জাতীয়
একটি নতুন দেশ নির্মাণ শুরু করতে হবে: ড. ইউনূস

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি ফোন কল আসে। তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়। সেই ফোন কলের এই দায়িত্ব নেওয়াকে জীবনের গতিপথ পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন তিনি।
মার্কিন পাবলিক ব্রডকাস্টিং সংস্থা এনপিআরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্ষমতায় আসার বিষয়ে এমনটাই বর্ণনা করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (৩০ সেপ্টম্বর) এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে এনপিআর।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক সিটিতে এনপিআর-এর মর্নিং এডিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, এটি ছিল ‘ঘটনার খুব অদ্ভুত পরিবর্তন’।
ড. ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তৃতা করার পরে এনপিআর-এর মিশেল মার্টিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসেছিলেন। তাদের আলাপচারিতায় ছিল—
মিশেল মার্টিন : গত গ্রীষ্মে যখন আমরা কথা বলেছিলাম আপনি দুর্নীতির অভিযোগে বিচারাধীন ছিলেন এবং এখন আপনি বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এসব কিছুই ঘটনার পালাবদল। নিজেকে এই অবস্থানে পেয়ে অবাক হচ্ছেন কি?
মুহাম্মদ ইউনূস: ঘটনার খুবই অদ্ভুত পালাবদল। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে আমি প্যারিসে ছিলাম, আমি দেখার চেষ্টা করছিলাম যে আমি ফিরে যাব কি-না, আমাকে গ্রেপ্তার করা হবে, কারণ তিনি (শেখ হাসিনা) আমার ওপর রাগান্বিত হবেন এবং আমাকে জেলে পাঠাবেন। তাই ভাবছিলাম ফিরতে দেরি করব। আর হঠাৎ বাংলাদেশ থেকে একটা ফোন পেলাম যে তিনি (শেখ হাসিনা) এখন চলে গেছেন। আমরা চাই আপনি সরকারপ্রধান হন। এটি একটি বড় চমক ছিল।
মার্টিন: আপনি যখন ফোনটি পেয়েছিলেন তখন আপনার মনে কী হয়েছিল?
ড. ইউনূস: দেশ পরিচালনায় আমার আদৌ যুক্ত হওয়া উচিত কি-না। এটা খুবই কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতি। কিন্তু যখন ছাত্ররা আমাকে ডেকে ব্যাখ্যা করল যে পরিস্থিতি কী। অবশেষে আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, তোমরা এর জন্য জীবন দিয়েছ। তোমরা যদি জীবন দিতে পার, তবে আমি আমার অন্যান্য সব বিবেচনা বাদ দিতে পারি। আমি তোমাদের সেবা করতে পারি। আমি এটা করব।’
মার্টিন: এবং আপনি যখন বলেন যে আপনি জীবন দিয়েছেন আপনি অতিরঞ্জিত করেননি এবং এটি কোনো রূপক নয়।
ড. ইউনূস: না, এটা কোনো রূপক নয়। মানুষ মারা যায়। প্রায় এক হাজার যুবক মারা গেল, বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে বুলেটে বুক পেতে দিলো। আক্ষরিক অর্থে, যুবকরা এসে আত্মাহুতি দিয়েছে। তারা যখন বিক্ষোভে যোগ দিতে তাদের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল, তারা তাদের বাবা-মাকে বিদায় জানাচ্ছিল, তারা তাদের ভাই-বোনদের বিদায় বলছে, ‘আমি হয়তো ফিরে আসব না।’ এটাই সেই চেতনা যার মধ্যে পুরো ব্যাপারটা ঘটেছে এবং অবশেষে, এটি এতটাই অবিশ্বাস্য ছিল, প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ পুরো জনতা তার বাড়ির দিকে আসছিল।
মার্টিন: একদিকে, এসব বিক্ষোভ আন্দোলনে খুবই অজনপ্রিয় কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতার প্রস্থানের পথ প্রশস্ত করেছিল। সেইসব বিশৃঙ্খলতার প্রথম দিনগুলোতে, আহমদিয়া ও হিন্দুদের ওপর হামলা হয়েছিল। এ সব ঘটনার কিছু অংশ ছিল শেখ হাসিনার দলের প্রতি তাদের আনুগত্যের কারণে। এর কিছু ঘটনা কেবলমাত্র সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আক্রমণ বলে মনে হয়েছে। সেসব ঘটনাও কমে গেছে। কিন্তু তারপর থেকে, আরও হামলা হয়েছে, এইবার সুফি মাজারে। আমাদের প্রতিবেদন অনুসারে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে ২০টিরও বেশি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, উত্তেজিত জনতার হাতে হত্যা হয়েছে। কেন এমন হচ্ছে?
ড. ইউনূস: জনগণ বিপ্লবের মেজাজে আছে। সুতরাং এটি একটি বিপ্লবী পরিস্থিতি। তাদের অনেককে হত্যা করা হয়েছে। তাই তারা এমন লোকদের খুঁজছে যারা তাদের সহযোদ্ধাদের মৃত্যু ঘটিয়েছে। তাই জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলের অনুসারীদের ওপর হামলা চালাচ্ছিল। আপনি যখন বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হচ্ছে, সেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায় শেখ হসিনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সুতরাং আপনি পার্থক্য করতে পারবেন না যে, তারা শেখ হাসিনার অনুসারী হওয়ার কারণে তাদের ওপর হামলা হয়েছে, নাকি তারা হিন্দু বলে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু তাদের ওপর হামলা হয়েছে, এটা নিশ্চিত। কিন্তু তারপর আমরা সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করি। আমি সবাইকে বলতে থাকি যে আমাদের মতভেদ থাকতে পারে; এর মানে এই নয় যে আমাদের একে অপরকে আক্রমণ করতে হবে।
মার্টিন: আপনি কি মনে করেন যে আপনি জনগণকে প্রতিশোধের পরিবর্তে সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করার পথে ফিরিয়ে আনতে পারেন?
ড. ইউনূস: প্রতিশোধের সময় মাত্র কয়েক সপ্তাহ ছিল। কিন্তু তারপর স্বাভাবিকতা ফিরে আসতে শুরু করে। তাই আমরা দেশ চালাচ্ছি। কিন্তু বিক্ষোভ আছে, প্রতিশোধমূলক বিক্ষোভ নয়। বেশিরভাগ বিক্ষোভ তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে, তাদের চাকরির দাবিতে, যাদের সরকার আগে বরখাস্ত করেছিল।
তাই তারা বলেছিল, অতীতের সরকার আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে এবং আমরা বিনা কারণে আমাদের চাকরি হারিয়েছি। কারণ আমরা অন্য রাজনৈতিক দলের সদস্য। তাই বঞ্চিতরা সবাই তাদের দাবি মেটানোর চেষ্টা করছে। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম। দেখুন এগুলো আপনাদের ১৫ বছরের ক্ষোভ। আমরা ১৫ দিনের মধ্যে এটি সমাধান করতে পারি না। আমাদের কিছু সময় দিন যাতে আমরা ফিরে যেতে পারি। আপনারা একটি খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন এবং আমাদের এটি এমনভাবে সমাধান করতে হবে যাতে এটি পদ্ধতিগতভাবে সম্পন্ন হয়।
মার্টিন: সময়ের কথা বলছি, সেনাবাহিনী আপনার পেছনে রয়েছে। সামরিক নেতারা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১৮ মাস শাসন করতে হবে। বিরোধী দলগুলো তা চায় না। তারা নভেম্বরে নির্বাচন চেয়েছিল। আপনার যা করতে হবে তা করার জন্য কি ১৮ মাস যথেষ্ট সময় আছে?
ড. ইউনূস: জনগণ এই সংখ্যাগুলো বিবেচনা করছে না। কত মাস, কত বছর তাদের প্রয়োজন মনে হয়। কেউ কেউ বলে যে এটি দ্রুত করা উচিত, কারণ আপনি যদি দীর্ঘায়িত করেন আপনি অজনপ্রিয় হবেন এবং সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাবে। কেউ কেউ বলেন যে না, আপনাকে সংস্কার শেষ করতে হবে। সুতরাং আপনি দীর্ঘ সময় ধরে থাকুন। কারণ আমরা সবকিছু ঠিক না করে বাংলাদেশ ২.০-এ যেতে চাই না। তাই এই নিয়ে বিতর্ক চলছে।
মার্টিন: আপনি জানেন, আপনি প্রায় সুশীল সমাজের মতো করে সম্পূর্ণ পুনর্গঠনের কথা বলছেন।
ড. ইউনূস: সংস্করণ ২-এর অর্থ ঠিক এটাই। আমরা পুরনো স্টাইলে ফিরে যেতে চাই না। তাহলে এত জীবন দেওয়ার মানে কী? এর কোনো মানে নেই কারণ আমরা যা করেছি, সবকিছু ধ্বংস করেছি। তাই একটি নতুন দেশ নির্মাণ আমাদের শুরু করতে হবে।
মার্টিন: আপনি জানেন, এটি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু উত্তেজনাপূর্ণ, তাই না?
ড. ইউনূস: এটা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। আপনি নেতিবাচক দিক দেখছেন। আমি এটাকে খুবই ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। আমি বলেছিলাম এই জাতি সবচেয়ে বড় সুযোগ পেয়েছে। এসব মানুষ, দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ; আমাদের পরিবর্তন দরকার।
মার্টিন: আপনি ৮৪ বছর বয়সী। আমি জানি না যে আপনি কখনও নিজেকে সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ভেবেছেন কি-না। আপনি কি মনে করেন যে আপনি বাংলাদেশকে সেই দেশে পরিণত হতে দেখবেন যা আপনি আশা করেন, আপনার জীবদ্দশায়?
ড. ইউনূস: সব কিছু নয়। তবে আমি খুব খুশি হবো, এটি হওয়ার পথে। প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক আছে। নীতি সঠিক। তরুণেরা বিশ্বকে পরিবর্তন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে তারা দেশের মধ্যে এবং বিশ্বব্যাপী ভূমিকা পালন করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বললে, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ভুক্তভোগী। তবে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমি সবসময় তরুণদের গুরুত্ব দেই কারণ তারাই ভবিষ্যৎ গড়বে এবং যেভাবেই হোক তাদের নেতৃত্বের অবস্থানে থাকা উচিত। কারণ তাদের উত্তরাধিকারসূত্রে এই গ্রহে থাকতে হবে। আপনি উল্লেখ করেছেন যে আমি ৮৪ বছর বয়সী। আমার সামনে দীর্ঘ সময় নেই, তাদের সামনে পুরো জীবন রয়েছে।

জাতীয়
শাহবাগ ছাড়লেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা, বৃহস্পতিবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের সংগঠন জুবায়ের আহমেদ।
কর্মসূচি ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন। এরপর শাহবাগে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি শাহবাগে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সাংবাদ সম্মেলন করা হয়।
জাতীয়
একযোগে ২২৫ কর পরিদর্শককে বদলি ও পদায়ন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও ২২৫ জন কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করেছে সরকার।
বুধবার (২৭ আগস্ট) কর প্রশাসন-২ দ্বিতীয় সচিব মো. আনিসুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
জাতীয়
ডিবিপ্রধান হলেন শফিকুল ইসলাম

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলামকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে পদায়ন করা হয়েছে।
প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের মারধরের শিকার সাংবাদিকরা
শফিকুল ইসলাম পুলিশের ১৮তম বিসিএস ব্যাচের সদস্য। এর আগে তিনি ডিআইজি হিসেবে হাইওয়ে পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
শফিকুল ইসলামের বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে ১৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করে পেশাগত জীবন শুরু করেন।
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি লক্ষ্মীপুরে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) হন।
জাতীয়
নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা বৃহস্পতিবার: ইসি সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) তা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আসন সীমানা নির্ধারণ নিয়ে তিনি বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আসনগুলোর সীমানার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এর আগে, এদিন দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এ নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে কর্মপরিকল্পনার (রোডম্যাপ) অনুমোদন দেয় কমিশন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অনুমোদন হয়েছে, এখন শুধু টাইপিং চলছে।
এদিকে, গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে ইসি। যেখানে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ৬টি করা হয়। সেইসঙ্গে বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি করা প্রস্তাব করা হয়।
এরপর গত ১০ আগস্টের মধ্যে ৮৩টি সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে ১ হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তির আবেদন ইসিতে জমা পড়ে। ২৪ আগস্ট এ বিষয়ে দাবি-আপত্তির শুনানি শুরু হয়, যা বুধবার শেষ হয়।
জাতীয়
কমিটি প্রত্যাখ্যান, ৫ দফা দিলেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা

বিএসসি-ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবির যৌক্তিকতা নিরীক্ষায় সরকারের গঠন করে দেওয়া কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফার ঘোষণা দেন। এরপর তারা আবারো শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি জুবায়ের আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আন্দোলনকারীদের সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিকে আমাদের প্রতিনিধিত্বের অনুপযুক্ত মনে করি। আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করলাম। অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের অংশীদারদের নিয়ে কমিটি সংস্কার করতে হবে।
জুবায়ের আহমেদ বলেন, আমাদের পেশ করা তিন দফা দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এই মর্মে সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান ও সৈয়দ রিজওয়ানা হাসানকে এসে এর নিশ্চয়তা দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফায় আরও রয়েছে, পুলিশের হামলায় আহত সব শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে। আন্দোলন চলাকালীন সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
পুলিশ দিয়ে এই যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনো হামলা করা যাবে না। যে পুলিশ সদস্যরা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
এর আগে সরকার ৮ সদস্যের একটি দাবি পর্যালোচনা কমিটি দেয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কমিটিবিষয়ক শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবিরের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে সভাপতি করা হয় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে।
কাফি