নতুন দুই মুখ
ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টের প্রায় পুরোটাই গেছে বৃষ্টির পেটে। ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর ৬ অক্টোবর থেকে শুরু হবে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর ঘোষণা করার কারণে ১৫ সদস্যের এই দলে স্বাভাবিকভাবেই নেই সাকিব আল হাসান। তার জায়গায় অলরাউন্ডার হিসেবে ১৪ মাস পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একই সঙ্গে দুই নতুন মুখকেও সুযোগ দেয়া হয়েছে এই সিরিজে।
এই দুই নতুন মুখ হলো ওপেনিং ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন এবং বাঁ-হাতি অর্থোডক্স রাকিবুল হাসান। যদিও এর আগে দলে ডাক পেয়েছিলেন তারা। কিন্তু অভিষেক হয়নি এখনও তাদের। সে হিসেবে এখনও নতুন মুখ তারা।
যথারীতি নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলে রয়েছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমান। টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ তাওহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানজিদ হোসেন তামিমরা।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস, জাকের আলি অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, রাকিবুল হাসান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সাকিবের নিরাপত্তা ইস্যুতে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার আগে নিশ্চয়তা চেয়েছেন, বাংলাদেশে সিরিজ খেলে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পারবেন পরিবারের কাছে। সেই সঙ্গে আছে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে তাঁর নিরাপত্তার প্রশ্নও।
তবে আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, কানপুরের বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টই হয়ে থাকবে সাকিবের শেষ টেস্ট। ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা তাঁর পূরণ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, আজ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘খেলোয়াড় সাকিবের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আছে। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে জনমনে তৈরি হওয়া ক্রোধের বিপরীতে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর।’
এর আগে বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সাকিবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিসিবির পক্ষে সম্ভব নয়, এটি বিসিবির কাজও নয়। নিরাপত্তার বিষয়টি পুরোপুরি সরকারের হাতে।
এদিক আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিসিবি পরিচালক ও সাকিবের দীর্ঘদিনের কোচ নাজমূল আবেদীনও ঘরের মাঠে সাকিবের শেষ টেস্ট খেলার সম্ভাবনা কম বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমিও চাইব ওর মতো একজন খেলোয়াড় দেশে খেলা শেষ করবে, সংস্কৃতির ব্যাপারও আছে এখানে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনিবার্য কারণবশত এ মুহূর্তে সেই সম্ভাবনা দেখছি না। কারণ, ক্রিকেট বোর্ড বলেছে, যে ধরনের নিরাপত্তা সাকিব চাইছে, ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়।’
নাজমূল আবেদীন অবশ্য বলেছেন, সরকার ভিন্নভাবে ভাবতেও পারে। সে জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে সে সিদ্ধান্ত যেকোনো দিকেই যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘সরকার যদি মনে করে ওকে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়, সেটাও যুক্তিসংগত। আবার সরকার যদি বলে, তার মতো একজন খেলোয়াড়কে আমরা সম্মান জানাতে চাই, সেভাবেই তার বিদায়টা হোক; সেটাও যুক্তিসংগত।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ফিফার নিষেধাজ্ঞায় দুই ম্যাচের জন্য মাঠের বাইরে মার্তিনেজ
আন্তর্জাতিক ফুটবলের মঞ্চে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রে। গোলকিপার হিসেবে তার বীরত্ব যেমন প্রশংসিত, তেমনি খেলার মাঠে তার আচরণ নিয়ে বিতর্কেরও কমতি নেই। এবার আবারও আলোচনায় এলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই গোলকিপার, তবে এবার কারণটি নেতিবাচক।
ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি মার্তিনেজকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে, আপত্তিকর আচরণ ও ফেয়ার প্লে নীতি লঙ্ঘনের দায়ে। এর ফলে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ভেনেজুয়েলা ও বলিভিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামতে পারবেন না তিনি।
মার্তিনেজের নিষেধাজ্ঞার পেছনে অবশ্য দুটি আলাদা ঘটনা দায়ী। প্রথম ঘটনা ঘটে ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে। ওই ম্যাচ শেষে উদ্যাপনের সময় কোপা আমেরিকার রেপ্লিকা ট্রফি নিয়ে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন মার্তিনেজ। এর আগেও কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর ঠিক একই ধরনের উদ্যাপন করেছিলেন এই গোলকিপার, যা নিয়ে তখনও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এবারও তার আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ মেলায় ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলো।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ১০ সেপ্টেম্বর, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনার পরাজয়ের পর মার্তিনেজ রাগান্বিত হয়ে মাঠ ছাড়েন এবং এক পর্যায়ে ক্যামেরা অপারেটরের সরঞ্জামে আঘাত করেন। এই ঘটনার পরপরই জনি জ্যাকসন নামে ওই ক্যামেরা অপারেটর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেন, মার্তিনেজের আচরণে তিনি ‘লাঞ্ছিত’ হয়েছেন এবং এ ঘটনায় তিনি গভীরভাবে ক্ষুব্ধ। এই দুটি ঘটনার জন্যই মার্তিনেজকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়।
মার্তিনেজের এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) ফিফার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে এএফএ জানিয়েছে, ‘ফিফার শৃঙ্খলা কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নমত পোষণ করছি।’ শাস্তি নিশ্চিত হওয়ার আগে মার্তিনেজ এবং অ্যাসোসিয়েশন নিজস্ব অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল বলেও জানানো হয়।
তবে, আর্জেন্টিনার আপত্তি সত্ত্বেও ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে এবং মার্তিনেজকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর ফলে আর্জেন্টিনা ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচে তাকে ছাড়া খেলতে বাধ্য হবে। আগামী ১০ অক্টোবর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এবং ১৫ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে গোলপোস্টের দায়িত্বে মার্তিনেজকে দেখা যাবে না।
এদিকে মার্তিনেজের অনুপস্থিতি আর্জেন্টিনার জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে আসতে পারে। কারণ, ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনা এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। ৬ জয় ও ২ ড্র নিয়ে তাদের অবস্থান শক্ত। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলম্বিয়া। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের অবস্থা ভালো নয়, তারা ৮ ম্যাচে মাত্র ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৫ম স্থানে অবস্থান করছে।
এই বাছাইপর্ব থেকে দক্ষিণ আমেরিকার শীর্ষ ৬টি দল সরাসরি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। আর্জেন্টিনার সাম্প্রতিক ফর্ম খুব ভালো থাকলেও মার্তিনেজের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব তাদের পারফরম্যান্সে কতটা পড়বে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।