পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার সংস্কার-উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান

পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ পিএলসি (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম), বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম) ও ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) শীর্ষ নির্বাহীদের একটি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় দেশের পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নে বিএসইসি ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ একসঙ্গে এবং সহযোগী হিসেবে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, বিএসইসির কমিশনার মো. আলী আকবর, বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ এবং ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, সিসিবিএল, বিআইসিএম, বিএএসএম এবং সিএমএসএফ’র শীর্ষ নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, সিসিবিএল, বিআইসিএম, বিএএসএম এবং সিএমএসএফ’র শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দ দেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কারের বিষয়ে তাদের মতামত ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। মত বিনিময় সভায় অন্যান্যে মধ্যে রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক এর সংস্কার, রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতকরণ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন, পুঁজিবাজারে পণ্য ও বাজার উন্নয়নে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার ও ব্যাপ্তি বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারে কর্মরত পেশাজীবিদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারকরণ, বাজারের বৈচিত্রায়নসহ নতুন পণ্য আনয়নসহ সর্বোপরি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং পুঁজিবাজারের গঠনমূলক ও টেকসই সংস্কারের বিষয়ে প্রস্তাবনা উঠে এসেছে। সভায় দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ একসাথে এবং সহযোগী হিসেবে কাজ করার বিষয়ে একমত হন সকলে।
উল্লেখ্য, আগামীকাল ০১ অক্টোবর বিএসইসির সাথে পুঁজিবাজারে কর্মরত ব্রোকার-ডিলারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বাংলাদেশ মাচেস্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড (এএএমসিএমএফ), অ্যাসোসিয়েশন অব ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (এসিআরএবি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সাথে পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কারের বিষয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এসএম

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআই’র যৌথ আলোচনা

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, এসএমই কোম্পানি তালিকাভুক্তকরণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, নতুন আর্থিক পণ্য উদ্ভাবন এবং স্টার্টআপ ও ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে অর্থায়ন বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) যৌথ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গুলশানে ডিসিসিআই কার্যালয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ এবং ডিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট তাসকিন আহমেদ ও পরিচালনা পর্ষদের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই ডিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট তাসকিন আহমেদ ডিএসই’র প্রতিনিধিবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ব্যবসায় লাভ ক্ষতি রয়েছে। যে সকল কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলন করেছে তাদের সাথে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। আমাদের মতো দেশগুলোর অথবা আমাদের থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকা দেশগুলোর সাথে তুলনা করে আগামীর কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন টু জিডিপি রেশিও এখনও ২০% নিচে। আমাদের মত অর্থনীতির অনেক দেশে এটি ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশের অধিক। পুঁজিবাজারে এসএমই-এর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য কিছু দীর্ঘমেয়াদী ও স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো দ্বৈত কর ব্যবস্থার প্রত্যাহার ও এর প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং পণ্যের বৈচিত্রকরণ করা। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে এসএমই কোম্পানিগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। এসএমই কোম্পানিগুলোর ফাইন্যান্সের উপর বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমানে আরজেএসসি-তে ২ লক্ষের উপর কোম্পানি রয়েছে এর মধ্যে মাত্র ৩৬০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও সরকারী কোম্পানি ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত হতে পারেনি। কিন্তু আশার বিষয় হলো এই সরকার প্রথমবারের মতো পুঁজিবাজারের প্রতি গভীরভাবে মনোযোগ দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামানকে এই বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই বাজেটে পুঁজিবাজারবান্ধব কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেগুলো হলো টার্ণওভারের উপর এআইটি কমানো, মাচেন্ট ব্যাংকের ট্যাক্স কমানো ও তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর্পোরেট ট্যাক্স এর ব্যবধান বৃদ্ধি করা। বিএসইসি কিছু উদ্যোগ নিয়েছে যেগুলো হলো সিসি একাউন্টের ইন্টারেস্ট বিষয়ে সমাধান ও বিও একাউন্টের নবায়ন ফি কমানো। বিএসইসি মার্কেটে শৃঙ্খলা আনার জন্য আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে। একটি দক্ষ, স্বচ্ছ এবং ন্যায় ভিওিক পুঁজিবাজারের বিকাশ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এখন একটি সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং ডিএসই পুঁজিবাজারের কেন্দ্রীয় শক্তি হিসেবে, এই উন্নয়নের রূপান্তরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। বিগত দিনে মার্কেটে রেগুলেটর অনেক সময় অযৌক্তিক হস্তক্ষেপ করেছে। এখন পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। বিনিয়োগকারীগণ বাজারে ফিরে আসছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীগন সক্রিয় হচ্ছে। বর্তমানে ইক্যুইটি মার্কেটের সাথে বন্ড মার্কেটেকে কিভাবে উন্নয়ন করা যায় এই বিষয়ে ডিসিসিআই-এর সহযোগিতা প্রয়োজন। ডিসিসিআই ক্যাপিটাল মার্কেটের একটি বড় স্টেকহোল্ডার।
তিনি বলেন, আইপিও প্রসেস এর ডিজিটালাইজেশন এর প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়াও ভালো কোম্পানিগুলোকে দ্রুত বাজারে নিয়ে আসার জন্য গ্রীণ চ্যানেল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএসইসি এই বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করছে। ডিএসই ও ডিসিসিআই উভয় প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী ও টেকসই করার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান রাখতে পারে। এরই লক্ষ্যে স্বল্প সময়ের মধ্যে এসএমই উদ্যোক্তাদের এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্তর প্রসেস এবং অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি)’র সুবিধা ও তালিকাভুক্তির প্রসেস নিয়ে চেম্বার সদস্যদের সাথে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
এছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধির ফলে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে এটি সহজ করা সম্ভব। এছাড়াও এসএমই একটি বিশাল খাত। বেসরকারি খাতের প্রায় ৭৫% এসএমই। তাদের এক্সপোজার আছে, সংযোগ আছে, উন্নয়নের জায়গা আছে। তাই সরকার এ ব্যাপারে তালিকাভুক্ত এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য কী ব্যবস্থা নিতে পারে তা বিবেচনায় আনতে পারে। ২০০৯ সালে, একটি সমীক্ষায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল যে, সরকারের ৭.৫ মিলিয়ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে। আমরা মনে করি যে, এই অর্থনৈতিক ইউনিট থেকে অধিক পরিমানে বিনিয়োগের জন্য পুঁজিবাজারের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, রাজিব এইচ চৌধুরী, ভাই প্রেসিডেন্ট মো. সেলিম সোলাইমান, সেক্রেটারি জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) এ. কে. এম আসুদুজ্জামান পাটুয়ারি, ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (অব.), সৈয়দ হাম্মাদুল করীম, মো. শাকিল রিজভী, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, এফসিএস সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
পুঁজিবাজার
মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সে চেয়ারম্যান নির্বাচিত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির চেয়ারম্যান হিসাবে আব্দুল হক নির্বাচিত হয়েছেন।
এসএম
পুঁজিবাজার
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের পরিচালকের শেয়ার হস্তান্তর

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের এক পরিচালক পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করেছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটিরি পরিচালক তাসনিম বিনতে মোস্তফা তার কাছে থাকা ৮ লাখ ৮৫ হাজার শেয়ার তার স্বামী রাশিক আলম চৌধুরীর (কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডার) কাছে হস্তান্তর করেছেন।
এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং সিস্টেমসের বাইরে শেয়ারগুলো উপহার হিসেবে হস্তান্তর করেন এই পরিচালক। গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এসএম
পুঁজিবাজার
ডিএসইর অযাচিত হস্তক্ষেপে আবারও গতি হারাচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার

দেশের শেয়ারবাজার দীর্ঘদিন ধরেই মন্দাভাব কাটাচ্ছে। মাঝে মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে বাজারে কিছুটা ইতিবাচক আচরণ দেখা দিলেও তা টিকছে না ডিএসইর অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের কারণে। বাজার চলবে বাজারের নিজস্ব গতিতে- এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ঘোষণাকে কার্যত ভেস্তে দিচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পদক্ষেপ।
বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোন হাউজ থেকে কে কোন শেয়ার কিনছেন বা বিক্রি করছে, কেন করছে—এসব খুঁটিনাটি বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে ডিএসই। এ নিয়ে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজে নিয়মিত চিঠি পাঠানো হচ্ছে। ফলে বাজারের স্বাভাবিক গতি বারবার ব্যাহত হচ্ছে। এর প্রভাবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিদিনের লেনদেন নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে।
এদিকে বাজার পতনের অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মার্জিন ঋণ। বিনিয়োগকারীরা ঋণ নিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে গিয়ে একসময় হারিয়ে ফেলছেন নিজের মূল পুঁজি। শুধু তাই নয়, মার্জিন ঋণের কারণে বাড়তি সেল প্রেসার বিক্রির চাপ তৈরি হয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছেন অন্যান্য বিনিয়োগকারীও।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, একটি বাজারে হরেক রকম পণ্য থাকলে বিনিয়োগকারীও আসবে ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা নিয়ে। কিন্তু সেখানে যদি কর্তৃপক্ষ অযাচিত বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে সেই বাজারে গতি হারানো অনিবার্য। তাঁদের মতে, ডিএসইর এমন নাক গলানো মনোভাব চলতে থাকলে শেয়ারবাজারের দীর্ঘমেয়াদি সংকট আরও গভীর হতে পারে।
এবিষয়ে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, সার্ভিলেন্স সংক্রান্ত বিষয় হলে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ ২০২০ এর ১৭ অনুযায়ী ইন্সপেকশন করতে চাইলে করতে পারে। তবে কেউকে শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় করেন- এটা বিএসইসি বা ডিএসই বলতে পারে না। শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের ইচ্ছাধীন। কিন্তু সার্ভিলেন্স সংক্রান্ত কোনো পার্টিকুলার সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত তাদের কোয়েরি থাকতে পারে। তবে সেটা লিখিত মাধ্যমে হতে হবে। আইন অনুযায়ী ইন্সপেকশন বা সার্ভিলেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে লিখিত তথ্য চাইলে ব্রোকারেজ হাউজগুলো দিতে বাধ্য।
এবিষয়ে জানতে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলবো।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এসময় বাজার মূলধন কমেছে ০.৪৪ শতাংশ বা ৩ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৭৪৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ৪৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৭৪৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৪৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ১১.৪৫ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সোমবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৭৫ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। রোববার লেনদেন শেষে যা ৫ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে ছিল। ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও ৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৩৫ পয়েন্টে উঠেছে। রোববার এই সূচকটির অবস্থান ছিল ২ হাজার ১২৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। রোববার যা ১ হাজার ১৮৫ পয়েন্টে ছিল।
পুঁজিবাজার
বে লিজিংয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির চেয়ারম্যান হিসাবে ফাতেমা জহির মজুমদার নির্বাচিত হয়েছেন।
এসএম